কয়েকটি মজার বাংলা ফানি গল্প আজ নিয়ে আসা হয়েছে। এই ফানি গল্প গুলির প্রতিটি আপনার মন ভালো করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই মজার কমেডি গল্প সম্পর্কিত আপনার মতামত অবশ্যই জানাবেন।

ফানি গল্প। কমেডি গল্পঃ-

সেরা ফানি গল্পঃ- ০১

আজ থেকে ৬৫ বছর ৬ মাস ৭ দিন পরের ঘটনা। অর্থাৎ ২০৮৭ সালের ঘটনা। দুনিয়া অনেকটাই বদলে গেছে। প্রযুক্তির সাথে সাথে উন্নত হয়েছে মেক-আপ ফান্ডেশনের ধরণেরও।

নিতু বাজারে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। যতটা সময় বাজার করতে লাগে না তার থেকেও বেশি সময় লাগে ওর ওই মেক-আপে। বাইরে প্রচণ্ড ধুলো। নিতু মুখ কাপড় দিয়ে মুড়ে নিল চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তার সাথে পছন্দের সেই গা-ঢাকা কাপড় পড়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। অবশেষে ৬৫ বছর বয়স্কা নিতু যখন তৈরি হল তখন তার চেহারা অনেকটা এরকম- পুরো মুখ ঢাকা, শুধু কাজল কালো সুন্দর চোখ দেখা যাচ্ছে। পড়নে রয়েছে সেই ফুল হাত যুক্ত টপ আর জিন্স।

কিছুদূর যাবার পড় তার মনে হল কেউ যেন তাকে অনুসরণ করছে। সে পিছন ফিরে দেখল একটি টিনেজার ছেলে তার পিছু নিয়েছে। কিন্তু তখনও বিষয়টা তাকে ভাবায়নি। বিষয়টা তাকে ভাবাল তখনই যখন সে দেখল ছেলেটা প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ওর পিছনেই ঘুরছে।

নিতু এবার ছেলেটাকে দেখে থেমে গেল। ছেলেটা এবার ভালভাবে নিতুকে দেখল। সে নিতুকে দেখেই ক্রাশ খেয়ে গেল, তার সেই সুন্দর কাজল টানা চোখ, এরকম ফ্লেক্সিবল বডি! এক কথায় উফফ এক্কেবারে সাক্ষাৎ পরী। বয়সের ভাঁড়ে নিতু যে নিস্তেজ হয়ে পড়েছে তা বোঝা গেল তার কথাতেই। সে ছেলেটির কাছে গিয়ে বয়স্ক জনিত কারণে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল- “বা আ আ বা তখন থে এ এ কেই দেখছি তুমি আমার পিছন পি ই ছন ঘুরছ। তুমি কি আমাকে লা ই ইন মারছ?“ এই কথাটি বলার পড়েই নিতু তার কাপড়ে ঢাকা মুখ খুলল।

Asian Paints এর আড়ালে চুনের কাজ দেখতে মোটেও প্রস্তুত ছিল না ছেলেটি। তার শরীর দিয়ে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল। এ কি জমানা এল রে বাবা! বুড়িও এখন এত্ত এত্ত মেক-আপ করে ঘুরে যে কে বুড়ি আর কে মেয়ে চেনাই দায়। তুই বুড়ি, তুই শাড়ি পরবি, সাধারণ ভাবে থাকবি, তুই জিন্স প্যান্ট আর টপ পড়বি কেন? কিন্তু ছেলেটি একটি কথাও বলল না।

বেকার বেকার সে ৩০ মিনিট এই বুড়িটার পেছনে ঘুরে নষ্ট করল। সে নিজেকে সামলে নিয়ে বলল- “না না ঠাকুমা আমি আপনাকে লাইন মারছি না, আমি আসলে আমার ৭০ বছর বয়স্ক বাবার জন্য একটা বউ খুঁজছিলাম আর কি!” এই কথা বলেই ছেলেটা চোঁ চোঁ দৌড় মারল।

ফানি গল্প bangla funny golpo
ফানি গল্প bangla funny golpo
পড়ুনঃ- মজার বড় গল্প- বিস্কুট রহস্য 

কমেডি গল্পঃ- ০২

এমন একটা সময় ছিল যখন গুরুজন দের সাথে সাথে শিক্ষকদেরও যথেষ্ট সম্মান দেওয়া হত। দায়িত্বের সাথে সবাই শিক্ষকের দেওয়া প্রতিটি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করত। ধীরে ধীরে সময় গড়িয়ে গেল। আর এই সময় যতই গড়িয়ে চলছে ততই শিক্ষকদের প্রতি যে সম্মান টা সেটা ফিকে হয়ে যাচ্ছে।

এটা ২০৮৭ সাল। সেদিন এক ছোট্ট ছেলে, বয়স বড়জোর চার বছর হবে, মা-বাবার সাথে স্কুলে ভর্তি হতে গেল। স্কুলে ভর্তি হবার সময় যেগুলি সাধারণত বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, প্রধান শিক্ষক মহাশয় বাচ্চাটিকে সেগুলিই জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন-

শিক্ষক- বাবু তোমার নাম কি?

সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটি জবাব দিল- “এই তুই কে, কোথাকার মাল তুই? তোকে নাম বলতে যাব কেন?

বাচ্চাটির বাবা ছেলেটিকে বলল- “বাবু এই ভাবে কথা বলে না। ভালভাবে কথা বল।“

বাচ্চাটি এবার নরম সুর করে বলল- “আপনি কে, আপনি কোথাকার মাল? আমার নাম জেনে কি করবেন?”

শিক্ষক বুঝলেন এই বাচ্চাটা অনেক পাঁজি। এর সঙ্গে ভালভাবে ডিল করতে হবে। বাচ্চাটির বাবা বাচ্চাটিকে বকতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শিক্ষক তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন- “আপনি আর একটিও কথা বলবেন না। আমি বলব ওর সাথে কথা।“

শিক্ষক- “স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য তোমার নাম টা তো বলতে হবে, বাবা!”

বাচ্চাটি- “আপনার সামনেই তো আমার Documents রাখা আছে, খুলে দেখে নিন না, খামোখা নকশা মারছেন কেন? “

একটা চার বছরের বাচ্চার কাছে এরকম জবাবা আশা করেননি শিক্ষক। তিনি মনে মনে বললেন, এই বাচ্চাটা তো মহা ডেপু!

শিক্ষক- “ও হ্যাঁ তো, আমি ভুলেই গেছি, ও তোমার নাম চিঙ্গারি! তা এরকম অদ্ভুত নাম কে রাখল তোমার?”

বাচ্চাটি- “তা জেনে আপনি কি করবেন মশাই?”

শিক্ষক- “আচ্ছা, তুমি ABCD পারো।“

বাচ্চাটি- “হ্যাঁ পারি তো!”

শিক্ষক- “একটু আমাকে শুনিয়ে দাও তো?”

বাচ্চাটি- “কি শোনাব, রক সং, নাকি ডিস্কো?”

শিক্ষক- “ABCD শোনাও।“

বাচ্চাটি তার পকেট থেকে আইফোন ৫০X pro max বেড় করল এবং কম্যান্ড দিল- “হেই সিরি প্লে ABCD অন ইউটিউব।“

আচ্ছা ডেপু বাচ্চাতো!

কমেডি গল্প bangla comedy story
কমেডি গল্প bangla comedy story

শিক্ষক- “আমি তোমাকে ABCD শোনাতে বলছি।“

বাচ্চাটি- “কেন এই মোবাইলটি কি আপনার?”

শিক্ষক মাথা নাড়লেন। বললেন- “না”

বাচ্চাটি- “এই মোবাইলটিতে আমিই ABCD প্লে করেছি, আর আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট সিরি ABCD শোনাচ্ছে এতে আপনার ফাটছে কোথায়?”

শিক্ষক বুঝলেন, এই বাচ্চাটির বয়স চার হলে কি হবে, কথা কাঁটাকাটিতে ওর PhD করা আছে!

শিক্ষক- “আচ্ছা তোমার বাড়ি কোথায় বাবু?”

বাচ্চাটি- “বাড়ি কোথায় জেনে কি করবেন? মিষ্টি নিয়ে দেখা করতে আসবেন?”

শিক্ষক- “হ্যাঁ অবশ্যই দেখা করতে যাব।“

বাচ্চাটি- আপনার বাড়িতে কোনো বাচ্চা আছে?

শিক্ষক- “হ্যাঁ তোমার মত সুন্দর দুষ্টু একটা মেয়ে আছে আমার।“

এটি শুনে বাচ্চাটি কিছুটা নরম হয়ে বলল-

“ঠিক আছে ঠিক আছে, এত্ত করে বলছেনই যখন আমার বাড়ি কোথায়, বাড়ির ঠিকানাটা জানিয়েই দিই, তবে একা আসবেন না। আপনার মিষ্টি মেয়েটাকেও সাথে নিয়ে আসবেন।“

বাচ্চাটির ছোট মুখে এই ধরণের বড় কথা শুনে শিক্ষক বেজায় রেগে গেলেন। কিন্তু তিনি রাগ সামলে নিলেন, কারণ বাচ্চাটিকে স্কুলে ভর্তি না করাতে পাড়লে তার যে ইনকাম কমে যাবে।

বাচ্চাটি- “আচ্ছা আপনার স্ত্রী আছে?”

শিক্ষক- “হ্যাঁ আছে তো! সে আর কোথায় যাবে!”

মজার গল্প mojar golpo
মজার গল্প mojar golpo
<

বাচ্চাটি- “আমার বাড়িতে আসবেন যখন, আপনার স্ত্রীকেও নিয়ে আসবেন। বুঝলেন তো, মানে বাবা-মা প্রায়ই ঝগড়া করে- “তোমার ভাগ্য ভালো যে আমি তোমাকে বিয়ে করেছে, না হলে তোমার থেকেও কত ভালো ভালো সম্বন্ধ আসত আমার জন্য!”

তাই আপনার বউ আমার বাবার সাথে, আপনি আমার মায়ের সাথে, আর আপনার মিষ্টি মেয়ে, মানে মানে বুঝতেই পাড়ছেন কি বলতে চাইছি!

শিক্ষক, এই অকাল পক্ক বাচ্চাটিকে কিভাবে বাগে আনবেন কিছুতেই বুঝতে পাড়ছেন না। এদিকে বাচ্চাকে ধমকও দেওয়া যাচ্ছে না, কারণ যদি এই স্কুলে ভর্তি না হয়ে তারা অন্যত্র চলে যায়! এই বাচ্চার সাথে পাঙ্গা নিয়ে আচ্ছাই ঝামেলায় পড়েছেন শিক্ষক!

To be continued…

বুঝলেন তো এটা ২০৮৭ সাল বস।।

পড়ুন আর মজা নিনঃ- সেরা কয়েকটি হাসির গল্প 

বাছাই করা হাসির জোকস

পড়ুন মজার মজার সব হাসির গল্প

© all copyright reserved by charpatra.com, you don't have the right to use this content for making videos or so on. Take permission from charpatra.com admin. Either legal option will be taken by team.  

আপনার লেখা গল্প প্রকাশিত হোক ছাড়পত্রের পাতায়। আমাদের Mail করুন- charpatrablog@gmail.com -এ

আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন যেভাবেঃ- 

ফেসবুক গ্রুপ- গল্প junction

ফেসবুক- ছাড়পত্র

WhatsApp গ্রুপ- ছাড়পত্র (২)

টেলিগ্রাম- CharpatraOfficial

ফানি গল্প। কমেডি গল্প। মজার গল্প। হাসির গল্প। bengali best funny story.

Spread the love

Leave a Reply