আজ কেজিএফ চ্যাপ্টার 2 মুভি রিভিউ নিয়ে একটি নতুন লেখা নিয়ে এলাম। এখানে থাকছে কেজিএফ চ্যাপ্টার 2 সিনেমাটির সম্পূর্ণ কাহিনী। তাই যে সমস্ত দর্শকের সিনেমাতে গিয়ে কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ দেখার সুযোগ হয়নি, তারা এখানে kgf chapter 2 সিনেমার কাহিনী in bengali তে পড়ে মুভিটির সার সংগ্রহ করতে পাড়বেন।
কেজিএফ চ্যাপ্টার 2 মুভি রিভিউ। kgf chapter 2 in bengaliঃ-
কেজিএফ চ্যাপ্টার ১ এ আমরা দেখেছিলাম যে, একজন রিপোর্টার কে আনন্দ কেজিএফ চ্যাপ্টার ১ এর পুড়ো গল্পটি শুনিয়ে দেয়, এবং এরই সাথে সাথে তার হার্ট অ্যাটাক আসে। এরপর তাঁকে হসপিটালে ভর্তি করানো হয় এবং সেখানে তার সঙ্গে দেখা করতে তার ছেলে বিজয়েন্দ্র আসে। যেহেতু এই কাহিনীটি কেবলমাত্র অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছিল, সেহেতু সেই রিপোর্টার পুড়ো কাহিনী জানার ইচ্ছা প্রকাশ করে। এরপর আনন্দ পরবর্তী কাহিনীটি জানানোর জন্য তার অফিসে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পড় অবশেষে তারা পরবর্তী কাহিনীর বইটি খুঁজে পান। এখান থেকেই পুড়ো ফিল্মটি শুরু হয়। কাহিনী একঝলকে ফ্ল্যাশব্যাক এ চলে যায়।
রকি গড়োরা কে মারার পড় সেখানকার সব সাধারণ মানুষগুলি রকির সাপোর্টে চলে আসে। কে জি এফ চ্যাপ্টার ১ এ যে লোকগুলি এতক্ষণ পর্যন্ত গড়োরার কাজ করছিল, গড়োরাকে মারার পড় তারা সবাই রকির লোকগুলির সাথে লড়াইয়ে শামিল হয়। অবশেষে রকি বিজয়ী হয়। অর্থাৎ রকি কেজিএফ (জায়গাটির নাম) জিতে নেয়।
এরপর যখন গড়োরার অন্যান্য পার্টনাররা আসে, তখন আয়োজন দেখে তারা মনে করে যে, বিরাট সেখানে হয়ত তার রাজ্যাভিষেক করছে। এরপরেই রকি এসে তাদের জানায় যে, সে বিরাটকে অনেক আগেই মেরে ফেলেছে। আর এখন কে জি এফ এর নতুন মালিক হল সে। এখানে রাজেন্দ্র দেশাইয়ের সাথে কমল ও ছিল, যে রকির বাড়ন্ত দেখে একটু বেশিই লাফাতে থাকে। এটি দেখে রকি কমলকে সেখানেই গুলি করে। এরপর সবাই শান্ত হয়ে যায়।
রকি কেজিএফ-এ রিনাকেও জবরদস্তি ধরে নিয়ে আসে। সে সিদ্ধান্ত নেয় এখন থেকে রিনাকে সে তার সাথেই রাখবে। যেহেতু কেউই রকির বিরুদ্ধে কথা বলতে পাড়ে না, তাই রিনার বাবাকেও চুপচাপ থাকতে হয়। বাধ্য হয়েই রাগী রিনা শান্ত হয়ে যায়। এরপর থেকে কে জি এফ এ কর্মরত মানুষদের জীবন আগের থেকে অনেক উন্নত হয়ে যায়। তাদের ভালো মানের খাবারের সাথে সাথে ভালো বাসস্থানও দেওয়া হয়। স্বাভাবিক ভাবেই সেই মানুষগুলির কাছে রকি দেবতা হিসেবে পরিণত হয়।
পরের দৃশ্যে রকি বনরামের কাছে যায়, এই বনরাম পূর্বে গড়োরার অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিল। কিন্তু এখানে তাঁকে বেঁধে রাখা হয়। রকি জানায়- সে অজির কে মাড়তে পাড়বে না, কারণ সে না হলে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ চালাবে কে? অর্থাৎ রকি এখানে বনরামকে তার সাথে মিলে কাজ করার কথা বলে। প্রথমে বনরাম মানা করলেও পড়ে সে রাজী হয়ে যায়। সে রকিকে পরামর্শ দেয় যে, তার উচিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের থেকেও অনেক মজবুত করা। আর এই নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সে সেখানকার লোকেদের প্রশিক্ষণও দেবে।
কে জি এফ চ্যাপ্টার ১ এ যখন রকি কন্ট্রোল রুমে যায়, তখন সে সেখানে আরও কিছু দেখেছিল, আর এখন সে জানত পাড়ল যে, কে জি এফ এ একটি নয় বরং মোট নয়টি খনি আছে। আর সেই খনি গুলিকে কক্ষনোই খোলা হয়নি, একটি দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছিল। কারণ সূর্যবর্ধন চাইছিলেন না যে, সবাই বাকি খনি গুলি সম্পর্কেও জানুক। এতে করে কে জি এফ এ বিপদ আরও বেড়ে যেত।
বাকি পার্টনার রা এই কথাটি জেনে ফেললেও, রকি তাদের মেরে ফেলল না, পরিবর্তে সবাইকে আগের মতই ব্যবসা চালিয়ে যেতে বলল। কারণ সে জানে যে সে যদি সবাইকে মেরে ফেলে তাহলে সে ব্যবসা কার সাথে করবে? এরপর বাকি আটটি খনিতে লোকেরা কাজ করতে যেতে ভয় পেতে থাকে। এরপর সেখানে রকি চলে আসে এবং সে একাই খনির ভিতরে চলে যায় এবং কাজ শুরু করে। এটি দেখে বাকি লোকেরাও সাহস পায় এবং একে একে ভিতরে চলে যায়। রাজেন্দ্রপ্রসাদ এবং অ্যান্ডরু রকির কাজে মোটেই সন্তুষ্ট ছিল না, তারা যেন তেন প্রকারে রকিকে থামাতে মাঠে নেমে পড়ে। তারা ঠিক করে রকিকে একমাত্র রমিকাই থামাতে পাড়বে। রমিকা হল একজন খুব উচ্চমাপের রাজনৈতিক এবং সবার উপড়ে তার ক্ষমতা বিস্তারই নাকি তার বিশেষত্ব।
টিমে নারায়ন নামের একজন রাজনৈতিকও ছিলেন। রাজেন্দ্রপ্রসাদ এবং অ্যান্ডরু চাইছিল প্রধান মন্ত্রীর পদ থেকে নারায়নকে সরিয়ে রমিকাকে বসাতে। কারণ নারায়ন প্রধান মন্ত্রীর পদ থেকে সরলেই রকির শক্তি শেষ হয়ে যাবে। তাই তারা একটি ভোটের আয়োজন করার কথা ঠিক করে, যেখানে অন্য সব মন্ত্রীরা নারায়নের বিরুদ্ধে ভোট দিবে এবং তাঁকে প্রধান মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
কিন্তু তাদের এই কাজটি ফলপ্রসূ করার আগেই কে জি এফ এর খনিতে একটি বিশাল বড় তলোয়ার দেখে সেখানে উপস্থিত সবাই ভয় পেয়ে যায়। এই তলোয়ারটি হল অধীরার, যাকে আগে গড়োরা মেরে ফেলেছিল, কিন্তু এই সিনে আমরা তাঁকে জীবন্ত দেখতে পাই। সে আসলে মারা যায় নি, সে এতদিন গড়োরার মরার অপেক্ষায় ছিল। গড়োরা মারা যাবার পরই সে তার কে জি এফ ফিরে পাওয়ার জন্য আসবে। অধীরা তার সঙ্গী সাথীদের একত্রিত করে এবং কে জি এফ এর পোস্ট-১ এ হামলা করে। সেই হামলায় পোষ্টে উপস্থিত সবাই মারা যায়। এরপর অধীরা সেখান থেকে চলে যায়। এটা আসলে ছিল তার শুভারম্ভ।
যেইই সোনার ট্রাক নিয়ে কে জি এফ এর বাইরে যায়, অধীরা তাঁকে মেরে ফেলে। অন্যদিকে অন্যান্য পার্টনাররাও অধীরার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। এরপর তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, যে কোনো ভাবে রকিকে কে জি এফ এর বাইরে নিয়ে আসতেই হবে। আর এর জন্য তারা ইচ্ছে করেই রাজেন্দ্রপ্রসাদকে গুলি করে মেরে ফেলে। এই খবরটি শোনার সাথে সাথে রাজেন্দ্রপ্রসাদের মেয়ে রিনা কেজিএফ থেকে তার বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য পালিয়ে যায়। রকির কানে এই খবরটি আসতেই, রকিও তার পিছন পিছন চলে যায়।
এরপর রিনাকে কিডন্যাপ করে নেয় অধীরার লোকেরা। এরপর রকি সেখানে রিনাকে বাঁচাতে যায়। এখানে একটি দারুন অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে। ওদিকে অধীরা দূর থেকে রকির উপর টার্গেট ঠিক করে রেখেছিল, এবং রকির উপরে দূর থেকে হামলা করে। সে চাইলেই রকিকে এখানে মেরে ফেলতে পাড়ত, কিন্তু সে রকিকে মেরে ফেলেনি কারণ অধীরা জানে যে, কে জি এফ এর অন্যান্য লোকেরা রকিকে খুব শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস করত। অধীরা চেয়েছিল যে, রকি যদি এইভাবে সেখানে যায় তাহলে তার উপর থেকে বাকি লোকেদের বিশ্বাস উঠে যাবে। অধীরার কথাই ঠিক হল, রকি এরকম ভগ্নাবস্থা নিয়ে সেখানে গেলে রকিকে দেখে রকির উপর থেকে সবার বিশ্বাস উঠে যেতে থাকে।
অন্যদিকে মুম্বাইয়ের শেঠই ও অন্যান্য লোকেরা যারা রকিকে একদম ভালোবাসত না, তারা চুপিচুপি রকির সাপোর্টারদের মেরে ফেলত। ওদিকে কে জি এফ থেকে কোনো ট্রাক যদি বাইরে বেড়িয়ে আসে, তাহলে অধীরা সেই ট্রাকের লোকগুলিকে মেরে তাদের মৃত দেহ পুনরায় ফিরত পাঠিয়ে দিতে থাকে। আর এই কারণেই কে জি এফ এর ভিতরের সব লোকগুলিই ভয় পেয়ে যায়। অন্যদিকে কে জি এফ এর মধ্যে মাত্র আট দিনের খাবার বেঁচে আছে, কিন্তু রকি এখনও অসুস্থ অবস্থায় আছে, এবং সে পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।
তখনই শেঠই রকিকে ফোন করে এবং রকিকে ধমকি দেওয়ার সাথে সাথে খারাপ আচরণও করে। এতে রকি অনেক রেগে যায় এবং সে তারা চাচাকে ফোন করে। এই চাচা হল সেই চাচা যার সাথে সে মুম্বাইয়ে গিয়ে থাকে, রকি তার কাছে একটি সাহায্য চায়, এবং তার হেলিকপ্টারে কিছু সোনা নিয়ে দুবাইয়ে চলে যায়। এটি দেখে কে জি এফ এর সবাই ভেবে নেয় যে, রকি হয়ত ভয় পেয়ে পালিয়ে গেছে। কিন্তু আদতে রকি দুবাইয়ে যায় খলিলের সাথে দেখা করার জন্য।
এখানে খলিলের সাথে সে মিটিং করে এবং তাকে একটি বিজনেস এর কথা বলে, সে জানায় সে আফ্রিকা থেকে তার সোনা সোজা ভারতে নিয়ে আসবে। খলিল প্রথমে মানা করে, কারণ রকির স্বাস্থ্য ভালো নয়। খলিল দেখে যে, তার কাছে উপস্থিত বেশীরভাগ লোকই রকির সাপোর্টার। শেষে খলিল রকির সাথে বিজনেস ডিল করে। এরপর রকি কে জি এফ এ ফিরে আসে এবং বনরামকে সব ট্রাকগুলি বাইরে বেড় করতে বলে। অন্যদিকে অধীরা বাইরে তার জন্যই অপেক্ষা করছিল। রকি এখানে ফিরে এসেছে দেখে, অধীরার লোকেরা সবাই রকির দিকে নিশানা করে, ঠিক তখনই ট্রাকের ভিতর থেকে অনেক মানুষ বেড়িয়ে আসে, তাদের প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে অত্যন্ত আধুনিক বন্দুক।
রকির লোকেদের সাথে অধীরার লোকেদের কমদামী বন্দুক টিকতে পারেনি। অধীরার অনেক লোক মারা যায়, একরকম ভাবে অধীরা হেরে যায়। রকি চাইলেই অধীরাকে মাড়তে পাড়ত, কিন্তু সে তাঁকে ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে রকি নারায়ণের মন্ত্রিত্বও বাঁচিয়ে নেয়। এরপর রকির ব্যবসা অনেক বেড়ে যায়, কারণ সে নয়টি খনি থেকে সোনা বেড় করছিল। এদিকে রকি মুম্বাইয়ে গিয়ে শেঠই কেও মেরে ফেলে। এভাবেই কেটে যায় কয়েক বছর। অবশেষে নির্বাচনের সময় চলে আসে। নারায়ন রকির সাথে দেখা করে তাঁকে জানায় যে, তাঁকে যদি আবার পুনরায় মন্ত্রী বানাতে চায় তাহলে রমিকাকে মারতে হবে। রমিকা বেঁচে থাকলে সে কে জি এফকে শেষ করে ফেলবে। কিন্তু রকি জানায় সে মহিলা এবং বাচ্চাদের উপর হাত তুলে না।
এদিকে নির্বাচনে রমিকা বিপুল ভোটে জয়ী হয়। রমিকা জিততেই সে রকি এবং কে জি এফ এর ব্যাপারে জানতে পাড়ে। অন্যদিকে এই কয়েক বছরে রকি কে জি এফ এর পরিবেশ পুরোটাই পাল্টে দিয়েছে। সেখানকার মানুষগুলির জন্য সুন্দর সুন্দর ঘড় তৈরি করা হয়েছে। এটি শুনে রমিকা জানায় যে ভাবেই হোক রকির বিরুদ্ধে প্রমান নিয়ে আসো। এই কাজের জন্য সে একটি দলও বানিয়ে দেয়। অন্যদিকে কে জি এফ এ আনন্দ –কে দেখা যায়। এই আনন্দ হল সেই আনন্দ যে প্রথমে কে জি এফ এর গল্পটি শোনাচ্ছিল। এখানে তাঁকে কমবয়সী হিসেবে দেখা যায়। সে চুপিচুপি রকির ছবি ক্লিক করছিল। এটি রকির লোকেদের নজরে পড়লে রকির লোকেরা আনন্দকে ধরে ফেলে।
তাঁকে ধরে রকির সামনে নিয়ে গেলে, রকি তার আচরণ দেখে খুশি হয়ে যায়। একজন সাধারণ মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সে অনেক সাহস আর উদ্যমের সাথে কথা বলছিল। সে জানায় সে একজন লেখক। এখানে রকি তাঁকে জানায় সে যেন রকির গল্প লেখে এবং সব কিছু যেন সত্য লিখে। এরপর পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসি করেও কিছু পায়নি শুধু এক জায়গায় তারা একটি সোনার বিস্কুট খুঁজে পায়। সেটি নিয়ে তারা পুলিশ ষ্টেশনে জমা করে। অন্য দিকে রকি এই ঘটনাটি জানতে পাড়লে, সে সেই একটি বিস্কুট নেওয়ার জন্যই পুলিশ ষ্টেশনে চলে যায়। রকিকে দেখেই সেখানে উপস্থিত সবাই ভয় পেয়ে যায়, কারণ রকির নাম শুনলেও খুব কম মানুষই রকিকে সামনা সামনি দেখেছেন।
এখানে সে তার সোনার বিস্কুট নেওয়ার পড় মেশিন গান দিয়ে পুড়ো পুলিশ ষ্টেশনে ফায়ারিং চালাতে থাকে। এটি হল তার নতুন আমদানিকৃত বন্দুক গুলির ফিল্ড টেস্ট। ফিল্ড টেস্ট হবার পড় রমিকার হাঁতে কিছু প্রমান চলে আসে। আর এর উপর ভিত্তি করেই, সে রকিকে গ্রেফতার করতে চায়। তখনই সেখানে কিছু ফুল আর একটি ফাইল নিয়ে রকি রমিকার সামনে চলে আসে। রকি সেই ফাইলটি রমিকাকে দেখায়। সেই ফাইলটিতে রকির বিরুদ্ধে অনেক প্রমান ছিল। সে রমিকাকে জানায় রমিকা এই ফাইলটির সাহায্যে যে কোনো মামলা বানাতে পাড়ে।
রমিকা সেই ফাইলটি গ্রহণ করতে যাবার মুহূর্তেই সেখানে রমিকার দলের কিছু লোক আসে, এবং তারা জানায় যে, রমিকার দলের প্রায় ২০০ মানুষকে রকিই চালায়। রমিকা রকির বিরুদ্ধে কোনো মামলা করলে বাকিরাও জানতে পাড়বে যে, রমিকার পার্টির লোক রকির সাথে আছে, এবং তার সরকার ভেঙ্গে যাবে। এখানে রমিকা ধমকি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি।
এরপর রকি কে জি এফ এ এসে সব সোনার অর্ডার বন্ধ করে দেয়। এই কথাটি যখন খলিল জানতে পাড়ে, সে খুব রেগে যায়, কারণ রকি শুধু নিজের মতেই চলছিল। অন্যদিকে রকির পার্টনারও রকির থেকে বিরক্ত হয়ে যায় এবং সে অধীরার কাছে থেকে সাহায্য চায়। ওদিকে খলিলও অধীরার সাপোর্টে চলে যায়। অন্যদিকে অধীরা কে জি এফ এর কর্মচারীদের ধরে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য আদায় করতে থাকে। অবশেষে অনেক বছর পড় তার কাছে কে জি এফ এর একটি ম্যাপ হাঁতে আসে।
সে জানতে পাড়ে যে ভিতরে যাবার দুটি রাস্তা রয়েছে। কিন্তু দুটি রাস্তাতেই এত কঠিন নিরাপত্তা রয়েছে, তা ভেদ করে ভিতরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তাঁকে কোনো খনির ভিতর দিয়ে যেতে হবে, এবং সেই খনি সম্পর্কিত তথ্য তাঁকে কারও কাছে থেকে জানতে হবে। আর এই কাজটি সে অ্যান্ডরিও কে দিয়ে দেয়। সে অ্যান্ডরিও কে শাসিয়ে দেয় যে, সে তার কথা না পালন করলে তাঁকে সে (অধীরা) মেরে ফেলবে।
রকি অনেক বছর আগে তাঁর মাকে যেখানে কবর দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে তার মায়ের শরীরকে বেড় করে এবং একটি সুন্দর সমাধি বানিয়ে দেয়। আর সেখানে তার মাতাল বাবাকে কাজে রেখে দেয়। তার বাবা সন্তান এবং স্ত্রীর প্রতি বিমুখ ছিল, তাই তাঁকে এবার সারাজীবন সেই সমাধিটি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এই সব দেখে রিনাও অনেক খুশি হয়ে যায় এবং অবশেষে তাদের দুইজনের বিবাহ হয়ে যায়।
অন্যদিকে অধীরার হাঁতে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে আসে, যে কোথা থেকে খনন শুরু করলে, সেই খনির রাস্তায় যাওয়া যেতে পাড়ে! এরপর সে খনন শুরু করে। অন্যদিকে রিনা জানতে পাড়ে যে সে প্রেগন্যান্ট। সে তাড়াতাড়ি এই খবরটি কে জি এফ এ গিয়ে রকিকে জানানোর চেষ্টা করে, কিন্তু রকি এই খবরটি পাওয়ার সাথে সাথেই পিছন থেকে অধীরার লোক আক্রমণ করে এবং রিনাকে গুলিবিদ্ধ করে, রিনা মারা যায়। এতে রকির উপড়ে যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। এখানে একটি ইমোশনাল দৃশ্য রয়েছে।
এবার রকি ভীষণ রেগে যায় এবং রকি ও অধীরার মধ্যে বড় ধরণের লড়াই শুরু হয়। অসাধারণ লড়াই কৌশল চলতে থাকে। শেষে রকি একটি হাতুড়ি তুলে নেয় এবং অধীরাকে খুব মাড়তে থাকে। এরপর রকি অধীরার ঘাড় ভেঙ্গে দেয় এবং তাঁকে মেরে ফেলে।
অন্যদিকে রকি জানতে পাড়ে যে অধীরা সমস্ত তথ্য জোগাড় করেছিল বাইরের কোনো লোক মারফত। এরপর রকি তার দলবল নিয়ে চলে যায় পার্লামেন্টে। সেখানে রকির সম্পর্কেই কথা হচ্ছিল। রমিকা ভাষণ দিচ্ছিল, সে জানায় যে ভাবেই হোক রকির বিরুদ্ধে সে এরেস্ট ওয়ারেন্ট বেড় করবেই করবে। রকি সেখানে গিয়ে সবার সামনেই নারায়নকে গুলি করে। কারণ সেইই অধীরাকে সমস্ত তথ্য দিয়েছিল। কারণ রকি জানতে পাড়ে যে, নারায়ণই প্রথম থেকে প্ল্যান করছিল যে, সে রকিকে কে জি এফ এ পাঠাবে এবং রকি গড়োরাকে মেরে ফেলবে। এবং শেষে রকিকে মেরে ফেলে নারায়ন কে জি এফ এর মালিকানা গ্রহণ করবে।
যেহেতু রকি সবার সামনে পার্লামেন্টে এসে পার্লামেন্টেরই একজন সদস্য কে হত্যা করেছে সেহেতু সরকারের হাঁতে রকির বিরুদ্ধে অনেক প্রমান চলে আসে। রমিকা রকির বিরুদ্ধে ডেথ ওয়ারেন্ট জারি করে। রকিকে মারার জন্য বিশাল বড় সেনার বহর কে জি এফ এ যায়, সেখান থেকে সব কর্মচারীদের বাইরে বেড় করে দেওয়া হয়, যাতে করে রকিকে খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায় যে রকি তার মহলে নেই।
পরের দৃশ্যে দেখা যায় রকি একটি জাহাজে রয়েছে। এতদিন পর্যন্ত যত গুলি সোনা উত্তোলন করা হয়েছিল সব সোনাই তার সাথে আছে। ওদিকে রমিকা এই খবরটিও জানতে পাড়ে। আসলে রকির জাহাজ থেকেই এই খবরটি রমিকাকে জানানো হয়। কারণ রকিও জেনে গিয়েছিল তারও অন্ত চলে এসেছে, তাই সে ইচ্ছে করেই তার সমস্ত তথ্য দিয়ে দেয় এবং সে নিজেও মরতে চায়।
রকি চেয়েছিল সে আর তার সাথে থাকা সোনা একসঙ্গে শেষ হয়ে যাবে। আর ঠিক এমনটাই হয়েছিল। কারণ ফাইটার প্লেন রকির জাহাজ দেখে বোমা বর্ষণ করে এবং রকির জাহাজ ব্লাস্ট হয়ে যায়। রকি এবং তার সাথে থাকা বিপুল সোনা জলের তলায় চলে যায়, কিন্তু কেউই রকিকে আর তার সোনা গুলিকে খুঁজে পায়নি।
রমিকা রকির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত প্রমান নষ্ট করে ফেলে, এবং ভবিষ্যতে কেউই যেন রকি সম্পর্কিত কোনো তথ্যই জানতে না পাড়ে তাই তার সব প্রমান নষ্ট করে ফেলে। আর একারণেই আনন্দই হল একমাত্র ব্যক্তি যে শুধু একাই রকির সম্পর্কে জানে। আনন্দ এই পুড়ো গল্পটি লিখে এবং পরবর্তীতে এটিকে প্রকাশিতও করে।
রকির সেই কে জি এফ এই সেখানকার কর্মচারীরা একটি শহর তৈরি করে। রকি তাদের কাছে ভগবানের মত ছিল, তার মৃত্যুর পড় তার সাপোর্টাররা এখানেই বসবাস করতে থাকে। আর এভাবেই সিনেমার মূল নায়কের মৃত্যুর সাথেই সিনামাটির sad ending হয়।
kgf chapter 2 box office collection:-
Days | kgf chapter 2 box office total collection |
Day 01 | INR- 134.5 crore |
Day 02 | INR- 275 crore (world-wide+India) |
Day 03 | updating soon… |
Day 04 | updating soon… |
Day 05 | updating soon… |
Day 06 | updating soon… |
Total collection (till now) | INR- 409.5 crore |
প্রতিদিনের আপডেটের জন্যঃ- ফেসবুক-অবাক বিশ্ব GROUP:- Amazing FACT (অজানা তথ্য)
টেলিগ্রাম- ছাড়পত্র(charpatra)
পড়ুনঃ- ছেলেদের সাইকোলজি
কি ভয়ানক ছিল সেই রাত
“কেজিএফ চ্যাপ্টার 2 মুভি রিভিউ। কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ বাংলা। kgf chapter 2 সিনেমার কাহিনী। কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ মুভি ইন বাংলা। kgf chapter 2 full explain in bengali. story of kgf chapter 2. kgf chapter 2 box office collection”
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।