আজ আবার কিছু নতুন মজার জোকস নিয়ে আমরা হাজির। এখানে থাকছে কিছু স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস এবং কিছু ছাত্র শিক্ষক মজার জোকস।
নতুন মজার জোকস। 18 new bangla jokes
এক ভদ্রলোক প্রায় দুই বছর থেকে কোমাতে আছেন। দিনে মাত্র দুই-এক বার তার জ্ঞান ফিরে আসত। কিন্তু তার স্ত্রী কক্ষনোই তার স্বামীকে ছেড়ে যেত না। সবসময় তার বিছানার পাশেই বসে থাকত। এরকমই একদিন হঠাৎ করেই সেই ভদ্রলোকের জ্ঞান ফিরে আসে। তার জ্ঞান ফিরে আসতেই সে বলে-
– যখন আমার ব্যবসা লাটে উঠল তখনও তুমি আমার সাথে ছিলে।
-হুম
-এরপর আমি যখন চাকরিতে জয়েন করলাম, আর কিছু বছর পড় আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল তখনও তুমি আমার পাশে ছিলে।
-হ্যাঁ, অবশ্যই।
-এরপর যখন ধারের জ্বালায় আমাদের ভিটে মাটি বিক্রি করে দিয়েছিলাম তখনও তুমি আমার পাশে ছিলে।
-আরে বাবা হ্যাঁ।
এখন আমি দুই বছর থেকে অ্যাকসিডেন্টের কারণে হাত পা নাড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। এখনও তুমি আমার পাশে আছো।
-স্বামীর অসুস্থতায় স্ত্রীকে পাশে থাকা আবশ্যক।
-তো বলছি কি, প্লিজ এবার একটু আমায় রেহাই দাও। আমার কাছে খারাপ কিছু তখনই হচ্ছে যখনই তোমার কথা আমি শুনেছি। শুনেছি রাহু নামক গ্রহের কারণে অনেক ক্ষতি হয়, আমার জীবনে রাহু হয়ত তুমিই, প্লিজ এবার আমাকে একটু রেহাই দাও। আমাকে ছেড়ে তুমি চলে যাও প্লিজ রাহু।
ব্যাস আর যায় কোথা? স্ত্রীর এক কিলেই স্বামী আবার কোমায়।
জদুল পণ্ডিতের বয়স প্রায় 40 এর কাছাকাছি, কিন্তু সে এখনও অবিবাহিত। তার বন্ধুরা যখনই তাকে বিয়ে করার কথা বলে, তখনই সে বলে- “আরে ভাই, বিয়ে তো করব, কিন্তু বয়স টাতো হতে দে আগে। এখনও আমার বয়স হয়নি।“
তার বন্ধু- “এদিকে মাথার সব চুলে পাক ধরতে চলল, আর বলিস বয়স হয়নি?”
-“হ্যাঁ রে বন্ধু। উপরন্তু, যখনই আমি দাঁড়ি ছাঁটি, তখনই আমার মনে হয়, আমার বয়স যেন আরও পাঁচ বছর কমে গেল।“
– “তাহলে দাঁড়ি ছাঁটা তুই বন্ধ করে দে, কারণ এভাবে দাঁড়ি ছাঁটতে ছাঁটতে তোর বয়স এমন একটা পর্যায়ে কমে যাবে, যে তোকে কোলে তুলে ভাত খাওয়াতে হবে।“
ঝালং পাড়ার পালং পণ্ডিত, তারও সমস্যা অনেকটা জদুল পণ্ডিতের মতনই, কিন্তু একটু আলাদা। তার বয়স প্রায় 40+ কিন্তু বিয়ে হয়নি এখনও।
তার বন্ধু-“হ্যাঁ রে পালং বিয়ে-টিয়ে করবি, কবে?”
-করব ভাই বিয়ে করব।
– “তোর ব্যাপারটা কি বলত, তুই কি কোনো ভালো মেয়ের সন্ধানে আছিস, নাকি তুই সারাজীবন এভাবেই কাটাবি? দুনিয়াতে এত্ত মেয়ে একজনকেও কি তোর পছন্দ হয় না?”
“ভাই বিয়ে করতে তো চাই।“
-“তাহলে তুই বিয়ে করছিস না কেন? তুই কি এখনও ভালো মেয়ে পাচ্ছিস না”?
-না রে ভাই, ভালো মেয়ে তো অনেক পেয়েছি, একবার এক মেয়েকে পছন্দ করে, বাড়ির সবার সাথে দেখাও করিয়েছিলাম। কিন্তু সেই মেয়েটি মায়ের পছন্দ হয়নি। আর সেই থেকে এখন পর্যন্ত আমি মেয়ে খুজেই যাচ্ছি।“
– “তাহলে, এক কাজ কর না, তোর মায়ের পছন্দের মেয়েকে নিয়ে আয়।“
-“নিয়ে এসেছিলাম ভাই, বাবার পছন্দ হয়নি, কারণ মেয়েটা নাকি, অনেকটা মায়ের মত দেখতে।“
– “তাহলে বাবার পছন্দের মেয়ে নিয়ে আয়।“
– “সেটাও এনেছিলাম ভাই, বোনের পছন্দ হয়নি, কারণ মেয়েটা নাকি, অনেকটা আমার ঠাকুরমার মত দেখতে।“
– তাহলে বাবা-মা-বোন সবার পছন্দের মেয়ে নিয়ে আয়।“
-“সেটাও এনেছিলাম ভাই, কিন্তু পাড়ার বিষ্টু কাকিমা, বলে মেয়েটা নাকি আমার বোনের মত দেখতে। বউ কে বোন বানিয়ে দিল, মনটা অনেক ভেঙ্গে গেল ভাই।“
-“থাক তোকে আর বিয়ে করতে হবে না, তুই এমনিই ঠিক আছিস।“
বল্টু তার বন্ধুদের সাথে মন্দিরে গেল। সবাই নাকি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে।
প্রার্থনা শেষে সবাই বাড়ি ফিরছে।
বল্টু- “তুই ঈশ্বরের কাছে কি চাইলি, নান্টূ?”
নান্টু-“আমি চাইলাম, আমি যেন পড়ের জন্মে আবার মানুষ হয়ে জন্মাতে পাড়ি। তুই কি চাইলি?”
বল্টু-“আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম, আমি যেন পড়ের জন্মে আরশোলা হয়ে জন্মাতে পাড়ি।“
নান্টু- “এটা আবার কেমন কথা?”
বল্টু-“আরে বন্ধু এ জনমে তো আর হল না, পড়ের জনমে আরশোলা হয়ে আমার বউকে হেব্বি ভয় দেখাব, কারণ সেই ডাইনিটা শুধু আরশোলাকেই ভয় পায়।“
সানু দোকানে গিয়ে- “প্লিজ আমাকে, ঘুমের ওষুধ দিন।“
দোকানী-“ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া আমরা ওষুধ বিক্রি করি না। তাও আবার এরকম ধরনের ওষুধ।“
সানু দোকানীকে তার বিয়ের কার্ড দেখাল।
দোকানী- “আরে বসস কর ভাই, রুলায়েগা কেয়া?”
ছেলে home-work করছে। কিছুতেই Happiness –এর আরেকটা সমার্থক শব্দ খুঁজে পাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই সে তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করল।
বাবা- “আরে এ তো একদম সোজা, Happiness –এর সমার্থক শব্দ আমি দুইটা বলছি যেকোনো একটা লিখে ফেল- Single, Un-married.
কথা শেষ হতে না হতেই, পিছন থেকে একটা গ্লাস দ্রুত এসে বাবার মাথায় লাগল।
এক স্বামী স্মৃতি-চারণ করছে—-
“যখন আমরা রিলেশনশিপে ছিলাম, আমি কথা বলতাম আর সে শুনত, এরপর যখন সে আমার পরিণীতা হল, সে কথা বলত আর আমি শুনতাম। আর এখন সে আমার বউ, আমরা দুইজনে কথা বলি, আর পাড়ার প্রতিবেশীরা শোনে।“
স্বামীদের জীবনটা অনেকটা একটা ওয়েব-সাইটে প্রবেশ করার আগে আসা নিয়ম ও শর্তাবলীর মতন- কেউই পড়ে না ঠিকই কিন্তু, বাধ্য হয়েই সবাই accept করে নেয়।
রুটি বানাতে বানাতে মোবাইল ঘাঁটছিল স্ত্রী, কিন্তু মোবাইলে বেশি মনোযোগ দিয়ে ফেলায় রুটি জ্বলে যায়, এরপর স্ত্রীর বক্তব্য-
“এই শোনো আজ আমি, খুবই সুন্দর দেখতে লাগছি, তাই না?”
-“তুমি কিভাবে জানলে?”
-“কারণ আমাকে দেখে রুটিও জ্বলছে, এই দেখো।“
পড়ুনঃ- স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস। হাসির কৌতুক
স্বামী- “আমি তোমাকে কিছু বলতে চাইছি, যদি অনুমতি দাও, তাহলে বলে ফেলি।“
স্ত্রী- “উঁহু খাওয়ার সময় কোনো কথা নয়”
খাওয়া শেষ হয়ে গেলে-
স্ত্রী-“হুম কি যেন বলতে চাইছিলে?”
স্বামী-“তুমি তো মোবাইল ঘাটতে ঘাটতে খাচ্ছিলে, তাই থালার দিকে নজর দাওনি, আমি বলতে চাইছিলাম যে, তোমার থালার মাংসে একটি আরশোলা মরে পড়ে আছে।“
স্ত্রী- “আমি কি পড়ে সেটা খেয়ে ফেলেছি?”
স্বামী-“হ্যাঁ, তুমি যখন হাঁতে উঠিয়েছিলে তখনই তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি বললে পড়ে বলতে, তাই বললাম না।“
স্ত্রী- ছি, ওয়াক ওয়াক…..
স্বামী- স্ত্রীকে ডেকে—-
“আমাদের এই ম্যারেজ সার্টিফিকেটে বিয়ের তারিখ তো খুঁজে পাচ্ছি, কিন্তু আরেকটা জিনিস খুঁজে পাচ্ছি না। দেখো তো তুমি খুঁজে পাও কি না।“
“কি খুঁজতে হবে বলো।“
“দেখো তো expiry date কোথায় লেখা আছে!”
শিক্ষকঃ- আজ তোমাদের কেমন কমন সেন্স আছে, তা যাচাই করব। বল্টু তুমি বল তো, তোমাকে যদি ২৫ বছরের মেয়ে এবং তোমার থেকে ২৫ বছরের বড় মেয়েকে বিয়ে করতে বলা হয় তাহলে তুমি, কাকে বিয়ে করবে?
বল্টুঃ- মহাশয় সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে, আপনার মেয়ে নাকি আপনার বউ, কে বেশি সুন্দর তার উপর।
শিক্ষকঃ- বাস এবং কণ্ডাক্টারের মধ্যে পার্থক্য কি? উত্তরে কিন্তু লজিক থাকতে হবে।
ছাত্রঃ- মহাশয়, যদি কণ্ডাক্টার ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে কারও টিকিট কাটতে হবে না, কিন্তু যদি ড্রাইভার ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে সবার টিকিট কাটা হয়ে যাবে।
বল্টু খুবই চিন্তিত আছে। তাকে চিন্তায় দেখে তার বন্ধু ঝণ্টূ বলল-
কিরে বল্টু এত চিন্তিত কেন?
– আর বলিস না ভাই, আমি বাড়িতে কল করে, বই কেনার নামে টাকা চেয়েছিলাম, যাতে আমার গার্লফ্রেন্ডকে ঘুরতে নিয়ে যেতে পাড়ি, কিন্তু আমার বাড়ি থেকে তো, বইই পাঠীয়ে দিয়েছে।
শিক্ষকঃ- পৃথিবীর এমন একটা জায়গার নাম বল, যেখানে তোমার আশেপাশে অনেক মানুষ থাকলেও, কেউই তোমাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে না।
ছাত্রঃ- উত্তর খুব সহজ, পরীক্ষার হল, আশেপাশে অনেকে থাকলেও, কেউই সাহায্য করে না।
ইতিহাস শিক্ষকঃ- আমরা জানি যে, অ্যালেকজান্ডার ও তার বাহিনী ঘোড়ায় ভারতে প্রবেশ করেছিল। আচ্ছা বল তো, অ্যালেকজান্ডার ভারতে প্রবেশ করার পর, প্রথমে কি করেছিল?
ছাত্রঃ- ঘোড়া থেকে নীচে নেমেছিল।
ছেলে পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছে,
বাবাঃ- কি রে, এত বড় গোল্লা পেয়েছিস কেন?
ছেলেঃ- না বাবা ওটা গোল্লা নয়, ওটা চাঁদ। আসলে কি জান তো বাবা, শিক্ষক সবাইকে নক্ষত্র গুলি দিয়ে দিয়েছে, আমার জন্য শুধু একটা চাঁদই পড়ে ছিল। সবাই নক্ষত্র পেলেও আমি একাই চাঁদ পেয়েছি। কারণ এই ব্রহ্মাণ্ডে চাঁদ শুধু একটাই। আর এটাই আমি পেয়েছি।
শিক্ষকঃ- তোমার বাবার বয়স কত?
ছাত্রঃ- আমার যত বয়স ততই।
শিক্ষকঃ- এটা কি ভাবে সম্ভব?
ছাত্রঃ- কারণ আমার জন্মের পরই তিনি বাবা হয়েছিলেন। তাই আমার যত বয়স আমার বাবারও ততই বয়স।
আমাদের টেলিগ্রামে আড্ডা দেওয়ার গ্রুপ :- https://t.me/charpatraOfficial
আমাদের সঙ্গে কিভাবে যুক্ত হবেন, সেই সম্পর্কিত ভিডিওর লিংক এই পেজের একটু নীচে পেয়ে যাবেন।
নতুন মজার জোকস। স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস। ছাত্র শিক্ষক মজার জোকস। BANGLA JOKES. NEW BANGLA JOKES.
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।