দুটি best bangla sad love story থাকছে আজ। এই দুঃখের প্রেমের গল্প দুটি পড়ার পর অবশ্যই আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।

bangla sad love story :- 01

শ্রীতমা বেশ ভালোই আছে এখন। একটা বহুজাতিক সংস্থার ম্যানেজারের পোস্টে আছে। তবে তার মামার কথা খুব মনে পড়ে, তার মা এর সম্পর্কে পাড়াতুতো দূরসম্পর্কের মামা হয়। কারন তার প্রথম প্রেমের বীজ রোপন হয় সেই ভগবানপুরেই। সবুজের সমাহারের মধ্যে খুঁজে পেয়েছিল মনের মানুষকে।

সেখানে সে গিয়েছিল একদম ক্লাস 10 এর ফাইনাল পরীক্ষার পর। নিজের মামা না হলেও আদর-যত্নের ত্রুটি ছিল না। শ্রীতমাকে নিজের ভাইজীর মতোই ভালোবাসতো তার দূরসম্পর্কের মামা। সেখানেই প্রথম দেখা শ্রীতমার সাথে পলাশের। পলাশ মাঝারি গড়নের ওপর বেশ ফর্সা, শ্রীতমার থেকে প্রায় পাঁচ ইঞ্চি লম্বা, স্বভাবটা খুবই প্রশান্ত প্রকৃতির। মামার বাড়ির গ্রামের মেলায় শ্রীতমাকে পলাশ একটা চুলের রঙিন ক্লিপ উপহার দেয়। শ্রীতমা বলে, পলাশদা তুমি কতো বোঝো আমায়, কিন্তু মামা বলে তুমি নাকি খারাপ,কেনো বলে বলতো? যত ভুল ধারণা।

পলাশ কোনো কথা বলেনা, শুধু চুপ করে থাকে। দিন যায়, মাস যায় কিন্তু সময়ের মায়া নিয়ে বয়ে বেড়ায় শ্রীতমা আর পলাশের প্রেমগাঁথা কাব্য। প্রভাতের কোনো কদম্ব, কলার ভেলায় চড়া মধ্যাহ্নের আর রাতের সন্ধ্যাতারার মতো তাদের প্রেমযুগল, রূপকথার মতো গ্রামের মেঠো পথেও বার্তারূপ নেয়। শ্রীতমার ছুটি শেষ হয়ে আসে ক্রমে ক্রমে। শহরে ফেরার আগে একদিন শ্রীতমা পলাশকে ডাকে তার মনের কথা বলবে বলে, কিন্তু পলাশ যেতে পারে না কারন সে তখন গ্রামের বাড়িতেই নেই। অনেক খোঁজ করে জানা যায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। এরপর আর কথা হয়নি শ্রীতমা আর পলাশের মধ্যে।

এর কিছু বছর পর শ্রীতমা কলকাতার যোগমায়া কলেজে পড়ার সময়, একদিন রাস্তায় দেখে পলাশকে। তবে অনেকটাই পালটে গেছে সে। কাছে গিয়ে পরিচয় দিতে পলাশ তাকে চিনতে পারে না। কেমন এড়িয়ে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে হেঁটে যায় আর কাঁধে একটা বড়ো লাঠিতে বাঁধা আছে কিছু গ্যাস বেলুন, যা বিক্রি করতে খুবই অশান্ত লাগছে পলাশকে। ওই ফর্সা মুখে আজ পড়েছে কষ্ট ও ক্লান্তির ছাপ। শ্রীতমা বিস্ময়ে উপরের বিধাতার কাছে তার ভালবাসার প্রলাপ গুনতে থাকে। বাড়ি ফিরে সে যেন নিজেকে ক্ষমা করতে পারে না। শ্রীতমার বাথরুমের স্বচ্ছ কাঁচটা যেন আজ অতিরিক্ত ভিজছে তার চঞ্চলতায়।

স্যাড লাভ স্টোরি
স্যাড লাভ স্টোরি

শ্রীতমা তার মাকে ডেকে বললো, “তপন মামার কোনো ফোন নম্বর আছে?” না। তুমি যা লীলা করে এসেছিলে তারপর তাদের সঙ্গে আমাদের সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হয়েছে। তা এতোদিন পর তোমার মামার কথার মনে পড়ার কারন জানতে পারি?” শ্রীতমার মা বলল। শ্রীতমা কলেজে তিনদিন যায়, কারন প্র্যাক্টিক্যাল প্রজেক্ট থাকে। প্রতিদিন কলেজ যাওয়ার পথে পলাশকে চোখে পড়ে তার ঠিক হাজরার মোড়ে, যেখানে সে একটা কৃষ্ণ লাঠি নিয়ে কপালের ঘাম বুকের পকেটে মুছতো। অনেকবার পলাশকে শ্রীতমা তাদের কথা বলার চেষ্টা করে তবু সে কিছু বলে না, তবে তার চোখের কোণে জল দেখতে পায় শ্রীতমা। কিছু অতীতের কালো ছায়া দেখতে পায় সে।

একদিন কলেজের নাম করে বেরিয়ে পড়ে শ্রীতমা, পৌঁছে যায় ভগবানপুরে। ঘড়িতে বিকাল চারটে, তপন মামাকে প্রনাম করে শ্রীতমা। তপন সিংহ শ্রীতমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। শ্রীতমার খুব সন্দেহ জাগে জিজ্ঞাসা করে “মামা পলাশ এখন কোথায় থাকে?” তপন সিংহ চোখ মুছে রেগে গিয়ে বলে “তুই এখানে এই শয়তানের, জানোয়ারের গ্রামে আসিস না, চলে যা এক্ষুনি।” শ্রীতমা আগ্রহী হয়ে বলে “কেন মামা?” তপন সিংহ বলে ” তুই যে ছেলেটার সঙ্গে মেলামেশা করতিস, তাকে এই গ্রামের মোড়ল চুরির দায়ে মেরে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। আর এর কারন তুই !”

“তোর ওপর মোড়লের ছেলের খুব নজর ছিল তাই তোকে না পেয়ে ওরা পলাশের ওপর খুব অত্যাচার করেছিল। পলাশকে আমি শেষবার হাসপাতালে দেখতে যাই, কিন্তু সেখানে তাকে পাই না, এখন কোথায় কেমন আছে, আর খোঁজ পাইনি, তুই চলে যা, তুই চলে যা মা।”

কষ্টে শ্রীতমার বুকটা কেঁপে ওঠে, হাতটা যেন অবশ হয়ে আসে। তারপরের দিনই শ্রীতমা ফিরে আসে বাড়িতে কিন্তু কলেজে যাওয়ার পথে সে আর কোনোদিন পলাশকে দেখতে পায়না। পলাশের কিছু চিঠি আজও সে লুকিয়ে পড়ে, আর তার চশমার কাঁচটা যেন ঝাপসা হয়ে আসে প্রতি মূহুর্তে।

পড়ুনঃ- কলেজ জীবনের প্রেম কাহিনী- সিনিয়রের সাথে প্রেমের গল্প 

প্রেরক- সৌগত প্রামানিকfacebook

bangla sad love story

bangla sad love story:- 02

শরীরটা কয়েকটি দিন ভালো যাচ্ছে না। শুয়ে শুয়ে লক্ষ্য রাখলাম ওর দিকে। সাদা কাগজ থেকে কথা কমপিউটারে টাইপ করতে থাকল হরিপ্রিয়া ওরফে মৌ। আশ্রমের প্রকাশনার কাজটা ও সামলায়। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শিখে নিয়েছে ও।

সামনে রথ যাত্রা। মানে রথে দড়িটানার স্মৃতি। আর জগন্নাথ দেবের কথা মনে আসে। আমারা অল্প সল্প পড়াশুনায় বুঝেছি যে শ্রীচৈতন্য দেবের আবির্ভাবের আগে এই বাংলায় বা ওপার বাংলাতে জগন্নাথ, ও রাধাকৃষ্ণের পুজো প্রায় দেখাই যেতোনা। এই পুজো একদমই অপ্রচলিত ছিল। তখন বৌদ্ধ জৈন প্রভাব মুক্ত হয়ে বঙ্গভূমি শাক্ত সাধনার তীর্থক্ষেত্র পরিণত হচ্ছে, বৌদ্ধ জৈনদের পুজিত দেবতারা হিন্দু দেবতা হিসাবে পুজিত হতে শুরু হয়েছে। এ দিকে ইসলাম ধর্মলম্বীরা ক্ষমতা দখল করায় হিন্দুরা নতুন এক চ‍্যালেঞ্জের মুখে পরলো। এই সময় চৈতন্য দেব নতুন যুগের শুরু করলেন। আমদানি করলেন নতুন ধর্ম সংস্কৃতি।

পড়ুনঃ- অদ্ভুত একটি প্রেমের গল্প 

তাই এ বাংলায় রাধা কৃষ্ণ বা জগন্নাথদেবের মন্দির দেখা যায় না যা ৫০০ বছর বা তার বেশী প্রাচীন। চৈতন্যদেবই প্রথম এদেশে প্রেম, ভক্তির সাধনার পথ প্রবর্তন করেন । কিন্তু তখন শাক্ত,তন্ত্র ছাড়াও বৈষ্ণবও ছিলেন, তাঁদের আরাধ্য দেবতা, চতুর্ভুজ বিষ্ণু ও রঘুবীর অর্থাত রাম । রাধাকৃষ্ণের প্রেম সাধনা বা মধুররসের সাধনা, মহাপ্রভু চৈতন্যদেবই এই অখণ্ড বঙ্গদেশে প্রবর্তন করেন ।  এবং  বলা ভালো  জঙ্গলবাসী আদিবাসীদের দেবতা জগন্নাথ, তার প্রভাবই সারা বাংলা তথা ভারতের হিন্দুদের দেবতা পরিনত হলেন। সময়টা বেশ কঠিন  ছিলো। মুঘলদের পতন আসন্ন। বাংলার মানুষ এই সময় কাঠ দিয়ে বিগ্রহ তৈরী করা শুরু করলা। রথ যাত্রার মতো উৎসবকে সর্বজনীন করে তুললো। আসলে মানুষের  বিশ্বাস এর উপরে ঈশ্বরে অস্তিত্ব আর বাজার টিকে থাকে তাই চৈতন্য প্রভাবে বৈষ্ণব জনপ্রিয় হলো।

আজ তার প্রভাবে সারা বিশ্বে আজ রাধা কৃষ্ণ জনপ্রিয়। অথচ সব হিন্দুর ইষ্ট দেবতা হিসাবে এনারা পূজা পায় না। পৃথিবীতে  বহুদেবতা আছেন  যারা এক সময় পূজা পেতে, সময়ের সাথে সাথে মানুষের বিশ্বাস প্রয়োজনও বদলে গেছে তাই তারা হারিয়ে  গেছেন। ইতিহাস প্রচীন সভ‍্যতা গুলো দেখুন  প্রকৃতি  বিভিন্ন  শক্তি বৃষ্টি  জল আগুন পূজা করতো। কিন্তু পরে এরা অচল হতেই একটা শক্তিশালী ঈশ্বর এর আমদানি করা হলো এলো এক ঈশ্বরবাদ। মানুষ তার নিজের সমস্যা তখন নিজেই মিটিয়ে নিয়েছে ফলে ঈশ্বর এর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। তখনই অদৃষ্টবাদের আমদানি  হলো। এলো স্বর্গ, জান্নাত নিয়ে কারবার। মানুষ জীবিত  অবস্থায় সুখ দুঃখে থাকার অধিকার আদায়ের কথা ভুলে গেলো। মৃত্যুর পর সুখের খোঁজে সে মন্দির মসজিদ গীর্জায় ছুটলো প্রার্থনা করতে।

পাপ ধুতে ছুটলো তীর্থে হজে। আজ কয়েক শতাব্দীর পরেও ধর্ম রাজার প্রধান অস্ত্র ধর্ম। ইরেজরা এই ধর্মকে ব‍্যবহার দেশটাকে  ভাগ করলো। দুখ একটাই তবুও  ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশে মানুষের মূল শত্রু দারিদ্র্যতা নয় বরং হিন্দু, মুসলমান , শিখই যেন পরস্পরের শত্রু। তিন দেশেই হঠাৎ করে ক্ষমতায় চলে আসে মাঝে মাঝে সৎজিত রায়ের হীরক রাজার দেশের সেই রাজা যে চায় ধর্মের নামে ভাষার নামে তোমার আমার মগজ ধোলাই করতে। কিন্তু উদয় পন্ডিত কোথায় যে বলবে-
 ” দড়ি ধরে মারো টান
 রাজা হবে  খান খান”….

টাইপ শেষে লেখাটা ইমেইল করে দিলো কলকাতার একটা সংবাদ পত্রে । মৌ আমার দিক তাকালো। বললো “ছোট্ট ঠাকুর তোমার কলমে তো এখনো ধার কমে নি। কিন্তু তুমি তো খুব দুষ্টু লোক। ভক্তদের সামনে ইশ্বর নিয়ে কত ভালো কথা বলল অথচ ঈশ্বরকে তুমি মানো না।”

আমি বললাম “একজন লেখক হিসাবে আমি একটি সুস্থ সমাজ গঠনের জন্য দায়বদ্ধ। কোনো ধর্মকে প্রতিনিধিত্ব করে অন্ধভক্তদের উত্তেজিত করা আমার কাজ না। অন্যের ধর্মকে গালি দিয়ে আমরা আসল সমস্যাগুলো ভুলে যাই। ঠিক একটা নারীর জন্য পুরুষ বিশ্বমিত্ররা যুগ যুগ ধরে তাদের সাধনা মগ্ন থেকে বিচ্যুত হয়। তেমন ধর্মের নেশা কোনদিন মানুষকে প্রকৃত সমাজতন্ত্রের স্বাদ নিতে দেবে না। যাইহোক এসব দীর্ঘ আলোচনার বিষয়। তুমি অন্তত বন্ধ ঘরে আমাকে নাম ধরেই ডেকো। ছোট মহারাজ কিংবা ছোট ঠাকুর বলে ডেকো সেটা চাই না।”

মৌ- এর ছোট্ট উত্তর ” ও তাই “।

ওর মুখে চোখে একটা দুষ্টু হাসি খেলল। ও ওর শরীরের জড়ানো শাড়িটা খুলে ফেললো। স্বামীর ঘর ও বেশি দিন করে নি। এক বছরের মধ্যে বিধবা হলো। ভাইয়েরা দ্বিতীয় বিবাহের চেষ্টা করে নি। আর দায়ভারও নেয়নি। ওর শরীরে যৌবনের জোয়ার বয়ে চলছে এখনো। সে জোয়ারে আমাকে ভাসাতে চায় আমাকে ও। টান টান ওর যৌবন। লোভনীয় গোপন নেশা ও চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিলো আমার শরীরময়। ওর ঠোঁটের কাছে বন্দী আমার ঠৌট। শরীরময় আমার তীব্র উত্তেজনা। অন্তিম মিলনের আপেক্ষায়। হঠাৎ ওর ছোয়ায় আমি নীলাঞ্জনার আদরটাকে খুজে পেলাম। সেই মিলনের আকাঙ্ক্ষায় ছটফট করা, সেই আঁকড়ে ধরা।

বছর পাচেক আমাদের সম্পর্ক নেই। তবুও ওকে ভুলতে পারি নি। কোনো মেয়েকে আপন করতেও পারি নি। অথচ ও আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করেছিলো অনায়াসে। আমার বিবাহিত স্ত্রী হয়েও ও শারীরিক সম্পর্ক রেখেছিলো ওর অফিস কলিগের সাথে। ঘটনা জানাজানি হতে ও নিজে থেকে সরে গেছিলো আমার জীবন থেকে। বন্ধুরা বলতো ওকে ঘৃণা করতে শিখতে। কিন্তু চেষ্টা করেও পারি নি। মনে হয়েছে বারবার হয়তো আমি প্রেমে চুক্তিভঙ্গ করেছি। শারীরিক ভাবে অথবা অর্থনৈতিক ভাবে হয়তো ওর অভাব আমি দূর করতে পারি নি। তাই ও চলে গেছে নিরাপত্তার খোঁজে প্রেমের চুক্তি ভেঙে। দুই চুটকি সিঁদুর দিয়ে পুরুষ কোনোদিন একটি নারীর মালিক হতে পারে না।

bangla love story
bangla love story

একটি নারী জন্য আমি আমার জীবনটা বদলে ফেললাম। অনেক অর্থ উপার্জন করলাম জীবনের সব আনন্দ সব আরাম কেনার মত অর্থ আয় করলাম। কিন্তু অন্তর থেকে সুখী হতে পারলাম না। তাই ঈশ্বরের সেবা আর মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করলাম।

ওর শ্বাস প্রশ্বাসের গতি বেড়ে গেল। অন্তিম মিলনের জন্য তৈরী। আমি বাধ সাধলাম ওর ব‍্যকুলতা কাছে হার মানলাম না আমি। ওকে ভুল করে বলে ফেললাম যত টাকা চায় ও পেয়ে যাবে কিন্তু ও জেন ওর শরীরের মায়া জালে না ফাঁসায়। ও বললো ” শরীর বিক্রি করবো যদি আশ্রম বাসী হলাম কেন? ভালো বেসেছি তোমাকে ছোট ঠাকুর সেটা তুমি বুঝতে পারলে না।”

আমি ওর চোখে জল দেখেছিলাম। আমি ওকে অনেক বেশি আঘাত দিয়েছি। কিন্তু সব কিছু ওকে বোঝানোর আগেই দরজায় মেজো গোসাই এসে হাজির। ও কোন ক্রমে কাপড় পরে দরজা খুললো। কোনো কথাই আর বলার সুযোগ পেলাম না আমি।
ও গোটা তিন দিন এলো না আমার ঘরে। স্নান করে নীচে যাবো ঠিক করেছি। এমন সময় বিষ্ণুচরন এসে বললো ” গুরু মা আপনাকে ডাকছে তাড়াতাড়ি। শেঠজীরাও এসেছে আসুন তাড়াতাড়ি।”

আমি জিজ্ঞাসা করলাম ” হঠাৎ কি ব‍্যাপার জরুরি তলব কেন?”

বিষ্ণুচরন বললো ” বৈষ্ণব নিন্দা মহাপাপ কিন্তু তবুও বলছি। মেজো গোসাই দুই তিন ধরে হরিপ্রিয়া দিদির ওপরে কুনজরে দেখছিলো সে বিষয়ে সবার নজরে এসেছে। কাল রাতে হরিপ্রিয়াদির কুঠির গিয়ে জোর জবরদ্বস্তি করার চেষ্টা করেছে। ঘটনা জানা জানি হওয়ায় মা উনাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।”

সবার গুরু মা সম্পর্কে আমার মাসিমা। তাই উনার সিদ্ধান্ত সব সময় আমার পক্ষে যায়। উনি বলেন “মেজো গোসাই যে অপরাধ করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। তাই মহারাজজী ছোট মহারাজজীর ওপর সব দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চায়। এ বিষয়ে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। আর হরি প্রিয়া বিষয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।যদিও জানি সব অভিযোগ ভিত্তিহীন তবুও ছোট মহারাজজীকে নিয়ে যখন কথা উঠেছে তখন হরিপ্রিয়াকে রাধা কুন্ডের আশ্রম পাঠানো হোক।”

আমি বললাম ” রাধাকুন্ড নিরাপদ নয় হরিপ্রিয়া জন্য। মেজো গোসাইয়ের তো ভক্তদের সংখ্যা কম নয়। ওকে কোলকাতা পাঠানো হোক। কমপিউটারটা উনি ভালোই শিখেছেন। চাকরির পেয়ে যাবেন আমার চেনা জানা প্রকাশনা কিংবা পত্রিকা দপ্তরে। ওখানে থেকে নবদ্বীপে মন্দির বানানোর কাজ তত্ত্বাবধায়ক করবে।”

সবাই আমার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বিদায় নিলেন। আমি হরিপ্রিয়াকে থাকতে বললাম মাসির ঘরে। আমি মাসিমাকে বললাম “আমার কিছু স্বীকারোক্তি আছে , সে গুলো আমি বলতে চাই।”

bangla sad love story
bangla sad love story
<

গুরু মা বলেন “হরি প্রিয়া আমাকে সব কিছু বলেছে। আমি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সব গুরু মা হিসাবে। তোমার সিদ্ধান্তে কোন ছল কপটতা আছে কিনা আমার জানা নেই তবে পৃথিবীর প্রাচীন মহাকাব‍্য গুলো দেখো। সব ক্ষমতা দখলের লড়াই। কিন্তু দোষ হয় নারীদের। দেখানো হয় এমন ভাবে যেনো একটি নারী জন্যই লড়াই গুলো হয়েছে। আমার বিশ্বাস কোনো নারীকে তুমি ঠকাতে পারো না। তাই কথা না বাড়িয়ে বিশ্রাম করো। আর মন্থন বাবা হরিপ্রিয়া আজ থেকে তোমার নিচের ঘরে থাকুক তোমার দেখা শোনার জন্য তো লোক দরকার।”

রাত একটু গভীর সবাই বোধহয় ঘুমিয়ে পরেছে। হরিপ্রিয়া আমার ঘরে এলো। খুব আসতে আসতে বলল ” আমাকে দূরে পাঠানোর এতো তাড়াহুড়ো কেন?”

আমি বললাম ” দূরে কোথায়? পাঠাচ্ছি তো আমার শহরেই। হতে পাড়ে মনের ভিতরে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখছি আমিও। দেখি বিধাতা কি চায়। তুমি নিরাপত্তা খুঁজছো না ভালোবাসা খুঁজছো সেটাই দেখার। আসলে নীলাঞ্জনার আঘাতের ক্ষত শোকাইনি এখনো। “
ও আমাকে জরিয়ে ধরলো। ওর চোখে জল। নীলাঞ্জনার চোখেও একদিন আমার জন্য জল থাকতো এখন আছে শুধু ঘৃণা।

লেখক- মানব মণ্ডলfacebook

bangla love story
Recommended by ছাড়পত্রঃ- বাছাই করা সেরা কিছু প্রেমের গল্প 
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবেঃ- 
for Facebook click here
For WhatsApp click here
For telegram click here

“bangla sad love story. bangla love story বাংলা স্যাড লাভ স্টোরি”

Spread the love

Leave a Reply