আজ কয়েকটি বাছাইকরা ছোট গল্পের সম্ভার নিয়ে আসা হয়েছে। এই বাংলা ছোট গল্প গুলির প্রতিটিতেই খুঁজে পাবেন ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ। পাঠক, এই ছোট গল্প গুলি পড়ে যে নিরাশ হবেন না, তা জোর গলাতেই বলতে যায়।
কয়েকটি বাছাইকরা ছোট গল্পঃ-
ছোট গল্পঃ- ০১ (টিফিন বক্স)
স্কুল কলেজে টিফিন বক্সের খাবার ভাগ করে খাওয়া কমন ব্যাপার। এটা আমার মত নিরস শুকনো লঙ্কার মতো মানুষের জীবনে ও এসেছে। কিন্তু টিফিন বক্স নিয়ে প্রেম, ভেজ সুপের মতো জীবনে গোলমরিচ মতো একটা স্বাদ এনে দিয়েছিল।
মোটামুটিভাবে ওয়ান লাইনার বা শর্টকাটে যদি গল্পটা বলি তবে শুরু করি এভাবেই, আমি সকলের কাছে পরিচিত চারু বলেই। ছাত্র রাজনীতির দৌলতে নামটা পাওয়া। কলেজে উঠে পাখা সবার গজায়, আমার একটু বড় সর গজিয়ে ছিলো। আসলে বেশ অহংকারী হবার কারণ একটাই ছিলো। বাবা মায়ের টাকায় আমি পড়ালেখা করতাম না। টিউশনি পড়িয়ে কলেজ করতাম। আর দুই বছর একটু চেষ্টা করে শহরের একনম্বর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সুযোগ পেয়ে গেলাম। তাই পা তখন থেকে অহংকারে মাটিতে পরছে না।
পুরাতন কলেজে তখনও যাতায়াত বন্ধ করি নি। ইউনিয়ন রুম টা আমার দখলে। সবাই আমাকে একটু সন্মান করে, অথচ শ্রাবন্তী বেহেন জী টাইপের মেয়ে হয়েও আমাকে পাত্তাই দেয়না। এমন ভাব করে যেন চেনেই না আমাকে। মনে মনে ভীষন অপমানিত বোধ হয় আমার।
শাস্তি দিতে হবে, মেয়ে আবার শুনেছি পড়াশোনায় ভালো, তাই রিগিং করা যাবে না। তাই আক্রমণ বা টার্গেট করা হল টিফিন বক্স। চুরি করে ওর টিফিন খেয়ে নেওয়া হলো। তিন দিন ধরে লক্ষ্য করলাম, ও চিফ ক্যান্টিনে এসে খাবার দাবারের দাম জিজ্ঞেস করে আর পরে চা বিস্কুট খেয়ে চলে যায়। আর বাড়িতে দেরিতে ঢুকছে।
তৃতীয় দিন ইউনিয়ন রুমে ডাকা হলো ওকে। জিজ্ঞেস করা হলো। কেন ও টিফিন খায় না ক্যান্টিনে।
উত্তরে জানালো, এমন রসিকতা নাকি আমাদের মতো, নির্বোধ ছেলেমেয়েদের ছেলেমানুষীতেই সাজে। সে ‘অন্য আশ্রিতা’ তাই তাকে অনেক বেশি হিসাবে করেই চলতে হয়। একটু সরাসরি আমাকে লক্ষ্য করেই বললো, “যার প্রশ্রয়ে এই কাজ টি করা হয়েছে। সে নাকি ওসব বুঝতে পারবে না। কারণ সোনার চামচ মুখে দিয়ে সে মানুষ হয়েছে”
ওর এক বান্ধবীর কথা গুলো গায়ে লাগলে, একটু প্রতিবাদ করে বললো, ” তোর টিফিন খাওয়ার কোন ইচ্ছা আমাদের নেই, আনিসতো ঐ আলুভাজা, আর তিনটে রুটি। চারুদা শুধু খেয়েছে ওগুলো জানিনা কিভাবে।”
সত্যি একটা টিফিন বক্স মানুষের অর্থনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করে দেয়। হয়তো একটা সময় তাই আমিও স্কুলে টিফিন নিয়ে যেতে লজ্জা পেতাম। আজ বাবা চাকুরি পেতে সব কিছু বদলে গেছে। যদিও আমি কোনদিন অতবেশি কষ্ট পাইনি। তবে ওর উত্তরের অপেক্ষা করছিলাম। ও আমার বাড়িতে থাকে তাই আমার নাড়ি-নক্ষত্র জানে। কিন্তু ও যে হঠাৎ করেই ‘হাঁড়ি ভেঙে’ দেবে ভাবতে পারি নি।
ও বললো “যে মানুষটি ডিম পোঁচ করতে গিয়ে, ডিম পুড়িয়ে ফেলে , সে বোধহয় রুটি করতে গেলে, অস্ট্রেলিয়া কিংবা শ্রীলঙ্কার ম্যাপ বানাবেন, এবং সে গুলিকে রুটি না বলে পাঁপড় বলা যাবে। তাই আমার খাবার গুলো তার কাছে অখাদ্য হবে না আশাকরি।আমরা জন্মাই সবাই উল্লঙ্গ ভাবেই, ঐতিহাসিক কোন সময়ের ষড়যন্ত্রের ফলে তোদের টিফিন বক্সে, নুডোল, পাস্তা, আর আমার বাক্সে শুকনো রুটি, কখনো পিঁয়াজ পান্তা, ও নিয়ে আমার লজ্জা নেই। কারণ পৃথিবীতে একদিন বড়লোক গরীব লোক ছিলো না। এটা তৈরি করা হয়েছে।”

ইউনিয়ন রুমের সবাই চুপচাপ হয়ে গেলেও, আমি চুপচাপ থাকার পাত্র নয়। পরের দিন নিজে টিফিন বক্স চুরি করে টিফিন খেয়ে একটি চিরকুট রেখে এলাম। তাতে কি লেখা ছিল?
লেখা ছিল যে, ” ভাড়া নিতে কাল আপনার ঘরে গিয়ে ছিলাম। আপনার হাতের তালের বরা খেলাম। দিদি কাল আপনার সেলাইয়ের কাজ দেখালো। একটা আসনে আপনি লিখেছেন ‘ক্ষমা পরম ধর্ম’। খুব খিদে পেয়েছিলো তাই আপনার টিফিন খেয়ে নিয়েছি। আপনার টিফিন পিরিয়ডের পরের ক্লাস বাংলা, তাই ওটাতে উপস্থিত থাকতে হবে না।
ম্যাডাম তো আপনাকে খুব স্নেহ করে। ম্যাডামই বলেছিলেন, আপনার বই কেনার পয়সা নেই কিছু একটা ব্যবস্থা করো। তাই আপনাকে ন্যাশানাল ল্যাইব্রেরী কার্ড করতে নিয়ে যাবো আমি। কারণ কলেজের লাইব্রেরীতে ইংরাজী সাহিত্যের বই তেমন নেই। তাই উনি উপস্থিতি দিয়ে দেবেন। বাকি আপানার ওপর। দেখা যাক ক্ষমা করেন কিনা আপনি। টিফিন টা আপনি আমার সাথে করেন কিনা! বাস স্ট্যান্ড আমি অপেক্ষায় থাকবো।”
এরপর কি হয়েছিল জানতে চাইছেন? আমার টিফিন বক্সে এখন ফুটবলের মতো গোল রুটি থাকে, সাথে ফ্রেন্চ ফ্রাই এর মতো আলু ভাজা, তাও আমার নিজের হাতে বানানো। বাকি আপানারা বুঝে নিবেন।
পড়ুনঃ- কয়েকটি সেরা অণুগল্প
ছোট গল্পঃ- “এটা কোন পৃথিবী!”
আমি কে? কি আমার পরিচয় ? বাবা মা আছে জানি কিন্তু আমি চিনি না। চিনি কেবলমাত্র আশে পাশে থাকা আমার ভাই বোনেদেরকে। এই নির্জন পৃথিবীতে আপন লোক বলতে ওরাই। দিদি ছিল একজন, কিন্তু অনেক দিন হয়ে গেল মারা গেছে।
জানেনতো আমাদের এই পৃথিবীতে, দিন বলে কিছু নেই সারাবছরই রাত, না আছে চাঁদ,না আছে তারায় ভরা আকাশ। গাছ পালা, নদী নালা, পশু পাখি কিছু নেই, আছে শুধু শান্তি আর শান্তি, তার কারন কি জানেন! আপনাদের মতো আমরা এখানে রাজনীতি দাঙ্গা মারপিট আরাজকতা কিছুই করতে পারিনা। আমাদের এই পৃথিবীতে প্রানী বলতে কেবলমাত্র আমারা কজন।
সবাই একে অপরে ইশারার মাধ্যমে ভাববিনিময় আদানপ্রদান করে। আপনাদের মতো আমাদের সবার আয়ু দীর্ঘায়ু নয়,এই ধরো ৪০ সপ্তাহ মাত্র।বলতে বলতে সামনে আমার মৃত্যুর দিন চলে এসেছে আর মাত্র দুদিন তারপর দিদির মতো আমিও এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবো চিরতরে।
জানি না মৃত্যুর পরে আমার নিথর দেহটার কি হবে। আমার ভাই বোনেদের সঙ্গে আর হয়তো থাকতে পারবো না।
আজ সেই অন্তিম দিন আর কিছুক্ষণের মধ্যে আমি এই প্রিয় পৃথিবীটিকে ছেড়ে চলে যাবো, না ফেরার এক পৃথিবীতে। আমার ভাই বোন আমার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে চলেছে। কিছুক্ষণ পরে কি একটা ভারি জিনিস এসে আমাকে জোরালো ভাবে আঘাত করলো, সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে উঠলাম। অদ্ভুত ব্যাপার এটা কি করে সম্ভব! এই প্রথম বার আমার মুখ থেকে কোনো শব্দ বেরোলো। চোখ দুটো খুলতেই দেখতে পেলাম, মুখে মাস্ক লাগানো অবস্থায় কয়েজন প্রানী আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,এরা কারা!
অনেকটা আমার মতই দেখতে লাগছে। আমি যতই চিৎকার করচ্ছি ওরা ততই হাসছে। কিছু তে বুঝতে পারচ্ছি না এ আমি কোন পৃথিবীতে এলাম। আমার পৃথিবীতে তো এসব কিছু ছিলো না। একজন কে বলতে শুনলাম ” রুপার তোর তো একটা ফুটফুটে ছেলে জন্ম হয়েছে রে” তাহলে কি আমি মরে গিয়েও বেঁচে আছি!!
মানিক বাসুলী
‘এটা কোন পৃথিবী’ গল্পের ভাবনায়-
ছোট গল্প- স্বপ্ন পূরণের স্বাদঃ-
“মা জানো, আমার খুব ইচ্ছে করে আকাশে পাখির মতো উড়তে। ইস! আমার যদি পাখির মতো ডানা হতো, কত যে ভালো হত!” ছোট্ট পরী পড়াশোনা ছেড়ে মা কে বলছিল এই কথাগুলো।
মা মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, “হবে তো মা, তুমি আকাশে পাখির মতো উড়বে।”
“কিন্তু কি করে মা?” বলে পরী।
“হবে মা, বড় হও ভালো করে পড়াশোনা করো, ঠিক উড়বে আকাশে।”
“পাখি হতে গেলে পড়াশোনা করতে হয়? দূর ভালো লাগে না, পড়াশোনা করতে আমার ভালো লাগে না।” খুব বিরক্ত হয়ে বলে পরী।মা বলেন, “তাহলে তো তুমি পাখির মতো উড়তে পারবে না পরী।”
অনেক দিন যায়। মায়ের ছত্রছায়ায় ধীরে ধীরে বড় হয় পরী, লেখাপড়া শেখে। বাবা নেই তার, মাইই সব। মা বলেছেন আকাশে পাখির মতো উড়তে গেলে অনেক পড়াশোনা করতে হয়। তাই সে অনিচ্ছা থাকলেও পড়বে। কিন্তু যত বড় হতে থাকে তার পড়াশোনার প্রতি ভালবাসা অনেক বেড়ে যায়। অনেক অনেক পড়তে ইচ্ছে করে।
কিন্তু এত টাকা কোথা থেকে আসবে? মা তো রান্না করে সংসার চালাচ্ছে, তার পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছে। না না, মা কে আর চিন্তায় রাখা ঠিক হচ্ছে না। পরী ঠিক করে ও টিউশন পড়াবে আর ঐ টাকা থেকেই বাকি খরচ মেটাবে। দরকার পড়লে একটু বেশী করেই পড়াবে। তাকে পাখির মতো উড়তে হবেই।
যাই হোক বছর গড়ায় একটার পর একটা। একদিন সেইদিন টা আসে যেদিন পরী এয়ারপোর্টে আর তার মা তার পাশে দাঁড়িয়ে বলছে, “দেখ মা এইবার তুই পাখির মতো আকাশে উড়বি। মানুষ তো ডানা পায়নি তবে উড়োজাহাজ পেয়েছে।”
পরী বলে, “আমাকে পাখি যে করল তাঁকেও আমি নিজের সঙ্গে করে উড়ে যাব।”

পড়ুনঃ- দাদাগিরির এই প্রশ্ন গুলির উত্তর দিতে পাড়বেন?
বাংলা গল্প- মাধবীলতাঃ-
ওর কোন দোষ ছিলো না। তবু ওকে বাড়িতে রাখতে চায়নি নিলু। আসলে একদিনের ভালো লাগাটা আজ ওর কাছে ঘৃণাতে পরিনত হয়েছে। গত বছর মধুবীলতা গাছটাকে ও পুরোপুরি ছেঁটে দিলো। মাধবীলতা বলতে পারতো না, মানব বলতো মধুবীলতা। তবু এটা নাকি ওর প্রিয় গাছ ছিলো। লাল গোলাপী থোকা থোকা কি সুন্দর ফুল ভরে থাকতো গাছটাতে। হাওয়ায় মেখে থাকতো গন্ধ। নীলুর ভালো লাগতো এক সময়। গাছটা মানবের মতোই বাড়িটাকে মাতিয়ে রেখেছিলো। মানবের হাতে পোতা ঐ গাছটা। গাছটার অপরাধ ওটাই। যেহেতু ওর সাথে সম্পর্কটা ভেঙে গেছে তাই গাছটাকেও কেটে ফেলল ও।
এ বর্ষায় দেখলাম গাছটা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। নীলুর চোখে পড়েছে। কিন্তু এ কি দেখলাম! একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে দিলো গাছটাকে যাতে গাছ ভালো ভাবে বাঁচতে পারে কিছু একটা অবলম্বন করে। আসলে নীলু বুঝতে পেয়েছে জীবনে একা দাঁড়িয়ে থাকার লড়াইটা অনেকটা কঠিন। তাই হয়তো মাধবী লতাটার প্রতি ও সহানুভূতি দেখালো। নীলু ঠিক জানে না, মানবের অপরাধ টা আসলে কি ছিলো। ও কখনো অবিশ্বাসী হতে পারে না। তবুও তো ওকে ও বিশ্বাস করেনি শেষ দিকটায়।
তাহলে কি মানবকে ও ক্ষমা করবে আজ? না বোধহয়। কারণ মানুষ গুলোকে বিশ্বাস করার চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু গাছরা তো মানুষের মতো অবিশ্বাসী হয় না। থাক না বেঁচে, তবু প্রিয় ‘মধুবীলতা’ কিছু সুখের স্মৃতির চিহ্ন হিসেবে। ক্ষত গুলোতো ও ভুলে গেছে। মাধবী লতার নতুন সবুজ পাতা, নীলুকে অভিনন্দন জানাচ্ছে ওর নতুন জীবনের জন্য।
নীলুর বাবা মারা যাওয়ার পর , মানব এ পরিবারের অভিভাবক এবং অবলম্বন হয়ে উঠেছিলো। মানব ছিলো ওর মায়ের প্রিয় বান্ধবীর ছেলে। ওর থেকে বছর দশেকের বড়ো। মানব মনে মনে নীলুকে ভালোবাসতো। কিন্তু সে কথা সে মুখে জানায় নি। একটু বয়স হতেই নীলুর পাত্র দেখা শুরু হলো। কিন্তু নীলুর কোন কাছের মানুষ ওর বিয়ে সমন্ধ গুলো ভাংচি দিত। পরে জানা গেলো মানুষটা এদের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী মানব। সেই দিন থেকে এ বাসায় মানবের আসা বন্ধ। ওদের নামহীন সম্পর্কটা ভেঙে গেলো।
নীলু একা কোন অবলম্বন ছাড়াই আজো এ শহরে বেঁচে আছে সেই দিন থেকে। লড়াইটা একা করেছে নীলু। বসন্ত কিংবা কালবৈশাখী সব একা! কখনো কখনো গাছের ছায়ার দরকার হয় বোধহয়। মাধবীলতাটা হয়তো একা বেঁচে থাকতে পারতো। কিন্তু নীলুরও মাঝে মাঝে কারো কাঁধে মাথা রেখে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে কারো হাত ধরে কিছুটা পথ হাঁটতে। তাই বোধহয় গাছটাকে একটা অবলম্বন দিলো ও।
পড়ুনঃ- মুরগি আগে নাকি মুরগির ডিম? জেনে নিন সমাধান
ছোট গল্প- হাঁসিঃ-
“গরীব মানুষের আবার হাসি কি শুনি? গরীবদের কখনো হাসতে নেই। তাদের জীবনে শুধু কান্না, কষ্ট। রক্ত জল করে দেওয়া। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চিরকাল খেটে সামান্য পেট চালানো। সত্যি, ভগবান এই হতভাগা পেটটা কেন দিলেন!” খুব হতাশ হয়ে ছোট্ট মেয়েকে বলছিল দরিদ্র রমেশ।
মেয়ে সব শোনে আর বাবাকে দেখে বাবা কাঁদছে। মেয়ে বাবা কে জড়িয়ে ধরে বলে, “বাবা পৃথিবীতে আমরা সবাই গরীব কেন জানো, কারণ আমরা প্রত্যেকেই কারোর না কারোর অধীনেই চাকরগিরি করছি। কেউ মুষ্টিমেয় চাকর কেউ আবার দরিদ্র চাকর। কিন্তু চাকর আমরা সকলেই। আর গরীব এইজন্যই যে আমরা কেউই নিজের অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকি না। আমরা সবাই যতই পাই না কেন তবুও অভাববোধ কখনো কমতেই চায় না। হতদরিদ্র মানুষ যার কিচ্ছু নেই তার ক্ষেত্রেও একই কথা। তার কাছে “কিচ্ছু নেই ” এই কথাটা ভুল। সব মানুষের কাছে কিছু থাকুক বা না থাকুক, হাসি টা আছে।”

“যেই হাসিটা মনে শান্তি দেবে, মনকে বোঝাবে যে তুমি কেবল একজনের অধীনেই চাকরগিরি করছ আর সেই একজনের কাছেই শক্তি চাও যিনি তোমাকে চাকর থেকে মন্ত্রী করতে পারে। এই হাসিটাই বোঝাবে তোমাকে যে তুমি জন্মেই গরীব ছিলে কিন্তু মৃত্যুর সময় গরীব থাকবে না, তোমার নিজের অবস্থা তোমার নিজের জন্যই পাল্টাবে। হাসো বাবা, মনে আনন্দ রাখো, সে যে পরিস্থিতিই হোক। সমস্যা , দুঃখ কষ্ট তো আসবেই। কিন্তু সমস্যায় , দুঃখে কষ্টে ভেঙে না গিয়ে সমাধান খোঁজো বাবা। হাসো বাবা, হাসি জীবনের জন্য খুব দরকার। হাসতে হবে।”
🖊কলমে – মানব মণ্ডল এবং সুস্মিতা গোস্বামী।
এই ছোট গল্প গুলি আপনাদের কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের জানাতে ভুলবেন না।
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবেঃ- WhatsApp গ্রুপ- ছাড়পত্র (২) ফেসবুক গ্রুপ- গল্প junction ফেসবুক- ছাড়পত্র টেলিগ্রাম- ছাড়পত্র
ছোট গল্প। সেরা অণুগল্প। বাংলা গল্প। short stoires in bengali

কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।
গল্প খুব সুন্দর 😇