charpatra/ বাবার ভালোবাসার গল্প মিথ্যে ভালোবাসার মোহের কবলে আমাদের কেয়ার করার মানুষ গুলিকেই আমরা উপেক্ষা করতে থাকি। আজকের এই গল্পটিতে, প্রেমিকের আবদার রক্ষায় প্রেমিকা কিভাবে নিজের বাবাকে উপেক্ষা করেছে এবং তার শেষ পরিনণতিই বা কি, তা পুরো গল্পটি না পড়লে পাঠক জানতে পারবেন না।
বাবার ভালোবাসার গল্পঃ-
আমি… না নামটা বরং থাক। তবে এটুকু বলে রাখা ভালো, মানুষ ছিলাম না প্রথমে আর অন্ধ ছিলাম।
ভুল মানুষের পিছনে অন্ধের মতো ছুটে ঠিক মানুষটা কে…।
বাবা যখন আমাকে অফিস থেকে ফোন করে বললো, “মা রে, আজ একটু মৌরলা মাছের ঝোল রান্না করতে পারবি? খেতে ইচ্ছে করছে খুব।”
প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েছিলাম। এমনিতেই সকাল থেকেই শান্তনুর সঙ্গে ঝগড়া চলছে। মন মেজাজ একদম ঠিক নেই। তার উপর আবার এই রান্নাবান্নার উটকো ঝামেলা। মা তো মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছে। আমাকে রেখে গিয়েছে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা বাবা’র পিছনে খাটার জন্য। যাই হোক, যথেষ্ট অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রান্নাঘরে গেলাম মৌরলা মাছের ঝাল রান্না করতে। রান্না করতে করতেই শান্তনুকে একনাগাড়ে ফোনে ট্রাই করে যাচ্ছিলাম।
নাহ, ফোন ধরছে না শান্তনু। ছেলেটা আজকাল খুব অদ্ভূত আচরন করছে। কথায় কথায় ভুল ধরে, অযথা সন্দেহ করে, আর পান থেকে চুন খসলেই বিশ্রীভাবে গালিগালাজ শুরু করে দেয়। আজকাল আবার ব্রেকআপের ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু এটা তো অসম্ভব। বড্ড বেশি ভালবেসে ফেলেছি যে শান্তনুকে। ওকে ছাড়া আমি বেঁচে থাকার কথা ভাবতেই পারি না। এসব ভাবতে ভাবতেই কোনোমতে রান্না শেষ করলাম। তাড়াতাড়ি রান্নাঘর থেকে বের হয়ে এসে শান্তনুর বন্ধু সুজয়দার কাছে ফোন করলাম। সুজয়দা সব শুনে আমাকে বললো-
– “দেখো শ্রেয়া, শান্তনু এখন প্রচন্ড ক্ষেপে আছে। তুমি কাল রাতে ওকে এতবার কল দিয়ে ডিস্টার্ব করে ঠিক করো নি।”
-” কিন্তু দাদা, ও তো ওয়েটিং এ ছিল। আমার কি এতটুকু জানারও অধিকার নেই যে ও কার সঙ্গে অতো রাতে কথা বলছিলো?”
-” এটা তোমাদের নিজেদের ব্যাপার। তারপরও আমি শান্তনুকে বলছি, তোমার কল রিসিভ করতে। তবে ও শুনবে কিনা জানি না। তবে তুমি এখন ওর মতের বাইরে আর কিছু কোরো না। যা বলে চুপচাপ শুনে নিও।”
-” আচ্ছা। ঠিক আছে।”
কিছুক্ষণ পর শান্তনুকে কল করলে সে রিসিভ করলো। তারপর বললো-
-” শোনো শ্রেয়া, আমি শুধু সুজয়ের কথায় তোমার কল রিসিভ করেছি। আমি তোমাকে একটা লাস্ট চান্স দিচ্ছি।”
-” তুমি এইভাবে কেন কথা বলছো শান্তনু?”
-“তুমি কি আমার সব টা কথা শুনবে?”
– “আচ্ছা…বলো।”
-” তুমি কাল আমার সঙ্গে সুজয়ের ফ্ল্যাটে যাবে।”
-” ওখানে কেন?”
-“এতদিন হয়ে গেল আমাদের রিলেশনশিপ চলছে। অথচ আজ পর্যন্ত আমি তোমাকে নিজের করে পেলাম না। আমার কি কোনো ইচ্ছে থাকতে পারে না?”
-” কিন্তু শান্তনু…”
-” উঁহু কোনো কিন্তু নয়, আমি যা বলছি তাই করবে তুমি। আর একটা কথা, এখানে আসার সময় ৩ হাজার টাকা নিয়ে আসবে।”
-“গত সপ্তাহেই না তোমাকে ১৫০০ টাকা দিলাম!”
-” তুমি এতো প্রশ্ন কেন করছো? তুমি মনে হয় ফাইনালি ব্রেকআপ-ই চাইছো, কি তাই তো?”
-” না না। ঠিক আছে, আমি নিয়ে আসবো।”
দুম করে লাইনটা কেটে দিলো শান্তনু। এতক্ষণে আমি যেন একটু শান্তি পেলাম। কিন্তু টেনশন তো থেকেই গেল, এতো তাড়াতাড়ি ৩০০০ টাকা কোথায় পাবো!
সন্ধ্যায় বাবা একরাশ ক্লান্তি নিয়ে অফিস থেকে ফিরলো। এসেই ডাকাডাকি শুরু করে দিলো-
-” শ্রেয়া, কোথায় গেলি মা? দেখ, তোর জন্য কি নিয়ে এসেছি।”
-” কি হয়েছে বাবা? এতো চেঁচাচ্ছো কেন তুমি?”
-” আজকে আমাদের চেয়ারম্যান স্যার সবাইকে খাইয়েছেন, ওনার ছেলে ব্যারিস্টারী পাশ করেছে তাই জন্য। খাবারটা তোর জন্য নিয়ে এলাম। তুই তো চাইনিজ খাবার খুব পছন্দ করিস।”
-“কই দেখি দেখি।”
বাবাকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আমি খেতে বসে গেলাম। বাবাকে এক কাপ চা ও সাধলাম না।
পড়ুনঃ-
বাবাকে নিয়ে শিক্ষণীয় গল্প
দাদাকে নিয়ে একটি গল্প
পেট পূজো করে এসে খুব আয়েশ করে ভাবছি কাল কি কালারের শাড়ি পরবো, শান্তনুর সামনে কিভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করবো। হঠাৎ করে মাথায় এলো, ৩০০০ টাকা বাবার কাছে চাইলেই তো হয়। আমার কোনো চাওয়া কি বাবা অপূর্ণ রাখে! এর মধ্যেই বাবা আবার ডাকলো-
-” মা রে, আরেকটু ভাত দিয়ে যা মা আমাকে।”
এই তো সুযোগ। খাবার টেবিলে বাবার কাছে টাকার কথা বলা যাবে।
বাবার সামনে ভাত বেড়ে দিয়ে আমি আবার ঘরে চলে এলাম। ভাবছি, কোন অজুহাতে টাকা টা চাইবো।
বাবার কাশির শব্দ শুনে বিরক্তি নিয়ে জল দিতে গেলাম। তারপর বললাম-
-“এভাবে খাচ্ছো কেন? আস্তে আস্তে খাও।”
বাবা একটু লাজুক ভঙ্গিতে উত্তর দিলো-
-“দুপুরে কিছু খাই নি তো। তাই খুব ক্ষিদে পেয়েছিল। আর তরকারি তে ঝালটা একটু বেশি লাগছে কিন্তু খেতে খুব ভাল হয়েছে।
বাবা দুপুরে কিছু খায়নি শুনে আমি যেন থমকে গেলাম। তার মানে বাবা নিজে না খেয়ে আমার জন্য খাবার নিয়ে এসেছে! অথচ দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দিব্যি অনাহারে কাটিয়ে দিলো। আর বাবা যে ঝাল একদম খেতে পারে না, তাড়াহুড়োর মধ্যে এটা তো আমার মাথাতেই ছিল না। আমার ভেতরটা কেমন যেন করে উঠলো। অল্প একটু কোনো মতে গিলে বাবা খাওয়া শেষ করলো। আমি বুঝতে পারছিলাম, বাবার খেতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো কিন্তু তাও বাবা মুখ ফুটে কিছু বলেনি আমাকে।
কিছুক্ষণ পর বাবার কাছে গিয়ে বললাম,
-“আমার কাল ৩০০০ টাকা লাগবে, বাবা।”
আমার কথাগুলো শুনে বাবার মুখটা নিমেষেই চুপসে গেল। আমি বুঝতে পারছিলাম বাবার হাতে এখন কোনো বাড়তি টাকা পয়সা নেই। থাকবেই বা কি করে! আজ মাসের ২৮ তারিখ।
কিন্তু বাবা আমাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে বলে দিলো-
-” ঠিক আছে রে মা। কাল সকালে নিয়ে নিস।”
আর কোনো প্রশ্ন করেনি বাবা। মা মারা যাওয়ার পর থেকে এই বাবাই আমাকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছে। আদর-যত্নের কখনো কোনো খামতি রাখেনি। যখন যা চেয়েছি তাই পেয়েছি সবসময়। বেশিরভাগ সময় বাবা তার সাধ্যের বাইরে গিয়ে আমার প্রয়োজন মিটিয়ে দেয়।
তবে এই সবকিছুর বিনিময়ে আমি কি কিছু করতে পেরেছি বাবার জন্য? মাধ্যমিকে লেটার মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে আর উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থান ছাড়া আর কিছুই দিয়ে উঠতে পারি নি বাবা কে আজ পর্যন্ত। কিন্তু এসব ভেবে এখন আর সময় নষ্ট করতে একদম ইচ্ছে করছে না।
ডাইনিং টেবিল গোছানোর সময় শুনতে পেলাম, বাবা ফোনে কাকে যেন বলছে-
-” আমার সিরিয়ালটা ক্যান্সেল করে দিন। অফিসে কাল কাজের চাপ আছে। তাছাড়া এখনই ডাক্তার দেখানো টা তেমন জরুরী নয়।”
স্পষ্ট বুঝতে পারলাম বাবার বুকের ব্যথাটা নিশ্চয়ই আবার বেড়েছে। কিন্তু আমাকে বুঝতে দেয়নি, আর আমিও হয়তো বুঝতে চাই নি। ৩০০০ টাকা টা যে বাবা চিকিৎসার জন্য রেখেছিলো, তাও আমার বুঝতে অসুবিধা হলো না।
খুব ছোটখাটো একটা চাকরী করে বাবা। সারা মাসজুড়ে সংসারে টানাটানি চলতেই থাকে। এই স্বল্প আয়ের মধ্যে আমার চাহিদা মেটাতে গিয়ে প্রায়ই বাবা হাঁপিয়ে ওঠে।
পড়ুনঃ-
বিচ্ছেদের গল্প- বনানী
একটি অন্যরকম প্রেমের গল্প- সন্দেহ
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শান্তনুকে টেক্সট করলাম-
– সকাল ১১ টায় প্রথমে পার্কে চলে আসবে।
সকালে বাবা অফিসে যাওয়ার আগে আমার হাতে ৩০০০ টাকা দিয়ে গেলো। ঠিক সকাল ১১ টায় সবুজ কালারের একটা শাড়ি পরে হালকা সেজে পার্কে পৌঁছে গেলাম। শান্তনু আমার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল। আমি শান্তনুর সামনে যেতেই শান্তনু তার ভ্রু কুঁচকে বললো-
-” আর কোনো কালার পেলে না? তুমি কি জানো না যে, সবুজ রং আমি একদম সহ্য করতে পারি না।”
আমি শুধু একটু মুচকি হাসলাম। কিছুক্ষণ পরেই শান্তনু আবার বললো-
-” ঠিক আছে। চলো এখন। আর টাকাটা এনেছো?”
আমি আচমকা শান্তনুর গালে কষে একটা চড় বসিয়ে দিলাম। শান্তনু হতভম্ব হয়ে গেল। গালে হাত দিয়ে এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। আমি স্বাভাবিক ভঙ্গি তে বললাম-
– “শয়তান একটা! আজ পর্যন্ত আমার কাছ থেকে যত টাকা হাতিয়েছিস, এক্ষুণি সব ফেরত দিবি। নয়তো প্যান্ট শার্ট খুলিয়ে তোকে রাস্তায় নামিয়ে দেবো। আমার কাছে তোর সব অশ্রাব্য গালিগালাজ আর কুপ্রস্তাবের রেকর্ডিং আছে। এগুলো নিয়ে পুলিশের কাছে গেলে তোর কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছিস?”
-” শ্রেয়া, তুমি কি বলছো এসব? তুমি একটু শান্ত হও প্লিজ।”
-” একদম আমার গায়ে হাত দিবি না। আমি কিন্তু লোক জড়ো করবো। আমার টাকাগুলো এক্ষুণি ফেরত দে।”
অবশেষে শান্তনু তার ক্রেডিট কার্ড আমার কাছে জমা দিয়ে মান-ইজ্জত নিয়ে সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হলো।
তার পর আমি সোজা বাবার অফিসে চলে গেলাম। সবুজ রঙ বাবার খুব পছন্দের রং। বাবা আমাকে দেখে খুব অবাক হলো, একইসঙ্গে খুশিও হলো। সেখান থেকে ছুটি নিইয়ে বাবা কে বগলদাবা করে প্রথমে হসপিটালে গেলাম। কিন্তু ডাক্তার আজকে আসেন নি বলে বাবার চেকআপ করাতে পারলাম না।
হসপিটাল থেকে বের হয়ে চলে গেলাম শপিংমলে। বাবাকে দুটো নতুন শার্ট আর একটা প্যান্ট কিনে দিলাম। তিনটে পুরানো শার্ট আর দুটো প্যান্ট দিয়ে বাবা চারটে বছর চালিয়ে নিয়েছে। শার্ট প্যান্ট কেনার সময় বাবা বারবার আমাকে বলছিলো-
-” আমার তো এসব আছে। শুধু শুধু টাকা নষ্ট করছিস। এই টাকা দিয়ে বরং তোর জন্যে কিছু কিনে নে। গতবছর পুজোর পর থেকে এখনও পর্যন্ত তোকে কোনো ড্রেস কিনে দিতে পারিনি। প্রতিদিন ভার্সিটিতে যাস, নতুন ড্রেস লাগে তো।”
পড়ুনঃ-
হঠাৎ দেখা- দুটি ছোট প্রেমের গল্প
মাকে নিয়ে লেখা দুটি অসাধারণ গল্প
প্রতি-উত্তরে আমি বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম-
-” তুমিও তো প্রতিদিন অফিসে যাও, তোমার বুঝি লাগে না?”
মৃদু হেসে বাবা উত্তর দিলো-
-” বাবাদের এতো কিছু লাগে না রে মা। …।বুঝলি?”
এরপর আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাই নি।
বাবাকে একজোড়া জুতোও কিনে দিলাম কম দামের মধ্যে। এখন যে জুতোটা পরে আছে, এটার জায়গায় জায়গায় সেলাইয়ের দাগ আছে। কমপক্ষে পাঁচবার এটাকে জুতো সেলাই দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়ে গেছে।
আমার কাছে কিছু জমানো টাকা ছিল। শান্তনুর জন্মদিনে উপহার দেবো বলে জমিয়েছিলাম। এই টাকা দিয়ে বাবাকে রেস্টুরেন্টে চাইনিজ খাওয়ালাম। রেস্টুরেন্টে বসে বাবা আমাকে খাইয়ে দিলো। বাচ্চাদের মতো বাবা আনন্দে ছটফট করছিলো। বাবাকে এতো খুশি হতে এর আগে কখনো দেখি নি আমি।
বাবা হয়তো কোনো দিন ভাবতে পারেনি যে, আমি আমার গোটা একটা দিন বাবাকে কখনো দিতে পারবো। হয়তো আমার কাছ থেকে এতটুকুও আশা করেনি। অথচ সেই মানুষটা কিন্তু তার পুরো টা জীবন আমার নামে উৎসর্গ করে দিয়েছে।
ডিনার সেরে রিক্সা করে বাড়িতে ফেরার সময় বাপ-মেয়ে মিলে আইসক্রিম খেলাম। আজকের দিনটা ছিল আমার ” বাবা-বিলাসের ” দিন।
পরে নিজেকে বাবার বুকের মাঝে, বাবার হৃদয়ে আবিষ্কার করতে গিয়ে ভাবি, ভালবাসা ভালবাসা করে আমরা প্রতিনিয়ত কতোই না ভুল দরজায় কড়া নেড়ে যাই। ভালবাসার ঘাটতি মেটাতে গিয়ে মরীচিকার পেছনে ছুটে মরি। সঠিক সময়ের আগেই মিথ্যে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। কিন্তু বাবা-মা’র ভালবাসা টা সত্যিকারের অর্থে উপলব্ধি করতে পারলে আমাদের ভালবাসার এতো হাহাকার থাকতো না।
প্রকৃত ভালোবাসার স্বাদ যে লুকিয়ে থাকে মায়ের আঁচলের তলায় আর বাবার স্নেহমাখা শাসনে। আমরা কেন বাবা-মায়ের ত্যাগের কথা ভুলে যাই? আমাদের বিলাসবহুল জীবন দিতে গিয়ে তারা নিজেদের অনেক প্রয়োজন নির্দ্বিধায় এড়িয়ে যান। এতে তাদের এতটুকুও আক্ষেপ বা আফসোস থাকে না। অথচ আমরা তাদের পর্যাপ্ত সময়টুকু দিতেও কতো কুণ্ঠাবোধ করি!
সেদিনের পর থেকে আর কোনো শান্তনুকে আমি আমার জীবনে জায়গা দিই নি। যদি আবারও বাবার পছন্দের মৌরলা মাছের ঝোলে ঝাল বেশি দিয়ে বাবার তৃপ্তির ব্যাঘাত ঘটিয়ে ফেলি!
এরপর আর কি, আমি আর বাবা। আমি বাবার রাজকন্যা আর বাবা আমার রাজা। বাবা ব্যতীত অন্য পুরুষ তো আমাকে রাণী বলেছিল কিন্তু রাণী তো ছিলাম না বরং একটা পণ্যবস্তু ছিলাম তার কাছে । আমি রাণী বা রাজকন্যা যাই হই সেটা একমাত্র আমার বাবার রাজ্যেই!
গল্পের ভাবনায়-
গল্পটির স্বত্ব ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটিকে ভিডিও আকারে বা অন্য কোনো প্রকারে ইউটিউব বা অন্য কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশিত করলে ছাড়পত্র উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে পিছু পা হবে না। কারণ কপিরাইট স্ট্রাইক কপিরাইট স্ট্রাইক খেলার মজাই আলাদা!
গল্প পাঠাতে পারেন WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে। অথব সরাসরি ইমেলের মাধ্যমে- charpatrablog@gmail.com -এই মেইল অ্যাড্রেসে।
সুস্মিতার কিছু উল্লেখযোগ্য লেখা-
জীবন বদলে দেওয়ার মত একটি গল্প- মানবিকতা
বাস্তব জীবনের গল্প- আত্মহত্যা
রহস্যময় গল্প- যূথিকা tailors
ছাড়পত্রের সমস্ত আপডেটের জন্য-
ফেসবুক Group - গল্প Junction
ফেসবুক- ছাড়পত্র
টেলিগ্রাম- charpatraOfficial
WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)
bengali story বাবার ভালোবাসার গল্প। প্রেম নাকি পরিবার? love of father and daughter. love vs family.
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।