আজ ছেলেদের সাইকোলজি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি আমরা। ছেলেদের সঙ্গে যুক্ত এই মনবৈজ্ঞানিক তথ্য গুলি যে সব ছেলেদের ক্ষেত্রেই সঠিক হবে এমনটি নয়। বরং পৃথিবীর বেশীরভাগ ছেলের মধ্যেই এমন আচরণ বা অজানা তথ্য জুড়ে আছে, সেটি মনে করেই আমাদের এই নিবন্ধটি পড়া উচিত।

ছেলেদের সাইকোলজি। সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্টঃ-

১. ছেলেদের মধ্যে নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন কিছু করার ভাবনা মেয়েদের তুলনায় অনেক গুন বেশি হয়ে থাকে। রিস্ক নেওয়ার প্রবণতা ছেলেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কোনো বিপদে ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় আগে এগিয়ে যায়, কিন্তু পক্ষান্তরে মেয়েরা সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই কারণেই হয়ত বলা হয় যে, প্রত্যেক মেয়ের অন্তত একজন ভালো ছেলে বন্ধু থাকা উচিত গৃহ পরিবেশের বাইরে, সুরক্ষার খাতিরে।

২. ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় অনেক দেড়িতে পরিপক্ক হয়। অর্থাৎ সামাজিকতার মনোভাব ছেলেদের মধ্যে অনেকটা দেড়িতে আসে। কিন্তু মেয়েদের মধ্যে সামাজিকতার মনোভাব তাড়াতাড়ি চলে আসে।

৩. ভারতীয় হোক বা বিদেশী, প্রেমে প্রপোজ করার দিক দিয়ে ছেলেরাই অগ্রগামী। খুব কম সংখ্যক মেয়েই আছেন যারা ছেলেকে প্রপোজ করেন।

৪. কিছু কিছু ছেলে আছে, যারা একটু অন্য স্বভাবের, এরা ভাবে- মেয়েরাই এদের প্রপোজ করবে, এরা মেয়েদের প্রপোজ করবে না। কিন্তু সাইকোলজি বলে এমন ঘটনা বিরল যেখানে একজন মেয়ে একজন ছেলেকে প্রেমের প্রস্তাব দিবে। আর এই কারণেই হয়ত এরা সদা সিঙ্গেল  থেকেই যায়।

৫. বুদ্ধিমান ছেলেরা প্রথমে নিজের ক্যারিয়ার বা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে, পড়ে প্রেম বিবাহ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে। আর এটি করতে করতেই তাদের বয়স বেড়ে যায়। স্বভাবতই তার সমবয়সী পছন্দের মেয়েটির ততদিনে বিবাহ হয়ে যায়। এদের মনের বাসনা মনেই থেকে যায়।

৬. এমন অনেক ছেলেই আছে, যারা অনেকটা চাঁপা স্বভাবের হয়ে থাকে। এদের মুখ থেকে কথা বেড় করা মুশকিল। কিন্তু যদি আপনি রাতের বেলায় তার মনের কথা জানতে চান, তাহলে অনেকটাই সফল হতে পাড়েন।

ছেলেদের সাইকোলজি ছেলেদের সাইকোলজি বোঝার উপায়
ছেলেদের সাইকোলজি ছেলেদের সাইকোলজি বোঝার উপায়।

৭. ছেলেরা কথা গোপন রাখতে বেশি ভালোবাসে। এরা শুধু তাদের পছন্দের মানুষদের সাথেই গোপন বিষয়ে মুখ খুলে।

৮. যদি কোনো ছেলে আপনাকে কোনো কাজে বাঁধা দেয়, এবং আপনি তার কথার তোয়াজ্ঞা না করেই সেই কাজটি করতে যান, তাহলে দেখবেন ছেলেটি এরপর থেকেই আপনাকে ইগ্নোর করা শুরু করে দিবে।

৯. প্রতিহিংসা পরায়ণতা মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এরা কিভাবে উপযুক্ত জবাব দিতে হয় সেটা ভালোভাবেই জানে।

১০. নিজের বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কোনো মেয়ে যদি অন্য ছেলের সাথে কথা বলে, তাহলে সেই ছেলেটি মনে মনে খুবই বিরক্ত হয়। কিন্তু প্রসঙ্গ যখন বন্ধুর এক্স এর তখন সে খুব মনযোগ দিয়ে কথা শুনতে থাকে।

১১. মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি মিথ্যে কথা বলে এবং ঝগড়া-মারামারিও বেশি করে।

১২. একজন ছেলের সাথে আপনি যদি খারাপ ব্যবহার করেন, তাহলে ভবিষ্যতে ছেলেটির সাথে কথা বলার সময় আপনার মনে হবে যে ছেলেটি হয়ত আপনার করা খারাপ ব্যবহারটি ভুলে গেছে, কিন্তু বাস্তব অনেকটাই আলাদা। ছেলেরা তাদের মনে আঘাত দিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের কখনো ভুলে না, শুধু ভুলে থাকার ভান করে।

পড়ুনঃ- ছেলেদের অজানা তথ্য 

মেয়েদের অজানা তথ্য

১৩. একজন ছেলে যতই মুখে বলুক না কেন- আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম  কিন্তু আদতে সে ক্ষমা করে না। এরপর থেকে সে আপনার সাথে মিশবে ঠিকই কিন্তু সর্বদা সে আপনার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাবে।

১৪. অধিকাংশ ছেলেই মেয়েদের তুলনায় বৌদিদের বেশি পছন্দ করে। একটি সার্ভে মোতাবেক-বেশীরভাগ ছেলেই ইন্টারনেটে ভাবী  শব্দটি বেশীরভাগ সার্চ করে থাকেন।

১৫. পৃথিবীর ৭০ % পুরুষ নিজের বিবাহ নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। বেশীরভাগ পুরুষই বন্ধুর বউয়ের চোখে স্বর্গ দেখেন। যদিও বাস্তব অনেকটাই আলাদা।

১৬. কোনো ছেলে যতই খারাপ চরিত্রের হোক না কেন, নিজের পছন্দের মানুষের সামনে সে সর্বদা ভালোভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে।

১৭. এরকম খুব কম ছেলেই আছে যারা মেয়েদের আবদার ফিরাতে পাড়ে। বেশীরভাগ ছেলেই মেয়েদের কোনো আবদার ফিরিয়ে দেয় না।

১৮. কিছু ছেলে আছে, যারা মেয়েদের দেখে অন্য দিকে হাঁটে। এরা চায়না যে, তারা কোনো মেয়ের সামনে আসুক। মেয়ের সামনে আসলেই এদের অসম্ভব রকমের হার্টবিট বেড়ে যায়।

১৯. মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি চিন্তা করে।

২০. ফালতু বিষয় নিয়েও চিন্তা করাটা ছেলেদের স্বভাব। যেমন ধরুন- রাস্তায় কোনো সুন্দর মেয়ে একজন ছেলের সামনে হঠাৎই চলে এসেছে, এবং মেয়েটি কিছুক্ষণের জন্য ছেলেটির চোখে চোখে দেখেছে। মেয়েটি হয়ত সেই ঘটনাটি ভুলেই যাবে। কিন্তু ছেলেটি বাড়িতে এসে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা মেয়েটির বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা করতে থাকে যেমন- মেয়েটির নাম কি, বাড়ি কোথায়, আর দেখা হবে কি না, সে যদি তার গার্লফ্রেন্ড হত কেমন হত, বন্ধুত্ব, বিবাহ ইত্যাদি ইত্যাদি  নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে সে অযথা সময় নষ্ট করে।

২১. যতই বয়স বাড়তে থাকে, ছেলেরা ঢিলে-ঢালা পোশাক পড়তে বেশি পছন্দ করে থাকে।

২২. বেশীরভাগ ছেলেই স্বাস্থ্যবান মেয়ে পছন্দ করে। খুব কম সংখ্যক ছেলেই আছে, যারা রোগা-পাতলা মেয়েদের পছন্দ করে। তবে মোটা মেয়েদের ছেলেদের একটু কম পছন্দের।

২৩. অনেকে মেয়েই ভেবে থাকেন ছোট ছোট কাপড় পড়লে ছেলেরা ইমপ্রেস হয়ে যাবে। কিন্তু বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, ছেলেরা আজও সেই শাড়ী তথা সামাজিক রুচিসম্মত পোশাক পড়ে থাকা মেয়েদের বেশি পছন্দ করে।

২৪. ছোট কাপড় পড়া মেয়ে দেখলে ছেলেদের মাথায়, মেয়েটি সম্পর্কে বাজে বাজে ভাবনা আসতে থাকে, কিন্তু একজন সামাজিক রুচিসম্মত কাপড় পরিহিতা মেয়েকে দেখলে ছেলেরা নিজের অজান্তেই সেই মেয়েটিকে পছন্দ করতে শুরু করে।

২৫. কোনো ছেলে একজন মেয়েকে ছেড়ে চলে যাবার পড়ে, তার প্রভাব মেয়েটির মধ্যে হয়ত কিছুদিনের জন্য থাকে। ধীরে ধীরে মেয়েটি নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। কিন্তু ছেলেরা সহজে এটা পারেনা। ব্রেকআপ হবার পড়েই অধিকাংশ ছেলে নেশার পথকে বেঁছে নেয়।

boys psychological fact in bengali ছেলেদের গোপন তথ্য
boys psychological fact in bengali ছেলেদের গোপন তথ্য

২৬. ছেলেরা মেয়েদের খোলা লম্বা চুলের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে থাকে।

২৭. অনেকে ছেলের মধ্যে আবার এক ভিন্ন প্রকারের নেশা দেখা যায়। তারা মেয়েদের মোবাইল নাম্বার জোগাড় করতে উঠে পড়ে লেগে যায়। তারা ভাবে- যেন তেন প্রকারেণ মেয়েটির নাম্বার তাঁকে নিতেই হবে  মেয়েদের নাম্বার জোগাড় করার অদ্ভুত এই নেশা অনেক ছেলেরই থাকে।

২৮. এমন অনেক ছেলেকেই খুঁজে পাবেন যারা মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতেই দুর্বলতা অনুভব করে।

২৯. কিছু কিছু ছেলে আবার ultra legend টাইপের হয়ে থাকে। তারা প্রথমে কোনো মেয়ের পুড়ো নাম জেনে নেয়। এরপর ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মেয়েটি সম্পর্কে এক উচ্চতর গবেষণা চালাতে থাকে। মেয়েটির প্রোফাইলে আপলোড করা বিভিন্ন ছবিতে বিভিন্ন রিয়েক্ট দেওয়ার সাথে সাথে সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করতেও পিছুপা হয়না সে।

৩০. মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা শীঘ্র প্রেমে পড়ে যায়।

৩১. ছেলেরা গুজব রটাতে অভ্যস্ত। অনেক ছেলেই আছে যারা দ্রুত গুজব ছড়িয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে। কোনো উল্টো পাল্টা ঘটনা সাজিয়ে সেটিকে প্রচার করার দিক দিয়ে ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় এগিয়ে আছে।

৩২. মেয়েরা নিজের পরিবারের সমস্যাকে তার বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে ভাগ করে নিলেও, ছেলেরা তা করে না। ছেলেরা তার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া, সময় কাঁটানো, প্রভৃতিই পছন্দ করে।

৩৩. যদি কোনো ছেলে বলে- আমাকে একা থাকতে দাও  তাহলে আপনার উচিত তাঁকে একা ছেড়ে দেওয়া। আপনি যদি জবরদস্তি করে তার সাথে কথা বলতে যান, ছেলেটি আপনার উপর মারাত্মক রকমের বিরক্ত হয়ে যায়।

৩৪. ছেলেরা যখন নিজের কোনো পছন্দের মানুষের সাথে বা গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রীর সাথে কথা বলে তখন তারা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৭% ধীরে কথা বলে। কিন্তু অন্য মেয়েদের সাথে সে স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলে।

৩৫. Teenage (13-19 years) ছেলেদের কাছে কোনো পছন্দের মেয়ের সাথে সময় কাটানো, তার সাথে কথা বলা, love , romance এইই হল জীবন। কিন্তু ২০ বছর বয়স পাড় হওয়ার সাথে সাথে ছেলেরা কিছুটা গম্ভীর স্বভাবের হতে থাকে। ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে থাকে।

৩৬. জানেন কি, মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে আত্মহত্ম্যা করার প্রবণতা ৩-৪% বেশি দেখা যায়।

ছেলেদের গোপন তথ্য সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট
ছেলেদের গোপন তথ্য সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট image
<

৩৭. অধিকাংশ মেয়েই টাকা-ওয়ালা ছেলেকে নিজের বয়ফ্রেন্ড বানাতে বেশি পছন্দ করে। কিন্তু ছেলেদের বেলায় বিষয়টি একদমই আলাদা। ছেলেরা সাধারণত- নম্র, ভদ্র, শান্ত মেয়েদেরই বেশি পছন্দ করে।

৩৮. পুরুষ তার জীবনের মোট সময়ের ৩৬৫ দিন অর্থাৎ একবছর মেয়েদের দিকেই তাকিয়ে নষ্ট করে।

৩৯. কোনো পুরুষ তার পছন্দের মানুষের সাথে হাঁটার সময় অনেকটাই ধীরে ধীরে চলে, কিন্তু অন্যদের সাথে সে অনেক দ্রুত চলতে থাকে।

Recommended by ছাড়পত্রঃ- সাইকোলজি টিপস 

ভালোবাসার সঙ্গে যুক্ত সাইকোলজি ফ্যাক্ট

“ছেলেদের সাইকোলজি। ছেলেদের সাইকোলজি বোঝার উপায়।”

প্রতিদিনের আপডেটের জন্য আমাদের সঙ্গে টেলিগ্রামে- ছাড়পত্র-charpatra যুক্ত হতে পাড়েন। 
অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপ- Amazing Fact(অজানা তথ্য) এবং আমাদের ফেসবুক পেজ- অবাক বিশ্ব তো রয়েছেই। 

“ছেলেদের গোপন তথ্য। সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট। boys psychological fact in bengali”

Spread the love

Leave a Reply