মাতালের হাসির গল্প। কমেডি হাসির গল্প। শুনলাম ইদানীং আপনি অনেক রাগারাগি করছেন, বিশ্বাস করুন, রাগলে আপনাকে হনুমানের মত দেখায়। না না ব্যাপারটা আমি বলছি না, আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড কি যেন নাম…, ও হ্যাঁ হ্যাঁ যেটা বললেন ওটাই, সেইই আমাকে বলেছে। কিন্তু আমি তো জানি আপনাকে দেখতে হেব্বি কিউট, তাই আপনাকে যেন কেউ উল্টোপাল্টা না ভাবে, আপনাকে একটু হাসাতে আজ দুটি কমেডি হাসির গল্প নিয়ে আসা হয়েছে।
কমেডি হাসির গল্প:-
মাতালের হাসির গল্প:-
পটল বাবু খুব মদ্য পান করছেন ইদানীং। তার এই সমস্যা তাকে বারংবার নানান চাপে ফেলে দিয়েছে। তার মুখ ও শরীর থেকে সবসময় মদের গন্ধ বেড়িয়ে আসে। তিনি তার বন্ধুদের তার সমস্যাটি জানালেন, তার বন্ধুরা তাকে বললেন, তিনি যেন এক মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করেন। হন্যে হয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজে তিনি শহরের শেষে একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞের খোঁজ পেলেন।
তিনি ভিতরে যেতেই, তাকে বসতে বলা হল। কিছুক্ষণ পর তাকে ডাক্তারের চেম্বারে ডাকা হল।
তাকে ডাক্তার প্রশ্ন করলেন- “বলুন আপনার সমস্যা কি?”
![মাতালের হাসির গল্প](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
পটল বাবু- “আমি ইদানীং খুব মদ্য পান করছি, মানুষ যেমন হাওয়া তে অস্কিজেন পায় আমি তেমনি মদে অক্সিজেন খুঁজে পাই।“
ডাক্তার- “আচ্ছা আপনার কি মনে আছে, আপনি কি ভাবে মদ্য পান শুরু করেছিলেন?”
পটল বাবু- “হ্যাঁ ডাক্তার বাবু মনে আছে। তাহলে ঘটনা টা প্রথম থেকেই শুরু করি-
আমি ফেসবুকে একজন সুন্দরী মেয়ের প্রেমে পরেছিলাম। এরপর তাকেও আমার জালে ফেলি, প্রায় তিন বছর তিন মাস তিন দিন প্রেম করার পর আমরা ঠিক করি বিবাহ করব। কিন্তু পরে সেই মেয়েটি জানায় সে, কুমারী নয়। সে নাকি বিধবা। তবে আমি তার সৌন্দর্য কে ভালবেসেছি, সে বিধবা হোক আর যাই হোক আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি বললাম, আমার কোন সমস্যা নেই। এর কিছুদিন পর, সে জানায় তার নাকি একজন মেয়ে রয়েছে,
আবার সেই মেয়ে আমার থেকে মাত্র চার বছরের ছোট। আমি আবারও মেনে নিলাম। কারণ আমাকে অতি সত্তর বিবাহ করতেই হবে, কারণ আমার মা নেই তাই বাড়ির কাজ আমাকেই করতে হয়। এরপর মহা ধূমধামে আমাদের বিবাহ হয়ে গেল। আমরা কিছুদিনের জন্য একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে লাগলাম।
প্রায় এক মাস পর আমার বাবা আমাদের বাড়িতে এলেন। এদিকে আমার মহান বাবা আমার স্ত্রীর আগের পক্ষের মেয়ে অর্থাৎ আমার সৎ মেয়ের প্রেমে পরে গেছে, যখন জানাজানি হল বিষয়টা ততদিনে তাদের বিবাহও হয়ে গেছে। এবার তাহলে সেই সৎ মেয়ে হয়ে গেল আমার বাবার স্ত্রী অর্থাৎ আমার সৎ মা।
আবার যেহেতু আমার বাবা আমার সৎ মেয়েকে বিয়ে করেছে সেহেতু আমি হয়ে গেলাম আমার বাবার বিয়াই। আর অন্যদিকে আমার বাবা আমার জামাই। এদিকে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আমাদের মানে আমার স্ত্রী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিল। এবার এই পুত্র সন্তান হয়ে গেল আমার বাবার শ্যালক, কারণ আমাদের ছেলে আমার সৎ মেয়ের অর্থাৎ আমার সৎ মায়ের ভাই।
আবার আমার ছেলে যেহেতু আমার সৎ মায়ের ভাই সেহেতু আমার ছেলে হল আমার মামা, আর আমার সেই স্ত্রী হয়ে গেল আমার মামার মা অর্থাৎ আমার দিদা। অর্থাৎ আমি হয়ে গেলাম আমার স্ত্রীর নাতি আবার অন্য দিকে আমি আমার নিজের দাদুও। আবার আমার সৎ মা গর্ভবতী। কিছু দিন পর তার বাচ্চা জন্মালে সে হয়ে যাবে আমার… “
![কমেডি হাসির গল্প](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
ডাক্তারজী পটল বাবুকে থামিয়ে দিয়ে একটি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললেন- “আপনি আমাকে যা কাহিনী শোনালেন, একটু বসুন আমি দুই প্যাগ মেরে আসি।“
পড়ুনঃ- ছোট ছোট হাসির গল্প
হাসির গল্প- আজব স্বামী!
পটল বাবু কয়েকদিন থেকে খুবই চিন্তিত, কারণ তার স্ত্রী দুই দিন থেকে বাড়ি ফেরে নি। তিনি ঠিক করলেন, থানায় গিয়ে একটি নিখোঁজ ডায়রি করে আসবেন। তিনি থানায় গিয়ে কনস্টেবল কে তার সমস্যার কথা জানালে, কনস্টেবল ইন্সপেক্টর এর রুমে তাকে ডায়রি জমা দেওয়ার কথা বললেন।
সেখানে তাদের যে কথোপকথোন হল সেটি হল নিম্নরূপ-
পটল বাবু- স্যার আমার স্ত্রী গত দুই দিন থেকে নিখোঁজ, সে যে ডাক্তার দেখাতে গেল আর বাড়ি ফিরে নি। আপনি কিছু একটা করুন।
ইন্সপেক্টর- আচ্ছা, আপনার স্ত্রীর নামটা বলুন।
পটলবাবু- ডোনা….মিত্র না সরি সরি ডোনা সাহা।
ইন্সপেক্টর- নিজের স্ত্রীর নাম বলতে এত্ত ভাবতে হচ্ছে আপনাকে?
পটল বাবু- আসলে স্যার, আমার স্ত্রী তার বাবার পক্ষের surname লেখে নাকি আমার, সেটা মনে পরছিল না।
ইন্সপেক্টর- বড়ই অদ্ভুত ব্যাপার। আচ্ছা আপনার স্ত্রী কি ধরনের পোশাক পরে ছিল?
পটল বাবু- উম্মম, চুড়িদার… না না শাড়ি। ঠিক মনে পরছে না, চুড়িদারই হবে হয়ত… হ্যাঁ হ্যাঁ চুড়িদারই।
ইন্সপেক্টর- আপনার স্ত্রীর ওজন আর উচ্চতা কত?
পটল বাবু- ওজন আমার আইডিয়া মত ৫২ কেজি, তবে উচ্চতা টা মেপে দেখিনি কক্ষনো।
ইন্সপেক্টর- আপনার স্ত্রী কেমন, মানে, মোটা নাকি পাতলা নাকি একদম স্লিম?
পটল বাবু- হাঁ হাঁ হাঁ, স্লিম! আমার স্ত্রী!! হতেই পারে না। এই ধরুন, মাঝারি ধরনের।
ইন্সপেক্টর- আপনার স্ত্রীর চোখের রং কি?
পটল বাবু- চোখের রং তো কোন দিন দেখিনি।
![bengali funny story](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
ইন্সপেক্টর- চুলের রং কেমন?
পটল বাবু- চুলের রং আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।
ইন্সপেক্টর- চুল কেমন, লম্বা নাকি ছোট?
পটল বাবু- ঠিক জানিনা। সকালে ছোট দেখলে, ঘুরতে যাওয়ার সময় বড় হয়ে যায়।
ইন্সপেক্টর- স্ট্রেঞ্জ! আচ্ছা আর কোন কিছু?
পটল বাবু- হ্যাঁ আমার স্ত্রী আমার car চালিয়ে গেছে।
ইন্সপেক্টর- গাড়িটির বর্ণনা দিতে পারবেন?
পটল বাবু- অবশ্যই, গাড়িটি হল, BMW X7, গাড়িটির BHP হল, 333.25-375.48, গাড়িটি হল 4WD ড্রাইভিং সিস্টেমের। গাড়িটির ইঞ্জিন হল- 2993 cc, গাড়িটি হল SUV টাইপ। গাড়ির টর্ক 1750 rpm, অটোম্যাটিক ট্রান্সমিশন এর এই গাড়িটির মাইলেজ হল 13km/ltr, গাড়িটি হল ডিজেল চালিত। ছয় জনের বসার ক্যাপাসিটি আছে। গাড়িটিতে রয়েছে ১৬ টি স্পীকার আর ১৪.৯ ইঞ্চির একটি ডিসপ্লে। গাড়িটি মাত্র পাচ সেকেন্ডে একশ স্পীড ধরতে সক্ষম। গাড়িটির উচ্চতা হল, ১৮০৫ মিমি, গাড়িটির লম্বা হল ৫১৫১ মিমি, গাড়িটির ওজন হল ২৪৪৫ কেজি…।
ইন্সপেক্টর তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, ব্যস ব্যস হয়েছে। আমরা আপনার গাড়িটি পেলে আপনার সাথে যোগাযোগ করব।
পটল বাবু- ওকে স্যার, আর গাড়িটির ড্রাইভার সাইড দরজায় একটি লম্বা স্ক্র্যাচ এর দাগ রয়েছে, পিছনের বুটের গেটে…
সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।
গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে।
পড়ুনঃ- বাস্তব হাসির গল্প ২০৮৭ সালের হাসির গল্প
হাসতে হলে আসতে হবে-
ফেসবুক Group - গল্প Junction
ফেসবুক- ছাড়পত্র
টেলিগ্রাম- charpatraOfficial
WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)
মাতালের হাসির গল্প। কমেডি হাসির গল্প outstanding bengali funny story.
![charpatra.com ছাড়পত্র](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।