আজ মেয়েদের জীবন কাহিনী থাকছে। সুন্দর এই গল্পটি মেয়েদের নিয়ে আপনার মানসিকতা পরিবর্তনে অনেকটাই প্রভাব ফেলবে এটাই আশা রাখি।
মেয়েদের জীবন কাহিনীঃ- “মেয়েমানুষ নয় মানুষ”
প্রচন্ড ভীড় বাস। নীলা এই কিছুক্ষণ আগে একটা সিট পেয়েছে বসার।
হঠাৎ চোখ পড়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় অসুস্থ একটি ছেলের দিকে।
ছেলেটি তার বয়সেরই। চোখমুখ দেখে মনে হচ্ছে অসুস্থ অবস্থাতেই অফিস গেছিল আর এখন অফিস ফেরত যাত্রী তার মতোই।
নীলা কালবিলম্ব না করে উঠে পড়ে বলে “আপনি এখানে বসুন দাদা।”
ছেলেটি ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলে, “না না তা কি করে হয়, আপনি বসুন। আর তাছাড়া আপনি একজন মহিলা, আপনাকে উঠিয়ে আমি বসতে পারি না, সেটা খারাপ দেখায়।”
নীলা হেসে বলে, “আগে আপনি এখানে বসুন তারপর আপনার সব কথা শুনছি। বসুন বসুন।”
ছেলেটিকে জোর করে বসিয়ে দেয় নীলা নিজের লেডিস সীট টাতে।
এই দেখে অনেকেই মুচকি মেরে হাসতে থাকে আর অনেকেই ফিসফিস করে বলতে থাকে “মেয়েমানুষ এর সীট এ কিনা ব্যাটা ছেলে বসেছে, সত্যিই হাসি পায় এসব রঙ্গ তামাশা দেখলে।” ছেলেটির খুব অস্বস্তি হতে থাকে এতে। কিন্তু নীলার মুখ খুবই শান্ত ও স্বাভাবিক।
ছেলেটা বলে , “বলছি শুনুন না, লেডিস সীট এ বসেছি তার উপর একজন লেডি কে উঠিয়ে। প্লিজ আপনি বসুন।”
“আপনাকে বসতে বলেছি আপনি চুপ করে বসবেন ব্যস্।”
আর বাকিদের ফিসফিস কথা ও হাসিমজার উত্তরে বলে “আমি নিজেকে মেয়েমানুষ নয়, মানুষ বলে মনে করি। হুম শুধু মানুষ। কোনো ডিভিশন ছাড়াই পরিচয়। মানুষ। আর যাদের কাছে মানবতা মানে রঙ্গ তামাশা , তাদের মনের সেই ধারণা আমি কেন স্বয়ং ঈশ্বরও বদলাতে পারবেন না। তাই আপনি নির্বিঘ্নে বসুন। আপনার শরীর অসুস্থ বোঝাই যাচ্ছে।”
“কিন্তু আপনি এতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে যাবেন, আপনার অসুবিধা হবে না?” ছেলেটি জানতে চায়।
নীলা বলে, “যদি আপনার জায়গায় আমি হতাম আর আমার জায়গায় আপনি তাহলে আমি যদি এই প্রশ্ন টা আপনাকে করতাম, আপনি বলতেন, ‘আমরা পুরুষ, আমরা পারি, আমাদের সব অভ্যাস আছে। আপনি মহিলা আপনিই বসুন।'”
“কিন্তু সেটা না হয়ে যেহেতু একজন মহিলা একজন পুরুষ কে নিজের বসার জায়গা দিচ্ছে তখন সেটা দৃষ্টিকটু, তখন সেটা অশোভনীয়! কেন? এই আমরাই তো আবার লিঙ্গসমতা নিয়ে আন্দোলন করি, হাতে Unisex এর পোস্টার নিয়ে দাবি জানাই। তাহলে? তাহলে যখন সেটা কাজে করা হচ্ছে তখন কেন বাধা দিচ্ছেন?”
“যাই হোক, আপনি নিশ্চিন্তে বসুন। নিজেকে দুর্বল ভাবলেই দুর্বল – এটাই মনে রাখি সবসময়।”
ছেলেটি বলে, “আপনার চিন্তাধারা সত্যিই অসাধারণ। আপনার মতো চিন্তাচেতনা সব মেয়েদের হোক।”
নীলা এরপর নেমে যায় ওর গন্তব্যে। হাঁটাপথ এবার। হাঁটতে হাঁটতে বাসের ঘটনাটা ভাবে খালি। বাসে কিছু যাত্রীদের এমন অসভ্যতা করার কারণটা কি! একজন মহিলা তার সীট একজন পুরুষ কে দিয়েছে এই জন্য! অথচ একজন পুরুষের সীটে খুব অনায়াসেই একজন মহিলা “মহিলার দোহাই” দিয়ে বসতে পারে।
আচ্ছা মহিলারা যদি নিজেদের এমন দুর্বল পজিশনে না রাখত তাহলে কি সত্যিই পুরুষ মহিলাদের এতোটা দুর্বল ভাবতে পারত?
‘পুরুষ’ শব্দটার সাথে ‘মানুষ’ শব্দটার পার্থক্য নেই বললেই চলে। আর এতেই বোঝা যায় যে ‘পুরুষ’ পুংলিঙ্গ এর চেয়েও মানুষ পরিচয়ে পরিচিত।
কিন্তু একজন মহিলার ক্ষেত্রে ‘মানুষ’ শব্দটা খুব ঠুনকো । মহিলা মানে সে শুধু মহিলাই, মেয়ে মানে সে শুধু মেয়েই। মানুষ আর হয়ে ওঠা হয়না।
কিন্তু নীলা একদম এসব ভাবে না নিজেকে। সে নিজেকে একজন মহিলার চেয়েও মানুষ ভাবে বেশি। হ্যাঁ মেয়েমানুষ নয় শুধু মানুষ। আর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়।
রাত বারোটার সময় দুই চোখের পাতা এক করে নীলা আগে নির্ঘুম রাত জেগে ভাবত তার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া পরিবারের প্রতিটি বক্রোক্তি।
“তুই মেয়ে, অন্য ঘরে চলে যাবি, আমাদের তো তোর ভাই-ই দেখবে!”
“ও ছেলে, ও মাঠে ঘাটে কাজ করেও ঠিক টাকা আনতে পারবে, তুই পারবি তা! পারবি না।”
“তোর উপর ভরসা করে কি হবে, এত বড় করছি তারপর তো সেই পরের ঘরে যাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিস!”
পড়ুনঃ- দেশাত্ম বোধক গল্প
আরো অনেক কিছু বলে।
“মেয়ে হয়ে জন্মেছিস মনে রাখিস!”
কেউ কখনো এটা বলেনি যে মানুষ হয়ে জন্মেছিস, তোকে অনেক কাজ করতে হবে। তোর অনেক দায়িত্ব, কর্তব্য পালন করা বাকি আছে।
নীলা এও ভাবত, 5 জি র মতো স্পিড ওয়ালা নেট ওয়ার্ক এর যুগে মানুষের মনমানসিকতা এত ধীরগতির কেন!
মেয়ে হয়ে জন্মেছি কথাটার মানে কি?
মানুষ হয়ে জন্মেছি কেন নয়?
মধ্যবিত্ত পরিবারের দোহাই দিয়ে তো সমাজ বসে নেই কারণ এই কাসুন্দি তো শুধু মধ্যবিত্ত নয়, উচ্চবিত্ত ঘরেও শোনা যায় যে “মেয়ে হয়ে জন্মেছিস! ”
কেন সবার এমন ধারণা যে মেয়ে মানেই তার উপর সমস্ত আশা ভরসা জলাঞ্জলি দেওয়া?
কেন এমন মনে হওয়া যে, মেয়ে মানেই তাকে যেই বাপের বাড়ি বড় করবে সেই বাপের বাড়ির প্রতিই সমস্ত দায়িত্ব গুটিয়ে নেওয়া?
কেন কোনো বাবা, মা ভাবতে পারে না যে তাদের একটা মাত্র মেয়ে আছে কিন্তু সেই মেয়েই তাদের দুজনের গোটা জীবনের একটা একটা করে প্রতিটা দিন খেয়াল রাখবে, দায়িত্ব নেবে। উপরন্তু তারা একটা মাত্র মেয়ে হয়েছে দেখলে হা হুতাশ করে কারণ ছেলে নেই যে, তাদের কে দেখবে তাহলে!!
সমাজ কি অবজ্ঞার নামে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে মেয়েদের দিকে?
হ্যাঁ নিশ্চয়ই তাই। কিন্তু কেন? কেন মেয়েরা চ্যালেঞ্জ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে এগিয়ে দেয় না? ঝাঁপিয়ে পড়ে না কোনো কাজে চ্যালেঞ্জ না পাওয়া অবধি?
সমাজ যখন চিৎকার করে বলে, “মেয়েরা কিছু পারে না, মেয়েরা অন্দরমহলের দাসি ” তখন মেয়েরা বেড়াজাল ছেড়ে, শিকল ভেঙে বেরিয়ে আসে। কিন্তু তার আগে কেন নয়? মেয়েরা কেন নিজেদের শুধুমাত্র মেয়ে হিসেবেই ভাবে, কেন ভুলে যায় যে সে সবার আগে একজন মানুষ? মেয়েমানুষ শব্দটা খুব সহজেই নিজের সার্বিক পরিচয়ে বলা যায় কিন্তু ” আমি একজন মানুষ ” এই কথাটা খুব কম মেয়েকেই বলতে দেখা যায়।
নীলা নিজেকে মেয়ে ভাবার আগে একজন মানুষ হিসেবে মনে রাখত সবসময় তাই সে সবার সব ছোট মাপের কথাকে উপেক্ষা করে আজ সফল।
হ্যাঁ তার সফলতা নিয়েও কথা উঠেছিল অনেক। তবুও হাল ছেড়ে দেয়নি সে।
পড়ুনঃ- একটি মেয়ের জীবন সংগ্রামের গল্প
ছেলে মেয়ে এই প্রভেদ ছেড়ে যদি সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখা হয় তাহলেই দুজনেই পারে একা হাতে পরিবার কে সামলাতে। শুধু ছেলেরাই পরিবারের জন্য ভেবে রক্ত ঝরাতে পারে আর মেয়েরা পারে না তা নয়। ছেলেরা যেমন মাঠে রোদে পুড়ে কাজ করতে পারে তেমন মেয়েরাও পারে রোদে ইট মাথায় বয়ে নিয়ে পরিবারের জন্য ভাত জোগাড় করতে। নিজেকে নিজেই অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছে নীলা, আজকেও দিচ্ছে।
পরদিন অফিস যাওয়ার পথে বাস খুব ভীড় ছিল আর তাতে একদল গার্লস কলেজ স্টুডেন্টদের দেখে নিজেদের কলেজ সোশ্যালে সম্ভবত মহিষাসুরমর্দিনী নিয়ে কিছু একটা অনুষ্ঠান করবে বলে মনে হয়। তা তারা এত ভীড় দেখে বাসের পেছন দিকে চলে যায় আর ভীড়ের উদ্দেশ্য বলে, “ওহ! এত ভীড়ে থাকা যায়! আমরা নারীবাহিনী, আমাদের এত ভীড়ে রাখে কি করে! এই দাদারা আপনারা উঠুন তো, ভবিষ্যতের দূর্গাদের এমন অবস্থা দেখে আপনাদের লজ্জা করছে না বসতে?”
নীলা দেখে, ওই মেয়েগুলোর কথার উত্তরে একজন লোক হেসে বলে ওঠে, “সত্যিই, তোমরা আর যাই হোক মা দূর্গার নাম টা তুলো না, মায়ের নাম তুলে আর মাকে অপমান কোরো না। দূর্গা কাকে বলে জানো কি? জানো না। ‘আমি মেয়ে , আমি দূর্গা’ মার্কা ঢাকঢোল পেটানোয় কোনো বীরত্ব নেই বুঝলে, জাস্ট কোনো বীরত্ব নেই। তোমরা ছোট তাই কয়েকটা উদাহরণ দিই জেনে রাখা ভালো তোমাদেরই। মহিলাদের মধ্যে কেউ চাকরি করে সংসার সামলান আর হিমা দাস এর নাম শুনেছ? তিনি পান্তাভাত খেয়ে গোল্ড মেডেল আনছেন।”
“কেউ মা হতে প্রচুর দুঃখভোগ করেছেন, মেরি কম ওসব দুঃখভোগ করার পরেও এখনো ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন। কেউ রাতে দেরি করে বাড়ি ফিরে সাহসের পরিচয় দেন, পূর্ণা মালাভাত চোদ্দ বছর বয়সে মাউন্ট এভারেস্টে পৌঁছে গেছে । তো এই মেয়ে মেয়ে ভিক্টিম প্লেগুলো করার মানে কি? দূর্গা মহিষাসুর বধ করে দূর্গা হয়েছিল, কাশবনে লালপাড় শাড়ি পরে হয়নি। নিজেকে দূর্বল বানিয়ে এমপাওয়ার করার নাটকটা খুব হাস্যকর লাগে । তার চেয়ে নিজেকে ও বাকি মানুষকে একটু মানুষ ভাবতে শেখা শুরু করো।”
নীলার মন ছুঁয়ে যায় ঐ লোকটির কথায়। আর মেয়েগুলো নিজেদের অসভ্যতা থেকে সরিয়ে নেয় নিজেকে।
বাস থেকে নেমে সোজা অফিসে ঢোকে নীলা। আর সবচেয়ে সেরা আর্কিটেক্ট প্রজেক্টের অ্যাডভাইস দিয়ে চমকে দেয় সবাইকে।
“আরে নীলা! এতবড় একটা প্রজেক্ট প্ল্যান কি করে তোমার মাথায় আসল?” বলে ওঠে বস্।
“চাইলেই আনা যায় স্যার। আমরাও পারি শাণিত বুদ্ধির দৌড় দেখাতে!” হেসে বলে নীলা।
নীলার এক কলিগ একটু হিংসের সূরে বলে, “অবশ্য মেয়েদের চাকরি বা অন্যান্য অধিকার নিয়ে দাবি জানাতে তো কম আন্দোলন হয়নি। তাই মেয়েদের মধ্যে ছাই চাপা আগুনের সংখ্যা ছেলেদের তুলনায় বেশি। নাহলে তো মেয়েদের কাজ রান্নাঘরে আর বাচ্চা সামলানোয় এই আর্কিটেক্ট প্রজেক্টের অ্যাডভাইস দেওয়ায় নয়।”
এইটা শুনে বাকি মহিলা কলিগরা ঈষৎ অপমানিত বোধ করে।
পড়ুনঃ- জীবনের চরম বাস্তবতার গল্প
তাই দেখে নীলা হেসে বলে ,” ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’ এটা নিশ্চয়ই শুনেছেন। আর আপনি যেটা বললেন তাতে দোষটা আসলে মেয়েদেরই। তারা নিজেদের সবসময় খালি আতুআতু ছোলাছাতু ভাবে। কি হবে বলুন এই ভাবনা রাখলে! একটুতেই ভেঙে পড়ে, একটুতেই ব্যথা পায়, একটুতেই কেঁদে ফেলে। আসলে নরম মনের সংজ্ঞা টা এত নরম করে দিয়েছি আমরা যে সেই সংজ্ঞা টা রীতিমত দূর্বল এর সংজ্ঞায় পৌঁছেছে।”
“আর আপনারাও খপ্ করে ধরে ফেললেন সেই সুযোগ। দোষটা আপনাদের নয়, আমাদের ই। আপনারা যেখানে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বুক চিতিয়ে কাজ করছেন, এগিয়ে যাচ্ছেন আমরা সেখানে “মেয়েমানুষ” এই গন্ডীতে নিজেদের আটকে আপনাদের ঐ চিতিয়ে রাখা বুকে মাথা রেখে পৃথিবীর নিরাপত্তা খুঁজছি। মেয়েরা যেদিন সঠিকভাবে সঠিক বিবেচনাবোধ আনতে শিখবে, মানুষের সঠিক সংজ্ঞা বুঝে যখন নিজেদের তৈরি করবে তখন দেখবেন দেশের উন্নয়নের জোয়ার কত!”
“তখন দেখবেন সংসার করার জন্য মেয়েদের চাকরি ছাড়তে হচ্ছে না, বাচ্চা সামলাতে চাকরি ছেড়ে চলে আসতে হচ্ছে না। mকিন্তু আজকালকার মেয়েদের গুণাবলী সম্পর্কে নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না। হাঁটুর বয়সী মেয়েও আপনাকে ভালো করে বুঝিয়ে দেবে ওর ক্ষমতা কত!”ম
সবাই হো হো করে হেসে ওঠে নীলার বলার ধরণ দেখে। আর ঐ কলিগ বড়ো অপমানিত হয়।
নীলা আরো বলে, “এই যে ধরুন যারা বলে, ‘একটা ছেলে চাইলে বছরের পর বছর বিয়ে না করে শেষ বয়স অবধি একা কাটিয়ে দিতে পারে অথচ একটা মেয়ে একটু বড় হলেই পাড়া প্রতিবেশীসহ সমাজের ঘুম হয় না।’ এই চিন্তায় যে মেয়েটা আইবুড়ো হয়ে গেছে এখনও কেনো বিয়ে দিচ্ছে না।”
খেলার মাঠের মেয়েটিকে ধরে রান্নাঘরে আটকে দেওয়ায় কোনো সমস্যা নেই! সমস্যা হলো মেয়েটি পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা।
এই সমাজে মেয়েদের কোনো স্বাধীনতা নেই, নেই নিজেকে আত্মপ্রকাশের সুযোগ। শুধু মুখেই বলি আছে নারী পুরুষ সমান অধিকার কিছু লেজেন্ডরা বলবে এখানেও কোনো মতলব আছে, এই সমস্ত অসুস্থ চিন্তাভাবনা না করে, মন-মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার।” আমার এইসব অভিযোগ গুলো খুব illogical লাগে। কেন অন্যের চাওয়া কে এত গুরুত্ব দেবো! আসলে একটাই কথা, নিজেকে দূর্বল ভাবলে আমাকে আরো দূর্বল করতে বেশি সময় লাগবে না বাইরের লোকের।
মেয়ে নিয়ে আমরা বড্ড বেশি ন্যাকামো তে ডুবে আছি, বড্ড বেশি প্যানিক। আমরাই বাড়িয়েছি আমাদের দূর্বলতা, আমরা আমাদের কাছে থাকা ক্ষমতা গুলো কে ঢেকে সবসময় নির্ভরশীল হয়ে বাঁচতে চেয়েছি, তাই আজ যখন সত্যি সত্যি অনেক সাধারণ ঘরের মেধাবী মেয়েদের এই উপলব্ধি জন্ম নিয়েছে যে তারাও পারে তখন সমাজ উঠেপড়ে লাগছে, পরিবার ধরে বেঁধে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, মাঠে মরছে বহু মেয়ের বড় হওয়ার স্বপ্ন।
যেহেতু মেয়েরাই নিজেদের দূর্বল হিসেবে প্রতিস্থাপিত করে এমপাওয়ারমেন্ট এর লড়াই করে লোক হাসানোর কাজ করেছে, সেহেতু মেয়েদেরকেই দিতে হবে নিজেদের ভুলের জবাব। স্বচ্ছ চিন্তাধারা করা দরকার। ইতিবাচক চিন্তাধারা দরকার। আমরা সবাই মানুষ তারপর নারী অথবা পুরুষ। মানুষ হয়েছি মানুষের মতো বাঁচার জন্য।
আর আমার মনে হয় একজন সুবিবেচক, বুদ্ধিমতী মেয়ে অবশ্যই নিজেদের সবল করার অর্থটা সঠিক অর্থে বুঝবে।
গল্পের ভাবনায়-
গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে।
সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও বা অডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।
পড়ুনঃ- বন্ধুত্ব নিয়ে গল্প- বেস্টফ্রেন্ড ফিরে পাওয়া ভালোবাসার গল্প- মনের মানুষ ছেড়ে চলে যাওয়ার গল্প
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে-
ফেসবুক Group - গল্প Junction
ফেসবুক- ছাড়পত্র
টেলিগ্রাম- charpatraOfficial
WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)
মেয়েদের জীবন কাহিনী। সুন্দর একটি গল্প। bengali awesome story on girl’s life
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।