আরে “রাম গরুড়ের ছানা তোদের নাকি হাঁসতে মানা!” jokes apart তিনটি মজার হাসির গল্প নিয়ে আজ আবারও হাঁসাতে চলে এলাম। কেমন হাসি আপনাদের পাবে, তা জানিনা, তবে আপনি অবশ্যই আনন্দিত হবেন গল্প গুলি পরে আই মিন পড়ে।

মজার হাসির গল্পঃ-

মজার হাসির ছোট গল্পঃ- প্রেমিক কুপোকাত

কয়েকদিন থেকেই দেখছি আমার বোনের মনটা খুবই খারাপ। বুঝতে পারলাম কিছু একটা সমস্যা অবশ্যই হয়েছে তার সাথে। কিন্তু বোন কিছুতেই তার সমস্যা বলতে চাইছে না। অবশেষে বোন মুখ খুলল- প্রতিদিন একটি গুন্ডা মার্কা ছেলে নাকি তাকে মাঝরাতে ফোন আর ম্যাসেজ করে ডিস্টার্ব করে। আমার বোনকে ডিস্টার্ব করলে আমি কি ছেড়ে কথা বলব নাকি!

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানলাম ছেলেটার বডি বট গাছের মত মোটা সোটা, তার সামনে আমি এক অসহায় বিছুটি পাতা। তবে মনে রাখা ভালো যে, বিছুটি পাতার তেজ কিন্তু অনেক বেশি। তাই আমিও একটা বুদ্ধি বার করলাম। বোনের কাছে থেকে ছেলেটার মোবাইল নাম্বার আর ঠিকানা নিয়ে নিলাম।

এরপর প্রিন্টিং এর দোকানে গিয়ে বেশ কয়েকটি লিফলেট তৈরি করে নিলাম। কিছু লিফলেটে লিখা, “মাত্র দুই ঘণ্টা দুই সেকেন্ডে যে কোনো মেয়েকে বশে নিয়ে আসুন একদম ফ্রিতে, কল করুন নীচের নাম্বারে।“ আবার আরেকটি লিফলেটে লিখলাম- “এটি একটি মেয়ের নাম্বার, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, অনুগ্রহ করে তাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করুন।“ আরেকটি লিফলেটে লিখলাম- “পাড়ার বৌদিকে নিজের বশে আনুন ফ্রিতে. কল করুন নীচের নাম্বারে।“ সব গুলি লিফলেটে ছেলেটির ঠিকানা দেওয়া আছে।

মজার হাসির গল্প
মজার হাসির গল্প

এই ভাবে বেশ কয়েকটি লিফলেট তৈরি করার পর প্রথম প্রকারের লিফলেট গুলি পাড়ার মোড়ের লুইচ্চা ছেলেরা যেখানে আড্ডা মারে সেখানে টাঙ্গিয়ে দিলাম। দ্বিতীয় প্রকারের লিফলেট গুলি টাঙ্গিয়ে দিলাম পাবলিক মেল টয়লেটেরে ভিতরে। আর তৃতীয় প্রকারের লিফলেট গুলি টাঙ্গিয়ে দিলাম, কলেজের লুইচ্চা ছেলেদের হোস্টেলের বাইরের দেওয়ালে।

পাঁচ দিন পর বোন হাঁসতে হাঁসতে আমার কাছে এসে বলল- “দেখ দা, ওই ছেলেটার নামে কতগুলি লিফলেট।“ আমি বললাম- “হুম এগুলি তো আমিই তৈরি করে যেখানে সেখানে টাঙ্গিয়ে দিয়েছি।“ আমার বোন হাঁসতে হাঁসতে গড়াগড়ি খেতে লাগল।

পরের দিন খোঁজ নিয়ে শুনি- ছেলেটা নাকি এই তল্লাট ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে। কারণ সারাদিন তার কাছে এত এত কল আসতে শুরু করে যে, তাকে মোবাইল সুইচ অফ করে রাখতে হয়। আর যখন লোকেরা দেখল মোবাইল সুইচ অফ করা আছে, সবাই লিফলেটের অ্যাড্রেসে এসে ভিড় জমালো। ছেলেটা তার বাড়ির সামনে এত ভিড় দেখে, কেউ কিছু করে বসার আগেই জানালা দিয়ে পালিয়েছে।

তবে এমন কাজ আবার আপনারাও করতে যাইয়েন না যেন!

পড়ুনঃ- অসাধারণ ফানি জোকস 

মজার হাসির গল্পঃ- এইডা কেমন ক্রাশ!

আমি একজন কলেজ পড়ুয়া, বুঝতেই পাড়ছেন টাকা কড়ির বড্ড অভাব। তাই আমি ঠিক করি আমি টিউশন পড়াব। একজন ছাত্র জোগাড়ও হয়ে গেল, ছাত্রের বাবার সাথে কথা হয়ে গেছে বেশ মোটা অঙ্কের বেতন দিবেন তিনি।

প্রথম দিন টিউশন বেশ ভালই জমেছে। দ্বিতীয় দিন টিউশন পড়াতে যাই, কিছুক্ষণ পর, একজন অত্যন্ত রূপবতী মেয়ে আমার জন্য চা নিয়ে আসে। আমি তো দেখেই অবাক। এদিকে আমার মত সিঙ্গেলদের যেখানে মেয়ে দেখলেই হার্ট বিট বেড়ে যায়, সেখানে একজন অত্যন্ত সুন্দরী মেয়ে যদি এসে চা দিয়ে যায়, তাহলে তো আনন্দে জ্ঞান হারানোর জোগাড় হয়ে যায়।

এরপর থেকে মাঝে মধ্যেই সেই সুন্দরী রূপবতী আমার জন্য চা নিয়ে আসে। আমি সপ্তাহে তিনদিন টিউশন পড়াতাম। কিন্তু সেই সুন্দরীকে দেখার জন্য আমার মন আনচান করতে থাকে। তাই আমি প্রতিদিন টিউশন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।

আমার সেই রূপবতীর প্রতি আগ্রহ এতটাই বেড়ে গেছে যে, স্টুডেন্টকে পড়াতে কম যেন সেই মেয়েটিকে দেখার জন্যই আমি সেই বাড়িতে যাই। ধীরে ধীরে সেই মেয়েটার জন্য আমার মনে ইয়া বিশাল একটা জায়গা তৈরি হয়। রাতে ঘুমাতে গেলে সেই মেয়েটার সুন্দর মুখশ্রী ভেসে উঠে।

এই তো সেদিন সেই মেয়েটার কথা ভাবতে ভাবতে রাস্তা দিয়ে আসছি। ভাবছি কিভাবে মেয়েটাকে আপন করা যায়! হঠাৎ আমার বোধ হয়, যে আমার পা কিছু একটার উপর পরে গেছে। মাথা নামিয়ে দেখি, পা কুকুরের লেজে পরে গেছে। আর যাই কোথা! কুকুরের আগে আগে দৌড়!

কিছুদূর দৌড়ে আসার পর দেখি আমার সেই স্বপ্নের রাজকন্যা কোথায় যেন যাচ্ছে! আমাকে দৌড়াতে দেখে চেঁচিয়ে বলল- “আরে মাষ্টারজি এত জোরে ছুটছ কেন?” আমি আমার পিছনে দৌড়াতে থাকা কুকুরটাকে দেখিয়ে দিতে সে বলল- “থামুন থামুন, দৌড়াবেন না। আমার কাছে আসুন।“ ও মাই গড ও মাই গড!

তার কাছে গেলাম, সে কুকুরটার মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করে বলল- “কুকুর পিছনে পরলে দৌড়াবে না।“

মজার হাসির ছোট গল্প
মজার হাসির ছোট গল্প

আমার স্বপ্নের রাজকন্যার সাথে কাটানো সেই স্বর্ণিম সময়টা আমি কিছুতেই ভুলতে পারছি না। হঠাৎ রাতে মনে হল, এই যা মেয়েটাকে তো ধন্যবাদ জানানো হল না!

পরের দিন টিউশন পড়াতে গিয়েই, স্টুডেন্ট কে জিজ্ঞাসা করলাম- “তোমার দিদি কোথায়?” ছাত্র অবাক হয়ে বলল- “দিদি! আমার তো কোনো দিদিই নেই!” বলতে বলতেই সে ডাক দিন- “মা দাদা এসেছে”

কিছুক্ষণ পর দেখি সেই সুন্দরী রূপবতী, আমার ড্রিম গার্ল! আমার ড্রিম গার্ল আমার স্টুডেন্টের মা! আমার কেমন যেন, জ্ঞান হারব জ্ঞান হারাব মনে হচ্ছে! এত সুন্দর মেয়েটা মা হয়ে গেছে। আর আমি বেচারা তার উপর ক্রাশ খেয়ে আছি! নিজেকে কোনো মতে সামলে নিয়ে, সেদিন মরুভূমির মত শুকনো লঙ্কা ভঁরা বুক নিয়ে বাড়িতে ফিরি। হ্যাঁ শুকনো লঙ্কা ভঁরা বুক, কারণ আমার উপর দিয়ে যে টর্নেডো টা গেলো তাতে আমার বুক মরুভূমির মত শুকনো এবং লঙ্কার ঝালের মত বেদনায় ভড়ে গেছে।

পড়ুনঃ- হাসির গোয়েন্দা গল্প- বিস্কুট রহস্য 

mojar hasir golpo- মাই প্রেম

আমার পাড়ার এক দাদার মুখে শোনা, মেয়েরা নাকি ইংরেজি শুনেই সহজে প্রেমে পরে যায়। দাদার সেই কথাকে মাথায় নিয়েই সেদিন শপিং মলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা একটা সুন্দরী মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলাম- “হেলো, আই ওয়ান্ট ইউ মোর এন্ড মোর!”  মেয়েটা ঠাশ করে একটা চড় বসিয়ে দিয়ে বলল- “তোর বাপ গরুচোর।“ আমি অবাক হয়ে বললাম- “ ইউ আর সো ম্যাড”

মেয়েটা আমার অপর গালে ঠাশ করে আরেকটা চড় বসিয়ে দিয়ে বলল- “কানা মুখো, তোর বউ ফ্যাট!”

আমি আরও অবাক হয়ে যাই। ভাবলাম এর সাথে কথা বলে লাভ নেই, অন্য মেয়ে খুঁজতে হবে। কিন্তু মেয়েটা অনেক সুন্দর ছিল। তাই আমি বলি- “আই উইল মিস ইউ।“ মেয়েটা জুতো খুলে ঢিল মেরে বলল- “ভাগ শ্লা এখান থেকে।”

mojar hasir golpo
mojar hasir golpo
<

আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকল না, মেয়েটার ব্যাপারটা কি!

গভীর চিন্তার সাগর থেকে উঠে আমার মনে হল- মেয়েটা আসলে কানে কম শোনে- আমি যখন তাকে বলি- “আই ওয়ান্ট ইউ মোর অ্যান্ড মোর” সে শুনেছিল-  “তুই একটা গরুচোর” আবার আমি যখন তাকে বলি-“ইউ আর সো ম্যাড?” সে শুনেছিল- “ইউ আর সো ফ্যাট” আর শেষে যখন তাকে বলি- “আই উইল মিস ইউ।“ সে শুনেছিল- “আই উইল কি**স ইউ।“

শ্লা, আমার প্রেম করার মুডটাই অফ করে দিল ওই মেয়েটা, ফালতু ফালতু অতগুলি মার খেলাম।

পড়ুনঃ- 

স্কুল জীবনের দুষ্টুমি- গন্ধচক্রান্ত 

বাস্তব হাসির গল্প

অসাধারণ ফানি গল্প 
সমস্ত আপডেট পাবেন যেভাবে - 

ফেসবুক Group - গল্প Junction 

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)

“mojar hasir golpo। মজার হাসির গল্প। মজার হাসির ছোট গল্প”

Spread the love

Leave a Reply