new funny story bangla সাবধান সাবধান ! সাবধান হও দেশের বিদেশের এই গ্রহের অন্য গ্রহের , যাহ বেশি হয়ে গেলো । না না সাবধান হও রোগা মানুষের দল। যাদের কাছে মোটা হওয়াটা ভীষণ প্রয়োজন তাদের বলছি সাবধান হও। রোগা পটকা মানুষের জীবনের দুঃখ নিয়েই আজ আমার এই গল্প। কি আর বলবো দুঃখের কথা শোনার লোকের অভাব তাই এসেছি আপনাদের কাছে , পারলে শুনুন না একবার।
new funny story bangla- রোগা মানুষের উপাখ্যানঃ-
সরকার কলোনির ধীরেন বাবুর মেয়ে রিমি। আমার সহপাঠী সে। এককালীন মেয়েটা বেশ স্বাস্থ্যবান ছিল তাই অনেকে ফুটবল বলে খ্যাপাত ওকে। তাতেই হলো ওর ভীষণ অভিমান , স্থির করলো ও এবার ফুটবল থেকে মার্বেলে রূপান্তরিত করবে নিজেকে। তাই থেকে শুরু হলো ওর কঠিন প্রয়াস । বিগত চার বছর আগের কথা বলছিলাম। এখন… ! জানেন এখন ওকে দেখলে কেউ হয়তো আর চিনতেই পারবেন না ! দেখে মনে হয় সবে মাত্র মাধ্যমিক পাস করেছে কিন্তু আসলে ও কলেজের 3rd year এর ছাত্রী।
একদিন বাসে চেপে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল রিমি, মাঝ রাস্তায় উঠলো class 12 এর একটি ছেলে। ছেলেটি সামনের চুল গুলি বারবার তুলে হাতের ঘড়িটা ঠিক করছিলো আর রিমির দিকে তাকাচ্ছিলো। রিমির চিরকালীন স্বপ্ন ওর ও একটা বয়ফ্রেণ্ড হবে , যে ওর কথায় খাইসো ঘুমাইসো করবে। কিন্তু এ তো অবাক কাণ্ড। ওর ভাইয়ের বয়সি একটি ছেলে ওকে জোনাকির মত মিটমিট করে দেখেই যাচ্ছে। একটু পরে ছেলেটি রিমির কাছে গিয়ে কোনরকমে ওর I’d Card থেকে নাম্বারটা তটস্থ করে ফেললো । এরপর সন্ধ্যে বেলায় রিমির মায়ের ফোনে বারবার কল আসছে আর জিজ্ঞাসা করলে একটাই উত্তর ” আজ বাসে দেখা হলো আমাদের , এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে!”
রিমি পরের দিন কলেজ যাওয়ার পথে ছেলেটি রাস্তা আটক করে বললো ” তোমাকে একটা কথা বলবো , কিন্তু না করতে পারবে না”। রিমি বললো বল ভাই বলেই ফেল খুকু আমার । ছেলেটি ঝটপট প্রস্তাব দিলো ” তুমি মমতাজ হবে আমার ,আর আমি হব তোমার শাজাহান। তাজমহল নাই বা পারলাম ,কিন্তু পর্ণকুটির তোমার জন্য বানিয়ে দেবো “। রিমি উত্তরে বললো তুই হবি কি ভাই আমার , ভাইফোঁটার দিন ফোঁটা দেবো।ছেলেটা মিনমিন করে কি বললো বোঝা গেলো না। তারপর জিজ্ঞাসা করলো বারবার ভাই ভাই করছ কেন? রিমি তার নিজের ভাইকে ডেকে বললো ” ভাই এদিকে আয় তো “।
রিমির ভাই রাম এসে ছেলেটিকে দেখে বললো ছিঃ পলাশ তোর ওপর এটা আশা ছিল না আমার । তুই আমার ক্লাসমেট হয়ে কিনা আমার দিদিকেই প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিস! ছেলেটি মানে পলাশ অবাক হয়ে বললো এটা তোর দিদি? হ্যাঁ আমার দিদি, তা নয়তো কি ভাই ….!
তোর দিদি যে এরম বাস কঞ্চির মত হাড় কঙ্কাল বেরোনো পাতলা হবে সেটা কি করে জানবো আমি বল! আর আমি ভেবেছিলাম হয়তো এই মেয়েটা ক্লাস ১০ কিংবা ১১ এ পড়ে কিন্তু কলেজের ছাত্রী তা তো দেখে মনে হয় না । আর I’d card এ তো নাম্বার টা ছাড়া সেভাবে অন্য কিছু লক্ষ করিনি ।
বলি কি রাম, তোর দিদিকে খেতে দিবি বুঝলি। এরম পাতলা দুর্বল মানুষকে দেখে আমার মত কত পলাশ একই ভুল করবে। যাই হোক দিদি ক্ষমা কোরো। এই বলে পলাশ তো গেলো কিন্তু বেচারি রিমি, তার রোগা শরীরের জন্য কারণ ছাড়াই অপমানিত হলো ।
এই কিছুদিন আগের ঘটনা, শ্রেয়াদের বাড়িতে একটি পরিবার নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে। তাদের গৃহকর্তা যে লোকটি তাকে প্রথম থেকে দেখেই শ্রেয়ার একটু গোলমেলে টাইপ এর মনে হয়েছিল । সেদিন শ্রেয়া যখন কলেজ যাচ্ছিল লোকটি ওকে ধাওয়া করেছিলো তবে শ্রেয়া সেটা লক্ষ্য করেনি । শ্রেয়া কলেজে ঢোকা মাত্রই সেই লোকটি শ্রেয়ার বাবাকে ডেকে বললো ” তাড়াতাড়ি আসুন দাদা বড়ো বিপদ আসন্ন “। শ্রেয়ার বাবা যত দ্রুত সম্ভব সেখানে পৌঁছলেন। এসে জিজ্ঞাসা করলেন কি হয়েছে ভাই ? কি বিপদ?
দাদা আপনার মেয়ে ওই শ্রেয়া ,ওকে প্রথম দিন থেকেই আমার দেখে কেমন যেন সন্দেহ হয়েছিল কিন্তু আজ জানেন, ওকে আমি হাতে নাতে ধরেছি। শ্রেয়ার বাবা আবারও জিজ্ঞাসা করলেন ব্যাপারটা কি ?
পড়ুনঃ- স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প- সন্দেহ
দাদা কি বলবো আর! আপনার মেয়ের পিছু নিয়েছিলাম , তারপর দেখি স্কুল এর কাছে toto থেকে নামলো কিন্তু স্কুল গেলো না । দেখি ২ টা ছেলে আর একটা মেয়ের সাথে ওই সামনের কলেজের দিকে চলে গেলো।
শ্রেয়ার বাবা সবটা বুঝতে পেরে বললেন। ভাই তুমি কি বলতে চাইছো?
দাদা এখনো বুঝতে পারলেন না , আপনার মেয়ে স্কুল বন্ধ করে এদিক সেদিক কলেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে খারাপ সঙ্গদোষে পড়েছে।
শ্রেয়ার বাবা বললেন ” তুমি ভুল ভাবছো আমার মেয়ে কলেজে পড়ে, স্কুল এ নয় ” আর খারাপ সঙ্গদোষে নয় ওগুলো ওর ছোট বেলার বন্ধু।
লোকটি বললো এ কি দাদা ! আপনাকে দেখে তো ভালো মানুষ মনে হয় কিন্তু আপনি নিজের মেয়ের দোষ ঢাকার জন্য কিনা ওই টুকু দুর্বল রোগা মেয়েটাকে কলেজের ছাত্রী বলছেন। হাসির পাত্র বানাচ্ছেন যে নিজেকে। সময় থাকতে লাগাম টানুন নইলে মেয়ে হাত ছাড়া হয়ে গেলে আর কিছুই করতে পারবেন না ।
ধুর বাবা ! বেশ মুস্কিল তো, কি বললে তুমি বিশ্বাস করবে বলতো যে মেয়ে আমার কলেজের ছাত্রী । লোকটি তো বিশ্বাস করলোই না আর পাছে তার মেয়েও শ্রেয়ার সঙ্গদোষে পড়ে নষ্ট হয় সেই ভেবে বাড়িই পরিবর্তন করে ফেললো।
সামনেই পুজো, সেই ছোটবেলার মতো করে বাবার আঙ্গুল ধরে ব্যাঙ এর মত লাফাতে লাফাতে, বাজার করতে যাচ্ছিলাম মহানন্দে। দোকান পৌছালাম কিন্তু বাবা রাস্তায় আগেই বলে দিয়েছে অনলাইনে যা ইচ্ছে কিনেছো কিন্তু এবার আমি পছন্দ করে যা কিনবো সেটাই নিতে হবে। বাবা মায়ের গলায় হটাৎ করে তুমি সুরটা চড়ার ইঙ্গিত শুভ নয়। বাবা সালোয়ার কামিজ এর চিরকালীন ফ্যান তাই ওটাই দেখছিল কিন্তু এর মধ্যে এক জলহস্তীর ন্যায় মহিলা এসে হাজির। এসে জিজ্ঞাসা করলো ” কি দাদা এতটুকু মেয়েকে বয়স্ক সাজাবার সখ জেগেছে নাকি আপনার “। বাবা তো টমেটোর মতো লাল হয়ে গেল কথাটা শুনে। এরপর শুরু হলো ওই মহিলার প্রশ্ন ” মা তোমার বয়স ? কোন ক্লাসে পড় ? সেসব নানান প্রশ্ন…!
রীতিমত 3 rd year এর ছাত্রী শুনে জিজ্ঞাসা করলো ” ডায়েট টায়েট করো নাকি ? “
হাসিপ্রীয় মানুষ আমি। হে হে করে হেসে জবাব দিলাম না না। আমার ওসব এর প্রয়োজন হয় না । তবে আমার হাসিতে বাবা মোটেও খুশি নয় । বাবা এসব বাড়াবাড়ি হাসিকে অভদ্রতা বলেই মনে করেন।
মহিলা তো বারংবার বাবাকে বিরক্ত করেই যাচ্ছেন, ” দাদা আপনার পোশাক আশাক দেখে তো বেশ ভদ্র লোক মনে হচ্ছে। কি সুন্দর স্বাস্থ্যবান চেহারা আপনার , তাহলে নিজের মেয়ের সাথে এমন করছেন কেন? এখন তো মেয়েরাও মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে মহাকাশযানে আর আপনি কিনা সেখানে মেয়েকে না খাইয়ে খাইয়ে ফড়িং বানিয়ে উড়াবার চেষ্টা করছেন ? আচ্ছা আপনাদের মতো মানুষেরা যদি মনোভাবের পরিবর্তন না করেন তাহলে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের কে বোঝাবে?
বাবা জীবনেও আশা করেননি যে, আমাকে সাথে নিয়ে এসে তাকে এভাবে অপমানে পড়তে হবে । রাগে গজগজ করতে করতে মহিলাকে কোনো উত্তর না দিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে গেলেন।বাবার টমেটোর মতো লাল মুখটা দেখে বেশ হাসি পাচ্ছে তবে হাসা বারণ । ‘রাম গডুর এর ছানা হাসতে তাদের মানা।’
পড়ুন- মজাদার প্রেমের গল্প- সারপ্রাইজ
রাস্তার ধারে ফুচকা স্টল দেখে অনেক বায়না করার পর বাবা রাজি হলো খাওয়াতে। গিয়ে যেই ফুচকাটা মুখে নিতে যাচ্ছি অমনি ওই জলহস্তীর ন্যায় মহিলা এসে বাবাকে জিজ্ঞাসা করলো কি দাদা বাজার না করে ফুচকা নাকি?
বিস্ময়ের সুরে বাবা জিজ্ঞাসা করলো কেন দিদি আপনি কি আমাদের ফলো করছেন?
আরে না না, সেটা নয়। আসলে আপনার মেয়েকে দেখে খুব মায়া হচ্ছে আমার! বেচারি বোধয় খেতেই পায়না। আহা গো কি কষ্ট!
কোন জম্মে ওই মহিলার ক্ষতি করেছিলাম জানি না। ফুচকা তো খেতে পেলাম এই না বরঞ্চ বাবা বাড়ি ফিরে মা কে কড়া গলায় শুনিয়ে দিলো ” নিজের অকালের দুর্ভিক্ষের রুগী মেয়েকে নিয়ে নিজেই বাজার করতে বেরোবে। যতদিন না ও মোটা হবে আমি ওকে সাথে নিয়ে কোত্থাও বেরোব না । আর এবার থেকে খাবার খেতে না চাইলে মার দিয়ে খাওয়াবে। মেয়েকে আদর দিয়ে বাঁদর বানানো এবার বন্ধ করো।
রোজকার মত মন্টি আজও বাজারে যাওয়ার জন্য যেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছি , সেই পাড়ার এক কাকিমা আরেক কাকিমাকে দেখে বললো আহা গো , মেয়েটা কে বোধহয় কিছুই খেতে দেয় না ওর মা ।দিনদিন কেমন চিতি সাপের মত হচ্ছে চেহারাটা। কি কষ্ট বেচারির। ওদের কথায় পাত্তা না দিয়ে মন্টি একটু এগিয়ে যেতেই এক কাকু বলে উঠলো- “বুঝলি মন্টি আমার মেয়েটা না WBP তে চান্স পেয়ে গেলো, তোর ও তো গ্র্যাজুয়েশন শেষ তুই ও চাকির পরীক্ষা গুলো দে । অবশ্য তোর দিয়েও কোনো লাভ নেই। তোর যা শরীর একটু দৌড়তে গেলেই তো হাওয়ায় উড়ে যেতে পারিস। তোর বাবাকে বলবো যেন একটু পুষ্টিকর খাবার খাওয়ায় তোকে।”
মন্টি বললো ও কাকু শুনলাম নাকি কোথায় লোন নিয়ে তুমি ঘুষ দিয়েছো। তা ব্যাপার টা কি বলতো?
“ধুর বাবা আজকালের ছেলে মেয়েদের মুখের কি ছিরি। বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় তাও শেখেনি । যা যা নিজের কাজে যা মন্টি মাথা খারাপ করাস না।”
এরম রোগা মানুষের অনেক উপাখ্যান , বলতে শুরু করিলে শেষ হইবো না । তবে মেয়ে হয়ে মেয়েদের দুঃখ টাই আগে চোখে পড়ে তাই মেয়েদের নিয়ে বললাম তবে একটু রোগা দুর্বল ছেলেদের এক্ষেত্রে মেয়েদের থেকে শতগুণ বেশি বারেবারে অপমানের শিকার হতে হয়। যাই হোক আপনাদের কাছে একটাই আবেদন দয়া করে কারুর শরীর নিয়ে মন্তব্য করবেন না , মোটা হোক চাই পাতলা , সেও তো মানুষই নাকি ! আর আজকালের ডায়টিং নাকি কমন ব্যাপার তবে অনেকেই এসব না করেও এর শিকার।
খাবার টা যায় কোথায় সেটাই প্রশ্ন আমার…!
সবশেষে এটাই বলবো –
পাড়ার pnpc করা মানুষের মুখের কল।
তোমাদের জন্য হরতালে বসবো এবার আমরা রোগা মানুষের দল।
গল্পের পূর্ণতা যার কলমে- হাসির গল্প
আলোরানির লেখা বিশেষ কিছু গল্প- সেরা বন্ধুত্বের গল্প- রুনিমা ছাত্রদের জন্য প্রেরণামূলক গল্প- বিজয়ী একটি অন্যরকম প্রেমের গল্প- ১লা আষাঢ়
আমাদের সাথে একই চাদের নীচে চলে আসুন- ফেসবুক গ্রুপ- গল্প junction ফেসবুক- ছাড়পত্র টেলিগ্রাম- charpatraOfficial WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)
“new funny story bangla. রোগা মানুষের উপাখ্যান। হাসির গল্প। bangla funny story.”
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।