গতকাল আমার মোজা হারিয়ে গিয়েছিল, তারপর হঠাৎ মনে হল, আমার কাছে তো কিছু সেরা মজার গল্প রয়েছে। তারপর আর কি! তোমাদের পাঠিয়ে দিলাম এই হাসির গল্প গুলি। পড়ো আর হাঁসতে থাকো।

সেরা মজার গল্প। বেস্ট ফানি গল্পঃ-

দীনু মানে দীনু ঘোষাল। আমাদের পাড়ায় থাকে। তবে দীনু বললে কেউ তাকে চিনবে না। কিন্তু যদি বলা যায় বেখেয়ালি দীনু তবে সবাই এক ডাকে চিনে যাবে তাকে। আসলে এই দীনু নিজেকে সবজান্তা পন্ডিত মনে করে। ও যেটা জানে সেটাই ঠিক, যদি কেউ ওকে এ বিষয়ে বোঝাতে আসে তবে তা উলু বনে মুক্ত ছড়ানোর মত। ওর এই স্বভাবের জন্য কোন কিছু করলে শেষে সে কাজের জন্য হাসির পাত্র হয়ে যায় এবং শেষে সেই কাজটি যে সে ভুল করেছে সেটা ঢাকতে একটা যুক্তি, ঠিক খাড়া করে বসে।

এই তো সেদিন পাড়ার দুর্গা পুজা তে মহিষাসুর মর্দিনী চালাতে গিয়ে চালিয়ে ফেললো পান্নালাল ভট্টাচার্য এর শ্যামা সঙ্গীত। পরে সবাই ভুলটা বোঝাতে গেলে, ও বললো আরে এগুলো তো সব ঠাকুর কেন্দ্রীয় গান। আর তোরা তো জানিস ভগবান এক। তার রূপের প্রকাশ শুধু ভিন্ন। সব কিছু তাকেই তো নিবেদন হচ্ছে। তারপর সেদিন একটা বিয়ে বাড়ীতে বিয়ের নহবতের ক্যাসেট চালাতে গিয়ে চালিয়ে ফেললো শ্রাদ্ধের মন্ত্র ক্যাসেট। শেষে ও বললো শ্রাদ্ধের ক্যাসেটে কে নহবত লিখে রেখেছে! ও শুধু শেষ দুটি শব্দ পড়েছিল । আসলে ওখানে ক্যাসেটের গায়ে হাতির ছবি ছিল তার নীচে লেখা ছিল ঐরাবত কিন্তু ঐরা কথা টা মুছে গিয়েছিল!

এহেন বিশু পাড়ায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র এর জন্মদিনে একটা জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতে মঞ্চে উঠলো সে। করতালিতে চারিদিক ফেটে পড়লো। বিশু শুরু করল- সুভাষ বাবু আমাদের দেশের গর্ব। তিনি,১৮৯৭সালে জন্ম নেন কটকে। মোটামুটিভাবে শুরু টা ঠিক করলেও মাঝে বেখেয়ালের বশে বলে ফেললেন, পাড়ার সুভাষ দাসের কথা যে কিনা একজন ভোজন রসিক ছিল। বিশু চোখ বুজে বেশ আবেগ দিয়ে বলতে থাকলো ” সুভাষ বাবু খুব ভোজন রসিক ছিলেন। ভীষন পেটুক। শেষ পাতে তার মিষ্টি দই না থাকলে চলতো না। বেশ প্রিয় খাবার ছিল ওনার দই।” এভাবে বক্তৃতা দিয়ে নামার সময় সবাই বিশুর ভুলটা ওকে বোঝাতে গিয়ে ও বললো “আরে তোরা কি কখনো ভেবেছিস সুভাষ বোস আমাদের মতো তো মানুষ ছিলেন। দই কি তিনি খেতে পারেন না।” সেই যুক্তিতেই সবাই চুপ করে গেলাম।

প্রেরক- Tapas Chanda

সেরা মজার গল্প
সেরা মজার গল্প
পড়ুনঃ- সেরা কয়েকটি ফানি গল্প

বেস্ট হাসির গল্পঃ-

পাড়ার নগেনবাবু, কানে কালা নাকি এক কথা বললে অন্য কথা শোনেন বোঝা মুশকিল। কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে, ভালো আছেন? তো উনি শুনবেন কালো হয়ে যাচ্ছেন আর বলবেন, কালো কোথায় হচ্ছি, আজব বলেন তো মশাই। কত ধবধবে সাদা রং গায়ের। চোখে কি ন্যাবা নাকি!

আবার যদি কেউ কেউ বলে, ‘আপনার বাতের ব্যথা কি একটু কমেছে’, তো উনি শুনবেন, ‘আপনি কি বাবা হতে চলেছেন’ আর অমনি লাজুক হাসি দিয়ে বলবেন, কি যে বলেন, ঘাটে যাবার বয়স হতে চলল আর এখন বাবা হব। বাবা তো আমার ছেলেপুলেরা হবে!

বাজারে বেরিয়েছে নগেনবাবু। দামদর কষছেন। দোকানদার সাংঘাতিক ভাবে না চেঁচিয়ে হাতে দামের লিস্টটা ধরিয়ে দেয়। নগেনবাবু মুখ বেঁকিয়ে বলেন, “এই ছোকরা, তোমার বাবার সাথে বসে আমি চা খাই তাই ভেবেছ কাকার কাছে আবদার করবে, তা হবে না। দাও দাও একটু কম দামে। বেশি দাম নিলে তোমার বাবা কষ্ট পাবেন।

“ওহ ! কাকা, আপনি কালা ছিলেন জানতেম, এত কিপটেও যে তার সাথে এটা তো জানতাম না।” দোকানদার বলে ওঠে কথাটা।
“কি বললে, আমি কালা!” রেগে বলে ওঠেন নগেনবাবু ।
নগেনবাবু কোনো কথা শুনতে পাক বা না পাক, কেউ ‘কালা’ বললে তড়াক করে উঠে বসেন। বলেন, “তোমার তো সাহস কম নয় বাপু, তুমি আমাকে কালা বলছ, দাঁড়াও তোমার বাবাকে বলতে হবে যে, ছেলে প্রেমিকার জন্য খদ্দেরের কাছে বেশি টাকা নিয়ে জিনিস দিচ্ছে। তোমার মজা দেখাচ্ছি।”

“না না কাকা এসব বলবেন না, বাবা বার করে দেবে বাড়ি থেকে”- বলে ছোকরা।
নগেনবাবুর কানে আসে, “বাবা নারকেল পেড়ে দেবে।”
তাই বলে ওঠেন, “হতচ্ছাড়া এখন নারকেলের সময়! তোর পড়াশোনাতেও অবনতি হয়েছে। দাঁড়া তোর বাবাকে গিয়ে বলব সব।”
“রক্ষে করো কাকা, তুমি বিনামূল্যে নিয়ে যাও বাজার”- এই কথা বলে ব্যাগ ভর্তি করে বাজার ধরিয়ে দেয় ছোকরা তার সাথে।
নগেনবাবু সব ভালো করে দেখে বলে, “ঠিক আছে তোর বাবার সাথে বসে চা খাই বলে কিছু বললাম না। চলি রে, বুঝলি, আবার আসব পরে।”

এইভাবে চলতে থাকে সবার দিন। নগেনবাবুর স্ত্রী অতিষ্ঠ হয়ে বলে, “তোমার সাথে আমার বিয়ে আমার বাড়ির লোক যে কেন দিয়েছিল বুঝি না! মানুষ কানে শোনে না ঠিক আছে, মানা যায়, কিন্তু তোমার ভুলভুল শোনার চক্করে আমিও না কোনদিন পাগল হয়ে যাই!

নগেনবাবু গোটা কথাটা কি শুনেছে বুঝে যাবে তার উত্তর শুনে। তিনি বলেন, “রাগ করছ কেন গো, তোমাকে হানিমুনে নিয়ে যাইনি কেন তা কি তুমি বোঝো না, পাছে অন্য লোকের নজর পড়ে যায় বা তোমার যদি অন্য কাউকে পছন্দ হয়ে যায়। তাই তো তোমাকে আমি একটা ছাগল উপহার দেবো ভেবেছিলাম। কিন্তু তুমি রামছাগল না লক্ষণছাগল চাও, তা তো বলোনি, তাই আর কেনাও হয়নি, রাগ করে না সোনা।”

বৌ রেগে গিয়ে দুমদাম জিনিস ফেলে চলে যায় ঘর থেকে।

একদিন নগেনবাবুর সত্যিই কানে সমস্যা কিনা পরীক্ষা করতে বুবলু আর ওর বন্ধুরা একটা পরিকল্পনা করে আর গোটা পাড়াকেও জানায়। ওরা ঠিক করে নগেনকাকু কে দেখতে পেলেই ওরা না দেখার ভান করে নগেনকাকুকে জব্দ করা নিয়ে আলোচনা করবে। যেই ভাবা সেই কাজ। বুবলু একটা মাঠে ওর বন্ধুদের জড়ো করে অপেক্ষা করে নগেনকাকুর জন্য। আর বাকিরা এদিক ওদিক লুকিয়ে দেখে।

অনেক ক্ষণ ধরে অপেক্ষা করার পর দূর থেকে দেখে নগেনকাকুকে দেখা যাচ্ছে। নগেনকাকুকে দেখেও না দেখার ভান করে ওরা। তিনি যখন অনেকটা কাছাকাছি তখন ওরা বলাবলি শুরু করে, “নগেনকাকুকে জব্দ করতে হবে।”
এই কথা শুনে থমকে যায় নগেনবাবু। একটু আড়ালে গিয়ে শুনতে থাকে ওদের কথোপকথন।
বুবলু বলে, “নগেনকাকা হেব্বি শয়তান। রতনদার কাছ থেকে গতসপ্তাহে বিনা পয়সায় বাজার নিয়ে গেছে। লোকটা খুব জালিয়াত, জব্দ করতে হবে। বুড়োর ঠ্যাং যদি না ভেঙেছি তো আমার নামও বুবলু নয়।”

“হুম, বুড়োটা হেব্বি ধড়িবাজ! ওটাকে জব্দ করতেই হবে।” সকলে বলে ওঠে।
নগেনবাবু আর থাকতে পারল না। চেঁচিয়ে বলে ওঠে, “আমাকে জব্দ করবি তোরা, দাঁড়া তোদের বাবাকে…” এতটা বলে থেমে গিয়ে জিভ কাটল। কারণ তার নিজের কালা গিরি ধরা পড়ে গেল নিজের জন্যই।

সবাই এদিক সেদিক থেকে বেরিয়ে এলো। আর সবাই বলল, “বাঃ নগেনদা ,এইবার দেখছি সব কথাই ঠিক ঠিক শুনেছেন, আপনি তো দেখছি কালা নন, কালারও উপরে। প্রণাম মহারাজ, নগেন ধড়িবাজ”

sera mojar golpo
sera mojar golpo
পড়ুনঃ-  স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস

প্রেমিক প্রেমিকার মজার কথোপকথনঃ-

প্রেমিকা : আচ্ছা শোনো, তুমি তোমার অবস্থার পরিবর্তন করো, তারপর বিয়ের জন্য ভাবো।
প্রেমিক: অবস্থা, কেন অবস্থা তো ঠিকই আছে।
প্রেমিকা: না মোটেও ঠিক নেই। তুমি নিজের অবস্থা পরিবর্তন করো।
প্রেমিক: জান, তুমি আমাকে বদলাতে বারণ করে আমার অবস্থাকে বদলাতে বলছ?

প্রেমিকা: বাজে কথা বন্ধ করো, তুমি চাকরি বাকরির চেষ্টা করো, এই অবস্থার কথা বলেছি।
প্রেমিক: আরে তুমি শোনোনি, মাধ্যমিক পাশে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি! আর মাধ্যমিক ফেলে তো লোকে ডিরেক্ট নেতা, মন্ত্রী বা একেবারে কেন্দ্র সরকারই হয়ে যায়। তুমি তো মাধ্যমিক পাশ করেছ, দেখবে তোমাকেই আমার আন্ডারে কাজ করতে হচ্ছে! আর তা যদি না হয় কিচ্ছু চিন্তা কোরো না, আমি নিজেকে কখনো বদলাবো না, তোমার কথা আমি কি ফেলতে পারি, তুমি আমাকে বদলাতে বারণ করেছ তাই আমি বদলাবো না, সুতরাং অবস্থা বদলানোর কথার প্রশ্নই ওঠে না। তুমি তোমার মতো চাকরি করবে আর আমি চাকরির সন্ধান করে যাবো, যেমন এখন করছি।

ফানি গল্প
ফানি গল্প
<

প্রেমিকা : খুব তো আমার কথা রাখার ধুম পড়েছে দেখছি, আমি যা বলব তাই রাখবে?
প্রেমিক : নিশ্চ্য়ই জান, তবে তুমি প্রথমে যা বলবে সেটাই রাখব, কথা পাল্টালে সেই দ্বিতীয় বারের কথাটা রাখব না ।
প্রেমিকা : আচ্ছা বেশ, আমি তোমাকে বদলে যেতে বারণ করেছি, এক্ষেত্রে আমি কিছু বলছি না। কিন্তু আমি তোমাকে ব্লক করে দিচ্ছি , তুমি আমাকে হোয়াটস অ্যাপ এ তোমার ঐ নম্বরটা থেকেই মেসেজ পাঠিয়ে দেখাও, এটা তো আমার দ্বিতীয় বার বলা কথা নয়, তাহলে নিশ্চয়ই পারবে!

প্রেরক- সুস্মিতা গোস্বামী

আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে কলম ধরেছেন যিনি-
আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক গ্রুপ- গল্প Junction 

ফেসবুক- ছাড়পত্র 

টেলিগ্রাম- CharpatraOfficial 

WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২) 

“সেরা মজার গল্প। ফানি গল্প। sera mojar golpo”

Spread the love

Leave a Reply