অনেক অতুলনীয় লেখাতেই সমৃদ্ধ হয়েছে ছাড়পত্র। কিন্তু এমনও কিছু লেখক/ লেখিকা রয়েছেন, যাদের লেখাগুলি ছাড়পত্রের কাছে বিশেষ প্রাপ্তি। তাদের পাঠানো লেখা গুলি শুধুমাত্র পাঠকদের নয়, মুগ্ধ করেছে ছাড়পত্রের টিম কেও। ছাড়পত্রের অ্যাডমিন এবং টিমের বাকি সদস্যরা তাদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।
ছাড়পত্রের কয়েকজন সেরা লেখক/ লেখিকাঃ-
যে সমস্ত সম্মানীয় লেখক/ লেখিকা দের লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়েছে ছাড়পত্র তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-
ব্ল্যাক শ্যাডো–

“পাহাড় ঘেঁষা জলপাইগুড়ি জেলায় আমার বেড়ে উঠা। ছোটবেলা থেকেই মায়ের মুখে রূপকথার গল্প শুনতে শুনতেই বাস্তবতার আঙ্গিনায় পা রাখা। মায়ের উৎসাহেই লেখালেখিতে মননিবেশ। ডায়রিতে লিখে রাখা গল্প গুলি যেন ‘ জিয়ন কাঠি’ -র ছোঁয়া পেল ছাড়পত্রের হাত ধরেই। ছাড়পত্রের সঙ্গে পরিচিত হবার আগে, আরও অনেক জায়গায় লিখেছি, কিন্তু ‘নতুন দের আর কদর কোথায়’ বলুন! কেউই পাত্তা দেয়নি। ছাড়পত্রের অ্যাডমিন সহ বাকিরা খুবই বন্ধুবৎসল। যতবারই অ্যাডমিনের সাথে কথা বলেছি ততবারই অনেক সন্তুষ্ট হয়েছি।”
“কলেজ জীবনের গণ্ডী পেড়িয়ে বর্তমানে আমি উচ্চ শিক্ষায় পাড়ি জমিয়েছি। অনেক চাপেও লেখালেখিকে পাশে রেখেছি, কারণ আমার টাইম পাস বলতে শুধু হাঁতে রয়েছে কলম আর ডায়েরি। ধন্যবাদ ছাড়পত্রকে আমার মনের ভাব প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।”
মানব মণ্ডল–




ব্যস্ত শহর কলকাতার দক্ষিণে বেড়ে ওঠা, মানব মণ্ডলের সাহিত্যের জগতে ‘আগমনী’ হয় ‘স্বপ্ন অনুঘটক’ নামক একটি পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে। কর্মসূত্রে আবুধাবিতে অবস্থান করলেও মন পড়ে রয়েছে ‘গাছের শীতলতায় সেই শান্তির কুঠিরেই’। হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও কলমে নিজের ভাবনা গল্পের আকারে প্রকাশ করতে বিন্দু মাত্র পিছু পা হন না তিনি।
ইচ্ছে, জীবনের একটা অংশ সাহিত্য চর্চার মধ্যে মননিবেশ করেই কাটাবেন।
সুস্মিতা গোস্বামী
“আমি বর্তমানে একজন স্কুল পড়ুয়া ও 2023 এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী , উত্তর 24 পরগণায় থাকি। লেখালেখির প্রতি প্রথম থেকেই যেমন আমার শখ, তেমন অনেকের আপত্তিও ছিল প্রচুর। এই সতেরো বছরের মধ্যে যবে থেকে বুঝতে শিখেছি সেখান থেকে আজ অবধি অনেক খারাপ ঘটনার ও তার থেকে শিক্ষা পাওয়া, এছাড়াও বর্তমান সময়ে আমার নিজের বিচার বুদ্ধিতে ইতিবাচক মনে হওয়ার দিকগুলো তুলে ধরার সাক্ষীই মূলত আমার লেখার মূল বিষয়। বাবা আজ নেই তবে বাবা আমার পাশে সবসময় ছিল আজ মা ও ভাইও সবসময় পাশে ছিল, আছে, থাকবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার লেখার সাথে অনেক অনেক মানুষ তার নিজের জীবন খুঁজে পায় ও পাবে, নিজের না বলা কথা, অনুভূতিও খুঁজে পাবে।”
“জীবনে শিক্ষিকা হওয়ার ইচ্ছা আছে। পড়াশোনা ও অনেক কিছু জানার ও খুব ভালো চর্চা আর ভালো আলোচনার মধ্যে থাকতে চাই। এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে তবে স্বার্থপরের মতো নিজের জন্য নয়, সবার জন্যই করা বাকি আছে।”
আলোরানি মিশ্র (A.R.M)
“আমি আলোরানি মিশ্র। বাঁকুড়া জেলায় আমার আদি বাড়ি। বর্তমানে ইতিহাস অনার্সে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। কোটি কোটি মানুষের ভিড়ে না হারিয়ে একা পথ চলাতে বিশ্বাসী। নিঃস্বার্থ জীবজন্তু দের প্রতি ভালোবাসাটা অন্যতম কর্তব্য মনে করি।ছোট থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর , শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রমুখ লেখক দের গল্প পড়তে পড়তে এককথায় গল্পপ্রেমী মানুষে পরিণত হই । মায়ের প্রেরণায় কিছুমাস আগে হঠাৎ করেই লেখার আগ্রহ জন্মে, আর সেই আগ্রহ কে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোর জন্য ছাড়পত্রের অবদানকে প্রথমেই তুলে ধরতে হয়। আমকে এইরকম সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ছাড়পত্রের টিম কে।”
“অবসর সময়ে গল্প পড়া , গল্প লেখা , দাবা খেলা , বিভিন্ন ধরনের সিনেমা , ওয়েব সিরিজ , কার্টুন দেখা হলো অন্যরকমের শখ।”
অরুন্ধতী সরকার
“জলপাইগুড়িতেই জন্ম, সেখানেই বেড়ে ওঠা। গ্রাজুয়েশন শেষে বর্তমানে উচ্চতর শিক্ষার কাণ্ডারি আমি। ঘুরতে যাওয়ার শখ প্রচুর। ভুত-প্রেতের প্রতি আগ্রহটা একটু বেশিই। লেখালেখির দুনিয়ায় এসেছি অনেক আগেই, কিন্তু নিজের মনের মত হয়ে উঠেনি কোনো ব্লগ সাইটই। ঠোকর খেতে খেতে পরিচয় হয় ছাড়পত্রের অ্যাডমিনের সাথে। তারপর থেকেই আমি ছাড়পত্রের সঙ্গে যুক্ত। জীবনে যতই জোয়ারই আসুক, ছাড়পত্রকে আমি ছাড়ছি না।”
“পিছিয়ে পরা মানুষদের দেখে, নিজের অজান্তেই মনটা ভ্যাঁপসা হয়ে যায়। তাই তাদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে প্রবল।”