আশেপাশের পরিবেশ নিয়ে মাথা ঘামাতে গিয়ে, আমরা নিজেদের হারিয়ে ফেলি এক কুহেলিকাময় জগতে। এই জগত থেকে ঘুরে এসে নিজেকে বদলে ফেলার গল্প রয়েছে আজকের কাহিনীটি তে। কাহিনীর কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে দীপক নামের এক আনমনা ছেলে।।

নিজেকে বদলে ফেলার গল্পঃ- ‘জবাবদিহি’

সময়টা 12 – 18 এই 7 টা বছর, কিন্তু তাতে কি হয়েছে!

হয়েছে মানে! অনেক কিছু হয়েছে, হচ্ছে। অনেক কিছু হারাচ্ছে। অনেক কিছু, অনেক কিছু ,অনেক কিছু। 

দমবন্ধ পরিবেশে আটকে যাচ্ছে। ওহ! 

আপন মনে আর্তনাদ করে ওঠে দীপক। 

কি করছে নিজের জীবনে? গড়ার সময়ে ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে, একি!

সবে 16 বছর বয়স, এতেই প্রেম করে বসল। আর ব্রেকাপ! 

নিজেকে বদলে ফেলার গল্প
নিজেকে বদলে ফেলার গল্প

প্রেমে পড়ার কোনো বয়স হয় না। আর তাই মানুষ সারা জীবনটাতেই কোনো না কোনো ভাবে, কারোর না কারোর প্রেমে পড়েই।

প্রেমে পড়া আর প্রেম করার মধ্যে অবাধ পার্থক্য আছে। প্রেমে পড়াটা ঠিক আছে কিন্তু প্রেম করতে গেলে মোটামুটি একটা ঠিক ঠাক বিচারবিবেচনা যোগ্য পরিণত বয়স দরকার।

14, 15, 16, 17 এমনকি 18 বছর এগুলো প্রত্যেকটাই যুবক কালের নীচে।

গুরুজনেরা সবসময় বলেন, এই বয়সটা খুব খারাপ, ঝড়ঝঞ্ঝাট কাল। এইসময় একদম প্রেম টেম নয়। কিন্তু বেহায়া ভাগ্য খারাপ দিকেই টেনে নিয়ে যায় আর আমরাও না চাইতেই খারাপ দিকে চলে যাই।

সত্যি সত্যি ওই সব বয়সে প্রেম করা উচিত নয়। কারণ একটা মাটির মূর্তি গড়ার মুহুর্তেই যদি ভেঙে যায় তাহলে তো আর গড়াই যাবে না ঠিক মতো। আর কমবয়সী প্রেম ঠিক তেমনই। কমবয়সী ছেলেমেয়েদের 12 থেকে 18 বছর পর্যন্ত গড়ে ওঠার সময়। সেখানে যদি প্রেম করার পর বিচ্ছেদ নামক হাতুড়ি তে, ধোকা নামক ছেনি তে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে তা সামাল দেওয়া খুব মুশকিল।

পড়ুনঃ- সফল ও অসফল ব্যক্তিদের পার্থক্য 

তাই ওই কয়েকটা বয়সে প্রেমে পড়ো কিন্তু প্রেম কোরো না। প্রেমে পড়লেও ভুলে যাও কিন্তু তাকে মনে রেখে দিও না, মনে রাখলেই কিন্তু প্রেম করা হয়ে যাবে। 

তবুও দীপক কেন সব জেনেও ভুল করল? 

এতবার করে বাড়িতে পড়াশোনা করতে বলছে, কিন্তু সে পড়ছে না কেন? তাকে পড়ার জন্য বলবেই না কেন, পড়াশোনা তো নিজের জন্যই করা উচিত সেখানে জোর করার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সারাদিন পাবজি তে ডুবে আছে, মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে বইয়ের ভেতরে ফোন রেখে লুকিয়ে লুকিয়ে গেম খেলছে যাতে মা ভাবে ছেলে পড়ছে। 

জীবন পরিবর্তন করার গল্প
জীবন পরিবর্তন করার গল্প

রাতে সমানতালে লুকিয়ে দেখা হচ্ছে নিষিদ্ধ ওয়েবসিরিজ। 

কি করছে সে জীবনে!

স্কুলে বকা, বাড়িতে বকা, খেলার মাঠে যেতে মন চায় না আর। 

কেন চাইলেও আর ভালো থাকতে পারছে না দীপক? কেন তার মনে সবসময় অস্থিরতা? কেন তার আর সময় মতো খিদে আসে না, ঘুম আসে না? এত চিন্তা কেন তাকে ঘিরে ধরছে? কেন সে পারছে না নিজের মন কে নিয়ন্ত্রণ রাখতে? কেন সে পিছিয়ে যাচ্ছে? ডিপ্রেশন, মিথ্যে হাসি , সুপ্ত চোখের জল , দুঃখের স্ট্যাটাস , প্রোফাইল লুকিয়ে রাখা, লাস্ট সিন বন্ধ করে রাখা, দুঃখের পোস্ট ইত্যাদি… ডিজিটাল যুগে এই ডিজিটাল মানুষের ডিজিটাল অনুভূতির ভীড়ে এই ডিজিটাল উপায়ে সেও তো নিজের মন খারাপ বোঝানো থেকে ব্যাহত থাকেনি। কিন্তু তাতে কি আদৌ কোনো সমাধান হয়েছে সমস্যাগুলোর ? 

যারা কাছের মানুষ তারা মোটিভেট করেছে, যারা একটু কম কাছের তারা সান্ত্বনা দিয়েছে, যারা আরো কম কাছের ও ভালোই দূরের তারা আহা, উহু করে দু চারটে প্রতিক্রিয়া ইমোজি দিয়েছে আর যারা একেবারেই অচেনা তারা জাস্ট সিন করেছে। 

কিন্তু সমাধান কেউই করেনি। তাহলে কেন বেকার বেকার নিজের সমস্যা ও মন খারাপ সবাইকে দেখিয়ে এমন সহানুভূতি কুড়োনোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা? 

মনের মধ্যে প্রবল ঝড় বইছে। এটা জীবনের কোন সময়, যখন সত্যি সত্যি মনে হচ্ছে পাশে কেউ নেই, সামনে বিপদ,  পেছনে বিপদ, চারিদিকে বিপদ অথচ বাঁচার রাস্তা থাকলেও খুঁজে বের করা খুব কঠিন আর  বাঁচানোর মতো কেউ নেই। 

পড়ুনঃ- মোটিভেশনাল বাণী 

রাতে ঘুম হচ্ছে না দীপকের। মাথায় ঘুরছে ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা। সারাক্ষণ অনলাইনে স্ক্রল করতে করতে চললে জীবনের হার্ট বিট কি আর আদৌ স্ক্রল হবে নাকি থেমে যাবে? 

আঁৎকে ওঠে দীপক। মায়ের ওপর মেজাজ দেখাচ্ছে। বাবার উপর মেজাজ দেখাচ্ছে। সবসময় রাগ আর নিয়ন্ত্রনের বাইরে থাকে। সবসময় বায়না, এটা চাই, সেটা চাই। না পেলেই বাড়ি মাথায় করা। মায়ের ঘর্মাক্ত দেহ ও বাবার রক্তাক্ত দেহ কোনোটাই চোখে পড়ে না দীপকের। 

জীবনে ফূর্তি টাই কি সব? কোনো পরিশ্রম নেই, লড়াই নেই, শুধু বাবার টাকা ধ্বংস করে এটা সেটা শপিং নয়তো ‘বন্ধু’ নামক স্বার্থপর প্রাণীদের পেছনে টাকা ওড়ানো। ওটা তো একটা স্ট্যাটাস এর ব্যাপার। আধুনিক সমাজে থাকতে গেলে যে এটুকু করতেই হবে।  

বাড়ি ফিরে বন্ধুদের জোর করাতে নেশাগ্ৰস্থ হয়ে ফেরার পথে দরজার সামনে সারারাত অপেক্ষা করে থাকা মায়ের চোখের জল চোখে পড়ে না 18 বছর বয়সে। শুধু এটাই চোখে পড়ে মা যখন জেগে আছে তো আবার মায়ের এক প্যানপ্যানানি দেখতে হবে। 

ফোন টা কে দেখে ইচ্ছা করে না ভালো কাজে ব্যবহার করতে, বরং সবসময় ভাবতে মন চায় সোশ্যাল দুনিয়ায় নিজের কয়েকটা ইমেজ তৈরি করলেই যেন দিন পেরিয়ে সুদিনে পরিণত হবে। তাই সারাটাদিন শুধু অনলাইনে নিজেকে অপচয় তবে সখে নয়, স্বভাবে।

কোনো সময়তেই টাকার ব্যাগ থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ না করে ইচ্ছা করে না যে মাঝে মাঝে মা, বাবার হাতেও কিছু টাকা তুলে দিতে, সামান্য হলেও সেটাতে মা, বাবার পরিতৃপ্তির হাসি তো গোটা বিশ্বের সবচেয়ে অসামান্য সম্পদ।  

নিজের ভুলের দায় নিজের উপর না দিয়ে শুধু মেজাজ দেখানোর পরিবর্তে কখনো মনে হয় না যে এবার একটু নিজেকে বদলানো দরকার। 

মন খারাপ থাকলে কখনোই ইচ্ছা করে না মেডিটেশন করতে, বরং সবসময় অশ্লীল দিকে ঝোঁক চলে যায়। 

আবেগে ভেসে চলে বেশি, অল্পেতেই বিশ্বাস করে বেশি। অল্প ভালো কথাতেই গলে যাওয়া আর নিজের সমস্ত কিছু বলে দিনশেষে ঠকে যাওয়া। বুদ্ধি, বিচার বিবেচনা সবটাই অনেক স্থূল। অল্পেতই আঘাত পেয়ে ভেঙে পড়া, মন খারাপ করে ঘর বন্ধ করে বসে থাকা এটাই তো এই সময়ের ট্র্যাজেডি! 

নিজেকে বদলে ফেলার গল্প
নিজেকে বদলে ফেলার গল্প
<

 তারপর নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে একাকী ও অসহায় মানুষ মনে করা দিয়েই শেষ হয় এই আঠারো বছর ও আঠারো বছরের পূর্ববর্তী সময় গুলোতে। 

Enough is enough, এইরকম একটা অপরাধ বোধে ভোগা ধ্বংস প্রাপ্ত জীবন রেখে কি লাভ! আধুনিক কৈশোরের কাছে এইটা শেষ করার যেটা উপায় সেটাই করা যাক অর্থাৎ এবার একটাই কাজ বাকি, আত্মহত্যা করা। 

দরকার নেই এইসব পারিবারিক সমস্যা, পড়ার চাপ, ডিপ্রেশন, রাগ, মুড সুইং, মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরা, ভুল সিদ্ধান্ত,সময় নষ্ট।

জিন্দা লাশ হওয়ার চেয়ে সমস্ত সমস্যার সমাধান আত্মহত্যা কে বেছে নেওয়াই শ্রেয়। শেষ হবে তখনই মনের সমস্ত ঝড়।

মুখে, চোখে জলের ঝাপটা দেয় দীপক। সে এতক্ষণ একটা ঘোরের মধ্যে ছিল। সে এখন ওয়াশরুমে আর তার সামনে আয়না, যেখানে সে নিজের ফ্যাকাসে, হেরে যাওয়া, দুঃখী, অল্পে ভেঙে পড়া একটা অসহায় মুখমন্ডল দেখতে পাচ্ছে। 

হাঁফাচ্ছে সে। এতক্ষণ সে যা যা ভাবল সেটা এককথায় বলতে গেলে এই সাতবছর ধরে প্রত্যেক টা ছেলেমেয়ের জীবনে হওয়া ঝড়। জীবনের ঝড় না মনের ঝড় তা বোঝা যাচ্ছে না কিছুতেই। কারণ জীবনে ঝড় আসলে মন তাকে কন্ট্রোল করে ঠিক কমাতে পারবে কিন্তু মন তো নিজেই এই সময়টাতে অহেতুক অস্থির, কারণ সে যে পাতসংস্থান তত্ত্বের মতো, গড়ছে নিজেকে। তাই তো ভুল করছে বারবার, তাই তো সে সবসময় গতিশীল, এলোপাতাড়ি। তাই জীবনের ঝড় না মনের ঝড় তা নিয়ে দ্বন্দ্বে যেতে চায় না দীপক। 

আয়নার সামনে নিজের প্রতিচ্ছবির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে দীপক। প্রতিচ্ছবি যেন হঠাৎ করে বলে ওঠে, কি রে কি ভাবছিস? 

পড়ুনঃ- শিক্ষণীয় গল্প- মানবিকতা 

কে তুই? অবাক হয়ে নিজের প্রতিচ্ছবির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করে দীপক। 

আমি তোর অন্তরাত্মা, তোর হৃদয়, যে তোর সমস্ত সত্য জানে। তা বল আমার ভাবনা অনুযায়ী তোকে মিলিয়ে দেখি, তা কি ভাবছিস তুই? 

-ভাবছি, আমি ঠিক না ভুল? 

-তোর কি মনে হচ্ছে? 

-মনে হচ্ছে ভুল। 

-তারপর কি মনে হচ্ছে? 

-মানে? 

-ভুল হয়েই থাকবি নাকি ঠিক হওয়ার চেষ্টা করবি?

-আমি তো পারছি না কিছুতেই। আমার মন খারাপ খুব, মনে জোর পাচ্ছি না । সবার কাছে বকা খাচ্ছি। বাবা, মা কেউই বোঝে না আমায়। সবার কাছে ঠকে যাচ্ছি, জীবন আমার অসহ্য হয়ে উঠেছে, প্রেম করেও ছ্যাঁকা খেলাম। দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাঁচার ইচ্ছা মরে যাচ্ছে আমার। জীবন্ত লাশ এর মতো বেঁচে থাকার চেয়ে মরে একেবারে যাওয়া ভাল।

পড়াশোনার প্রতিও আর মন আসে না কিছুতেই, সবসময় ফোনের মধ্যে ডুবে আছি। রাতে ঘুম হচ্ছে না, overthinking আমাকে তাড়া করছে। আমি আর পারছি না, পারছি না…

প্রতিচ্ছবি হেসে ওঠে। 

-তুই হাসছিস !

-হুম। 

-কেন? 

-আবারো বলছি, তুই কি চাস – ভুল হয়ে থাকতে নাকি ঠিক হওয়ার চেষ্টা করতে? 

-আমি বাঁচতেই চাই না আর। বলে ওঠে দীপক। 

-বাহ, চমৎকার! জীবনে বাঁচবি না মরবি, সেই সিদ্ধান্ত কি তোর? এতদিন এতগুলো ভুল করার সময় তোর মনে ছিল না যে আজ এই দিন টা আসতে পারে যখন তুই নিজে থেকে তোর এই বিশৃঙ্খল, খারাপ অভ্যাস স্বরুপ জীবন থেকে বেরোতে চাইবি তাও আবার আত্মহত্যা করে! ছিঃ লজ্জা হওয়া দরকার তোর। কোথায় বেরোনোর উপায় হিসেবে নিজেকে সংশোধন করার কথা বলবি তা না করে, তুই আত্মহত্যার কথা ভাবছিস, বাহ বাহ চমৎকার! তোর যখন মাঝে মাঝে মনে হতো তুই ভুল করছিস তখন কেন তুই বাকিদের দেখাদেখি সেই ভুল পথেই নিজেকে সঁপে দিলি।

জীবন গড়ার অজুহাত দিয়ে তুই অন্য সবার কাছে সান্ত্বনা বা মোটিভেট পাওয়ার তালিকায় পরতে পারিস। কিন্তু মনে রাখিস, আমি মানে তোর হৃদয়ের কাছে তুই কেবলই একজন অপরাধী, যে নিজের হাতে নিজের সুন্দর জীবন নষ্ট করে এখন দোহাই দিচ্ছে উড়তি বয়সের ভুল। তুই ভুলে গেছিলিস যে সাময়িক সুখের জন্য চিরস্থায়ী আনন্দ নষ্ট করা বোকামির কাজ। তোর ভালো মনটা যখন বারবার বাধা দিত অনেক কাজে তবুও তুই সেই ভালো মনের বিরুদ্ধে গিয়ে সেই কাজটাই করেছিস যেটা তোর জীবনে ক্ষতি ডেকে এনেছে।

কেন, সেই একই ভাবে জীবন গড়ার কাজটা করলি না, অতটা জোর দিয়ে ঐ খারাপ মনটার বিরুদ্ধে গিয়ে? কেন খারাপ কে জিতিয়ে দিলি? বল উত্তর দে! নিজের তৈরি করা সমস্যা নিজের জীবনে ডেকে এনে কেন দোরে দোরে সহানুভূতি আদায় করার জন্য ছুটতিস, বল! কেন, মা, বাবা, গুরুজনদের নিষেধ কে তোর ফালতু চেঁচানো মনে হয়েছে? তুই আমার কাছে একজন অপরাধী, তোর শাস্তি শুরু হয়েছে এখন।

আর মনে রাখিস এই শাস্তির ফলই তোর হতাশা, একাকীত্ব, বিষাদগ্ৰস্ত, মন খারাপময় ও আত্মহত্যাপ্রবণ জীবন। সময় থাকতে যখন আমার বাধা শুনিস নি তখন এবার তুই সামলা কি করবি! আত্মহত্যা তুই চাইলেই তো করতে পারবি না, হলে ওই তিলে তিলে শেষ হবি নয়তো নিজেকে আজ থেকে সংশোধন করার চেষ্টা কর। মনে রাখিস পৃথিবীর সবার কাছে মিথ্যে বললেও, নিজের কাছে জবাবদিহি করার সময় কোনো মিথ্যে জেতে না! 

bengali story of 'changing life'
bengali story of ‘changing life’

প্রতিচ্ছবি উধাও হয়ে গেল। আর মনে প্রাণে বাজতে লাগল প্রতিচ্ছবি অর্থাৎ অন্তরাত্মার বলা কথা গুলো। না না ঠিকই তো, জীবন মরণ তো তার হাতে নেই, যতদিন আয়ু আছে ততদিন তো বাঁচতেই হবে। মরতে চাইলেও পুরো পুরি মরাও হয়ত যাবে না। নয় আধমরা নয় পঙ্গু হয়ে সেই বাঁচতেই হবে নির্ধারিত আয়ু অবধি। তাহলে এখন কি করবে দীপক? এতবছরের এই ভুল জীবনজালিকা থেকে বের করবে কী করে নিজেকে? 

মনকে শান্ত করে। মাথাকে ঠান্ডা করে। সবার কাছে নানারকম প্রমিস, প্রতিজ্ঞা, প্রতিশ্রুতি, কথা দেওয়া অনেক কিছু হয়েছে, কিন্তু আজ  নিজের কাছে নিজে কথা দেয়, আমি ঠিক হবোই, ঠিক হওয়ার চেষ্টা করবোই আমি, পারতেই হবে আমাকে। আমি তিলে তিলে শেষ হয়ে যেতে চাই না। 

“মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে , মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই! “

দীপক আস্তে আস্তে বদলে যায় নিজের মোটিভেশনে, নিজের অন্তরের জোরে। অন্তর চাইলেই যে সব সম্ভব। যেই অন্তর তাকে বাইরের বাকি সবাইয়ের মতো  ঝুরি ঝুরি সান্ত্বনা দেয়নি, করেছিল এক সাংঘাতিক জবাবদিহি! 

সুস্মিতা গোস্বামী

গল্পের সুন্দর ভাবনায়-
গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে।
সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও  বা অডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।

পড়ুনঃ- 
ভালবাসার বড় গল্প- অভিযোগ 

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে শিক্ষণীয় গল্প 

আধুনিক শিক্ষণীয় গল্প- অশ্লীল আসক্তি 
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক Group - গল্প Junction 

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)

নিজেকে বদলে ফেলার গল্প। জীবন পরিবর্তন করার গল্প। awesome bengali story of ‘changing life’.

Spread the love

Leave a Reply