পুনর্মিলন শীর্ষক এই নতুন ভালোবাসার গল্প টিতে লেখিকা দেখানোর চেষ্টা করেছেন, ভালোবাসার মানুষের মঙ্গলের জন্য কিভাবে মূল চরিত্র দূরে সরে যায়। বিস্তারিত গল্পে-

নতুন ভালোবাসার গল্পঃ- পুনর্মিলন

প্রায় দুবছরের সম্পর্ক সুনীল আর কিরণের । মনের টান শত ঝগড়া, ঝামেলা, রাগ, অভিমান, খুনসুটি তে এতটুকু কমেনি। একে অপরের প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস আবার বাচ্চাদের মতো ঝগড়া সবটাই মিলিয়ে এক সুন্দর সম্পর্ক। 

প্রথম দেখাটা হয়েছিল একটা মেলায়। কিরণ খুঁজে পাচ্ছিল না ওর ব্যাগ। অনেককে জিজ্ঞাসা করেও পাচ্ছিল না কিছুতেই, অবশেষে সুনীল সামনে এসে বলে, এটাই মনে হয় আপনি খুঁজছেন, এইটা ওই বেঞ্চে ফেলে এসেছিলেন ভুলবশত, নিন। 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।  বলে কিরণ।

সুনীলের সাথে এরপর কাকতালীয় ভাবে দেখা হয় আরো অনেক জায়গায়। এমনকি সবচেয়ে চমকপ্রদ জায়গাটা হলো কিরণের কলেজের কয়েকটা বন্ধু বান্ধবীদের কোচিং সেন্টার এ পড়াতে দেখে। 

কিরণ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ছেলেটা পোস্ট গ্ৰ্যাজুয়েশন পড়ছে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে আর তার সাথে কোচিং এ পড়ায় কলেজ স্টুডেন্টদের। বাবা, মা আর  কাকা কাকিমার সংসারে ছোট থেকে সামাজিকতা আর বাস্তবতার সাথে  অনেক লড়াই করে, ব্যর্থ হয়ে আজ ছেলেটা এতদূর পর্যন্ত এসেছে। অসম্ভব মনোবল তার আর ইচ্ছে অনেক বড় হওয়ার কিন্তু বাবার রোজগার তেমন ছিল না বলে স্বপ্ন দেখতে খুব সঙ্কোচ হত । স্কুল, কলেজ আর ইউনিভার্সিটি চিরটা-কাল এই মেধাবী ছেলেটাকে ঊর্ধ্বে যাওয়ার জন্য সর্বদা সাহায্য ও অনুপ্রাণিত করেছে।

নতুন ভালোবাসার গল্প
নতুন ভালোবাসার গল্প valobasar golpo

কিরণও জেনেছিল ছেলেটা শুধু প্রথম ছাত্র নয় একজন প্রথম মানের শিক্ষকও । কিরণ অনেক বেশি বেশি করে খোঁজ নিতে শুরু করে সুনীলের ব্যাপারে। আস্তে আস্তে একটা ভালো লাগা তৈরি হয় তার মধ্যে কিন্তু বাইরে কাউকে কিছুই বুঝতে দিত না কিরণ। না, ছেলেটার এইসমস্ত ভালো গুণ নয়, ছেলেটাকেই ভালোবেসে ফেলেছিল কিরণ । তবে একটা কথা শুনে আপন মনে খুব রেগে যায় সে, কথাটা এইটাই যে কিরণের যেসব বন্ধুরা সুনীলের কাছে পড়ে তাদের মধ্যে সোমলতা বলে একটা মেয়ে সুনীলকে খুব ভালোবাসে আর সে সুনীলের চোখেও খুব ভালো একটা মেয়ে। 

কারণ ছাড়াই চটে যাওয়ার পর নিজের মনকে প্রশ্ন করে কিরণ চটে গেল কেন অচেনা একটি ছেলের জন্য , মন উত্তর দেয়, তুই সত্যিই ঐ অচেনা ছেলেটাকে ভালোবাসিস! 

হয়ত এটাই ছিল জীবনের প্রথম প্রেম কিরণের। সে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভালো করে ভরা-নজর রাখে সুনীলের প্রতি। সুনীল হয়ত কিছু বুঝতে পেরেছিল তাই হঠাৎ একদিন সে নিজেই সোমলতার মাধ্যমে কিরণের কাছে আসে ভালোবাসার প্রস্তাব নিয়ে। কিরণের সলজ্জ নীরবতাই সুনীলের হৃদয়ে কিরণের জন্য সিংহাসন তৈরি করে দেয়। 

একে অপরের প্রতি অনেক ভালবাসা, বিশ্বাস আর ভরসা বাড়তে থাকে। সুনীল কিরণের হাত ধরে বলে, তুমি কথা দাও তুমি কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না। 

পড়ুনঃ- মধ্যবিত্তের প্রেমের গল্প- সাইকেল 

এই কথা দিলাম, কোনোদিনও তোমাকে ছেড়ে যাবো না। 

বুকে জড়িয়ে ধরে কিরণকে সুনীল বলে, আমিও তোমাকে কখনো যেতে দেবো না আমাকে ছেড়ে আর আমিও তোমাকে ছেড়ে চলে যাবো না কখনো। আমি আমার বন্ধুদের জীবনে শুধু বিচ্ছেদ দেখি আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি সবসময় যেন আমাদের বিচ্ছেদ কখনো না হয়। তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি কিরণ, তোমাকে ছাড়া আমার বাঁচা সম্ভব নয়। 

কিরণ কেঁদে ফেলে আর সুনীল কে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে, খবরদার! এইসব কথা আর বলবে না বলে দিলাম! আমার জীবতাবস্থায় তুমি নামক সূর্য অস্ত যেও না আর তোমার আগে আমি মরব বুঝেছ!   

অনেক ভালোবাসা, একে অপরের খেয়াল রাখার মাঝে সাংঘাতিক ঝগড়াও হতো দুজনের। সুনীল পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অনেক সাহায্য করত কিরণকে।  

কিন্তু এত সুন্দর সম্পর্ক টা সুন্দর ভাবে চলতে চলতে হঠাৎ করেই যেন থেমে যায় এক চরম ঝড়ের বেগে ।

ভালবাসার গল্প
ভালবাসার গল্প valobasar golpo

অনেক চেষ্টা করেও ঝড়টা থামানো যায় না আর কিছুতেই। সবকিছু চুরমার করে দিয়ে কিরণের বিয়ে হয়ে যায় অরুণ নামক একজন ধনী পরিবারের শিক্ষিত ছেলের সাথে। 

শেষদিন সুনীলের সাথে দেখা করতে আসে কিরণ। চোখে জল দুজনেরই। একে অপরকে জড়িয়ে ধরেও ধরল না সেদিন কারণ তাদের মধ্যে অনেকটা দূরত্ব এখন। ভুল বোঝাবুঝি নাকি ভুল বোঝানো তা বলা সম্ভব নয়। হঠাৎ করেই কিরণ কেমন যেন এড়িয়ে যেত সুনীলকে, সুনীল জানত না তার কারণ কিন্তু কিরণ জানত যে সে যদি সুনীলের সাথে সম্পর্ক রাখে তাহলে সুনীলকে সবকিছু এমনকি তার জীবনটাও হারাতে হতে পারে।

কারণ এই সম্পর্ক টা কিরণ তার পরিবারের বিরুদ্ধে করেছিল আর কিরণের পরিবারের সাথে অনেক বড় নেতার যোগাযোগ আছে । সে জেনে গেছিল যে সুনীলের চরম ক্ষতি করতে তার পরিবার উঠে পড়ে লেগে গেছে। অনেক ঝগড়া করে সে। অনেক বোঝায়, অনেক কান্নাকাটি করে রাতের পর রাত সুনীলকে পাওয়ার জন্য কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই আশা তার সফল হয়নি। তাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে সে যদি সুনীলের সাথে সম্পর্ক রাখে তাহলে সুনীলের বাঁচার কোনো নিশ্চয়তা নেই। 

ডুকরে কেঁদে ওঠেছিল কিরণ এই কথা শুনে। পুলিশে নালিশ করেও লাভ হয়নি কারণ তার কথার মূল্য কেউ দেয়নি তাই অনেক চেষ্টার পর ব্যর্থ হয়ে সরে যায় সে সুনীলের জীবন থেকে।     

কারণ যেখানে কিরণের থাকার ফলে সুনীলের ক্ষতি হবে সেখানে কিরণ যদি চলে যায় তাহলে সুনীল ভালো থাকবে। সে কোনোদিন চায়নি সুনীলের ক্ষতি , সে তার ভালোবাসার মানুষটির ভালোর জন্য তার থেকে অনেক দূরে চলে যাবে কিন্তু তবুও তার কাছাকাছি থাকবে না। তাই ঠিক করল সে সুনীলকে দিনের পর দিন চরম অবহেলা করে তার থেকে দূরে সরে যাবে। সুনীলের মনে কিরণের প্রতি ঘৃণা জন্মালেই সুনীলও আর কষ্ট পাবে না কিরণ চলে গেলে। 

পড়ুনঃ- একটি অন্যরকম প্রেমের গল্প- সন্দেহ 

-কিরণ, তোমার জীবন টা অনেক সুন্দর হোক অরুণের সাথে। ছলছল চোখে শুভেচ্ছা জানায় সুনীল। 

-হুম ধন্যবাদ তোমাকে। 

-কেন আমার সাথে এমন করলে তুমি? 

-শোনো সুনীল আমি তোমার সাথে থাকতে পারব না। প্লিজ তুমি আমার সাথে আর যোগাযোগ রেখো না। 

-কেন রাখব না তোমার সাথে যোগাযোগ? রেগে গিয়ে সুনীল কিরণের চুলের বাঁধন ধরে বলে একথা। 

-রাখবে না মানে রাখবে না, ব্যস্ । সুনীলের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে ওঠে কিরণ। 

সুনীলের চোখে অভিমান। সে কিছুতেই ছাড়ে না কিরণকে। 

কিরণ বলে ওঠে, অরুণ নামক একজন ছেলের আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে সুনীল। তুমি আমাকে ভুলে যাও।   

-ভুলে যদি যাওয়ারই হতো তাহলে ভালোবাসতাম না। দেখতাম না তোমাকে নিয়ে এত স্বপ্ন। অনুভবে খুঁজতাম না তোমায়, বুঝেছ কিরণ! 

-প্লিজ সুনীল, তুমি আমার জীবনে আর এসো না। আমি চললাম। আর যোগাযোগ রেখো না আমার সাথে। আর পারলে একটা বিয়ে করে নিও। 

কিরণ বুক ভরা কষ্ট নিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে চলে যাচ্ছে আর সুনীল বলে ওঠে, আমার একটাই হৃদয় আর সেটা তোমাকে আমি দিয়ে দিয়েছি তাই তুমি আমার কাছে একদিন ঠিকই ফিরে আসবে কিরণ। আসবে তুমি আমার কাছে, আসতে তোমাকে হবেই কারণ আমার মতো ভালো তোমাকে কেউ কখনো বাসতে পারেনি আর পারবেও না। ভালো থেকো আর আমি তোমার অপেক্ষায় রইলাম। 

কিরণ কাঁদতে থাকে আর মনে মনে বলে, তুমি ভালো থেকো সুনীল। তুমিও কোনোদিন জানবে না যে আমি তোমাকে কেন দূরে সরিয়ে দিলাম এত অবহেলা করে। আমি তোমার জীবনের জন্য শনি। যাকে ভালবাসি তার ক্ষতি… না না তা কিছুতেই আমি হতে দিতে পারব না। তবে আমি দূর থেকে তোমার ভালো চাইব আর তোমার উপর নজর রাখব। আমি থাকাকালীন তোমার ক্ষতি করতে চেয়েছে । আমি না থাকাকালীন আমার আড়ালে যে তোমার ক্ষতি কেউ করবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়! আমি তোমার কোনো ক্ষতি হতে দেবো না। 

পাঁচ বছর কেটে যায়। কিরণ বহুদিন কোনোরকম করে সকলের আড়ালে সুনীলের খোঁজ খবর রাখত কিন্তু পরে আর কিছুতেই অনেক চেষ্টা করেও খোঁজ পায় না। মনটা বড় দুশ্চিন্তায় ভরে ওঠে তার। অরুণ কে সে সবকিছু বলেছে ভেবেছিল অরুণ হয়ত তাকে সহযোগীতা করবে এই আশায়, কিন্তু না, উল্টে অরুণ কিরণের সমস্ত স্বাধীনতা কেড়ে নেয়। শুরু করে অকথ্য অত্যাচার। প্রতিটা দিন অনেক কষ্টে কাটত তার। সত্যিই কি মেয়েদের জীবন টা এমন? বাবা যে ছেলের কাছে মেয়ে ভালো থাকবে বলে বিয়ে দিল,  সেই ছেলের হাতে যে মেয়ে এখন মরতে বসেছে, সেটা কি বাবার চোখে পড়ছে না নাকি এক্ষেত্রে অন্ধ হয়ে গেছে? 

পড়ুনঃ- অবহেলা থেকে ভালোবাসা- কলেজ জীবনের প্রেম 

শ্বশুরবাড়ির সকলের খারাপ ব্যবহার ও স্বামীর শারীরিক ও মানসিক প্রহার এবং বহুদিন যাবৎ সুনীলের খবর না পেয়ে প্রায় বিধ্বস্ত ও উদ্ভ্রান্ত হয়ে পড়ে কিরণ। সমস্ত কিছু অন্ধকার দেখে। আবার রোজ রাতে অশ্রবারি ঝরে সুনীলের কথা ভেবে। সুনীল হয়ত তাকে অনেক ঘৃণা করে কিন্তু কিরণ আজও সুনীলকেই ভালোবাসে। 

একদিন গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে রোদের মধ্যে এক ব্যাগ বাজার হাতে অসুস্থ অবস্থায় কিরণ হাঁটছিল। হঠাৎ মাঝ পথে কার সাথে সে ধাক্কা খায় চোখে অন্ধকার দেখতে দেখতে। আর মাথা ঘুরে পড়ে যায় তার উপরেই। 

যার উপরে কিরণ পড়েছিল সে আর কেউ নয়, সুনীল। সে আজ অনেক ভালো চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঘুরে বেড়ায় এদিক সেদিক ।সুনীল টুকটাক কাজকর্ম করে , তাতে তাদের কোনোরকম চলে যেত। আর তাই সমস্ত দুঃখ বুকে নিয়ে বাকি সময় একা পথে একা একা কিরণকে মনে করে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া আর কোনো কাজ নেই তার ।

হঠাৎ নিজের বুকে কিরণ কে পড়ে যেতে দেখে একদিকে যেমন একটা অদ্ভুত শান্তি অনুভূত হয় উল্টো দিকে কিরণের মৃতপ্রায় অবস্থা দেখে রাগে, দুঃখে বুক ফেটে যায়। সে কিরণকে তুলে ওর মাথায় জল দেয়।

সুনীল নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় ওকে।

সমস্ত মান অভিমান ভুলে কিরণকে সেবা সুশ্রুষা করে একটু সুস্থ করে তুলতেই কিরণ সুনীল কে দেখে তার বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে। 

সুনীল তাকে সরিয়ে দিয়ে বলে, আপনি বিবাহিত, আপনি অন্য কারোর স্ত্রী, আপনি আমার কাছে আসবেন না। 

কিরণ কাঁদতে থাকে আর বলে, সুনীল আমি বিবাহিত, আমি অন্য কারোর স্ত্রী তা ঠিক কিন্তু সেটা সমাজ জানে। কিন্তু…

আর কোনো কথা নয় কিরণ, সমস্ত কিছু শেষ হয়ে গেছে। চলুন আমি আপনাকে আপনার বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসছি। 

কিরণের চোখে জল আর সে ধরা গলায় বলে ওঠে, তুমিও চাও আমি মৃত্যুর মুখে চলে যাই? 

মানে? 

এই দেখো বলে কিরণ তার হাত, ঘাড় দেখায়। সুনীল দেখে কিরণের দেহের অনেক জায়গায় কাটা চিহ্ন। কিছু কিছু জায়গায় কালসিটে তো কিছু কিছু জায়গায় দগদগে ক্ষত। ‌

পড়ুনঃ- প্রেমের বেদনাময় কাহিনী 

পাঁচ টা বছর ধরে আমার সুন্দর সংসার আর সুমানব স্বামী আমাকে এই উপহার দিয়েছে! 

আমি তোমাকে ভালবাসি সুনীল, বিশ্বাস করো। হ্যাঁ আমার হয়ত বিয়ে হয়ে গেছে, আমি হয়ত তোমাকে অনেক অবহেলা করেছি কিন্তু কেন করেছি তুমি যদি জানতে… 

সুনীল আর থাকতে পারে না। সে কিরণকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। আর বলে, আমি সব জানি কিরণ। আমি সব খবর পেয়েছি আর যখন থেকে জেনেছি তখন থেকে আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম যাতে তোমার সুখের সংসারে কখনো মনে না হয় তোমার আড়ালে আমার ক্ষতি কেউ করবে। সবার ক্ষতির নাগালের বাইরে থেকে তোমাকে তোমার সংসারে নিশ্চিন্ত আছো এটা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি সরে গিয়ে দেখছি আমার আড়ালেই তোমার চরম ক্ষতি হয়েছে। না কিরণ আমি তোমাকে আর ওদের কাছে যেতে দেবো না। আমি তোমাকে আজও ভালোবাসি। আমি জানতাম তুমি আমার কাছে আসবে কিন্তু এইভাবে আমি তোমাকে দেখব ভাবিনি কখনো! 

notun valobasar golpo
notun valobasar golpo
<

একে অপরের শক্ত ও শান্তির বাঁধনে দীর্ঘ দিনের বিচ্ছেদের পর মিলিত হয়। তবে এখানেই থেমে থাকে নি। সুনীল অরুণ ও তার পরিবারের শাস্তির ব্যবস্থা করেছিল আর কিরণের পরিবারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল যে তার ও কিরণের ক্ষতি করে দেখাক কেউ!  

এরপর অরুণের সাথে কিরণের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে সুনীল কিরণ কে নতুন করে শুরু করে তাদের থেমে থাকা ও বেরঙিন হওয়া জীবন। 

সুনীল তার ছেড়ে দেওয়া চাকরির জন্য আবার অ্যাপ্লাই করে আর খুব তাড়াতাড়ি পেয়েও যায়। আবার সবকিছু আগের মতো হয়ে যায়। সুনীল তার পরিবার ও তার স্ত্রী কিরণের জীবন সুন্দর করে সাজিয়ে দেয় কারণ তার জীবনটাও আজ সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছে কিরণ। 

সুস্মিতা গোস্বামী

গল্পের ভাবনায়-
সুস্মিতার লেখা আরও কয়েকটি গল্প-  

 রহস্যময় গল্প- যূথিকা টেলারস 

স্কুল জীবনের দুষ্টুমি- গন্ধ চক্রান্ত 

স্কুল লাইফের প্রেম 
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক Group - গল্প Junction 

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)

valobasar golpo. নতুন ভালোবাসার গল্প। ভালবাসার গল্প

Spread the love

Leave a Reply