এই bangla sera goyenda golpo টির প্রথম পর্ব পূর্বেই প্রকাশিত হয়েছে। আজ এই রহস্যময় গোয়েন্দা গল্পটির দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব প্রকাশিত হচ্ছে। পাঠকের কাছে অনুরোধ যদি প্রথম পর্বটি আপনার অপঠিত রয়েছে, তাহলে অনুগ্রহ পূর্বক গোয়েন্দা গল্প টির প্রথম পর্বটি নীচের লিংকে ক্লিক করে পড়ে আসুন।
bangla Sera goyenda golpo. গোয়েন্দা গল্প- লোহার বিস্কুটঃ-
সেরা গোয়েন্দা গল্প- লোহার বিস্কুট (প্রথম পর্ব)
“নিশ্চয় তীর্থযাত্রা করবেন। কবে থেকে আপনার ছুটি?”
“সামনের শনিবার থেকে।” “তাহলে আর দেরি করবেন না, টিকিট কিনে ফেলুন। কোনো ভয় নেই, আপনার.”
বাসা বেদখল হবে না, আমি আমিন রইলাম। আচ্ছা, চলি।’ “অ্যা-তাই নাকি। ধন্যবাদ ব্যোমকেশবাবু। চলুন আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি।”
ব্যোমকেশ বলল, ‘তার দরকার নেই, আমি এখন থানায় যাব। রাখালের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করতে হবে।’
শনিবার সকালবেলা কমলবাবুর বাসা থেকে পুলিশের পাহারা তুলে নেওয়া হল। কমলবাবু ভুটোকে একটা কেনেলে রেখে এলেন। পুলিশ ছাড়াও অন্য একটি পক্ষ বাসার ওপর নজর রেখেছিল, তারা সব লক্ষ করল।
বিকেলবেলা কমলবাবু তাঁর স্ত্রী মেয়ে এবং পোঁটলা-পুঁটলি নিয়ে বাসায় চাবি দিয়ে চলে গেলেন, যাবার পথে থানায় রাখালবাবুকে চাবি দিয়ে বলে গেলেন, “বিড়কির দোর ভেজিয়ে রেখে এসেছি। এখন আমার বরাত আর আপনাদের হাতযশ।

সারা দিন বাড়িটা শূন্য পড়ে রইল। রাত্রি আন্দাজ সাড়ে আটটার সময় ব্যোমকেশকে নিয়ে রাখালবাবু কমলবাবুর বাসার দিকে গেলেন। দুজনের পকেটেই পিস্তল এবং বৈদ্যুতিক টর্চ।
সরেজমিনে আগে থাকতেই দেখা ছিল, পাশের বাড়ির পাঁচিল ডিঙিয়ে দুজনে কমলবাবুর খিড়কি দিয়ে বাড়িতে ঢুকলেন। খিড়কির দরজা বন্ধ করে দিয়ে পা টিপে টিপে সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠলেন।
রাখালবাবু পলকের জন্য দোয়ের মাথায় টর্চের আলো ফেলে দেখলেন, ঘোড়ার ক্ষুর যথাস্থানে আছে। তিনি তখন ফিশফিশ করে বললেন, “চলুন ছাদে গিয়ে অপেক্ষা করলেই বোধহয় ভালো হবে।”
ব্যোমকেশ তাঁর কানে কানে বলল, “না। আমি ছাদে যাচ্ছি, তুমি এই ঘরে লুকিয়ে থাকো। দুজনেই ছাদে গেলে ছাদের দোর এদিক থেকে বন্ধ করা যাবে না, আসামির সন্দেহ হবে।”
“বেশ আপনি ছাদে গিয়ে লুকিয়ে থাকুন, আমি দোর বন্ধ করে দিচ্ছি।”
ব্যোমকেশ ছাদে উঠে গেলে রাখালবাবু দরজায় হুড়কো লাগিয়ে নেমে এলেন। কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে ঠিক নেই, এমনকি আসামি আজ নাও আসতে পারে। তিনি দোতলার ঘরের ভিতরে ঢুকে দোরের পাশে লুকিয়ে রইলেন।
ছাদের ওপর ব্যোমকেশ এদিকে ওদিক ঘুরে জলের চৌবাচ্চার ওপর থেকে দূরের একটা কোণে আল্সের পাশে গিয়ে বসল। আকাশে চাঁদ নেই, কেবল তারাগুলো ঝিকমিক করছে। ব্যোমকেশ অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। বনের মধ্যে ছাগল বা বাছুর বেঁধে মাচায় বসে বাঘের প্রতীক্ষা করার মতো। রাত্রি দুটো বাজতে যখন আর দেরি নেই, তখন রাখালবাবুর মন বন্ধ ঘরের মধ্যে অতিষ্ট হয়ে উঠল আজ আর শিকার আসবে না। ঠিক এই সময় তিনি দোরের বাইরে মৃদু শব্দ শুনতে পেলেন; মুহূর্তে তাঁর স্নায়ুপেশি শক্ত হয়ে উঠল; তিনি নিঃশব্দে পকেট থেকে পিস্তল বার করলেন।
যে মানুষটি নিঃসাড়ে বাড়িতে প্রবেশ করে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে এসেছিল, তার বাঁ হাতে ছিল একটি ক্যাম্বিসের থলি, আর ডান হাতে ছিল লোহ-বাঁধানো একটি ছড়ি। ছড়ির গায়ে তিন হাত লম্বা মুগার সুতো জড়ানো, মাছ-ধরা ছিপের গায়ে যেমন সুতো জড়ানো থাকে সেই রকম।
লোকটি দোরের মাথার দিকে লাঠি বাড়িয়ে ঘোড়ার ক্ষুরটি নামিয়ে আনল, তারপর মুগার সুতোর ডগায় সেটি বেঁধে নিয়ে তেতলার সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠে গেল। দুটি মানুষ যে বাড়ির দু’জায়গায় ওঁত পেতে আছে, তা সে জানতে পারল না।
ছাদের দরজায় একটু শব্দ শুনে ব্যোমকেশ সতর্ক হয়ে বসল। নক্ষত্রের আলোর একটি ছায়ামূর্তি বেরিয়ে এল, সোজা ট্যাংকের কাছে গিয়ে আল্সের ওপরে উঠে ট্যাংকের মাথায় চড়ল। ধাতব শব্দ শোনা গেল। সে ট্যাংকের ঢাকনি খুলে সরিয়ে রাখল, তারপর লাঠির আগায় সুতো-বাঁধা ঘোড়ার নাল জলের মধ্যে ডুবিয়ে দিল।
লোকটা যেন আবছা অন্ধকারে বসে ছিপ ফেলে চুনো মাছ ধরছে। ছিপ ডোবাচ্ছে আর তুলছে। মাছগুলি ব্যাগের মধ্যে পুরে আবার ছিপ ফেলছে।
কুড়ি মিনিট পরে লোকটি মাছ ধরা শেষ করে ট্যাংক থেকে নামল। এক হাতে ব্যাগ অন্য হাতে ছিপ নিয়ে যেই পা বাড়িয়েছে, অমনি তার মুখের ওপর দপ করে টর্চ জ্বলে উঠল, ব্যোমকেশের ব্যঙ্গ-স্বর শোনা গেল, “অক্ষয় মণ্ডল, কেমন মাছ ধরলে?”

অক্ষয় মণ্ডলের পরনে খাকি প্যান্ট ও হাফ-সার্ট, কালো মুশকো চেহারা। সে বিস্ফারিত চোখে চেয়ে আস্তে আস্তে থলিটি নামিয়ে ক্ষিপ্রবেগে পকেটে হাত দিল। সঙ্গে সঙ্গে ব্যোমকেশের টর্চ গদার মতো তার চোয়ালে লাগল, অক্ষয় মণ্ডল ছাদের ওপর চিতিয়ে পড়ল। রাখালবাবু নীচে থেকে উঠে এসেছিলেন, তিনি অক্ষয় মণ্ডলের বুকের ওপর বসে বললেন, “ব্যোমকেশদা, এর পকেটে পিস্তল আছে, বের করে নিন।”
ব্যোমকেশ অক্ষয় মণ্ডলের পকেট থেকে পিস্তল বার করে নিজের পকেটে রাখল। রাখালবাবু আসামির হাতে হাতকড়া পরিয়ে বললেন, “অক্ষয় মণ্ডল, হরিহর সিংকে খুন করার অপরাধে তোমাকে গ্রেপ্তার করলাম।”
ব্যোমকেশ অক্ষয় মণ্ডলের থলি থেকে কয়েকটা ভিজে লোহার প্যাকেট বার করে তার ওপর টর্চের আলো ফেলল। “বাঃ। এই যে যা ভেবেছিলাম তাই। লোহার মোড়কের মধ্যে চকচকে বিদেশি সোনার বিস্কুট।”
পরদিন সকালবেলা সত্যবতী ব্যোমকেশকে বলল, “ভালো চাও তো বলো কোথায় রাত কাটালে?” ব্যোমকেশ কাতর স্বরে বলল, “দোহাই ধর্মাবতার, রাখাল সাক্ষী, আমি কোনো কুকার্য করিনি।”
“শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল। গল্পটা বলবে?’’
“বলব, বলব। কিন্তু আগে আর এক পেয়ালা চা দিতে হবে। এক পেয়ালা চা খেয়ে রাত জাগার গ্লানি কাটেনি।” সত্যবতী আর এক পেয়ালা কড়া চা এনে ব্যোমকেশের সামনে চেয়ারে বসল, “এবার বল, টর্চটা ভাঙলে কী করে? মারামারি করেছিলে?”
ব্যোমকেশ বলল, “মারামারি নয়, শুধু মারা।” চায়ে একটি চুমুক দিয়ে সে বলতে আরম্ভ করল “অক্ষয় মণ্ডল সোনার চোরাকারবার করে অনেক টাকা করেছিল। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ভদ্রপাড়ায় একটি বাড়ি করেছিল, বাড়ির ছাদ লোহার ডান্ডা-ছতার দিয়ে এমনভাবে মুড়ে রেখেছিল যে ওদিক দিয়ে বাড়িতে চোর ঢোকার উপায় ছিল না। ছাদটাকে নিরাপদ করা তার বিশেষ দরকার ছিল।
“অক্ষয় মণ্ডলের পেশা ভারতবর্ষের বাইরে থেকে যেসব চোরাই সোনা আসে তা সংগ্রহ করা এবং সুযোগ মতো বাজারে ছাড়া। সে বাড়িতে সোনা রাখত, কিন্তু লোহার সিন্দুকে নয়। সোনা লুকিয়ে রাখার বিচিত্র কৌশল সে বার করেছিল।
“অক্ষয় মণ্ডল বাড়িতে একলা থাকত; তার স্ত্রী আছে কিনা এখনও জানা যায়নি। সে পাড়ার লোকের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করত না কিন্তু পাছে পড়শিরা কিছু সন্দেহ করে, তাই কমল দাম নামে একটি ভদ্রলোককে নীচের তলায় একটি ঘর ভাড়া দিয়েছিল। বাজারে সোনা ছাড়বার জন্যে সে কয়েকজন লোক রেখেছিল, তাদের মধ্যে একজনের নাম হরিহর সিং।
“হরিহর সিং বোধহয় অক্ষয় মণ্ডলকে ফাঁকি দিচ্ছিল। একদিন দু-জনে ঝগড়া হল, রাগের মাথায় অক্ষয় মণ্ডল হরিহর সিংকে খুন করে। তারপর মাথা ঠান্ডা হলে তার ভাবনা হল, মড়াটা নিয়ে সে কী করবে। একলা মানুষ, ভদ্রপাড়া থেকে মড়া পাচার করা সহজ নয়। সে ঠিক করল, মড়া থাক, বাড়িতে যা সোনা আছে, তাই নিয়ে সে নিজে ডুব মারবে।”
পড়ুনঃ- মজার গোয়েন্দা গল্প বিস্কুট চোরের রহস্য
“কিন্তু সব সোনা সে নিয়ে যেতে পারল না। সোনা ধাতুটা বিলক্ষণ ভারী, লোহার চেয়েও ভারী। তোমরা স্ত্রী জাতি সারা গায়ে সোনার গয়না বয়ে বেড়াও, কিন্তু সোনার ভার কত বুঝতে পারো না। দশ হাত কাপড়ের কাম্য নেই।” সত্যবতী বলল, “আচ্ছা, আচ্ছা, তারপর বলো।”
“‘অক্ষয় মণ্ডল ডুব মারবার কয়েক দিন পরে লাশ বেরুল, পুলিশ এল, কিন্তু গুনের কিনারা হল না। অক্ষয় মণ্ডল খুন করেছে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু সে নিরুদ্দেশ। কমলবাবু সারা বাড়িটা দখল করে বসলেন।
“অক্ষয় মণ্ডল নিশ্চয় কলকাতাতেই কোথাও লুকিয়ে ছিল, কয়েক দিন সে চুপচাপ রইল। কিন্তু বাড়িতে যে-সোনা লুকোনো আছে যেগুলো সে সরাতে পারেনি, সেগুলো উদ্ধার করতে হবে। কাজটি সহজ নয়। কমলবাবুর স্ত্রী এবং মেয়ে সর্বদা বাড়িতে থাকে, তাছাড়া একটা ভয়ংকর হিংস্র কুকুর আছে। অক্ষয় মণ্ডল ভেবে-চিন্তে এক ফন্দি বার করল।
একটি স্ত্রীলোককে বউ সাজিয়ে এবং একটা পেটোয়ো লোককে তার ভাই সাজিয়ে অক্ষয় মণ্ডল কমলবাবুর কাছে পাঠাল। বউকে বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে। অক্ষয় মণ্ডল ফেরারি খুনি হতে পারে, কিন্তু তার বউ তো কোনো অপরাধ করেনি। কমলবাবু কিন্তু শুনলেন না, তাদের হাঁকিয়ে দিলেন। অক্ষয় মণ্ডল তখন বেনামি চিঠি লিখে ভয় দেখাল, কিন্তু তাতেও কোনো ফল হল না। কমলবাবু নড়লেন না।
‘অক্ষয় মণ্ডল তখন অন্য রাস্তা ধরল।
‘আমার বিশ্বাস ব্যাংকের যে সহকর্মীটি কমলবাবুকে তীর্থে যাবার জন্যে ভজাচ্ছিলেন তাঁর সঙ্গে অক্ষয় মণ্ডলের যোগাযোগ আছে। দু-চার দিনের জন্যেও যদি কমলবাবুকে সপরিবারে বাড়ি থেকে তফাত করা যায়, তাহলেই অক্ষয় মণ্ডলের কার্যসিদ্ধি। কাজটা সে বেশ গুছিয়ে এনেছিল, কিন্তু একটা কারণে কমলবাবুর মনে খটকা লাগল। বাড়ি যদি বেদখল হয়ে যায়। তিনি আমার কাছে পরামর্শ নিতে এলেন।
‘তার গল্প শুনে আমার সন্দেহ হল বাড়িটার ওপর, আমি বাড়ি দেখতে গেলাম। দেখাই যাক না। অকুস্থলে গেলে অনেক ইশারা-ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
‘গেলাম বাড়িতে। কড়া রোদ ছিল, তাই ছাতা নিয়ে গিয়েছিলাম। দোতলায় উঠে দেখলাম, দোরের মাথায় ঘোড়ার নাল তিনটে পেরেকের মাঝখানে আলগাভাবে আটকানো রয়েছে। ঘোড়ার নালটা এক নজর দেখলে ঘোড়ার নাল বলেই মনে হয়। বটে, কিন্তু ঠিক যেন ঘোড়ার নাল নয়। আমি ছাতাটা সেইদিকে বাড়িয়ে দিলাম, অমনি ছাতাটা আপনা থেকেই গিয়ে ঘোড়ার নালে জুড়ে গেল।
‘বুঝলাম, ঠিকই সন্দেহ করেছিলাম, ঘোড়ার নাল নয়, একটি বেশ শক্তিমান চুম্বক ছাতার লোহার বাঁট পেয়ে টেনে নিয়েছে। প্রশ্ন করে জানলাম চুম্বকটা অক্ষয় মণ্ডলের। মাথার মধ্যে চিন্তা ঘুরপাক খেতে লাগল—কেন? অক্ষয় মণ্ডল চুম্বক নিয়ে কী করে? দোরের মাথায় টাঙিয়েই বা রেখেছে কেন, যাতে মনে হয় ওটা ঘোড়ার নাল? মনে পড়ে গেল, পুলিশের খানাতল্লাশে দেরাজের মধ্যে কয়েকটি লোহার মোড়ক পাওয়া গিয়েছিল। রহস্যটা ক্রমশ পরিষ্কার হতে লাগল।
‘তারপর যখন ঘেরাটোপ লাগানো ছাদে জলের ট্যাংক দেখলাম তখন আর কিছুই বুঝতে বাকি রইল না। চুম্বক যত জোরালোই হোক সোনাকে টানবার ক্ষমতা তার নেই। তাই সে সোনার বিস্কুট লোহার প্যাকেটে মুড়ে ট্যাংকের জলে ফেলে দেয়। তারপর যেমন যেমন দরকার হয়, ট্যাংকে চুম্বকের ছিপ ফেলে জল থেকে তুলে আনে। হরিহর সিংকে খুন করে পালাবার সময় সে সমস্ত সোনা নিয়ে যেতে পারেনি। এখন বাকি সোনা উদ্ধার করতে চায়। পালাবার সময় সে ভাবেনি যে ব্যাপারটা পরে এর জটিল হয়ে উঠবে।
‘যাহোক, সোনার সন্ধান পেলাম;
সমুদ্রের তলায় শুক্তির মধ্যে যেমন মুক্তো থাকে, ট্যাংকের তলায় তেমনি লোহার পাতে মোড়া সোনা আছে। কিন্তু কেবল সোনা উদ্ধার করলেই তো চলবে না, খুনি আসামিকে ধরতে হবে। আমি কমলবাবুকে বললাম, আপনি সপরিবারে তীর্থযাত্রা করুন। তারপর রাখালের সঙ্গে পরামর্শ করে ফাঁদ পাতার ব্যবস্থা করলাম।

‘কাল সকালে কমলবাবুরা তীর্থযাত্রা করলেন। বাড়ির ওপর অক্ষয় মণ্ডল নজর রেখেছিল, সে জানতে পারল, রাস্তা সাফ। ‘কাল সন্ধের পর রাখাল আর আমি বাড়িতে গিয়ে আড্ডা গাড়লাম। কালই যে অক্ষয় মণ্ডল আসবে এতটা আশা করিনি, তবু পাহারা দিতে হবে। বলা তো যায় না।
রাত্রি দুটোর সময় শিকার ফাঁদে পা দিল। তারপর আর কী! টর্চের একটি ঘায়ে ধরাশায়ী।”
সত্যবতী ক্ষীণকণ্ঠে প্রশ্ন করল, “কত সোনা পাওয়া গেল?”
সিগারেট ধরিয়ে ব্যোমকেশ বলল, “সাতান্নটি লোহার মোড়ক, প্রত্যেকটি মোড়কের মধ্যে দুটি করে সোনার বিস্কুট, প্রত্যেকটি বিস্কুটের ওজন পঞ্চাশ গ্রাম। কত দাম হয় হিসেব করে দ্যাখো।”
সত্যবতী কেবল একটি নিশ্বাস ফেলল।
প্রতিদিনের আপডেটের জন্য- ফেসবুক, ছাড়পত্র (cosmos of stories and motivation)
“bangla Sera goyenda golpo. গোয়েন্দা গল্প। রহস্যময় গোয়েন্দা গল্প। নতুন গোয়েন্দা গল্প”

কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।