অনেক অতুলনীয় লেখাতেই সমৃদ্ধ হয়েছে ছাড়পত্র। কিন্তু এমনও কিছু লেখক/ লেখিকা রয়েছেন, যাদের লেখাগুলি ছাড়পত্রের কাছে বিশেষ প্রাপ্তি। তাদের পাঠানো লেখা গুলি শুধুমাত্র পাঠকদের নয়, মুগ্ধ করেছে ছাড়পত্রের টিম কেও। ছাড়পত্রের অ্যাডমিন এবং টিমের বাকি সদস্যরা তাদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।
ছাড়পত্রের কয়েকজন সেরা লেখক/ লেখিকাঃ-
যে সমস্ত সম্মানীয় লেখক/ লেখিকা দের লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়েছে ছাড়পত্র তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-
আলোরানি মিশ্র (A.R.M) {53}*

“আমি আলোরানি মিশ্র। বাঁকুড়া জেলায় আমার আদি বাড়ি। বর্তমানে ইতিহাস অনার্সে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। নিঃস্বার্থ জীবজন্তু দের প্রতি ভালোবাসাটা অন্যতম কর্তব্য মনে করি।ছোট থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর , শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রমুখ লেখক দের গল্প পড়তে পড়তে এককথায় গল্পপ্রেমী মানুষে পরিণত হই । মায়ের প্রেরণায় কিছুমাস আগে হঠাৎ করেই লেখার আগ্রহ জন্মে, আর সেই আগ্রহ কে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোর জন্য ছাড়পত্রের অবদানকে প্রথমেই তুলে ধরতে হয়। আমাকে এইরকম সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ছাড়পত্রের টিম কে।”
“অবসর সময়ে গল্প পড়া , গল্প লেখা , দাবা খেলা , বিভিন্ন ধরনের সিনেমা , ওয়েব সিরিজ , কার্টুন দেখা হল অন্যরকমের শখ।”
সুস্মিতা গোস্বামী (43)*




“আমি বর্তমানে একজন স্কুল পড়ুয়া ও 2023 এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী , উত্তর 24 পরগণায় থাকি। লেখালেখির প্রতি প্রথম থেকেই যেমন আমার শখ, তেমন অনেকের আপত্তিও ছিল প্রচুর। এই সতেরো বছরের মধ্যে যবে থেকে বুঝতে শিখেছি সেখান থেকে আজ অবধি অনেক খারাপ ঘটনার ও তার থেকে শিক্ষা পাওয়া, এছাড়াও বর্তমান সময়ে আমার নিজের বিচার বুদ্ধিতে ইতিবাচক মনে হওয়ার দিকগুলো তুলে ধরার সাক্ষীই মূলত আমার লেখার মূল বিষয়। বাবা আজ নেই তবে বাবা আমার পাশে সবসময় ছিল আজ মা ও ভাইও সবসময় পাশে ছিল, আছে, থাকবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার লেখার সাথে অনেক অনেক মানুষ তার নিজের জীবন খুঁজে পায় ও পাবে, নিজের না বলা কথা, অনুভূতিও খুঁজে পাবে।”
“জীবনে শিক্ষিকা হওয়ার ইচ্ছা আছে। পড়াশোনা ও অনেক কিছু জানার ও খুব ভালো চর্চা আর ভালো আলোচনার মধ্যে থাকতে চাই। এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে তবে স্বার্থপরের মতো নিজের জন্য নয়, সবার জন্যই করা বাকি আছে।”
মানব মণ্ডল(39)*




ব্যস্ত শহর কলকাতার দক্ষিণে বেড়ে ওঠা, মানব মণ্ডলের সাহিত্যের জগতে ‘আগমনী’ হয় ‘স্বপ্ন অনুঘটক’ নামক একটি পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে। কর্মসূত্রে আবুধাবিতে অবস্থান করলেও মন পড়ে রয়েছে ‘গাছের শীতলতায় সেই শান্তির কুঠিরেই’। হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও কলমে নিজের ভাবনা গল্পের আকারে প্রকাশ করতে বিন্দু মাত্র পিছু পা হন না তিনি।
ইচ্ছে, জীবনের একটা অংশ সাহিত্য চর্চার মধ্যে মননিবেশ করেই কাটাবেন।
অনন্যা সরকার (38)*




হঠাৎ পরিচয় হওয়া মানুষেরা জীবনে যেমন একসময় একটি বিশেষ স্থান দখল করে নেয়, ঠিক তেমনই হয়েছিল আমার সাথে। অ্যাডমিনের সাথে পরিচয় হয়েছিল হঠাৎ করেই। জলপাইগুড়ি জেলাতেই জীবনের বেশির ভাগ বসন্ত কেটেছে। আর বাকি বসন্ত গুলো কেটেছে, কলকাতায়। লেখা-লেখি, কবিতা পাঠের প্রতি একটা আলাদাই ঝোঁক রয়েছে।
জীবনে নিজের ইচ্ছে গুলো ছাড়াও আরেকটি বিশেষ ইচ্ছে হল কম্পিউটার শিক্ষাকে প্রত্যন্ত গ্রামের সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া।
সুলেখা পাল (৩৬)*




ছোট্ট শহর জলপাইগুড়ি, সেই শহরেই বেড়ে ওঠা। গল্প লেখার প্রতি তেমন আগ্রহ না থাকলেও গল্প পড়ার প্রতি একটা আলাদা রকমের আগ্রহ ছিল, আর ছাড়পত্রতে গল্প পড়তে পড়তে লেখার প্রতি আগ্রহ জন্মায়। আর এই আগ্রহ জাগানোর পিছনে মূল কারিগর হল আমার প্রিয় কাছের বন্ধু ছাড়পত্র সাইট এর অ্যাডমিন। লেখালেখির দুনিয়ায় পদার্পণ তার হাত ধরেই।
লেখালেখি ছাড়াও গৃহহীন দের আশ্রয় দেওয়া জীবনের লক্ষ্য গুলির মধ্যে প্রধান।
অরুন্ধতী সরকার(31)*




“জলপাইগুড়িতেই জন্ম, সেখানেই বেড়ে ওঠা। গ্রাজুয়েশন শেষে বর্তমানে উচ্চতর শিক্ষার কাণ্ডারি আমি। ঘুরতে যাওয়ার শখ প্রচুর। ভুত-প্রেতের প্রতি আগ্রহটা একটু বেশিই। লেখালেখির দুনিয়ায় এসেছি অনেক আগেই, কিন্তু নিজের মনের মত হয়ে উঠেনি কোনো ব্লগ সাইটই। ঠোকর খেতে খেতে পরিচয় হয় ছাড়পত্রের অ্যাডমিনের সাথে। তারপর থেকেই আমি ছাড়পত্রের সঙ্গে যুক্ত। জীবনে যতই জোয়ারই আসুক, ছাড়পত্রকে আমি ছাড়ছি না।”
“পিছিয়ে পরা মানুষদের দেখে, নিজের অজান্তেই মনটা ভ্যাঁপসা হয়ে যায়। তাই তাদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে প্রবল।”
কৌশিক সাহা(24)*




মানুষ মানুষের জন্য, এই মতবাদে বিশ্বাসী আমি। আর এই মতবাদে বিশ্বাসী হওয়াতে মানুষের কাছে কম অবহেলিত হতে হয়নি! জন্মেছি জলপাইগুড়ি শহরে। আর বেড়েও উথছি সেখানেই। কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকলেও মন পরে রয়েছে সেই নিজ শহরেই। ছাড়পত্রের সাথে পরিচয়টা হয়েছিল ফেসবুকের মাধ্যমে। খুব ভালো লাগে, যখন ডায়েরীর পাতায় জমে জমে ধুঁকতে থাকা এখা গুলি ছাড়পত্রতে জ্বলজ্বল করে।
ভ্রমণ পিপাসু, তবে বাইরে নয়, নিজের মনের মধ্যেই বিচরণ করতে ভালোবাসি। কেননা এতে করে নিজেকে নবরূপে আবিস্কার করা যায়।
সৌগত প্রামানিক (15)*




আমি সৌগত প্রামানিক। নিজের বয়সের রজত জয়ন্তী পালন করে ফেললাম 2023 এ। দক্ষিন 24 পরগনার এক ছোট্ট শহরে থাকি। ছোটো বেলা থেকে গল্প, উপন্যাসে, বিশেষ করে কবিতার প্রতি আকর্ষণ আমার লেখার আগ্রহকে বাড়ায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায় আমার পছন্দের সারির শীর্ষে। ভালোবাসা ও জীবন চেতনাভিত্তিক গল্প বা কবিতা লেখার চেষ্টা করি মাত্র। আমি মানববাবুর হাত ধরেই এই "ছাড়পত্র" পরিবারের সদস্য হই। জীবনের অনেক ব্যর্থতার ভিড়েও নিজ সত্ত্বার ব্রতী আমি।
ফুটবল দেখতে ও খেলতে প্রচন্ড ভালোবাসি। এছাড়া ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট ও সাঁতার কাটতেও খুব ভালো লাগে। জীবনে অনাথ শিশুদের ও পথ কুকুরের জন্য কিছু করার প্রবল ইচ্ছে আছে, তা করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।
💎 *লেখকের/ লেখিকার যতগুলি পোস্ট রয়েছে ছাড়পত্র তে। নোট- এগুলি মোট লেখার সংখ্যা নয়।