মাকড়শা নিজের জালে আটকা পরে না কেন?

BENGALI FACTS

BENGALI FACTS

আপনি নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে বিভিন্ন ছোটো ছোটো আকারের পোকা মাকড়শার জালে আটকা পরে যায়। আটকা পরার পরে তারা আর খুব সহজে সেখান থেকে পালাতে পারে না। কিন্তু আপনি কি কোনোদিনও ভেবে দেখেছেন যে অন্য পোকা গুলি জালটিতে আটকা পরলেও মাকড়শাটি কিভাবে অনায়াসেই তার জালের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে? চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নিই যে এমনটি কেন হয়?

আসলে মাকড়শার পুরো জালটিই কিন্তু আঠালো হয় না। মাকড়শাটি যেখানে আরাম করে বা যেখানে সে শিকারের জন্য বসে থাকে সেই জায়গাটিতে কোনো আঠালো পদার্থ থাকে না। আর এর জন্যই সে ওই জায়গাটিতে খুব সহজেই ঘুরে বেড়ায়।

4180619a2d8610eb8183a22caf29edfb

অনেকর মতে নিজের জালে নিজেই ফেসে যাওয়া থেকে বাঁচতে মাকড়শা প্রতিদিন তার পা পরিষ্কার করে। আবার অনেক বিজ্ঞানীর মতে মাকড়শার পায়ে থাকা তৈল গ্রন্থির জন্য তার জালে আটকায় না। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে আসলে মাকড়শার শরীরে কোনো তৈল গ্রন্থি থাকে না। আবার কারো মতে মাকড়শার পায়ে থাকা লোমের জন্য সে তার নিজের জালে আটকা পরে না।

দেশলাই কিভাবে তৈরি হয়?

BENGALI FACTS

BENGALI FACTS
<

দেশলাই আসলে মোম যুক্ত কাগজ থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে। এর এক প্রান্তে কিছু জলন্ত পদার্থের মিশ্রণ দিয়ে দেওয়া হয়। ১৮২৭ সালে জন ওয়াকার সর্বপ্রথম দেশলাই তৈরি করেছিলেন। তিনি একটি কাঠের টুকরোতে স্টার্চ,অ্যান্টিমনি সালফাইড, পটাশিয়াম ক্লোরেটের মিশ্রণ লাগিয়ে দেশলাই তৈরি করেছিলেন। তবে তাঁর তৈরি দেশলাইটি নিরাপদ ছিল না।

একদম নিরাপদ দেশলাই ১৮৪৪ সালে সুইডেনে তৈরি করা হয়েছিল। এবং এই সুরক্ষিত দেশলাইটি তৈরি করেছিলেন পশচা নামের এক ব্যাক্তি। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রধানত দুই ধরনের দেশলাই দেখতে পাওয়া যায়। আর এই দুটির মধ্যে বহুল প্রচলিত হল ঘর্ষণ দেশলাই গুলি। এই ধরনের দেশলাই গুলি কোনো রুক্ষ পৃষ্ঠে ঘষে জ্বালানো যায়।

BENGALI AMAZING FACTS

এই ধরনের দেশলাই গুলি তৈরি করার জন্য সবার প্রথমে একটি নরম কাঠের কাঠি নেওয়া হয়। এরপর এই কাঠিটির প্রথম এক-চতুর্থাংশ গলানো মোম বা গন্ধকে নিমজ্জিত করা হয়। তারপর এর উপরে ফসফরাস ট্রিসল ফাইডের মিশ্রণ প্রয়োগ করা হয়। এবং সবশেষে অ্যান্টিমনি ট্রাইসালফেড এবং পটাশিয়াম ক্লোরেটের মিশ্রণ প্রয়োগ করা হয়।

ভালো ভাবে ঘর্ষণ পেতে এই মিশ্রণে কিছু কাঁচের গুড়ো বা কিছু বালি মিশিয়ে দেওয়া হয়।

যতক্ষণ না পর্যন্ত দেশলাই এর সাদা অংশটিতে আগুন ধরে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত নীল বা কালো অংশে আগুন আসে না বা আগুন ধরে না।

সবচেয়ে নিরাপদ দেশলাই উপরিউক্ত পদ্ধতি অনুসারেই তৈরি করা হয়ে থাকে।

আমাদের বাড়িতে যে সমস্ত দেশলাই গুলি ব্যবহৃত হয় সেগুলিতে ফসফরাস ট্রাইসালফেডের পরিবর্তে লাল ফসফরাস প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। আর এর উপকারিতা হল বিনা ঘর্ষণে এই প্রকার দেশলাইয়ে আগুন উৎপন্ন হয় না।

<

READ MORE AMAZING FACTS HERE TOP AMAZING FACTS

আলু আসলে ফল না সবজী?

BENGALI FACTS

BENGALI AMAZING FACTS

আমাদের প্রায় সব তরকারীতেই আলু থাকে। আলু ছাড়া তরকারী যেন খেতে নাহি পারি এরকমই এক অবস্থা আর কি! কিন্তু আপনি কি জানেন যত-শত মত বিরোধ এই আলুকে নিয়েই। অনেকের মতে আলু হল একটি সবজী। আবার অনেকর মতেই আলু নাকি সবজী নয়, আলু আসলে একটি ফল। আমরা এই মত বিরোধে প্রবেশ করার আগে জেনে নিই যে ফল ও সবজীর মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কি?

উদ্ভিদ বিজ্ঞানের মতে ফল হল বীজ ধারণকারী। অর্থাৎ ফলে বীজ থাকবে। আর ফল কোনো ফুল ধারণকারী উদ্ভিদের গর্ভাশয় থেকে বেড় হয়ে আসে।

কিন্তু অন্যদিকে দেখা যাবে আলু হল আসলে একটি গাছের মূল। এবং সর্বপরি আলুর মধ্যে কোনো বীজ থাকে না। তাই আলু হল একটি সবজী।

এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে- বেগুণ, টম্যাটো, লাউ এগুলিতে তো বীজ থাকে তাহলে কি এগুলি ফল নাকি সবজী? আসলে এগুলির কোনোটিই সবজী নয় এগুলি প্রত্যেকটিই হল ফল। ঠিক একই ভাবে লঙ্কা, ঢ্যাঁড়শ, শিম এগুলি সবই হল ফল।

আমাদের জ্বর কেন আসে?

BENGALI FACTS

358 3584759 cartoon pictures of fever clipart

সাধারণত আমাদের দেহের তাপমাত্রা ৯৮°-৯৯° ফারেনহাইটের মধ্যে ঘোরা-ফেরা করে।  আমাদের অসাবধানতা বশত বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বা বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণের ফলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ ব্যাহত হয়।

আর এর ফলে আমাদের শরীর এদের মোকাবিলা কারার জন্য অধিক পরিমাণে এনজাইম, হরমোন এবং রক্ত কণিকা তৈরি করে। আর এরা শরীরকে জীবাণুদের হাত থেকে বাঁচাতে জীবাণুদের সাথে লড়াই শুরু করে দেয়। আর এর ফলস্বরূপ আমাদের শরীরে রক্ত স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হতে থাকে। আমাদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়। শরীরের এইরূপ ক্রিয়ার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে আর এর ফলেই আমাদের জ্বর আসে।

কাটা ফল কালো হয়ে যায় কেন?

BENGALI FACTS

409E7C55 DDA5 442E BEF368457F16CAA7 source

তাজা তাজা ফল খেতে কে না ভালোবাসে? কিন্তু আমরা যদি কোনো ফল কাটা অবস্থাতে কিছুক্ষণ রেখে দিই তাহলে দেখা যায় যে ফলটি কালো হয়ে গিয়েছে। আসলে এর পেছনে মুল কারণটি হল ফলে থাকা আয়রনের জন্য। ফলে থাকা আয়রন বাতাসের সংস্পর্শে এসে মরচে পরে যায় ও ফলটি কালো হয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি ফলটি কাটার পর সেটিকে কোনো প্লাস্টিকের প্যাকেটে বা এমন কোনো জায়গায় রাখেন যেখানে সেটি অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসবে না। তাহলে দেখা যাবে যে কাটা ফলটিতে কোনো কালচে দাগ পরেনি।

BENGALI FACTS

Spread the love

Leave a Reply