আজকের রহস্য গোয়েন্দা গল্প টিতে খুঁজে পাবেন এক অজানা এক রোগের কবলে গোটা গ্রামের মহামারী সুলভ পরিস্থিতি ও সেটির সমাধান।
রহস্য গোয়েন্দা গল্পঃ- “ডিজিস”
সময় তখন বিকেল চারটা হবে। একটা কালো ট্যাক্সি থেকে পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব এক ভদ্রলোক Mr. Ash এর বাড়ির দরজায় সমানে কলিং বেল বাজিয়ে চলছেন। Mr. Ash বাড়িতে ছিলেন না, তার সহকর্মী সৃজা ল্যাবে একটি কাজে ব্যস্ত। কলিং বেলের আওয়াজ শুনে সৃজা দৌড়ে এসে দরজা খুলতেই, দরজার ওপারে থাকা লোকটার প্রশ্ন- “আপনি কি মিস সৃজা!”
-হ্যাঁ আমিই সৃজা, আসুন ভিতরে।
-Mr. Ash বাড়িতে নেই!
-না, সে একটি দরকারি কাজে শহরে গেছে।
-আপনার কি দরকার সেটি আমাকে জানাতে পারেন, যদি কিছু মনে না করেন তো।
-ঠিক আছে আমার কোন আপত্তি নেই। নমস্কার, আমি সুজন মাহাতো বিন্নাগুড়ি অঞ্চলের প্রধান। ইদানীং আমার অঞ্চলের হরিভিটা গ্রামে এক আজব রোগ দেখা দিয়েছে।
সৃজা কিছুটা অবাক হয়ে বলে- আজব রোগ! কেন আজব কেন!
মাহাতো বাবু আবার বলতে শুরু করলেন- আসলে, গ্রামের মানুষজন এক অজানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের শরীরে জায়গায় জায়গায় ক্ষত হচ্ছে। অনেকের আবার মুখের ভিতর অদ্ভুত ভাবেই পুড়ে যাচ্ছে। ভাল মানুষও অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কি সব হচ্ছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। কয়েক জন শিশু সহ সর্বমোট ১৫ জন মারা গেছে।
-বিষয় টা তো খুবই আতঙ্কের। কিন্তু অ্যাশ না এলে তো আমি কিছুই বলতে পারব না। আপনি বরং আপনার টেলিফোন নাম্বারটি দিয়ে যান, আমরা যোগাযোগ করে নেব আপনার সাথে।
এরপর মাহাতো বাবু তার ভিজিটিং কার্ড টি দিয়ে সেখান থেকে বিদেয় নেন।
সন্ধ্যে হয়ে গেছে কিন্তু Mr. Ash এখনও আসেনি। সৃজা বাড়ি ফেরার জন্য মূল দরজায় শুধু দাঁড়িয়েছে, তখনই Mr. Ash এর আগমন। সৃজার আর তখন বাড়ি যাওয়া হল না।
Mr. Ash ফ্রেশ হয়ে আসতেই সৃজা তাকে সুজন মাহাতোর ঘটনাটির বর্ণনা দিল। সবটা শুনে Mr. Ash এর মুখ দিয়ে শুধু একটিই শব্দ বেরিয়ে এল- “স্ট্রেঞ্জ!”
এরপর সৃজা সুজন মাহাতো কে জানিয়ে দিল যে আগামীকালই তারা আসছে।
পরের দিন দুপুরে, তারা যখন হরিভিটা তে গেল, তারা দেখল মাহাতো বাবু আগেই তার দলবল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। Mr. Ash কে দেখা মাত্রই তিনি এগিয়ে এসে করমর্দন করলেন।
তিনি বললেন- “আশা করি পথে কোন অসুবিধে হয় নি।“
-না না মোটেও না। আচ্ছা এই ঘটনাটি প্রথম কবে নজরে এসেছে বলুন তো!
-এই তো দিন পাঁচেক আগে।
-আক্রান্ত দের ডাক্তার দেখানো হয়েছে নিশ্চয়ই। কিন্তু ডাক্তার কি বলছেন?
-ডাক্তার এই রোগের কোন কুল-কিনারা খুঁজে পান নি। জানেন তো অবস্থাটা এমন যে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী রাখার জায়গা পর্যন্ত নেই। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে অন্তত একজন করে আক্রান্ত দেখা যাবেই যাবে।
-আচ্ছা এবার চলুন স্বচক্ষে আক্রান্ত দের দেখি।
মাহাতো বাবু কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে বললেন- “কিন্তু এতে যদি সেই রোগটা আমাদের ধরে!”
Mr. Ash- “তার জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, আর হাতে গ্লাভস। সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখাটাও জরুরি।“
কিন্তু মাহাতো বাবু কিছুতেই যেতে রাজী হলেন না। বাধ্য হয়েই সৃজা আর Mr. Ash কে গ্রামের ভিতর পা বারাতে লাগল। কয়েকটা বাড়ি পেরিয়েই তাদের নজরে এল, একজন বয়স ৩০ এর যুবক সমানে ককিয়ে যাচ্ছেন। তার গাল পুড়ে গেছে, যেন মনে হচ্ছে প্রচুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আবার স্থির থাকতেও পারছেন না। শুধুই পাগলের মত ছুটোছুটি করছেন।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রামের এই বিপদে হাত বাড়িয়েছে। কয়েকজন ভলেন্টিয়ার এসে সেই ছুটতে থাকা যুবক টিকে ধরে স্ট্রেচারে বেধে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
পড়ুনঃ- গোয়েন্দা গল্প- অদ্ভুতুড়ে বিজনেস
Mr. Ash- “এই যে ভাই একটু এদিকে শুনবে।“
স্বেচ্ছাসেবী দলের একজন ছেলে এগিয়ে এল।
Mr. Ash- “তোমরা কি বুঝছ! এটা কি কোন ভাইরাস ঘটিত রোগ, নাকি ফাঙ্গাল আক্রমণ!”
ছেলেটা মাথা চুলকে বলল- “আমি কিছুই বুঝছি না দাদা, গ্রামে কি হচ্ছে। মানুষ জন এভাবে মারা যাচ্ছে। এটি কোন রোগ নাকি অন্যকিছু মাথায় কিছুই ঢুকছে না। এরকম অসুখ আমি জীবনে দেখা তো দুরের কথা, নাম পর্যন্ত শুনিনি।“
ছেলেটা সেখান থেকে চলে যেতেই সৃজা বলল- “ কেন জানিনা, ওই মাহাতো বাবুকেই আমার সন্দেহ হচ্ছে। সেইই বাইরে থেকে গ্রামে রোগ আমদানি করিয়েছে।“
Mr. Ash- কেন এরকম মনে হচ্ছে কেন?
সৃজা- সেই মাহাতো বাবুর স্বভাব আর কথা বলার ধরন দেখে, দেখছিস না কিরকম ভাবে কেটে কেটে কথা বলছে, আর প্রতিটি কথায় একটা কিন্তু কিন্তু ভাব লেগেই আছে।
Mr. Ash- “একদম ঠিক ধরেছিস। আর তিনি এই পুরো অঞ্চলের প্রধান অর্থাৎ একজন বেশ বড় মাপেরই পলিটিশিয়ান”
সৃজা- “এখানে আমাদের কেন ডাকা হল, কিছুই বুঝলাম না। আমাদের কাজ রহস্য সমাধান করা, কিন্তু এখানে এই মহামারী সমান রোগ, এটাকে আমরা সমাধান করব কিভাবে?”
Mr. Ash- “চল বাড়ি, আর এখানে সময় কাটাব না, কাল কাউকে না জানিয়েই আবার আসব।“
তারা দেখে গ্রামের বাইরে সেই মাহাতো বাবু তার দলবল নিয়ে দূরে তখনও দাঁড়িয়ে আছেন। Mr. Ash কে দেখে তিনি চেঁচিয়ে বললেন- “কি Mr. Ash, কিছু কিনারা খুঁজে পেলেন? আমার কিন্তু কেস টা সল্ভ করে চাইই চাই।“
Mr. Ash কিছু বলার আগেই সৃজা জবাব দিল- “ও আপনি ভাববেন না, মাহাতো বাবু। আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।“
এরপর তারা বাড়ি ফিরে আসে। দুইজনের মুখেই নিরাশার ছাপ। তাদের পুরো দিনটাই মাটি হল আজ। নিরবতা কাটিয়ে সৃজা বলল- “কিছু একটা তো ব্যাপার আছে, নাহলে সেই মাহাতো বাবু আমাদেরই বা ডাকবে কেন! কেন জানিনা আমার শুধুই মনে হচ্ছে এই রোগটার পিছনে ওই লোকটাই দায়ী।“
Mr. Ash- “হতে পারে, কিন্তু আগামীকাল আবার যেতে হবে, তবে এবার যাব সবার অজান্তেই।“
পরের দিন তারা যখন গ্রামে গেল, অনেক বাড়িতেই কান্নার শব্দ শোনা গেল। পুরো গ্রামে মানুষের দেখা নেই, শুধু বাড়ি গুলির ভিতর থেকে অসহ্য যন্ত্রণার আওয়াজ কানে ভেসে আসছে। ভেসে আসছে আক্রান্ত মানুষের বাঁচার তাগিদে করা আর্তনাদ।
তারা একটি বাড়ির ভিতর গেল, সেখানে একজন আক্রান্ত সমানে চিৎকার করেই চলছে।
সৃজা বাড়ির ভিতর টবে রাখা একটি কাঁধ সমান উঁচু গাছ দেখে বলল-
বাঃ, গাছ টা তো দারুণ দেখতে। কি গাছ এটি?
বাড়ির ভেতরের একজন লোক বললেন- “এটি একটি মানি প্ল্যান্ট। কিছুদিন আগে অঞ্চল অফিস থেকে আমাদের সবাইকে তিনটি করে দিয়েছে।“
এদিকে সৃজা সেই গাছটার কাছে যেতে লাগল, আর গাছটাকে ধরার জন্য হাত বাড়াল। Mr. Ash. চেঁচিয়ে বললেন- “শ্রী, ডোন্ট টাচ!” Mr. Ash এক লাফে গিয়ে সৃজা কে হিঁচড়ে টেনে নিয়ে আসলেন সেই গাছটির কাছে থেকে।
এরকম হ্যাঁচকা টানে সৃজা অবাক। সে বলল- “কি হল, কিছুই বুঝলাম না।“
Mr. Ash- পরে বোঝাচ্ছি সব। আচ্ছা দাদা, সবাইকেই কি এরকম গাছ দেওয়া হয়েছে।
লোকটা বলল- “আজ্ঞে হ্যাঁ এই গ্রামের সবাইকে এরকম গাছ দেওয়া হয়েছে, এটা নাকি মানি প্ল্যান্ট। এটা বাড়িতে রাখলে নাকি অর্থের আগমন হয়। বাড়ির তিন কোনায় তাই তিনটি গাছ রাখা আছে।“
Mr. Ash এর মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। তিনি বললেন- ঠিক আছে ধন্যবাদ।
এরপর তারা আরও বেশ কয়েকটি বাড়িতে গেল, ওই লোকটির কথাই ঠিক, প্রতিটি বাড়িতে এরকম গাছ আছে, তিন কোনায় তিনটি। এদিকে সৃজা কিছুই বুঝছে না, কি এমন আছে ওই গাছটায় যেটা দেখে অ্যাশ এত্ত ঘাবড়াচ্ছে। সে ভাল মেয়ের মত শুধু Mr. Ash এর পিছু পিছু এই বাড়িতে ওই বাড়িতে যাচ্ছে, আর Mr. Ash এর মুখের দিকে তাকাচ্ছে।
পড়ুনঃ- এক নিশি রাতের ভয়ানক গল্প
Mr. Ash- চল, তাড়াতাড়ি বাড়ি চল, বাড়ি গিয়ে আগে ফ্রেশ হতে হবে। নাহলে আমরাও শীঘ্রই আক্রান্ত হব।
Mr. Ash এর চোখ গেল সৃজার হাতের দিকে- সৃজা, don’t worry একদম আতঙ্কিত হবি না!
সৃজা- কেন কি হয়েছে।
Mr. Ash- তোর ডান হাতে দেখ, তুইই সে রোগে আক্রান্ত হয়েছিস।
সৃজা তার হাতের দিকে দেখতেই আতঙ্কিত হয়ে গেল, তার হাতের একটা জায়গা লাল হয়ে যাচ্ছে।
Mr. Ash- একদম আতঙ্কিত হবি না, এটা কোন রোগ নয়। চল তাড়াতাড়ি আমার সঙ্গে।
এরপর তারা হসপিটালে যায়, সৃজার হাতে একটি অ্যান্টিডট দেওয়া হয়- don’t worry শ্রী, কয়েক ঘণ্টায় তোর হাত ঠিক হয়ে যাবে।
-কিন্তু আমার খুব জ্বালা করছে, মনে হচ্ছে হাত টা কেটে বাদ দিলেই বাঁচি। সৃজা যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে।
কোনক্রমে সৃজা কে বাড়িতে নিয়ে এসে, তাকে একটি ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে দেয় Mr. Ash. প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সৃজা জেগে উঠে। তার হাতের জ্বালা টা এখন অনেকটাই কমেছে। জেগে উঠতেই সে দেখে, Mr. Ash তার বিছানার এক কোণে বসে একটা বইয়ে চোখ বোলাচ্ছেন।
সে সোজা Mr. Ash কে বলল- “ কোথা থেকে কি হল, আমি কিন্তু কিছুই বুঝলাম না।“
দাড়া দোস্ত দাড়া সব বলছি- তুই যে গাছটায় হাত দিতে গিয়েছিলি সেটা কোন সাধারণ গাছ নয়। সেটা হল ম্যানচিনেলা গাছ। এই গাছটা খুবই ভয়ানক।
সৃজা কিছুটা অবাক হয়ে বলল- “জীবনে প্রথম বার শুনলাম, ভয়ানক গাছ।“
Mr. Ash- “তাহলে গোটা বিষয়টা জানাই। এই গাছটির দেখা মিলে মেক্সিকো উপসাগরের কাছে ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জে। এই গাছটি পৃথিবীর সবথেকে বিষাক্ত গাছ নামেও পরিচিত। এই গাছের শাখা প্রশাখা থেকে সর্বদা একধরনের বিষাক্ত রস নির্গত হয়। আর এই রসটাই হল প্রাণঘাতী। শরীরে চামড়ার সাথে যদি এই রস লাগে, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জায়গাটা জ্বলে যায়।
পড়ুনঃ- ভৌতিক গল্প- রহস্যময়ী নারী
মনে আছে, সেই মাহাতো বাবু বলেছিলেন, কয়েকজন অন্ধ হয়ে গেছেন। আসলে সেটা হল এই গাছটার রসের প্রভাব। এই গাছটার রস যদি কোন ক্রমে কারও চোখ স্পর্শ করে, ব্যাস, প্রথমে তার চোখ ঝাপসা হয়ে যাবে, এরপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সে দৃষ্টি শক্তি হারাতে বসবে, যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হয়।
এমনকি এই গাছে হাওয়া লাগার সাথে সাথেই সেটা বিষাক্ত হয়ে যায়। আর অতি নিকটে থাকা কোন প্রাণী বা মানুষের গায়ে যদি সেই হাওয়া লাগে, চামড়ায় প্রথমে লাল দাগ হবে, তারপর জ্বলুনি শুরু হবে। এরপর ব্যবস্থা না নিলে সেই জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হবে। ধীরে ধীরে সেই ক্ষত গভীর হতে থাকে।
আরেকটি কথা, অনেক সময় বৃষ্টি যখন আসে আমরা গাছের তলায় আশ্রয় গ্রহণ করি, কিন্তু যদি কেউ ভুল করেও এই গাছের নীচে আশ্রয় নেয়, আর বৃষ্টির ফোঁটা সেই গাছ বেয়ে আশ্রয় গ্রহণ কারী ব্যক্তির চামড়ায় স্পর্শ হয়, তাহলেই বিপদ।
এবার আসি আমাদের সেই কেস এ। মাহাতো বাবু হলেন অগাধ জলের রুই কাতলা। তিনিই এই সব গাছ বিলি করিয়েছেন, আবার তিনিই আমাদের এসে গ্রামের এই বিপদজনক অবস্থার কথা জানিয়েছেন। তিনি ভেবেছিলেন, যদি কখনো তাকে প্রশ্নের মুখে পরতে হয়, তিনি আমাদের দেখিয়ে দেবেন যে, তিনি এই রোগের জন্য তদন্ত করিয়েছেন।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সৃজার প্রশ্ন- কিন্তু তিনি এরকম করতে গেলেন কেন!
Mr. Ash- হুম, ভাল প্রশ্ন। সে আর যাই হোক ওই হরিভিটা কখনোই মাহাতো বাবুকে ভোট দিত না। প্রথমে গাছ বিলি করে তারপর, রোগের সময় মানুষের পাশে দাড়াবার মিথ্যে অভিনয় করে তিনি সেই গ্রামের মানুষের মনে জায়গা করতে চেয়েছন। কিন্তু আমি অবাক হচ্ছি এটা ভেবে যে, এই গাছের ভাবনা টা ওর মাথায় এল কিভাবে।
এই দেশের মানুষ তো এইসব গাছ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানে না। আবার হতেও পারে, তিনি জেনেছেন ইন্টারনেট থেকে, আজকাল তো আর ইন্টারনেটে এই সব তথ্যের অভাব নেই! তবে এই গাছ আমদানি করার জন্য যে তাকে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খোয়াতে হয়েছে, সেটা বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছে।
সৃজা আবার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল- “তাহলে এবার গ্রামটিকে কিভাবে রক্ষা করা যাবে।“
Mr. Ash- আমি বোস বাবুকে বলে দিয়েছি, তিনি যেন তার স্কোয়াড নিয়ে খুব সাবধানে গাছ গুলোকে প্রতিটি বাড়ি থেকে সরিয়ে নেন। আর এরপর পুরো গ্রাম স্যানিটাইজ করতে হবে। তবে সেই মাহাতো বাবুর মত অগাধ জলের রুই কাতলা আমি আর দুটো দেখিনি। সে নিজেই অপরাধ করে, নিজেই আবার সাহায্য চাইতে এসেছে। হা হা হা, বড়ই অবাস্তবিক মানুষ তিনি। তবে এবার তার নির্ঘাত প্রাণদণ্ড হবে।
কারণ অনেক মানুষের জীবন নিয়ে খেলেছেন তিনি।
Mr. Ash সৃজার দিকে একটি পার্ক বাড়িয়ে দিয়ে বললেন- “নে এবার এটা খা, আর পরে তোকে নিয়ে আরেকবার হসপিটালে যেতে হবে।“
গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে।
সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও বা অডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।
পড়ুনঃ- পৃথিবীর ভয়ানক কিছু জায়গা অ্যাানাবেলা নাম অভিশপ্ত পুতুলের আসল কাহিনী
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে-
ফেসবুক Group - গল্প Junction
ফেসবুক- ছাড়পত্র
টেলিগ্রাম- charpatraOfficial
WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)
রহস্য গোয়েন্দা গল্প। bangla detective story. 1 new bengali mysterious story.
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।