হারানো প্রেম গল্পp// যদি একজন কে চেয়েও তাকে হারিয়ে ফেলেন তাও আবার নিজের মনের কথা না জানিয়েই তাহলে মনের ইচ্ছা মনে থেকেই এক অদ্ভুত অনুভূতির জন্ম দেয়, যেটা শান্তিতে থাকতে দেয় না।

বাংলা গল্প- ‘হারানো লক্ষ্য’

নীলিমার সাথে পরিচয় টা হয় ওর বাড়িতে পেপার দিতে গিয়ে। প্রতিদিন সকালে পাড়ায় পেপার বিলি করি। হুম ঠিকই ধরেছেন আমি একজন পেপার বয়। তাছাড়া আর কি করি বলুন, উপায় যে নেই। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর বাবা আমাকে সরাসরি বলে দিয়েছে যে, আমার পড়াশোনার খরচ তিনি আর বহন করতে পারবেন না।

বাধ্য হয়েই এই রাস্তায় এসেছি, পেপার বিলি করে প্রতিদিন কলেজে যাই। তারপর কলেজ সেরে এসে একটি ফাস্ট ফুড এর দোকানে হেল্পারের কাজ করি। সে যাই হোক, নীলিমার সাথে যখন পরিচয় হয় কেন জানি না, নিজেকে বদলাতে শুরু করলাম, সে যদিও আমার সাথে বেশি কথা বলত না, কিন্তু আমার যেন লক্ষ্য হয়ে উঠেছিল ওকে নিজের করে পাওয়া।

পড়াশোনাতেও বেশ মন লাগালাম। প্রতিদিন ওর বাড়িতে যেতাম পেপার দিতে আর ওর হাতে যখন পেপার টা দিতাম, অদ্ভুত এক ফিলিংস আসত আমার মধ্যে। কিন্তু তার প্রতি আমি যে কতটা দুর্বল মুখ ফুটে কখনো সেই কথা বলতে পারিনি। বলার সাহস ও ছিল না। কোথায় সে এক ধনী পরিবারের মেয়ে আর আমি কোথায় এক গেয়ো ভুত!

হারানো প্রেম গল্প
হারানো প্রেম গল্প

তবে আমার জীবনের লক্ষ্য তখন অনেকটা বদলে গেছে, জীবনের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল নীলিমা কে নিজের করে পাওয়া।

একদিন সন্ধায় আমি যে ফাস্ট ফুডের দোকানে কাজ করি, সেই দোকানে নীলিমা এল। না একা নয় একজন ছেলের সাথে বাইকে চেপে। প্রথমে আমি ছেলেটিকে ওর আত্মীয় ভাবলেও ঘোর কাটল, তখনই যখন দেখলাম ছেলেটা নীলিমা এর হাতে হাত রেখে মোমো খাচ্ছে!

মুহূর্তের মধ্যে যেন পায়ের তলার মাটিটা সরে গিয়েছিল। ওরা টাকা দিতে এসেছিল কিন্তু আমি নিই নি, পরিবর্তে আমার বেতন থেকে মালিক কে কেটে নিতে বলেছি। কাউকে কাছের করে পেতে চেয়েও যখন পাওয়া হয় না, তখন চোখের জল চেপে মুখে হাসি রেখে নিজের মাথায় নিজেই চাটা মারা ছাড়া নিজের পাগলামি কে চাপা দেওয়ার আর কোন উপায় পাওয়া যায় না।

আগন্তুক

গল্পের রূপরেখায়-
পড়ুনঃ- 

বাংলা গল্প- ‘নিয়তির খেলা’

বছর ছ-য়েক আগে জীবনের পাতাগুলি ছিল সাদা অঙ্ক খাতার পাতার মতো, তখনও তাতে একটিও দাগ পড়েনি আসলে দাগ পরার মত কোনো কারণ ঘটেনি তাই পাতাগুলি ছিল মসৃন ও ধপধপে সাদা। তখন হাতে কোনো কলম ও ছিল না আর কোনো রকম রং ও ছিল না। হঠাৎ একদিন একটি কলমের আভাস পেলাম যেটা দিয়ে হয়তো আমি আমার জীবনের সেই সাদা পাতা গুলিকে আকাশে ওঠা রামধনুর ন্যায় রাঙাতে পারবো, তারপর আর কি একটু কষ্ট আর অনেক পরিমান চেষ্টার বিনিময়ে শেষ পর্যন্ত কলম টিকে আমার নিজের করতে পারলাম আর শুরু করলাম জীবনের সেই মসৃন আর সাদা ধপধপে সাদা পাতা গুলিকে আস্তে আস্তে সুন্দর রঙে রাঙাতে।

কিন্তু কথাই আছে যে, পৃথিবীর প্রত্যেক মানব সন্তানকে একদিন না একদিন হার মানতেই হয় নিয়তির কাছে, ঠিক সেরকমই আমাকেও পরাজয় স্বীকার করতে হলো আমার নিয়তির কাছে। হঠাৎ করে একটি অজানা অচেনা হাওয়ার দমকা এসে আমার হাজারো স্বপ্ন দিয়ে কল্পনা দিয়ে রাঙানো রঙীন বর্ণময় উড়িয়ে নিয়ে গেলো সম্পূর্ণ আমার ধরাছোয়ার বাইরে এবং সেই সাথে নিয়ে গিয়েছিলো আমার হাতে থাকা সেই কলমের সম্পূর্ণ কালি, শুধু থেকে গিয়েছিলো আমার হাতে একটি শুন্য কলম।

পড়ুনঃ- ভালোবাসার সূক্ষ্ম অনুভূতি

আসলে কলমটি হয়তো যেতে চায়নি তখন আমার হাত থেকে তাই সে নিজে না গিয়েও বাধ্যতামূলক তার মধ্যে থাকা সম্পূর্ণ কালি দিয়ে দিয়েছিল সেই অজানা হাওয়ার দমকা টিকে। বাস্তবে যেমন ঘড়ির কাঁটা ঘোরে তার নিজের গতিতে সে ঠিক তেমনি ঘুরছিলো।

প্রত্যহ দিনের শুরুতে সূর্য যেমন পূর্ব থেকে উদয় হয়ে পশ্চিমে অস্ত যায় সেও তার কার্য ঠিক সম্পন্ন করছিলো, শুধুমাত্র থমকে গিয়েছিলো আমার হাতে থাকা সেই শুন্য কলম আর আমার ক্ষতবিক্ষত হাত, যার দ্বারা আমি না পারছিলাম আবার নতুন করে পাতাগুলি কে রাঙাতে আর না পারছিলাম রঙীন পাতাগুলিকে আবার আগের মতো মসৃণ ও ধপধপে সাদা করতে।

দূরে সরে যাওয়ার গল্প
দূরে সরে যাওয়ার গল্প

আসলে আমার ক্ষতবিক্ষত হাতের কোনো দোষ ছিল না কারণ সাদা পাতা রঙীন করার জন্য কলমে কোনো কালি ছিল না, আর যে পাতা একবার রঙীন হয় সেটা আর কখনো সাদা হয়না। আর কি করার এইরকমই কোনো খেলা হয়তো খেলতে চেয়েছিলো আমার নিয়তি আমার সাথে। পৃথিবীর আর পাঁচটা মানব সন্তানের মতো আমাকেও পরাজিত হতে হলো আমার নিয়তির কাছে।

সত্যি বলতে কি এখন আর কি বা করার সত্যিই যদি আগে জানতাম রঙীন বর্ণময় রংগুলি জমে থেকে থেকে একটি সুদৃঢ় কালো বর্ণে পরিণত হবে তাহলে হয়তো সাদা পাতাগুলিকে সর্বদা সদাই থাকতেই দিতাম রঙীন করার বিন্দুমাত্র ও চেষ্টা করতাম না। এখন আমি খুব ব্যাস্ত একটা মানুষ যে প্রতিটা মুহূর্ত খুঁজে বেড়াচ্ছে তার কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই রঙীন পাতাগুলি, হয়তো সেগুলি নিখোঁজই থেকে যাবে কারণ সেগুলি সম্পূর্ণ আমার ধরাছোঁয়ার বাইরের একটা বস্তু।

আলফায়েদ আলী মোল্লা

গল্পের ভাবনায়-
গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে।
সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও  বা অডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।
পড়ুনঃ- 
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প- সন্দেহ! 

অবহেলা থেকে ভালোবাসার গল্প 
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক Group - গল্প Junction 

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)

হারানো প্রেম গল্প। দূরে সরে যাওয়ার গল্প। awesome bengali story

Spread the love

Leave a Reply