best bangla love story. জুনিয়রের সাথে প্রেম, তারপর ছন্দ পতনের পর সেই প্রেমের পরিপূর্ণতা প্রাপ্তি। কিন্তু কিভাবে! জানতে হলে গল্পটার শেষ অব্দি সঙ্গে থাকতে হবে। আজকের এই সফল প্রেমের গল্পটি পাঠকের কাছে খুব পছন্দের হবে, এমনটাই আশা রাখি!

best bangla love story। একটা সফল প্রেমের গল্পঃ-

সেন্ট্রাল মলের সামনে হটাৎ করেই তৃষার সাথে রবির ধাক্কা । দুজনেই নিজেদের সামলে নিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল দুজনের দিকে । মনে মনে তৃষা ভাবতে শুরু করলো –

আজ থেকে ঠিক ৪ বছর আগের কথা- আমি তখন 3 rd year এর history department এর student। কলেজে প্রায় সবাই আমায় চিনত. কারণটা একটু রোখা ব্যাবহার আর সবার সাহায্য করার জন্য। কোনো ছেলেকে নিজের কাছে ঘেঁষতে দিতাম না আমি ।

3 টা বছর যে কলেজে কেটে গেলো , অনেকেই পটানোর চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি তাদের , রিজেকশন টাই সবার ভাগ্যে জুটতো। এর এই মধ্যে কলেজ এ অ্যাডমিশন শুরু হলো 1st year এর। মেয়ের সংখাই বেশি নতুন ব্যাচ এ। হটাৎ করে একদিন ক্লাসের মধ্যে একটা ঝামেলা বেঁধে গেলো, একটি ফ্রেন্ড অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছিলো তাকে নিয়েই যখন আমরা সবাই শশব্যস্ত তখন মনে হলো কেউ যেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে , পেছন ফিরতেই নজর পড়ল একটা blue shirt পরা ছেলের দিকে ।

বুঝলাম না তখন এ কোন ডিপার্টমেন্ট এর। সব ঝামেলা মেটার পর আমদের HOD এলেন, এসে নতুন ব্যাচের সাথে আলাপ করালেন। আর প্রত্যেক সিনিয়র কে একজন করে জুনিয়র এর দায়িত্ব দিলেন। এবার আমার পালা , আমি উঠে দাঁড়াতেই , সেই নীল জামা পরা ছেলেটিকে দেখে তো অবাক আমি , কিন্তু স্যার বললেন তৃষা এর নাম রবি। খুব বুদ্ধিমান ছেলে ওর গ্রেড যাতে আরও ভালো হয় তোমাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আমি অবাক হওয়ার সাথে সাথে স্বস্তিও পেলাম ,তারমানে এই ছেলেটা আমার জুনিয়র। একে নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই ।

best bangla love story
best bangla love story জুনিয়রের সাথে প্রেম

নীল জামা দিয়েই পরিচয় তাই ওকে নীল বলেই ডাকতাম আমি , এতে ওর ও কোনো আপত্তি ছিল না । ক্লাস শেষ হওয়ার পর ঘণ্টার পর ঘন্টা বসে আড্ডা দিতাম আমরা। দিন দিন বন্ধুত্বটা খুব মজবুত হচ্ছিল। একে অপরের পছন্দ অপছন্দ সব কিছু নিজেই যেন phd করে নিয়েছিলাম । নীল এর ফাস্ট সেমেস্টার শেষ আমারও fifth সেমেস্টার। এবার মনে হচ্ছিল আর এই তো কদিন তারপরেই কলেজ ছেড়ে বিদায় নিতে হবে। তবে কলেজের জন্য যে কষ্টটা হচ্ছিল সেটা নয় ,কষ্টটা ছিল নীল কে পাবো না আর সেটা ভেবে।

নীল নিজে থেকেই একদিন বললো তুমি গ্র্যাজুয়েশন এর পর কি করবে? আমি বললাম যা করছি এখন সেটাই কন্টিনিউ করবো। ও জানতো আমি Bpsc এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। তাই ও বললো হুমম ঠিক এই আছে আমিও গ্র্যাজুয়েশন এর পর তাহলে ওটাই করবো। সেদিন আমি আর কিচ্ছু জিজ্ঞাসা করিনি। কারণ আমিও জানতাম ও আমায় নিয়ে ঠিক কতদূর অব্দি স্বপ্ন দেখে ফেলেছে।

আর বেশিদিন নেই সামনেই ফাইনাল এক্সাম এর মধ্যেই সব বান্ধবীরা আমাদের ব্যাপারটা নোটিশ করেছে তাই সবাই বেশ রাগাতেও শুরু করেছিল ,” শেষ মেষ একটা ভাইয়ের বয়স্ক ছেলের সাথে প্রেম করছিস , কেন দেশে কি ছেলের অভাব” আমি ওদের কোনো প্রতি উত্তর করিনি সেদিন। যতটা পেরেছিলাম avoid করেছিলাম সবাই কে, শুধু মাত্র নীল কে ছাড়া। গ্র্যাজুয়েশন তো কমপ্লিট আমিও বেরিয়ে গেলাম কলেজ থেকে। প্রথম এক বছর ফোন এ কথা বলা, মাঝে মধ্যে দেখা করা সবকিছুই ঠিকঠাক ছিলো।

কিন্তু এর পর নীল যখন 3rd year এ উঠল ওর দায়িত্ব পড়লো নেহা নামের একটা জুনিয়র এর। দিনদিন নীল এতটাই ব্যস্ত হয়ে উঠলো কল তোলার মতো সময় ও ওর আর ছিল না । আমিও এক মাস অপেক্ষার পর জবাব না পেয়ে সিম টা চেঞ্জ করে নিলাম আর মন দিয়ে নিজের প্রিপারেশন শুরু করলাম। এক বছর পর আমার এক্সাম ক্লিয়ার হলো এখন আমি এই জায়গাটার BDO আর আজ সেন্ট্রাল মল এসেছি একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এ। আর এই যার সাথে ধাক্কা সে সেই নীল যার সাথে আমার সম্পর্ক বিগত ২ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে ।

জুনিয়রের সাথে প্রেম
জুনিয়রের সাথে প্রেম

এসব ভাবনা গুলো শেষ হওয়া মাত্রই কে যেন তাকে নাড়া দিয়ে বললো এতো তাড়াতাড়ি ভুলে যাবে কখনো ভাবিনি আমি । তৃষা হেসে জবাব দিলো কেন এখন বুঝি নেহা আর তোমায় সময় দেয়না। রবি বললো বাহ্ তৃষা তুমি আজ একথা বলছ। কোন নেহার কথা বলছ তুমি? আমি সেই নেহার কথাই বলছি যার জন্য আমাকে avoid করেছিলে তুমি। রবি বললো শোনো তৃষা আমাকে স্যার নেহার দায়িত্ব দেওয়ার পর ৩ দিনের মধ্যেই আমি স্যারকে জানাই আমি কারুর দায়িত্ব নিতে পারবো না কারণ আমি নিজেই খুব ব্যস্ত , স্যার তাই রাজি ও হয়ে যান।

কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে আমার অ্যাকসিডেন্ট হয়। ২ মাস হাসপাতালের বেড এ পড়ে থাকার পর কোনো রকমে ফাইনাল এক্সাম দি তারপর তোমার অনেক খোঁজ করার চেষ্টা করি কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি। তৃষা কথা গুলো শোনার পর নিজের প্রতি লজ্জায় ঘৃণায় কাঁদতে শুরু করে। রবি বলে তৃষা তুমি আমায় এত সহজে ভুল বুঝে এতদূর চলে এলে। তৃষা- “আমি ভেবেছিলাম তোমার থেকে বয়স এ বড়ো আমি, তাই হয়তো তুমি আমায় নিজের পাশে আর চাওনা লোকলজ্জার ভয়ে আর কোনোদিন তো তুমি আমায় আমাদের সম্পর্কের নিয়ে কিছু বলনি” ।

তখন পেছন থেকে একজন এসে বললো এ কি স্যার ম্যাম আপনারা একে অপরকে চেনেন? তৃষা অবাক সে জিজ্ঞাসা করে স্যার মানে ,তখন ওই ব্যক্তিটি বলেন হুমম স্যার এই তো এক মাস join করেছেন উনি এখানের OC। তৃষা বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে চেয়ে বলে তারমানে তুমি তোমার দেওয়া সব কথাই রেখেছ। রবি উত্তর এ বলে হুমম আজ একটা কাজ বাকি আছে ওটা হলেই complete হবে সব। সবার সামনে তৃষার নীল তৃষাকে propose করে বিয়ের জন্য। ক্ষমাপ্রার্থী তৃষা এত ভুলের পরেও এত সুন্দর একটা প্রপোজাল কে মানা না করে তার নীলকে জীবনসঙ্গী রূপে স্বীকার করে।

একটা সফল প্রেমের গল্প
একটা সফল প্রেমের গল্প
<

এভাবেই ওদের সম্পর্কটা পূর্ণতা পায়। ভালোবাসা বয়েস দেখে যে হয়না তার প্রমাণ তৃষা আর রবি বুঝিয়ে দেয়। নিজের লক্ষ্য পূরণ করার পর কিছু অসম্ভব কেও সম্ভব করা যায়, নিজেদের ইচ্ছেতেই ।

প্রেরক- আলোরানি মিশ্র

this best bangla love story was written by-
আলোরানির লেখা কয়েকটি জনপ্রিয় গল্প- 

একটি সেরা বন্ধুত্বের গল্প- রুনিমা 

অসাধারণ কয়েকটি ছোট গল্প 

একটি সুন্দর ভালোবাসার গল্প- ১ লা আষাঢ় 
অতি সহজেই আমাদের গল্প পাঠান- charpatrablog@gmail.com 
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক Group - গল্প Junction 

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)

“best bangla love story. জুনিয়রের সাথে প্রেম। একটা সফল প্রেমের গল্প”

Spread the love

Leave a Reply