একজন সৎ মানুষের গল্প ‘কাকিমা’ নামটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে, সেই পাড়ার কানাঘুষো করা এর বাড়ির খবর ওর বাড়িতে পাচার করা অদ্ভুত এক চরিত্রের ছবি। কিন্তু সব কাকিমা রাই কি এমন!! জানব আজকের এই গল্পটিতে।
একজন সৎ মানুষের গল্পঃ- ‘অনামিকা কাকিমা’
“আচ্ছা নীলু, দিয়া, মধু, রীতা, মিতা তোমরা সবাই আমাকে একটা কথা বল, তোমাদের যখন চাকরি বাকরি হবে, বিয়ে হবে, তোমরা যখন মা হবে, তোমাদের বান্ধবীরা যখন মা হবে, তখন সেই বান্ধবীর সন্তানরা তোমাদের Aunt বা Aunty বললে তখন খুব smart, fashionable, up dated !
কিন্তু কাকিমা বললে ; পাড়ার কুচুটে, কূটকাচালি তে যুক্ত থাকা, অন্যের ভালো দেখতে না পারা একটা অদ্ভুত অসামাজিক প্রাণী, তাই তো?
একজনের ভালো চিন্তাধারা কে সার্বিক আদর্শ করা উচিত, কিন্তু আমরা বরাবরই একজনের খারাপ চিন্তাধারা কে সার্বিক আদর্শ, সার্বিক স্বভাব করে ফেলি, এটা কি ঠিক করি আমরা?”
উপরোক্ত কথাগুলোর মাধ্যমে মনে পড়ে যায় আমাদের পাড়ার একজন বয়ঃজ্যেষ্ঠ মহিলা বলেছিলেন আমাদের এই কয়েকজন জাঁদরেল মেয়েবাহিনীকে। কিন্তু তাকে ঠিক কাকিমা না মা বলা উচিত, আজও বুঝে উঠতে পারলাম না!

না আমি কোনো কাকিমা বা aunty র কথা বলছি না। আমি বলব এমন একজন মানুষের চিন্তাধারার কথা যাদের চিন্তাধারা হয়ত সমাজের শুধু মাত্র একটা নাম ও কয়েকটা খারাপ বিশেষণের আড়ালেই সীমাবদ্ধ রয়ে যায়। আমি বলব, সব কাকিমা হয়ত এক নন। সব কাকিমা মানেই হয়তো কুচুটে নন। কাকিমার হয়ে ওকালতি বা বিরূদ্ধে সাক্ষী নয়, এক নিরপেক্ষ বিচারের ঘটনাই বলব আজ ।
ওনার নাম ছিল অনামিকা। আমাদের পাড়াতে যেদিন প্রথম এসেছিলেন, সেদিন ওনার চশমা পরা একখানা ভারিক্কি গম্ভীর মুখ ও চেহারা দেখে আমরা সব মেয়েরা ভেবেছিলাম যে ইনি মনে হয় ultra level এর কুচুটে কাকিমা। উপরে দেখতে গম্ভীর কিন্তু মনের মধ্যে জিলিপির প্যাঁচ।
যাই হোক, প্রথম আসাতে অন্যান্য প্রতিবেশী মহিলাদের মতোই তাকে গোটা পাড়া নতুন প্রতিবেশী হিসেবে গ্ৰহণ করে। তবে আমরা ভেবেছিলাম যে পাড়াতে কূটকাচালি সভার জন্য আরেকজন সদস্য সংখ্যা বাড়ল। মনে মনে খুব বিরক্ত হয়েছিলাম সবাই।
অনামিকা কাকিমার প্রথম দিন না হলেও দ্বিতীয় দিন, নিজেকে মিশুকে মানুষ হিসেবে প্রমাণ করাকে আমাদের কাছে যেচে আলাপ করে আগুন লাগানো মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে বুঝি ওটা ভুল ভাবনা ছিল আমাদের।
এরপর আস্তে আস্তে আরো দিন গড়ায়। অনামিকা কাকিমার পরিবার বলতে ওনার স্বামী ও ছোট দু’জন মেয়ে। আমরা প্রায়ই দেখতাম পাড়ার বাকি কাকিমাদের রোজ এর কথা ওকে, ওর কথা তাকে না করলে পেটের ভাত হজম হচ্ছে না কিন্তু অনামিকা কাকিমা কে এমনটি করতে দেখছি বলে কোনোদিন মনে পড়ছে না ।
ভেবেছিলাম নতুন এসেছে তাই হয়ত করেনি। একটু পুরোনো হোক তারপরেই নিজের আসল রূপ বেরিয়ে আসবে। কাকিমাদের রক্তেই তো চুকলি করা আছে। ইনিই বা ব্যতিক্রমী হবেন কেন শুনি? কিন্তু উনি আমাদের যুবতী মেয়েবাহিনীর কাকিমা জাতিকে নিয়ে হওয়া একটার পর একটা ধারণার ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন বারবার।
পড়ুনঃ- রিলেশনশিপ স্টোরি
এবার একটা ঘটনার কথায় আসি। সেদিন বুবলুদের বাড়ির ছাদে গানবাজনা চলছে তো হঠাৎ করেই পাড়ার বেশ কয়েকজন মহিলা মিলে বুবলুর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বিরাট মিছিল করে বকবকানি চলতে চলতে বাড়ি ঢোকে। আর সোজা নালিশ বুবলুর মায়ের কাছে-
“ছেলেকে এত স্বাধীনতা দিও না। ছেলে মাথায় উঠে গেলে, বিশৃঙ্খল হয়ে গেলে তখন আর নামাতে পারবে না বলে দিলাম। আজকালকার ছেলেমেয়েরা স্বাধীনতা পেলে একেবারে ধরা কে সরা মনে করে। আর পারি না বাপু এদের নিয়ে। বলি আজ গান বাজছে কাল মেয়ে এনে নাচানাচি করবে। বলি সমাজে তো বাস করি নাকি! এটুকু আক্কেল নেই!”
মাথাটা এত গরম হচ্ছিল যে কি বলব। বুবলুর মা যখন চুপচাপ তখনই হঠাৎ করে অনামিকা কাকিমা পাশ থেকে মৃদু স্বরে বলে ওঠে, “আপনি কি করে জানলেন যে বুবলু কাল মেয়ে এনে নাচানাচি করবে?”
-“এ আর নতুন কি! আজকালকার ছেলেমেয়েদের ভালো মতো দেখা হয়ে গেছে, কেন আপনি কি দেখেননি নাকি?”
-“নিশ্চয়ই দেখেছি তবে আপনার মতো করে নয়। অর্থাৎ আপনি যেটাকে স্বাধীনতা বলছেন সেটার নাম সময় দেওয়া। আপনি যেটাকে বিশৃঙ্খল বলছেন, সেটার নাম ভালোবাসা। আর আপনার কাছে যেটা ‘ধরা কে সরা’ মনে করা সেটা আর কিছুই নয়, সেটা হলো ওদের ছেলেমানুষী মন কে সামান্য একটু বোঝার চেষ্টা করে বন্ধুর মতো মেশা।
অর্থাৎ সহজভাবে বলতে গেলে, আমরা যদি এই কর্ম ব্যস্ততার মাঝে, এই ইঁদুর দৌড়ের ভাঁজে আমাদের ছেলেমেয়েদের একটু ভালোবাসি, একটু সময় দিই , একদিন শাসন না করে যদি একটা দিন ওদের সাথে বন্ধুর মতো মিশি, ওদের কথা শোনা ও বোঝার চেষ্টা করি তাহলে দেখবেন ওরা কেউই এত স্বাধীনতা, এত বিশৃঙ্খলতা চাইবে না বা ধরা কে ধরা আর সরা কে সরাই মনে করবে। কিন্তু আমরা কি করি, আমরা শুধু শাসন করি, দমিয়ে রাখি যাতে আরো ভয় পেয়ে ওরা আমাদের কাছে অনেক কিছু লুকিয়ে যায় আর সামান্য আনন্দ, ভালো থাকা খুঁজতে গিয়ে পড়ে যায় খারাপ কিছুর খপ্পরে।”




অনামিকা কাকিমার কথাগুলো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম। ইনি একজন কাকিমা হয়ে এসব কি বলছেন!
-“আপনি তার মানে এখনকার ছেলেমেয়ের এইসব কাজগুলোকে সমর্থন করছেন। কি আর বলব, অভিভাবকই যদি এমন হয় তাহলে ছেলেমেয়ে গুলো এমন হবে না কেন! এই চলো তো, এদের সাথে মুখ লাগিয়ে লাভ নেই।”
অনামিকা কাকিমা আর কিছু বলে না। তবে বুবলুর মা বুবলু কে খুব বকা দিতে যাবে তখন অনামিকা আন্টি বাধা দিয়ে বলে, “ছেলেমেয়েদের অত বকবেন না ওভাবে। বেশি ভালোবাসাও যেমন খারাপ তেমন বেশি শাসন করাও ঠিক নয়। আপনি ওকে ভাল করে বোঝান ঠান্ডা মাথায়। উত্তেজিত হবেন না। আসলাম।”
নিজের মাথায় সব কেমন যেন গন্ডগোল হয়ে যাচ্ছে। এ কেমন ধরনের কাকিমা? এ কীরকম অন্য গ্ৰহের কাকিমা মনে হচ্ছে! আমরা মেয়েবাহিনী খুব অবাক তো হতামই সঙ্গে খুব আশ্চর্য ও অলৌকিক লাগত, কোনো বয়স্ক মহিলা তাও আবার কাকিমা টাইপ, এইরকম হতে পারে দেখে!
এরপর আমরা নিজেরাই ওনার সাথে আলাপ করতে গেলাম।
নীলু, আমাদের গ্ৰুপের ডেঁপো মেয়ে সে বলে, “আচ্ছা কাকিমা আপনাকে আমরা অনেক দিন ধরেই দেখছি, আপনি একটু আলাদা টাইপের।”
“যেমন?” হেসে বলেন অনামিকা কাকিমা ।
-“এই ধরুন, আপনাকে কাকিমাদের মতো কখনো ঝগড়া বাড়াতে দেখিনি উল্টে কমাতে দেখেছি । তারপর কাকিমারা যেমন বাড়িয়ে বাড়িয়ে মিথ্যে কথা চালাচালি করে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে চলে যায় আপনাকে তেমন কখনো কোনোদিন করতে দেখিনি। মানে কাকিমা গুলো যেমন হয় আর কি, নিজের থেকে পরকে নিয়ে বেশি মাথাব্যথা, বেশি চিন্তা, এতোই চিন্তা যে ঐ চিন্তার চক্করে অশান্তি ছাড়া আর কিছুই হয় না। ছোট জামা থেকে শাড়ি সবকিছু তে শুধু খুঁত ধরা। এর মধ্যে আপনার মধ্যে কোনোটাই নেই আর কি!”
পড়ুনঃ- একটি ভালোবাসার গল্প
নীলুর কথায় দিয়া, মধু, রীতা আর আমি সবাই ভোট দিয়ে বললাম, “একদম ঠিক বলেছিস নীলু।”
অনামিকা কাকিমা হেসে বলেন, তোমাদের প্রতিটি আচার আচরণ, কথার মধ্যে particular এই “কাকিমাদের মতো ” ব্যাপার টা খুঁজে পাচ্ছি আর তোমরা সবাই দেখছি এই কাকিমা ব্যাপার টা নিয়ে খুব বিচলিত। আচ্ছা তোমাদের কাছে কাকিমা মানে কি?
আমরা মেয়েবাহিনী তারস্বরে বলে যাই তথাকথিত কাকিমার সংজ্ঞা, অর্থাৎ নিজের ছেড়ে পরের চরকায় তেল দেওয়া, এর কথা তার কাছে গিয়ে রটানো, পরনিন্দা, পরচর্চা মানে Pnpc করা, কুৎসা রটানো, পরের ভাল দেখতে না পারা ও সবশেষে পাড়ার সবার সব ব্যক্তিগত বা অব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানো একটা অদ্ভুত মহিলা প্রাণী হলো গিয়ে এই “কাকিমা!” কিন্তু তুলনায় Aunty রা অনেক আধুনিক ও ভাল হয়।
এতটা বলার পরেই জিভ কাটি কারণ আমাদের সামনে যিনি তিনিও তো কাকিমাই কিন্তু তিনি তো এদের মতো গুণের নন।
অনামিকা কাকিমা কি ভাববেন এই ভেবে আমরা তটস্থ আর এদিকে অনামিকা কাকিমা হো হো করে হেসে ওঠে আমাদের উত্তর শুনে।
আমরা খুব অবাক হয়ে বলি, “আপনি হাসছেন কাকিমা?”
-“হুম তোমাদের কথা শুনে আমার সত্যিই খুব হাসি পাচ্ছে।”
-“কেন আমরা কি বললাম?” মেয়েবাহিনীর কৌতুহলী চোখ অনামিকা কাকিমা কে ঘিরে ধরে।
-“আচ্ছা নীলু, দিয়া, মধু, রীতা, মিতা তোমরা সবাই আমাকে একটা কথা বল, তোমাদের যখন চাকরি বাকরি হবে, বিয়ে হবে, তোমরা যখন মা হবে, তোমাদের বান্ধবীরা যখন মা হবে, তখন সেই বান্ধবীর সন্তানরা তোমাদের Aunt বা Aunty বললে তখন খুব smart, fashionable, up dated !
কিন্তু কাকিমা বললে ; পাড়ার কুচুটে, কূটকাচালি তে যুক্ত থাকা, অন্যের ভালো দেখতে না পারা একটা অদ্ভুত অসামাজিক প্রাণী, তাই তো?
পড়ুনঃ- ভৌতিক গল্প- রহস্যময়ী নারী
একজনের ভালো চিন্তাধারা কে সার্বিক আদর্শ করা উচিত, কিন্তু আমরা বরাবরই একজনের খারাপ চিন্তাধারা কে সার্বিক আদর্শ, সার্বিক স্বভাব করে ফেলি, এটা কি ঠিক করি আমরা?”
কথাটা মাথার উপর দিয়ে গেলো বলে অনামিকা আন্টি আমাদের মেয়েবাহিনীকে বন্ধুর মতো সস্নেহে কাছে টেনে বলেন, “হাতের পাঁচ টা আঙুল দেখোতো, সমান নয়। পৃথিবীর সমস্ত মানুষও সমান নয়। তোমাদের এই বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েদের মনে কাকিমা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করার জন্য কিছু কাকিমাই আসলে নিজেরা দায়ী, তবে সব কাকিমা নয়। হতে পারে বেশিরভাগ কাকিমা কুচুটে কিন্তু সব কাকিমা নয়।”
“কিন্তু ব্যাপারটা এমনই, যার ফলে প্রথমে খুব কম সংখ্যক খারাপটা থাকলেও তাকে প্রশ্রয় দিতে দিতে ভালোর সংখ্যা টা কমে গিয়ে খারাপ এর সংখ্যা টা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর পড়ে থাকছে স্বল্প সংখ্যক কিছু ভালো কাকিমা।
এই যে তোমরা বললে না আমাকে যে আমার মধ্যে নাকি ওই খারাপ গুণগুলো নেই। কেন নেই বলোতো, কারণটা একটাই সব মানুষ সমান নয়। তবুও খারাপের জোর বেশি আর তাই একজন খারাপ কাজ করলে স্পটে থাকা সমস্ত জনকেই ওই খারাপ কাজের ভাগীদার হতে হয়।
একটা কাকিমা যদি কূটকাচালি করে তো তারপর থেকে মনের মধ্যে একটা ধারণাই হয়ে যায় সব কাকিমাই এইরকম।
কিন্তু তারপরেও আমাদের নিজেদের বুঝতে হবে কে ভালো কে খারাপ। একটা নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় সীমাবদ্ধ থেকে বিচার করা বোকামি।
কাকিমার শেষেও মা শব্দটি থাকে। যদি অপরের ছেলেমেয়ে কে শাসন করতেই হয় তাহলে প্রত্যেক কাকিমাদের উচিত মায়ের মতো করে স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে শাসন করা। বদনাম, নিন্দা কি মায়েরা করে বলো? যারা করে তারা মায়ের শিরোপা নিজের নামে বসালেও আসলে তারা মা নামের কলঙ্ক আর কাকিমা নামের কালিমা!”
আমরা সবাই চুপ হয়ে শুনছি অনামিকা কাকিমার কথাগুলো। এতবছর পর এ কি শুনছি আমরা! এসব তো কোনোদিন ভাবা দূরে থাক, এসব হয় বলেই তো আশা করতাম না।




অনামিকা কাকিমা বলেন, “কাকিমা শব্দটি এখন অত্যন্ত খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। কাকিমা নামের কালিমা ঘটেছে। তোমরা বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়ে, তোমরা আজ যারা কাকিমার সংজ্ঞা দেখে, কাকিমাদের আচরণ দেখে বড় হচ্ছো, সেটাই তোমাদের মনে বদ্ধমূল ভুল ধারণা তৈরি করে দিচ্ছে। কারণ কাদামাটি কে যেভাবে গড়া হবে সে সেভাবেই তৈরি হবে। তবে ভেবে দেখো তোমরাও তো এককালে কারোর না কারোর কাকিমা হবে, তখন আমার এই কথা গুলো মনে পড়বে আর এটাও মনে রেখো, আমার এই কথা গুলো শোনার পরেও কাকিমা নামের কালিমা যেন না হয়।”
অনামিকা আন্টি না না, অনামিকা কাকিমার সেই কথা গুলো আজকেও মনে পড়ে আমাদের। ঠিক ই তো। আমরা আসলে ভুল দেখতে দেখতে, ভুল শিখতে শিখতে বড় হচ্ছি। সব কাকিমা পাড়ার কূটকাচালি করে না, কেউ কেউ শান্ত করতেও এগিয়ে আসে। সব কাকিমারাই পরনিন্দা পরচর্চা রটিয়ে যায় না, কেউ কেউ ইতিবাচক হয়ে উৎসাহ দিয়েও যায়। সব কাকিমারাই শাসনের নামে ভুল পথে পাঠায় না, কেউ কেউ মায়ের মতো সঠিক শাসনে একজন সঠিক মানুষ তৈরি করার ক্ষমতাও রাখে।
সব কাকিমারা কাকিমা নামের কালিমা করে না, কেউ কেউ ‘কাকিমা’ কে ‘কাকি – মা’ করে তোলে।
মন থেকে সব কাকিমাদের জন্য ওই ভুল ধারণা গুলো আস্তে আস্তে সরে গেল। চিনতে শিখলাম খারাপ গুণগুলো শুধুমাত্র খারাপদেরই, ভালোদের নয়।
আমাদের অনামিকা কাকিমা সত্যিই বেস্ট কাকিমা!
গল্পের প্লট রচনায়-
সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।
গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে।
সুস্মিতার লেখা কিছু গল্প- দারিদ্রতার গল্প- সমাজবিরোধী বাস্তবতা নিয়ে একটি গল্প- নির্দয়
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে-
ফেসবুক Group - গল্প Junction
ফেসবুক- ছাড়পত্র
টেলিগ্রাম- charpatraOfficial
WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)




কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।