অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল

চলুন আজক আমরা একটু আলাদা জগতে ঘুরে আসি। আজ একটু অ্যানাবেলা নামক ভূতের ব্যাপারে জেনে নিই। আজ আমরা এই অ্যানাবেলা নামক ভূতুরে পুতুলের আসল কাহিনী জানতে চলেছি। এই অ্যানাবেলা নামক পুতুলকে নিয়ে ২০১৩ সালে The conjuring নামক একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু কোনো দিনও কি জানতেন, যে এই পুতুল সত্যি সত্যি খুবই ভয়ানক।

ও হ্যাঁ আরেকটি কথা জানিয়ে দিই- এই পুতুলটি কিন্তু এখনও রয়েছে। এই ভূতুড়ে পুতুলটিকে Warren’s Occult Museum –এ একটি মন্ত্রপূত কাঁচের বাক্সে রাখা আছে। আপনি চাইলেই এটিকে দেখতে যেতে পারেন। কিন্তু তার জন্য যথেষ্ট সাহস দরকার। আমার মত দুর্বল heart এর লোকেদের এইসব কর্ম নয়। আমার তো এই লেখাটি লেখতেই গা ছম ছম করছে। সে যাই হোক আসল কথায় আসি।

এই ঘটনাটি তিনজন বন্ধুকে নিয়ে। যারা এই অ্যানাবেল নামক ভূতুড়ে পুতুলের শিকার হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এমন একটি পর্যায়ে পৌছায় যে, একজন পেশাদার প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটরের পরামর্শ পর্যন্ত তাদের নিতে হয়েছিল। প্যারানরমাল রিসার্চার ব্যারেন এর মতে, এই পুতুলটির ভূতুড়ে শক্তি এখনও সক্রিয় রয়েছে। যদি এই পুতুলটিকে সেই মন্ত্রপুত বাক্সটি থেকে বেড় করা যায়, তাহলে এটি পুনরায় তার আগের ভূতুড়ে শক্তি ফিরে পাবে। এমনকি মন্ত্রপূত বাক্সে এই পুতুলটিকে ঢোকানোর পরেও এটি নাকি একজন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প  সত্য ভূতুড়ে ঘটনা  top amazing horror story of annnabelle in bengali no 1 scary story bengali
অ্যানাবেলা

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প সত্য ভূতুড়ে ঘটনা

এই কাহিনীটির শুরু হয়েছিল ১৯৭০ সালে। ডোনা নামে এক মেয়ের মা তার মেয়ের জন্য একটি পুতুলের দোকান থেকে আজব দেখতে একটি পুতুল বাড়িতে নিয়ে আসে। তিনি তার মেয়ে ডোনার জন্মদিন উপলক্ষে তাকে উপহার স্বরূপ এই পুতুলটি প্রদান করেন। সেই সময় ডোনা নার্সিং এর ছাত্রী ছিল। সে ও তার বন্ধু একই রুমে থাকত। কিছুদিন সবকিছুই ঠিক ছিল। কয়েকদিন পর তারা এই পুতুলটি সম্পর্কিত আজব কিছু কার্যকলাপ আবিষ্কার করে।

তারা লক্ষ্য করে যে জায়গায় পুতুলটিকে রেখে তারা ক্লাসে যেত, ক্লাস থেকে আসার পর তারা দেখত পুতুলটি তার আগের অবস্থানে নেই, যেমন যদি তারা পুতুলটিকে বসিয়ে রেখে গেছে আসার পর তারা দেখে পুতুলটি শুয়ে পড়ে আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রথম প্রথম এরকম ছোট ঘটনা ঘটতে থাকে। এরপর যতই দিন যায় ততই পরিস্থিতি বদলে যায়, তারা আবিষ্কার করে যে, তারা পুতুলটিকে যে জায়গায় রেখে গেছে, পুতুলটি সেই জায়গায় নেই।

প্রথম দিন তারা এটিকে পড়ে ছিটকে গেছে ভেবে ধরলেও, প্রতিদিন তারা পুতুলটির এই কার্যকলাপে খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কোনো দিন তারা দেখত পুতুলটি অন্য একটি ঘরে গিয়ে পড়ে রয়েছে। আবার কোনোদিন সোফার উপরে বসে রয়েছে। এমনকি যদি কোনো ঘরের দরজা জানলা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকত, তবুও দেখা যেত, পুতুলটি সেই বন্ধ রুমটিতেই ঢুকে রয়েছে।

পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যেতে থাকে। পুতুলটি তাদের কাছে আসার যখন প্রায় এক মাস হয়ে গেছে, তখন তারা আবিষ্কার করে যে, রুমের মধ্যে কাগজে লিখা একটি ছোট্ট ম্যাসেজ রয়েছে। আর সেখানে লিখা থাকত-‘ Help me’. লিখাটি দেখতে অনেকটা ছোট বাচ্চাদের হাতের লেখার মত। এই সব ক্রিয়াকলাপ তাদের খুবই আতঙ্কিত করে তোলে। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হল প্রতিটি ম্যাসেজ তারা চামড়ার তৈরি কাগজে পেত। কিন্তু তাদের কাছে বা তাদের রুমে কোথাও চামড়ার কাগজ ছিল না।

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প  সত্য ভূতুড়ে ঘটনা  top amazing horror story of annnabelle in bengali no 1 scary story bengali
অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল Image by Pete Linforth from Pixabay

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প সত্য ভূতুড়ে ঘটনা

একদিন ডোনা ও তার বন্ধু রাতের বেলা বাড়িতে ফিরে। তখন তারা দেখে যে, পুতুলটির পীঠে এবং বুকে রক্তের ফোঁটা লেগে রয়েছে। অস্বাভাবিক এই দৃশ্য দেখে নার্সিং এর এই ছাত্রীও খুবই ভয় পেয়ে যায়। এরপর তাদের মনে হয় যে, এটি কোনো সাধারণ পুতুল নয়। এটিতে নিশ্চয় কোনো আত্মার বাস রয়েছে। এরপর তারা একজন ওঝাকে ডেকে নেয়।

সেই মানুষটি পুতুলের ভেতরের আত্মার সাথে কথা বলে জানতে পারে যে, এই পুতুলটির ভেতরে অ্যানাবেলা নামের এক সাত বছর বয়সের বাচ্চার আত্মা রয়েছে। বর্তমানে তাদের বাড়িটি যে জমিটির উপড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, ছোটবেলায় অ্যানাবেলা এখানেই খেলা করত। সে মারা যাওয়ার পর তাকে নাকি এই জায়গাটিতেই কবর দেওয়া হয়েছিল। তার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে, এই জায়গাটিতে। অ্যানাবেলা নামক এই অভিশপ্ত পুতুলটি আরও জানায় যে, তাকে নাকি ডোনার কাছে থাকতে এবং তার সাথে খেলতে খুবই ভালো লাগে। ডোনার সাথে খেললে সে নাকি, তার সব দুঃখ ভুলে যায়। আর সে ডোনার কাছেই থাকতে চায়। ডোনাই তার একমাত্র বন্ধু এবং খেলার সাথী। এই কথা শোনার পর ডোনাও পুতুলটিকে তার সাথে থাকার অনুমতি দিয়ে দেয়।

এরপর ডোনা বুঝতে পারে যে, সে ওই লোকটির কথার বিশ্বাস করে খুব বড় ভুল করে ফেলেছে। কারণ সে বুঝতে পারে যে, এই পুতুলটির ভেতরে কোনো বাচ্চার আত্মা নয়, বরং কোনো খারাপ আত্মার বাস রয়েছে।  সেই রুমেই ডোনার আরেক ছেলে বন্ধু লু-ও থাকত। সে প্রথম থেকেই এই পুতুলটিকে পছন্দ করত না। সে ডোনাকে অনেকবার বোঝায় যে, এই পুতুলটিতে খারাপ আত্মার বাস রয়েছে। তোমার উচিত এই পুতুলটিকে বাইরে ফেলে দেওয়া। কিন্তু ডোনা লু-এর কথায় কর্ণপাত করেনি। সেই লোকটি তাদের বাড়িতে আসার কয়েকদিন পরের ঘটনা-

লু তার রুমে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এমন সময় সে লক্ষ্য করে যে, সে শ্বাস নিতে পারছে না। সে ঘুমন্ত অবস্থায় চোখ খুলে আবছা ভাবে দেখে যে, পুতুলটি তার গলা টিপে ধরেছে। সে চেষ্টা করলেও হাত পা নাড়াতে পারছে না। এরপরের দিন লু ডোনাকে পূর্বের রাত্রের ঘটনার বিবরণ দিলে ডোনা বলে, লু হয়ত কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখেছে।  কিন্তু এবার এরকম একটি ঘটনা ঘটে যা তাদের সবাইকেই আতঙ্কে ভরে তুলে। এবার রাতে নয় বরং দিনের বেলায় দুপুরে একটি ভয়ানক ঘটনা ঘটে যায়।

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প  সত্য ভূতুড়ে ঘটনা  top amazing horror story of annnabelle in bengali no 1 scary story bengali
THIS IS REAL ANNABLLE অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প
<

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প সত্য ভূতুড়ে ঘটনা

  ডোনা সেদিন বাড়িতে ছিল না। লু এবং ডোনার আরেক বান্ধবী বসে গল্প করছিল। এমনসময় ডোনার রুম থেকে ডোনার চিৎকারের আওয়াজ তারা শুনতে পায়। কিন্তু ডোনা সেদিন বাড়িতে ছিল না। তারা দ্রুত ডোনার রুমে যায় এবং সেখানে সেই পুতুলটিকে ছাড়া  তারা অন্য কিছু আর দেখতে পায় না। লু-কে দেখা মাত্রই পুতুলটি তাকে আক্রমণ করে বসে। পুতুলটি হঠাৎই তার বান্ধবীর সামনেই লু এর উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং তার শার্ট ছিঁড়ে দেয়। তার শরীরে আঁচড় দিতে থাকে এবং তার শরীরে অনেক আঁচড় পড়ে যায়। আতঙ্কিত লু এবং তার বান্ধবী, দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করে কোনোমতে প্রানে বেঁচে যায়।  

লু-এর উপর হামলার পর ডোনার বিশ্বাস হয়ে যায় যে, এই পুতুলটিতে কোনো বাচ্চার আত্মা নয় বরং একটি শয়তানের আত্মার বসবাস রয়েছে। কারণ একটি বাচ্চার আত্মা কখনোই এরকম কাউকে আঘাত করবে না। এরপর ডোনা পাদরি “ফাদার হেগেন” এর নিকট দেখা করে এবং তাকে সমস্ত ঘটনা জানায়। সমস্ত ঘটনা শোনার পর ফাদার হেগেন বুঝে যান যে এটি একটি অভিশপ্ত পুতুল। তিনি তার সিনিয়র ফাদার কুক-কে এই বিষয়টি দেখার কথা বলেন। ফাদার কুক প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর ব্যারেন দম্পতিকে ডাকেন।

আরও পড়ুনঃ

ভূতুড়ে জায়গা সত্য ভূতুড়ে ঘটনা 

ভূত আছে কি নেই? ভূত কি? আত্মা কি? ভূত কি সত্যি আছে? 

শিমলা টানেল নং ৩৩ রহস্য ও ব্রিজ রাজভবনের রহস্য

ব্যারেন দম্পতি, ডোনা এবং তার বন্ধুদের নিকট থেকে সমস্ত ঘটনার বিবরণ শোনেন এবং প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেই পুতুলটির গতি বিধির উপর নজর রাখেন। এরপর তারা সিদ্ধান্তে আসেন যে- এই পুতুলটিতে কোনো বাচ্চার আত্মা নয় বরং একটি শয়তানী আত্মার বসবাস রয়েছে, এবং এটি ডোনার শরীরে কব্জা করার চেষ্টায় রয়েছে। আর এই পুতুলটি তার এই অভিসন্ধিকে হাসিল করার জন্য, প্রথমে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ডোনার ধ্যান তার উপর আনার চেষ্টা করে। আর এর জন্যই পুতুলটি প্রথমে তার জায়গা বদল করত, এরপর ধীরে ধীরে সে কাগজে নোট লিখতে শুরু করে এবং অবশেষে নিজের উপর রক্ত লাগিয়ে দেয়।

ব্যারেন দম্পতি জানায়, তারা যে লোকটিকে প্রথমে ডেকেছিল সে তাদের ভুল কথা বলে। সে জানতে পেরেছিল যে, এটিতে একটি অভিশপ্ত আত্মা রয়েছে। কিন্তু তবুও সে জানায় যে এটিতে একটি বাচ্চার আত্মা রয়েছে এবং এটি কারো কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু লু-এর এই কথাটি বিশ্বাস হয়নি এবং সে আগাগোড়া থেকেই এই পুতুলটিকে পছন্দ করত না। সে সবসময় এই পুতুলটিকে ফেলে দিতে বলত। যার কারণে পুতুলটিতে বসবাস করা আত্মা রেগে যায় এবং লু-কে আক্রমণ করে বসে। ব্যারেন দম্পতি আরও জানায় যে, আরমাত্র কিছুদিন হলেই এই পুতুলের ভেতরের অভিশপ্ত আত্মা ডোনার শরীরের উপর কব্জা করে নিত।  

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প  সত্য ভূতুড়ে ঘটনা  top amazing horror story of annnabelle in bengali no 1 scary story bengali
অ্যানাবেলা সত্য ভূতুড়ে ঘটনা

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প সত্য ভূতুড়ে ঘটনা

এরপর ব্যারেন ঘরটিকে আত্মা থেকে মুক্ত করার জন্য ফাদার কুকের মাধ্যমে সেখানে বিভিন্ন মন্ত্র এবং যজ্ঞ করেন এবং সেই অভিশপ্ত পুতুলটিকে নিজের সাথে নিয়ে যান। শীঘ্রই ব্যারেন বুঝতে পারেন যে, এটি কোনো সাধারণ পুতুল নয়, এবং এর ভেতরে থাকা আত্মার শক্তি অনেক বেশি। ব্যারেন যখন এই পুতুলটিকে তার গাড়িতে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল, তখন  কখনো কখনো গাড়ির ব্রেক, স্টিয়ারিং কাজ করত না। বিশেষত কোনো মোড় বা বাঁকে গাড়ির ব্রেক এবং স্টিয়ারিং কাজ করা বন্ধ করে দিত, যার কারণে তার গাড়ি আসে পাশে থাকা বস্তু গুলিকে ধাক্কা মেরে দিত। এরপর ব্যারেন বুঝে যায় যে এগুলি সবই এই অভিশপ্ত পুতুলটির কারণেই হচ্ছে। তাঁরা গাড়ি থামিয়ে মন্ত্রপূত জল পুতুলটির গায়ে ছিটিয়ে দেয়, এবং এরপর পুতুলটি শান্ত হয়ে যায়। অবশেষে ব্যারেন দম্পতি বাড়ি পৌছায়।

কয়েকদিন পড়েই পুতুলটি আবার তার আগের অবস্থায় চলে আসে। ব্যারেন পুতুলটিকে তার অফিসে রেখে গেলে সে এসে দেখত পুতুলটি অন্য রুমে বা সিঁড়িতে পড়ে আছে। এরমধ্যেই আরেকটি ঘটনা ঘটে যায়। ফাদার জেসন ব্যারেনের অফিসে যায় এবং সেখানে পুতুলটিকে হাতে নিয়ে ব্যারেনকে বলে- “এটাতো কেবলমাত্র একটি সাধারণ পুতুল, এটি কারও ক্ষতি করতে পারে না।“ এর কিছুক্ষণ পর যখন ফাদার জেসন বাড়ি ফিরছিল, তখন রাস্তায় তার গুরুতর অ্যাকসিডেন্ট হয়ে যায়, এবং ফাদার গুরুতর ভাবে জখম হয়ে যান। পরে সে জানায়, যে তার গাড়ির ব্রেক কাজ করা বন্ধ করে দেয়, যারফলে সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প  সত্য ভূতুড়ে ঘটনা  top amazing horror story of annnabelle in bengali no 1 scary story bengali
WARREN WITH ANNABLLE অ্যানাবেলা

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প সত্য ভূতুড়ে ঘটনা

এরপর ব্যারেন একটি মন্ত্রপূত বাক্স বানায়, এবং সেখানে পুতুলটিকে রেখে দেয়। এই বাক্সটিকে সে তার মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করে রাখে। কিন্তু ব্যারেনের মতে, পরবর্তীতে এই পুতুলটির কারেনেই আরেকজনের মৃত্যু হয়েছিল।

ব্যারেন জানায়, একদিন এক যুবক ও তার প্রেমিকা এই পুতুলটিকে দেখার জন্য তার মিউজিয়ামে আসেন। ব্যারেনের কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শোনার পর, সেই যুবকটি পুতুলটির কাছে গিয়ে, তার মজা করতে থাকে। সে পুতুলটিকে বলে,” যদি এই সাধারণ পুতুলটি একজন মানুষকে আঘাত করতে পারে, তাহলে আমিও চাই সে আঘাত করুক”। ব্যারেন তাকে বারংবার মানা করা সত্যেও যুবকটি পুতুলটির মজা করতে থাকে। এরপর ব্যারেন রেগে গিয়ে তাদের মিউজিয়াম থেকে বেড় করে দেন।

পরে ব্যারেন জানতে পারে যে, মিউজিয়াম থেকে ফেরার পথে সেই যুবকটি Accident –এ মারা যায়। এবং মেয়েটি খুবই গুরুতর ভাবে জখম হয়ে গিয়েছিল। প্রায় এক বছর ধরে মেয়েটি মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে অবশেষে সুস্থ হয়েছিল। Accident এর ঘটনা শোনার পর ব্যারেন সেই মেয়েটির সাথে দেখা করে, এবং তার কাছে সেদিন কি ঘটেছিল তা জানতে চায়। মেয়েটি জানায় তারা বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিল, এবং সেই পুতুলটিকে নিয়ে মজা করছিল। হঠাৎই তাদের বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং তারা সজোরে গিয়ে একটি গাছে ধাক্কা মেরে দেয়। ব্যারেন জানায়- “তোমাদের সেই অভিশপ্ত পুতুলটিকে চ্যালেঞ্জ করা ঠিক হয়নি। কোনো মানুষই শয়তান আত্মার থেকে শক্তিশালী হতে পারে না।“

এতক্ষণ পর্যন্ত যে গল্পটি আপনারা পড়লেন, সেটি কোনো গল্প নয়। এটি একটি সত্য ঘটনা। এবার বলুন ভূত-প্রেত বা আত্মার মত জিনিস পৃথিবীতে থাকে কি থাকে না?

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প  সত্য ভূতুড়ে ঘটনা  top amazing horror story of annnabelle in bengali no 1 scary story bengali
amazing horror story of annnabelle অ্যানাবেলা

অ্যানাবেলা অভিশপ্ত পুতুল ভূতের গল্প সত্য ভূতুড়ে ঘটনা

Spread the love

Leave a Reply