নতুন কিছু মজার জোকস নিয়ে আজ আবারও চলে আসা, নতুন একটি ব্লগে। এই ব্যস্ত জীবনে একটু হাসির অনুভূতি জাগাতেই এই পদক্ষেপ। আশা করছি এই ফানি জোকস গুলি আপনাদের পছন্দ হবে।

MOJAR JOKES। বাংলা মজার জোকস

বাংলা MOJAR JOKES PART 01:-

সময় বদলেছে, বদলেছে ইমোশোন প্রকাশ করার ভঙ্গিও। মোবাইল আসার আগে, কারও ব্রেকআপ হলে, তার ফটো ছিঁড়ত। আর এখন কাঁপল পিক থেকে নিজের পিকটা ক্রপ করে নেয়।


বাবা- তিন বছর একই ক্লাসে আছিস। এবার যদি তুই ফেল করিস, আমার আর তোর মধ্যে সম্পর্ক শেষ।

পরীক্ষার রেজাল্ট বেড় হওয়ার পড়—

বাবা- কিরে তোর রেজাল্টের কি খবর?

ছেলে- এই তুই কেডা রে, তোরে ঠিক চিইনতাছিনা যে!


শিক্ষক- আচ্ছা, ক্যাবলা বল তো ভাষা কাকে বলে?

ক্যাবলা- স্যার মনের ভাব প্রকাশ করার ভঙ্গিকেই ভাষা বলে।

শিক্ষক- ‘মনের ভাব’ এই মনের ভাব বলতে তুই ঠিক কি বুঝিস, উদাহরণ সহ আমাকে বোঝা।

ক্যাবলা- স্যার মনের ভাব মানে, মনের কথা। যেমন আমার মনে এখন ঘুর ঘুর করছে- ‘আরে ওই মাষ্টার বেশি প্যাঁচাল না করে, চুপচাপ পড়িয়ে চলে যা না। আর ওই বেতটা নিয়ে আসছস কিল্লায়?’ এই যে এই আমার মনের কথাটাকে বলে ফেললাম, এটাই এখন হয়ে গেল, ভাষা।

শিক্ষক- দাড়া তোর বাবার কাছে খবর পাঠাচ্ছি।


আগের দিন ক্লাসে শিক্ষকের কাছে থেকে প্রচুর বকাবকি শোনার পড়, পড়ের দিন, বল্টু তাদের বাড়ির গাধার একটা বাচ্চা সঙ্গে বেঁধে নিয়ে স্কুলে চলে গেল। বল্টুর এরকম কীর্তি কলাপ দেখে শিক্ষক মহাশয় বেজায় রেগে গেলেন।

শিক্ষক- কিরে বল্টু তুই কি পাগল নাকি, গাধাকে সঙ্গে করে স্কুলে নিয়ে এসেছিস কেন?

বল্টু- স্যার আপনিই তো কাল আমাকে বললেন, আপনি নাকি অনেক গাধাকে মানুষ করেছেন। তা বলছি কি, আমার এই গাধাটাকেও মানুষ করে দিন না, বাড়িতে আমাকে বাবা আমাকে দিয়ে বেজায় কাজ করায়, আর এই গাধাটাকে যদি আপনি মানুষ করে দেন, তাহলে আমার সব কাজ আমি ওকে দিয়েই করাব।

MOJAR JOKES. BANGLA FUNNY JOKES
MOJAR JOKES. BANGLA FUNNY JOKES

আমাদের পাড়ার ছেলে ক্যাবলা, এই প্রথম মাইক্রোসফটের একটা সদ্য রিলিজ হওয়া ল্যাপটপ কিনেছে। কিন্তু তার ল্যাপটপে নাকি প্রচুর সমস্যা। তাই সে ঠিক করল, মাইক্রোসফট এর CEO বিল গেটস কে ই-মেল করবে। সে লিখল-

“নমস্কার বিল চাচা, আশা করি ভালো আছেন। আমি গতকাল আপনার কোম্পানির একটা ল্যাপটপ কিনেছি কিন্তু, এতে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে।“ এরপর সে ই-মেল সেন্ড করে। কিছুক্ষণ পড় রিপ্লাই আসে- “অনুগ্রহ করে, আপনার সমস্যার কথা বিস্তারিত জানান”

এরপর ক্যাবলা আবার রিপ্লাইয়ে লিখল- “আপনারা এত বড় একটা কোম্পানির মালিক, আর ABCD শিখেন নাই? সবার প্রথমে A তারপর B হয়, কিন্তু আপনারা তো, QWERTY দিয়ে শুরু করেছেন। এখনও সময় আছে ABCD শিখুন।

ল্যাপটপে On করার বোতাম তো আছে, কিন্তু OFF করার বোতাম নাই। বিশ্বাস করুন, যেদিন থেকে ল্যাপটপ কিনেছি, Off করার বোতামের অভাবে ল্যাপটপ বন্ধ করতে পাড়ি নাই। এখনও ল্যাপটপ অন আছে। আমার মনে হয়, আপনারা বোতাম দিতে ভুলে গেছেন।

ল্যাপটপে Ms. Office দেখতে পেলাম, কিন্তু Mr. Office দেখতে পেলাম না। হু সব বুঝি আমি, শুধু মেয়ে বাজি তাই না আপনাদের!

ল্যাপটপে মাঝে মাঝে Close the Window লেখা আসে। কিন্তু আমার বাড়ির জানালা খোলা আছে নাকি বন্ধ আছে, সেটা ল্যাপটপ কিভাবে জানছে? আপনারা আমার ল্যাপটপ হ্যাক করেননি তো?

মাঝে মধ্যেই লেখা আসে- “press any key to continue” কিন্তু আপনারা ল্যাপটপে Any Key টা দিতে ভুলে গেছেন। ওটা কোথাও খুঁজে পেলাম না।

অবশেষে আরেকটা কথা। ল্যাপটপে Control নামে একটা বোতাম আছে, এটার মাধ্যমে কি কন্ট্রোল করতে বলছেন আপনারা? দেখুন আমি আপনাদের মত, মেয়ে বাজি করি না। কি কন্ট্রোল করতে বলছেন, আমার জবাব চাইই চাই।

আশা করছি আমার প্রশ্ন গুলির অতিশীঘ্র উত্তর পাব। আপাতত, আমাকে ল্যাপটপ বন্ধ করার বন্ধ করার বোতাম টা পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে দিয়ে পাঠান।


পড়ুনঃ- 18 টি জোকস। নতুন মজার জোকস

বাংলা MOJAR JOKES PART 02:-

ক্যাবলার বাড়িতে অনেক অশান্তি। প্রথমে বিয়ে করব বিয়ে করব বলে পাগল হয়ে গেছিল। এখন বউয়ের সাথে শুধুই ঝগড়া করে। একদিন ১ বেজে গেলেও ক্যাবলা তার বাড়ির দরজা খুলছে না দেখে পাড়ার সবার সন্দেহ হয়। বউ বাড়িতে ছিল না, ঝগড়া করে আগের রাতেই বাপের বাড়িতে চলে গেছিল। খবর শুনে সেও পড়িমরি করে ছুটে এল।

সবাই মিলে দরজা ভেঙ্গে  ক্যাবলার ঘড়ে ঢুকে দেখল, ক্যাবলা কোমরে দড়ি বাঁধছে। সবাই প্রশ্ন করল- “আরে কি ব্যাপার আমরা এত ডাকছি, তবুও সাড়া দিচ্ছ না, আর কোমরেই বা দড়ি বাধছ কেন?

ক্যাবলা- আমি মরতে চাই, আমি ফাঁসী লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে চাই।

উপস্থিত লোকগুলির মধ্যে একজন বলে উঠল- ফাঁসী লাগাবে তো কোমরে দড়ি বাধছ কেন? গলায় বাঁধো।

ক্যাবলা- প্রথমে সেটাই করেছিলাম ভাই, কিন্তু কিছুক্ষণ পড় দেখলাম দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাই এবার কোমরে দড়ি বেঁধে ঝুলে পড়ব। যাও যাও তোমরা আমাকে বিরক্ত করো না।

বাংলা মজার জোকস। ফানি জোকস
বাংলা মজার জোকস। ফানি জোকস bengali mojar jokes

আমার সাদা মনে কোনো কাঁদা নেই, সেটা আমি আগেও বলেছি।

একবার আমাদের বন্ধুদের মধ্যে আলোচনার মাঝেই আমের প্রসঙ্গ এসে গিয়েছিল। আমি বললাম- “আমার পিসির বাড়ির তিনটা আমেই এক কেজি হয়ে যায়।“

এটা শুনে আমার এক বন্ধু বলে উঠল- “হু এ তো সাধারণ, আমার মামার বাড়ির আম সে কি আর বলবো রে ভাই, দুইটা আমেই এক ডজন হয়ে যায়।“


কয়েকদিন আগেই আমাদের পাড়ার ক্যাবলার অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। এখন সে মোটামুটি সুস্থ। কিন্তু কিছুক্ষণ পড় পড়ই সে শুধুই কেঁদে উঠছে। এটা দেখে আমি জিজ্ঞাসা করলাম-

আমি- হ্যাঁ রে, ক্যাবলা এত কাদছিস কেন? তুই তো এখন প্রায় ঠিকই হয়ে গেছিস।

ক্যাবলা- সাধেই কি আর কাদছি ভাই। ভয়ে কাদছি। কারণ যে গাড়ির সঙ্গে আমার অ্যাকসিডেন্ট হয়েছিল সেই গাড়ির পিছনে লেখা ছিল- “আসি বন্ধু আবার দেখা হবে।“

আমি- তাতে কি হয়েছে।

ক্যাবলা- আমার আবার সেই গাড়িটার সঙ্গে অ্যাকসিডেন্ট হবে, কারণ “আবার দেখা হবে” বলেছে। ব্যাটা ধাক্কা মেরে আবার বন্ধুও বলছে।


কয়েকদিন থেকেই ক্যাবলার মাথায় গণ্ডগোল দেখা দিয়েছে। সে এক ডাক্তারের কাছে গেল। কথায় কথায় সে ডাক্তারকে বলল- “আচ্ছা ডাক্তারবাবু, আপনি কতদূর পড়াশোনা করেছেন?”

ডাক্তার বলল- “দীর্ঘ ১৫ বছর পড়াশোনার জগতে থাকার পড় আমি সামনের বছরেই B.A পর্যন্ত পড়েছি।”

এটা শুনে ক্যাবলা হাঁসতে লাগল। ডাক্তার তার হাসার কারণ জিজ্ঞাসা করল। ক্যাবলা বলল- “দীর্ঘ ১৫ বছর পড়াশোনা করে, সবে মাত্র দুটি শব্দ শিখেছেন, তাও আবার উল্টো।”


আমাদের পাড়ার নটু কাকা, হেব্বি সাদা-সিধে মানুষ। যে কেউ তাকে ঠকায়। কিন্তু ইদানিং দেখছি তিনি অনেক চালাক হয়ে গেছেন। এই তো সেদিনের কথা। দেখি তিনি একটি নতুন টিভি কেনার জন্য দোকানে গেছেন। একটা টিভি নিয়ে জলে দিলেন ডুবিয়ে। এটা দেখে দোকানী রেগে গিয়ে বললেন- “আরে মশাই এ কি করছেন?”

কাকা- “আপনি তো বললেন, এটি নাকি রঙিন টিভি তাই জলে ডুবিয়ে দেখছিলুম আরকি রং উঠে যায় নাকি!”


শিক্ষক দিবসে একজন শিক্ষক মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন- “আজকাল শিক্ষকদের কোনো মানসম্মান নেই। তোমরা জানো শিক্ষকের স্থান কোথায়?” এটা শুনে বল্টু দাঁড়িয়ে বলে উঠল- “হ্যাঁ স্যার জানি, শিক্ষকদের স্থান হল আমার পিছনে।”

এই কথাটি শুনে শিক্ষক ভীষণ রেগে গেলেন। এরপর বল্টু বলল- “আমার বাবা আমাকে প্রায়ই বলেন, তোর পিছনে এত মাষ্টার লাগালাম, তবুও তুই মানুষ হলি না। সুতরাং, শিক্ষকের স্থান আমার পিছনে।” শোনা গেছে এই ঘটনার পড়, বল্টুকে টিসি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।


বল্টু নতুন একটি অফিসে চাকরি পেয়েছে। কিন্তু সে প্রথম দিনেই দেড়ি করে ফেলল। এটা দেখে অফিসের বস তাকে প্রশ্ন করল- “এত দেড়ি কেন হল?”

বল্টু- “না মানে, ইয়ে মানে স্যার….”

স- “আমাকে কি তোমার গাধা মনে হয়, ভাবছ কিছুই বুঝি না?”

বল্টু- “স্যার আপনি গাধা কি না আমি ক্যামনে কমু। আমি তো আজই নতুন আইছি।”

NEW BEST HASIR JOKES. বাংলা মজার জোকস
NEW BEST HASIR JOKES. বাংলা মজার জোকস image
<

যখন ট্র্যাফিকে গাড়ি আঁটকে যায়, তখন তাকে কি বলে?

– জ্যাম……!

আর যখন সেই আঁটকে থাকা গারিগুলি পুনরায় চলতে শুরু করে তখন তাকে কি বলে?  

-উম্ম জেলি হতে পাড়ে।

পড়ুনঃ- সেরা হাসির গল্প। 
টেলিগ্রামে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন- CharpatraOFFICIAL

For Facebook updates- গল্প আর গল্প

“MOJAR JOKES. BANGLA FUNNY JOKES. NEW BEST HASIR JOKES. বাংলা মজার জোকস। ফানি জোকস”

   

Spread the love

Leave a Reply