পড়ুন দুটি bangla choto golpo এই বাংলা ছোট গল্প দুটির মূল সারসংক্ষেপ না-হয় পাঠক পড়ার পড়েই বুঝে নিবেন! এই ছোট গল্প দুটির প্রেরক- মানব মণ্ডল।

bangla choto golpo. বাংলা ছোট গল্পঃ-

ভ্যাম্পায়ার ভালোবাসার গল্প (প্রেমিক ভ্যাম্পায়ার)ঃ-

আমাদের বন্ধু মহলে অনেক দিন ধরে গুঞ্জন চলছে যে, গত দুই মাস ধরে দিপঙ্কর রোজ বিভিন্ন ব্লাড  ব্যাঙ্ক থেকে প্রতিদিন এক বোতল করে A group এর রক্ত কিনে গোপনে বাড়ি ফেরে। কিন্তু এ সব কথা তো গোপন থাকার নয়। ফুর্তিবাজ দিপঙ্কর এর ছেলে বিদেশে চাকরি করে। বৌ ও সুস্থ সবল। তাহলে ঠিক কি করছে রক্ত দিয়ে তাছাড়া আমরা জানি ওর রক্তের গ্রুপ ‘o’ আর বৌদির ‘AB’ এ রূপ অবস্থায় ও ” A ” রক্ত কি করছে রোজ। তন্দ্র সাধনা বা কালা যাদু করেছে না তো। এ রহস্যের সমাধান করতে আজ আমরা দিপঙ্করকে চেপে ধরলাম।

অনেকক্ষণ জেরার পর দিপঙ্কর  ভেউ ভেউ করে কেঁদে উঠলো। কি ব্যাপার বুঝতে পারলাম না। আমরা বন্ধুকে দুঃখিত দেখে আমরা বললাম ” ছেড়ে কাঁদিস না বাপু।  তোকে কিছু বলতে হবে না!” কিন্তু এবার সে সেই রক্ত কেনার গল্পটা জানাবেই আমাদের।
দিপঙ্কর বললো ” বন্ধুরে মনের দুঃখ কি বলবো এ এক তিনকোনা প্রেমের গল্প। গল্পটা আমি তোদের বলব কিন্তু মাঝখান থেকে তোরা কোনো কথা বলবি না। আমি বড় করব না। সংক্ষেপে বলব গল্প টা। তার আগে বল তোরা ভ্যাম্পায়ার কি জানিস বা বিশ্বাস করিস? আসলে আমার গল্পটা ভ্যাম্পায়ার নিয়ে “

সবাই তা শুনে ভীষন উত্তেজিত হয়ে পরলাম। কারণ ১৮১৯ সালে প্রকাশিত হয় ইংরেজ লেখক জন পোলিডোরি লেখা “দ্য ভ্যাম্পায়ার” বই,যার মাধ্যমেই আধুনিক কথাসাহিত্যের  ও কেতাদুরস্ত ভ্যাম্পায়ার-ধারণার আমরা পাই। বইটি  সাফল্য হয় এবং তর্কসাপেক্ষে  ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে লেখা সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ভ্যাম্পায়ার কাহিনি এটাই। ১৮৯৭ সালে প্রকাশিত ব্রাম স্টোকারের “ড্রাকুলা” উপন্যাসটিও ভ্যাম্পায়ার-বিষয়ক উপন্যাসের একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন ।

এই উপন্যাসটিই আধুনিক ভ্যাম্পায়ার কিংবদন্তির ধারণা দিয়েছিলো। উনার সমসাময়িক আইরিশ লেখক জোসেফ শেরিডান লে ফানুর “কারমিলা” উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৭২ সালেই। তবে “ড্রাকুলা” উপন্যাসের সাফল্যই পরবর্তীকালে কথাসাহিত্যে  ভ্যাম্পায়ার কথাসাহিত্যের বর্গটির জন্ম দেয় এবং সেই সময় থেকেই ভ্যাম্পায়ারেরা ভৌতিক কথাসাহিত্যের অন্যতম প্রধান চরিত্রে পরিণত হয়েছে, শুধু তাই নয় কথাসাহিত্যের বাইরেও চলচ্চিত্র, টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও ভিডিও গেমের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীতেও তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

তাই আমি বললাম “সে তো আমরা স্ত্রীকে বিশ্বাস করি না ওরাও আমাদের করে না তবু তাদের সাথেই আমাদের সংসার করতে হয়। তাই তুই বল তোর গল্পটা” ওর কান্নার গতি বেড়ে গেল বললো “গল্পটা আমার সরল স্ত্রীকে নিয়েই।” ওকে আমরা ধমক দিয়ে বললাম “ভনিতা না করে ভাই গল্প টেলার দে। বেশি সময় নেই আমাদের হাতে।”

একটু থতমত খেয়ে ও বলা শুরু করলো “ঠিক আজ থেকে দুই মাস আগে, সকাল বেলায় আমি আমার বাগানের গাছগুলো দেখছি। ভোর ভোর হবে আলো তখনও ফোটে নি। জানিস তো ফুল চোর বৌদিদের দেখার জন্য ভোরে ওঠা গাছ পোতা আমার। হঠাৎ দেখি বাগানের ভিতর চেয়ার বসে আছে একটা কালো কোট পরা লোক। দৌড়ে গিয়ে দেখি একটা সাহেব চোখে রঙিন চশমা। ভাবলাম চোর হলে তো এরকম প্রকাশ্যে বসবে না। নিশ্চিত, পাগল হবে। তাকে বললাম “ভাগ এখান থেকে।”
সে বললো ” জানেন আমি কে ? ভ্যাম্পেয়ার!”

আমি একটু হাসলাম। ও সাথে সাথে এক লাফে ছাদে উঠে গেলো বাদরের মতো। তারপর কার্নিশে ঝুলতে থাকলো বাদূরের মতো। দেখে আমি তো ভিরমি খেলাম। উনি আমাকে চোখে জল টল দিয়ে জ্ঞান ফেরালেন। তুই তুকারি করে আগেই ভুল করে ফেলেছি ,আমি  ভয় ভয়ে বললাম ” পিলিজ আমাকে কামরাবেন না। আমি আর কখনো বৌদি দেখতে এ বাগানে আসবোনা।”
ভ্যাম্পেয়ার টা হো হো করে হেঁসে উঠলো, ওর দাঁত কপাটি খুলে আমার হাতে দিয়ে দিলো। অভয় দিলো সেও আমার মতো এক বৌদির প্রেমিক। বৌদির সাথে দেখা করতে এসেছে। সে আসলে রক্ত খায়না বেশি। কারণ রক্ত তো অনেক ধরনের অসুখ বিসুখ হয়। তাছাড়া A group রক্ত না খেলে ওর  পেট খারাপ হয়।

নিশ্চিত হলাম একটু, কিন্তু কোন বৌদির প্রেমে পাগল হয়ে দিনের বেলায় আসার ঝুঁকি নিয়েছে সেটা জানতে ইচ্ছে করলো কারণ সূর্যের আলো ফুটতেই সে বাড়ি ছায়ায় অংশে গিয়ে লুকানোর চেষ্টা করলো।

বৌদির নাম সে বলতে চাইলো না। জানালো সে বৌদির সাথে তার প্রেমটা এক তরফা। দাম্পত্য জীবনে সুখী না হয়ে বৌদি আত্মহত্যা করতে চায়। কিন্তু সাঁতার জানে না তাই জলে লাফ দিতে ভয় পায়। গায়ে আগুন দিতে ভয় করে। কারণ দেখতে খারাপ হয়ে যাবে। আবার উঁচু দিয়ে লাফ দিতে ভয় পায় মাথাটা ঝিমঝিম করে‌। বাড়িতে সিলিং ফ্যান নেই তাই গলায় দড়িও দিতে পারে না। তাই ওর সাহায্য চেয়েছে উনি এক কামড়ে যাতে মেরে দিতে পারে। ও প্রথমে রাজী হয়নি। কিন্তু পরে শুনলো। ওর বরটা নাকি কাল শুধু সাতেরো বার চা করিয়েছে। ভীষন কিপটা স্বামী পিঁয়াজ এর দাম বেশি বলে বাঁধা কপি মিশিয়ে পিঁয়াজি করিয়েছে।

বৌদির কাল ওর ব্লাড রিপোর্ট সেন্ড করে রিকোয়েস্ট পাঠাইছি  তার hiv, হেপেটাইদিস V , করোনা কোন অসুখ বিসুখ নেই। এই রিপোর্ট দেখে সে আরো আবেগী হতে পরে। বৌদিকে সে খুব ভালো বাসে। তাঁর জন্য সে যেকোনো ঝুঁকি নিতে পারেন। তাই আজ এলো এ বাড়িতে।

কথা শুনেই আমি আঁতকে উঠলাম। ও নিশ্চিত নিলুকে মানে আমার বৌকে ভালোবাসে। নিলুকে আমি খুব ভালোবাসি। ও বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি গেলেই আমার জীবনটা নুন ছাড়া সিদ্ধ ডিম এর মতো হয়ে যায়। ওকে ছাড়া বেঁচে থাকার কথা আমি ভাবতেই পারি না।

bangla choto golpo ভ্যাম্পায়ারের গল্প
bangla choto golpo ভ্যাম্পায়ারের গল্প ভ্যাম্পায়ার ভালোবাসার গল্প

তবু কনফার্ম করা জন্য ভ্যামপেয়ার মুখে নিজের নিন্দা মন্দ শুনলাম। আর নিজেকে বদলে নেবার প্রতিশ্রুতি দিলাম। আর ওকে রোজ ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে A group এর বিশুদ্ধ রক্ত এনে দেবার দায়িত্ব নিলাম। এখন ও খুশি। আমরাও সুখী। একটা ভালো বন্ধুর জন্য এটুকু তো করতেই হবে।”

পড়ুনঃ- সেরা গোয়েন্দা গল্প- লোহার বিস্কুট রহস্য

ভয়ংকর ভুতের গল্প- বদলা

বাংলা ছোট গল্প-০২ (এই শহর বড্ড একা) ঃ-

চোখটা সবে বুজে ছিলাম শ্যামলের  চিৎকারে ঘুম ভেঙে গেল। ইট টিন পাথরের ঘর গুলো কখনো ভালোবাসা হতে পারলো না, কারণ এখানে ভালোবাসা নেই। শহরটা বড়ো একা অবিশ্বাস বঞ্চনাতে ভরা। শ্যামল রোজ ওর বৌ পেটায় অভিযোগ বিহারী মুদি দোকানে ওর লটপটর চলছে। শ্যামলের বৌ এর অভিযোগ শ্যামল ও তো বস্তির  রাখির ঘরে মুখমারতে যায়। ওতো বিহারী দোকান থেকে ধরা বাকিতে মাল পায় তাই হেসে একটু কথা বলে। যাতে বকেয়া টাকা চাইতে না পারে। দুইজনেই হুমকি দেয় একে অপরকে ছেড়ে চলে যাবে কিন্তু যায়না।

হঠাৎ মনে পরে গেলো পঞ্চাশ ষাট বছরের পুরনো স্মৃতি। আমাদের গ্রামে বা আশপাশের গ্রামে খুন জখম হতো না। তা বলে কি, হাতাহাতি হতো না? সে-ও বলার মত নয়। তবে তেড়ে যাওয়া, কুঁদে কুঁদে ছুটে আসা ছিল। ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল। মারপিটের উপক্রম হতো। বউ বেটিরা টেনে ধরত। আর দু’পক্ষই গজরাতো, ‘ছাড় আমাকে দেখব ওর একদিন কী আমার একদিন।’ চাইলেই হাত ছাড়াতে পারত। কিন্তু ছাড়াত না। কিন্তু মুখে তর্জন গর্জন চলত।

একবার এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে সেই আত্মীয়কে তাঁর বাড়িতে সম্পত্তি গত বিবাদে নিগৃহীত হতে দেখি ভাইদের হাতে। ছোট ভাই মেজভাই মিলে গলায় বসে যায়, বড়ভাইয়ের। বাড়িটি আমার খুব প্রিয় জায়গা ছিল। আমি তারপর থেকে আর যাই নি বাধ্য না হলে। আমি তখন পঞ্চম শ্রেণি। ভাইদের বউদের মধ্যে ছিল খুব ভাব। কোনো বিবাদ ছিল না। গ্রামে কেউ শত্রু ছিলো না।

বাংলা ছোট গল্প choto golpo
বাংলা ছোট গল্প choto golpo

হঠাৎ কালু মোল্লা  জামাই হয়ে এলো এ গ্রামে বিয়েতে বউয়ের মারফৎ ফারাজ পেয়ে ২০ বিঘা বেশি জমি ভোগ করতেন,  রাগ ছিলো তাতে কারো। কিন্তু ওদের মধ্যেও বাপ ব্যাটার লাঠি নিয়ে রুখে দাঁড়ানো দেখেছি। কিন্তু রক্তারক্তি হতো না। আওয়াজ শুনলেই গ্রামের লোক হাজির হয়ে যেতেন ওদের ছাড়তে। গ্রামে মিল মিশ ছিলো ভালো। আসলে তখনো গ্রামে কে হিন্দু কে মুসলমান জানতাম না। কালু মোল্লা গ্রামের বাইরের লোক ঐ প্রথম বললো হিন্দুরা এদেশে থাকতে পারবে না। গ্রাম বাসিরা ওর কথা শুনলো না। কিন্তু পরে ওর দল ভারী হয়ে গেলো । বললো হিন্দুদের মেরে ওদের জমি জায়গা গুলো আমরা দখল করবো। আমারা ভাবিনি কখনো আমাদের গ্রাম ছেড়ে যেতে হবে। কিন্তু খান বাহিনী এলো।

আমি  ভয়ে মুরগির ঘরে ঢুকে পড়েছিলাম। সেকালে বাঁশ ও মাটি দিয়ে চার পাঁচ ফুট উঁচু এবং আট বা দশ ফুট চওড়া করে হাঁস মুরগির ঘর বানানো হতো। হাঁস মুরগি ছাগল গোরু ছিল বহু মানুষের আয়ের ধারাবাহিক উৎস। জমিতে তো তখন একবার চাষ। বছরে তিন মাসের বেশি কাজ জোটে না। অনাহার অর্ধাহার শাক খেয়ে জীবন বাচায় ৬০ শতাংশ মানুষ। চোখের সামনে দেখলাম এতো বড়ো পরিবার রক্তমেখে পরে আছে। দিদি বেঁচে ছিলো।

ওকে ওরা মারে নি  বিবস্ত্র অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলো বারান্দায় সারা গায়ে আচারনো কামারানো চিহ্ন। সুন্দরী কাকীমাকে পেলাম না। সবাই বললো ওকে ওরা তুলে নিয়ে যাবে। ও পাড়ার দত্ত ঘোষরা রাতে কলকাতা পালাবে আমাদের ওদের সাথে যেতে বললো গ্রামের চাচা চাচীরা, এ গায়ের হিন্দু পরিবার বলতে ছিলাম তো আমরাই। জ্ঞান ফিরতে দিদি গলায় দড়ি দিলো।

আমি একা হয়ে গেলাম। রেশমা আমার খেলার সাথি ছিলো। একটা ভালো লাগা যে ছিলো সেটা সবাই জানতো। আমি গ্রামের সবার প্রিয় ছিলাম। কালু মোল্লা গ্রামের হত্যা কর্তা বিধাতা, সবাই বললো রেশমার সাথে নিকা করিয়ে আমাকে ইসলাম কবুল করিয়ে রেখে দেওয়া হোক এ গ্রামে। রাজী হলো কালু মোল্লা। রেশমাকে ভালো বাসতাম ঠিকই কিন্তু, আমার পরিবারকেও ভালোবাসতাম। হাঁস মুরগির চিৎকারে ওঁরা আমার কান্নার শব্দ না পেলেও একে একে সব সদস্যকে ওরা মেরেছিলো আমার চোখের সামনে, অপরাধ ছিলো একটাই পরিচয় হিন্দু। তাই সেই মনে মনে আমি ভীষন হিন্দু হয়ে গিয়েছিলাম।

চৌদ্দ বছর  বয়সে আমি দেশে ভিটা ছেড়ে আত্মীয়হীন অচেনা শহরে এলাম একা। চেহারাটা লম্বা ছিলো তাই কাজ পেয়ে গিয়েছিলাম। রিক্সা চালানো মুটে বয়া সব কাজ করেছি। অথচ বাড়িতে পড়াশোনা ছাড়া কোনো কাজ করতাম না। কেউ ছিলনা আমার একা শহরে বাচতাম লাড়াই করে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ আসছে এ দেশে। এদেশ নাকি হিন্দুদের দেশ। মরিচঝাঁপি,  দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপ।

১৯৭৮-৭৯ সালে সদ্যনির্বাচিত পশ্চিমবঙ্গের সিপিআইএম সরকার মরিচঝাঁপি গণহত্যা করলো। বাংলাদেশ থেকে আগত হাজার হাজার বাঙালি নমঃশূদ্র হিন্দু উদ্বাস্তুকে বলপ্রয়োগ আইনের সিআরপিসি ১৪৪ ধারায় মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। সেই সময় সুপ্রিয়ার সাথে পরিচয়। ও ওর পরিবারকে হারালো মরিচ ঝাঁপিতে মানে এই হিন্দুদের দেশ হিন্দুস্তানে। আমি তখন একটা সরকারি চাকুরি জুটিয়ে নিয়েছি।

আসলে সময় সুযোগ মতো পড়াশোনাটা চালিয়ে গিয়েছিলাম তো তাই কোন অসুবিধা হয়নি। বেশ সুখেই দিন কাটলো আমাদের  একটা গোটা বছর আর দুই দশদিন হয়তো। রোহনকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেলো সুপ্রিয়া। দোষটা আমার। মা হবার উপযুক্ত বয়স ছিলো না ওর। নিজেকে খুনি ভেবে আর বিয়ে করলাম না। রোহন বড় হলো। ওর কথা একা একা ও বড় হয়েছে আমি শুধু টাকা দিয়েছি। বিয়ে করলো ওর পছন্দের মেয়েকে। কিন্তু মেয়ের আর মেয়ের মায়ের পছন্দ না আমি ওদের সাথে থাকি। তাই নিজের রক্ত জল করা পয়সায় গড়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম আবার একা।

choto golpo ছোট গল্প
bangla choto golpo ছোট গল্প
<

এই বস্তিতে একাকীত্ব কাটাতে এখানে বাচ্চা গুলো পড়াই। মানুষ করতে চাই এখানকার বাচ্চা গুলোকে। ওরা যেনো কেউ হিন্দু মুসলিম না হয় তারদিকে চোখ রাখি। যদিও নিজের ছেলেকেই আমি মানুষ করতে পারলাম না। একটা মেয়ের জন্য ও ওর বাবাকে ছেড়ে ছিলো ঠিক আছে কিন্তু পৃথিবীটাই ছেড়ে দিলো? ওর বৌ ওর অফিস কলিগের সাথে পালিয়েছে। খবরটা জানা জানি হতে গলায় দড়ি দিলো ও। এই শহর টা বড় একা। কিন্তু একাকি বেঁচে থাকাটা এতোই কঠিন?

মানব মণ্ডল facebook

যার কলমের কালিতে লেখাটি লিখিত হয়েছে- bangla choto golpo
লেখকের অন্যান্য কিছু লেখা-

বাংলা ফানি গল্প- ভুতের সাথে ঘণ্টাখানেক 

ছোট হাসির গল্প- বউ নাকি গোয়েন্দা
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক-ছাড়পত্র 

WhatsApp-ছাড়পত্র 

Telegram- charpatraOfficial

“bangla choto golpo. ভ্যাম্পায়ার ভালোবাসার গল্প। বাংলা ছোট গল্প। ছোট গল্প।”

Spread the love

Leave a Reply