বৃষ্টি ভেজা বিকেল কার না ভালো লাগে বলুন। আর এমন বৃষ্টি মুখর দিনে একটি সুন্দর গভীর ভালোবাসার গল্প নিয়ে আমি আবারও চলে এলাম। জমকালো মেঘ আর ঝমঝমে বৃষ্টি, মৃদুমন্দ বাতাস, সাথে এক কাপ চা আর গরম সিঙ্গাড়া। হ্যাঁ হ্যাঁ আমাদের বাঙালির বর্ষাকাল এর এটাই বিশেষত্ব। গভীর ভালোবাসার গল্প/সুন্দর ভালোবাসার গল্প/ deep love story/bangla valobasar golpo/school life love story bangla

একটি সুন্দর গভীর ভালোবাসার গল্পঃ- “১ লা আষাঢ়”

পড়ন্ত রোদ্দুর এ হঠাৎ করে মেঘের ঘনঘটা, ১ লা আষাঢ় এর দিন ছাত্র ছাত্রীরা সব দল বেঁধে বাড়ি ফিরছে , মেঘের প্রকান্ড গর্জনে হুড়মুড় শব্দে মেয়েরা চিৎকার করে উঠল। হঠাৎ করে প্রবল বেগে ধেয়ে আসা দুরন্ত মেঘের জল সব ছাত্র-ছাত্রী দের মধ্যে ছাউনী খোঁজার আর মাথা ঢাকবার জায়গা করে নেওয়ার প্রতিযোগিতা তৈরি করে দিলো, সত্যি খুব হাসি পাচ্ছিল দেখে ওদের।

আচমকাই চোখে পড়ল একটি ১৭ কিংবা ১৮ বছর বয়সী মেয়ে ওই বৃষ্টি এর মাঝে ব্যাগ টা তার বান্ধবীর দিকে ছুড়ে দিয়ে বৃষ্টিতে সোজা আকাশ এর দিকে চোখ বুজে ভিজছে, তখন আমি নিশ্চিত ছিলাম না তবুও মনে হয়েছিল ওই বৃষ্টির ধারার মাঝে ও নিজের অশ্রু ধারা গুলো লুকিয়ে রাখতে চাইছিল সবার থেকে, তাই হয়তো ও ওই প্রবল বর্ষাতে ইউনিফর্ম পরে ভিজেই যাচ্ছিল।

প্রায় ৫ মিনিট পর একটি ছেলে এসে ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো, ছেলেটিও মেয়েটির সমবয়সী বলেই মনে হল।

মেয়েটি তাকে ছাড়িয়ে দূরে ঠেলে দিলো তারপর ঠাস করে একটা আওয়াজ শোনা গেল। হয়তো তখন বৃষ্টি এর শব্দও সেই শব্দটাকে ঠেকাতে পারেনি।

আমি এতক্ষনে চেয়ার ছেড়ে উঠলাম ,বিষয় টা আসলে কি জানার আগ্রহ হলো আমার। গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম একটি মেয়েকে- “ওখানে ওই যে ছেলেটি আর মেয়েটি রয়েছে ওদের ব্যাপার টা একটু বলবে, রাস্তার মাঝে বৃষ্টিতে ওরা এগুলো কি করছে।“

মেয়েটি ব্যাপারটি বলার পর আমিও অবাক হলাম। রাস্তা তে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটির নাম হল বর্ষা, সে ক্লাসের দ্বিতীয় হওয়ার শিরোপা অর্জন করে আসছে বিগত ৩ বছর ধরে। তবে ওর প্রথম হওয়ার স্বপ্নের মাঝে একটাই বাধা সে হলো ওই ছেলেটি, যাকে সে বৃষ্টির মাঝে চর মারলো, ছেলেটির নাম মেঘ ।

না না আপনারা ভুল বুঝছেন রেজাল্ট এর জন্য নয় আজ মেয়েটির রাগের কারণ আর তার স্বপ্ন দুটি জিনিসই কিন্তু বদলে গেছে ।

সুন্দর ভালোবাসার গল্প
সুন্দর ভালোবাসার গল্প bangla valobasar golpo

ওদের গল্পটা এমন-

মেঘের বাবা ছিলেন শিক্ষক তাই তিনি সবসময় তার ছেলেকে সবার উপরে দেখতে চাইতেন। বাবার এই স্বপ্ন পূরণে মেঘ আসলে বাবার তৈরি একটি রোবট এ পরিণত হয়, তার বাবা যা বলতেন সে তাই চোখ বুজে মেনে চলতো। কিন্তু অন্ধের চাল কতদিন আর স্থায়ী হয়! মেঘের সাথেও হলো তাই, সে ক্লাস ৯ এই মডার্ন কেরি বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।

তারপর শুরু হয় তার জীবনের নতুন অধ্যায়, এসেই নজর কাড়ে তার বর্ষা নামে একটি দুরন্ত মেয়ে, সে ক্লাসে প্রথম হয় কিন্তু দেখে মনে হয় না।  মেয়েটি খুব দুরন্ত, মাঝে মাঝে ক্লাস ফাঁকিও দেয়। আবার নানান বিষয় নিয়ে তর্ক করতেও সে বেশ পটু। তার এমন রোখা ব্যাবহার কে মেয়েরা তো দূরের কথা সিনিয়র দাদারা আর শিক্ষক রাও একটু-আধটু ভয় পায়। বর্ষার বাবা এখানের লোকাল MLA , তাই ওর ব্যবহারটা সবাই একটু মানিয়ে চলতেই চেষ্টা করে ।

মেঘ এসব জিনিস গুলো দেখার পরেও তার মনে বর্ষার জন্য একটা আলাদা জায়গা তৈরি হয়। তাদের মধ্যে কথা হতো খুব কম। কিন্তু মেঘের দৃষ্টি বর্ষাকেই খুঁজে বেড়াত।

এভাবেই চলতে চলতে একটা বছর পেরিয়ে গেলো , ক্লাস ৯ এর রেজাল্ট বেরোলো , এবার প্রথম স্থান অধিকার করেছে মেঘ মৈত্র। দ্বিতীয় হয়েছে বর্ষা রায় । বর্ষা তো রেজাল্ট শোনার পর কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইছে না। আর মনে মনে ভাবে কে এই মেঘ , এই তো সেদিন এলো আর এসেই আমার এতদিনের জায়গাটা এত সহজে ছিনিয়ে নিল আমার থেকে । বর্ষা এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়।

বর্ষা মেঘকে অতিষ্ট করে তোলে , মেঘ যেখানেই বসতে যায় সেখানেই জল ঢেলে দেয় নয়তো ধাক্কা দিয়ে ফেলার চেষ্টা করে , তার টিফিন ফেলে দেয় , তার সাথে কেউ মিশলে তার সাথেও এরম করে তাই বর্ষার ভয়ে প্রথম সবাই কিন্তু মেঘের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করে । মেঘ একেই শান্ত স্বভাবের ছেলে, সে কিছু করে ওঠার মত মানসিকতায় ছিল না তাই সে সব সহ্য করে নেয়।

পড়ুনঃ- শরীর লোভী প্রেম- এক মেয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প 

কিন্তু কিছুদিন পর একটি নতুন মেয়ে ভর্তি হয় যার নাম বৃষ্টি, সে কিছুদিন মেঘের ওপর এরকম ব্যবহার এর কারণ বুঝতে পারে না। কিন্তু একটি মেয়ের কাছে সব জানতে পারার পর সে বন্ধুত্বের হাত মেঘের দিকে বাড়িয়ে দেয় আর অসহায় মেঘ সহজেই সেটা গ্রহণ করে ।

এদিকে বর্ষা তো কিছুতেই সেটা মেনে নিতে পারে না, সে বৃষ্টি এর সাথে কিছু খারাপ করার আগেই তার বাবার কাছে জানতে পারে বৃষ্টি, হলো MP এর মেয়ে। তাই বর্ষা যেন বৃষ্টির খেয়াল রাখে স্কুলে ।

তাই বাধ্য হয়েই বর্ষা, বৃষ্টি আর মেঘকে মেনে নিতে বাধ্য হয় । মেঘ তার ওপর হওয়া এত অপমানের পরেও সে বর্ষাকে নিয়েই ভাবে আর এদিকে বৃষ্টি মেঘকে কাছে পেয়ে তার সম্পত্তি বলে মনে করতে শুরু করে । এভাবেই  প্রতিবার পরীক্ষাতে মেঘের প্রথম হওয়াটা বর্ষা মেনে নিতে বাধ্য হয় । কারণ বিদ্যা আর জ্ঞান তো ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় ।

ক্লাস ১১ এ ওঠার পর ভাগ্যক্রমে  বর্ষা আর মেঘের টিউশন একই জায়গায় নির্ধারণ করেন ওদের বাবারা। প্রতিদিন শীতের সন্ধ্যায় বর্ষাকে পেছন পেছন গিয়ে বাড়ি অব্দি ছেড়ে দিয়ে আসে মেঘ ।

deep love story bangla valobasar golpo
deep love story bangla valobasar golpo

বর্ষার কিছু প্রয়োজন হলে মেঘ ছুটে গিয়ে সেটা তাকে দিয়ে আসে , সে সবসময় বর্ষার খেয়াল রাখার চেষ্টা করে । এসব জিনিস গুলো বৃষ্টি সহ্য করতে পারছিল না তাই সেও কিছুদিন পর একি জায়গায় টিউশনে ভর্তি হয়। তারপর থেকে বর্ষা বার বার পিছু ফিরেও মেঘকে আর দেখতে পায় না ,একা একা বাড়ি ফিরতে তার ভীষণ ভয় করে। সেও মেঘের তার থেকে দূরে সরে যাওয়াটা আর মানিয়ে নিতে পারে না , তখন তার মনেও মেঘকে নিয়ে প্রবল অভিমান এর পাহাড় জমে ওঠে।

তাও মুখ ফুটে বর্ষা মেঘ কে কিছু বলতে পারে না। হঠাৎ একদিন টিউশন যাওয়ার পথে বর্ষা দেখে, বৃষ্টি মেঘের হাত ধরে হাঁটছে আর তারা বেশ হেসে হেসে গল্প করছে , তার অভিমানের বাঁধ তখন অশ্রু ধারা দিয়ে বইতে থাকে। দৌড়ে গিয়ে সে মেঘ কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে আর এক এক করে সব অভিযোগ গুলো বলতে থাকে। বৃষ্টি তখন বর্ষা কে একটা জোরে চর কষিয়ে বলে ওঠে – “অভদ্র মেয়ে তুই ওকে দোষারোপ করিস কোন সাহসে। তুই তো সবসময় ওকে অপছন্দ করতি। বর্ষা বৃষ্টির কথা কানে না নিয়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে তার মেঘ কে ভালো লাগা আর সে থেকেই রূপান্তরিত হওয়া ভালোবাসার কথা বলে ।

কিন্তু মেঘ কোনো প্রত্যুত্তর করে না। বৃষ্টি বারবার জিজ্ঞাসা করেও তার উত্তর না পেয়ে জিজ্ঞাসা করে- “ মেঘ সত্যি তুই কোনোদিন আমায় ভালবাসিস নি বল ,সবটাই ছিল তোর ভালোমানুষি তাই আজ কেউ তোর সামনে আমায় থাপ্পড় মারল আর সেটা তুই মেনে নিলি? ক্ষমা করিস মেঘ আমায় , আমি তোদের মাঝে আসবো না আর কোনোদিন।“

মেঘ অবাক হয়ে সবটা শুনতে আর দেখতে থাকে সে যেন মুহূর্তে বাক্যহারা হয়ে পড়ে , বর্ষা চলে গেলে ,মেঘ রাস্তার ওপর বসে পড়ে আর দুই হাতে ঢাকা মুখের আড়ালে চোখের জল বাধাহীন ভাবে বেরিয়ে আসে । মেঘের এই অবস্থা দেখে বৃষ্টি তাকে কোনোভাবে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসে ।

পড়ুনঃ- বাবাকে নিয়ে একটি অসাধারণ ছোট গল্প 

আপনাদের অবাক লাগছে তাই না ,যে মেঘ বর্ষা কে প্রথম দিন থেকে পছন্দ করে সে আজ কেন প্রেমে প্রত্যাখ্যান করলো বর্ষা কে, আমারও অবাক লেগেছিল । কিন্তু কারণটা শোনার পর আমি বুঝেছিলাম মেঘ কতোটা অসহায় ছিল ।

MLA এর মেয়ে বর্ষা এর পেছনে পেছনে মেঘের ঘোরার খবর তার বাবা পেয়ে যায় , তিনি মেঘ এর বাবাকে তার ছেলেকে নিয়ে শহর ছাড়তে বলেন কিন্ত মেঘ এর বাবা অনেক প্রার্থনা করেন তিনি যেন মেঘের HS পর্যন্ত এখানে থাকার পারমিশন দেন , তারপরেই তারা শহর ছাড়বেন বলে কথা দেন। বর্ষার বাবা বলেন মেঘ কে বর্ষার থেকে দূরে থাকতে, মেঘের বাবা ছেলের এমন পরিণতিতে ঘৃণায় গ্লানিতে জর্জরিত হয়ে পরেন , মেঘের ওপর হাত তোলেন তাকে অপমানের কোনো অংশটুকু বাকি রাখেন নি।

এতো কিছু সহ্য করার পর মেঘের কাছে একমাত্র উপায় ছিল বর্ষাকে নিজের থেকে দূরে রাখার জন্য বৃষ্টির সাথে মিথ্যে সম্পর্কের ভান করা। তাই সেদিন অসহায় মেঘ এমনটি করতে বাধ্য হয়েছিল।  সেইদিনের ঘটনার পর বর্ষা মেঘের দিকে ভালো করে তাকায়ও না আর মেঘও শুধু পড়ার দিকে মন দেয় । মেঘের আর বর্ষার  এরকম পরিবর্তন দেখে বৃষ্টিও মনে মনে কষ্ট পায় , সে মন থেকে মেঘকে চাইলেও সে জানতো মেঘ ঠিক কতটা বর্ষাকে ভালোবাসে। এসব এর মাঝেই চলে আসে HS এক্সাম , এক্সাম কমপ্লিট হয় , যেহেতু মেঘের সাথে বর্ষার কোনো সম্পর্ক ছিল না তাই বর্ষার বাবা ওদের শহর ছাড়ার জন্য রেজাল্ট বেরোনো অব্দি সময় দেন ।

আর আজ… হুমম আজ সেই রেজাল্টের দিন ,১ লা আষাঢ়!  

গভীর ভালোবাসার গল্প
গভীর ভালোবাসার গল্প deep love story
<

রেজাল্ট বেরোলো, চারদিকে শুধু মেঘ আর মেঘ রব কারণ মেঘ শুধু আজ স্কুল এর নয় সে রাজ্যের প্রথম হয়েছে । তার বাড়িতে আজ MP ,BDO এমনকি বর্ষার বাবাও এলন আর খুব গর্বের সাথে তিনি মিডিয়া এর সামনে বললেন “এই ছেলেটি আমার মেয়ের খুব ভালো বন্ধু আর আমি চাই ওরা ভবিষ্যতে একসাথে পড়াশোনা করে আমাদের নাম উজ্জ্বল করুক। কথাটা শুনে মেঘ স্কুল এর ব্যাগটা নিয়ে ছুট্টে গেলো স্কুলে সেখানে তাকে সেলিব্রিটি এর মত ট্রিট করতে লাগলো সবাই।

কিন্তু সে আজ এখানে কোনো সন্মান এর জন্য আসেনি। সে আজ তার ফিরিয়ে দেওয়া মানুষটাকে তার জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য এসেছে। এদিকে বর্ষা মেঘের রেজাল্টে আনন্দের সাথে দুঃখও পাচ্ছে। কারণ সে জানে এরপর মেঘ আর এখানে পড়াশোনা করবেনা। সে নিশ্চয়ই অন্য কোথাও চলে যাবে।

রেজাল্ট এর সেই বিকেলে , বর্ষা কেন মেঘকে চরটা মারলো সেটা আমার কাছেও স্পষ্ট নয়, বাকিদের মতোই তখন আমিও ভিজে কিছুটা তাদের সামনে গেলাম , তখন শুনলাম বর্ষাকে মেঘের সেদিন  প্রত্যাখ্যান এর কারণ কি ছিল মেঘ এর বর্ষাকে নিয়ে কি অনুভূতি ,সেগুলো সব বৃষ্টি বর্ষাকে বলে দিয়েছে , তাই সে আনন্দে দুঃখে এই বৃষ্টির জলে চোখের জল ধুয়ে ফেলছিল।

তারপর বর্ষা নিজেই মেঘের পায়ের সামনে বসে পড়লো, হাত জোড় করে বললো মেঘ আমায় আর আমার বাবাকে পারলে ক্ষমা করে দিস। আর পারলে অন্তত  বন্ধুর জায়গাটা আমাকে দিস। তখন মেঘ বর্ষাকে তুলে জাপটে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো – সোনার কোমল হৃদয়ে থাক।  Don’t leave me alone বর্ষা , আমার সাথে থেকে যা । বৃষ্টি দুরে গাড়ির ভেতরে থেকে সবটা দেখছিল, ওদের এক হতে দেখে ,চোখভরা জল নিয়ে চিরকালের মত ওদের জীবন থেকে বিদায় নিল ।

সব কাহিনী তে শুধু বিরহ থাকে না কিছু কিছু কাহিনীতে মিলনও লিখা থাকে। তবে সেটা কতদিন স্থায়ী সেটা আমার জানা নেই , কারণ আজ যেটা আছে সেটা যে কাল বা পরশু বা সারাজীবন ভর থাকবে তার কোনো মানে নেই!

প্রেরক- আলোরানি মিশ্র। (ARM)

এই “১লা আষাঢ়'” গল্পটি যার কলমের কালিতে সম্পূর্ণতা পেয়েছে-
লেখা-লেখি যদি আপনার নেশা হয়, তাহলে আপনিও আমাদের লেখা পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা আমাদের WhatsApp Group -এ যুক্ত হতে পারেন।
আপনার ভালো লাগতে পারে এরকম কিছু লেখা- 

পোড়ো বাড়ির রক্ত খেঁকো ভূতুড়ে আয়না। 

জীবনের চরম বাস্তবতার গল্প- মানুষের রক্তে সুখ খোঁজা নেতা রুপী নরপিশাচ
আমরা রয়েছি যেখানে- 

ফেসবুক গ্রুপ- গল্প Junction

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- CharpatraOfficial

“গভীর ভালোবাসার গল্প। সুন্দর ভালোবাসার গল্প। deep love story. bangla valobasar golpo”

Spread the love

Leave a Reply