বাস্তবিক গল্প//বাস্তব গল্প//আত্মহত্যা নিয়ে গল্প পৃথিবীর কোনো ব্যক্তি নিজ প্রচেষ্টায় মারা গেলে তাকে আমরা আত্মহত্যা বলে থাকি। কিন্তু একটু গভীর ভাবে ভাবুন তো, মানুষ নিজেকে সবথেকে বেশি ভালোবাসে তবুও সে কেন নিজেকেই হত্যা করবে? বিস্তারিত গল্পে-
বাস্তবিক গল্পঃ- আত্মহত্যা
সকাল হতেই সেনগুপ্ত পরিবার শুনতে পায় পাশের প্রতিবেশী দত্তবাড়ির চিৎকার করা কান্নার রোল।
কি হয়েছে দেখতে গেলে খবর পায় যে দত্তবাড়ির একমাত্র মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সকল প্রতিবেশী হৈ হৈ হল্লা চীৎকার করে চলে আসে আর সত্য – মিথ্যা নানান গল্প বোনা শুরু করে মৃতা মেয়ে নীরার উদ্দেশ্যে।
আজকালকার দিনে ছেলেমেয়ে না, অল্পতেই রেগে গিয়ে হঠকারিতা করে ফেলে !
দেখো হয়ত, প্রেমঘটিত ব্যাপার!
দেখো হয়ত, কেচ্ছা কেলেঙ্কারি কিছু করে বসেছিল!
দেখো হয়ত, ছেলেসঙ্গ ছিল প্রচুর, হয়ত বাচ্চাও পেটে এসে গেছে…।.
ইত্যাদি বাক্যবাণ, বাড়ছে আরো আস্তে আস্তে। মন প্রাণ যেন বিদ্ধ হচ্ছে এই বাণে। নীরার পরিবার কাঁদছে মেয়ের লাশটা কোলে নিয়ে। কি পরিতৃপ্তির হাসি যেন মেয়েটার মুখে।
না ব্লেড দিয়ে শিরা কেটেও নয় বা গলায় ফাঁস দিয়েও নয়, নয় বিষ খেয়েও। শুধু মাত্র মৃত্যুর অপেক্ষা করত মেয়েটা, অপেক্ষা কেন, কারণ সে যে ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছে, আত্মহত্যা মহাপাপ!
কিন্তু তবুও সবাই আত্মহত্যা বলছে কেননা নিজেকেই নিজে অনেক কষ্ট করে গলা টিপে মেরেছে। সাহায্য নিয়েছে শুধু নিজের আর কারোর নয়। আত্মহত্যা মহাপাপ জেনেও অপেক্ষার ক্লান্ত প্রহর গুনতে গুনতে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যাই করল মেয়েটা!
সেনগুপ্ত পরিবারের লোকজন নীরার পরিবার কে শান্ত রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়ের শোকে কি মা, বাবা শান্ত থাকতে পারে?
সময় যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। মেয়ে আত্মহত্যা কেন করেছে তার কোনো শেষ স্বীকারোক্তি লিখে যায়নি । অতএব ডাক্তার তারপর পোস্ট মর্টেম ও সবশেষে শশ্মান।
ইলেকট্রিক চুল্লিতে দিতেই 45 মিনিটের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে বেরিয়ে এলো কুড়ি বছরের নীরার দেহ।
গোটা ব্যাপারটা চুপচাপ দেখছিল অলি। সেনগুপ্ত পরিবারের মেয়ে , নীরার বয়সীই। সব কাজ শেষ করে সবাই যখন ব্যথিত মনে বাড়ী ফিরবে বলে প্রস্তুত হচ্ছে তখন অলি চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখে নীরার অস্থি আস্তে আস্তে ভেসে যাওয়া।
অলি, আয়, কি করছিস তুই ওখানে?
অলি সাড়া করল না দেখে নীরার বাবা, মা আর অলির বাবা, মা তার কাছে গিয়ে তাকে নিয়ে আসে।
অনেক কিছু ভাবছে অলি মনে মনে, সবাই বুঝতে পেরে জিজ্ঞাসা করে, কি হয়েছে অলি, কি ভাবছিস?
নিশ্চয়ই নীরার জন্য কষ্ট হচ্ছে তোর, তাই না?
পড়ুনঃ- পৃথিবীর বুকে খুঁজে পাওয়া কিছু অদ্ভুত বস্তু
অলি নীরব থাকে। নীরার মৃত্যু তার বাকশক্তি কেড়ে নিয়েছে। শুধু একটা নীরব দৃষ্টি কিন্তু সেই দৃষ্টিতে অনেক কথা লুকানো আছে। সবাই অলির এ হেন আচরণ দেখে ঘাবড়ে যায়। নীরার বাবা, মা একদিকে নীরার জন্য শোকে কাতর তার উপর তাদের পাশের বাড়ির ই তাদের সমবয়সী একটা মেয়েকে এইরকমভাবে দেখে তারাও চিন্তিত হয় খুব। এরপর সমস্ত কাজ আস্তে আস্তে মিটে যায়। কিন্তু অলি হঠাৎ করেই কেমন যেন অস্বাভাবিক ভাবে বদলে গেছে। নীরার সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল ঠিকই কিন্তু ততটাও ছিল না যতটা থাকলে নীরার মৃত্যুতে ওর এতটা পরিবর্তন হয়ে যাবে।
কিন্তু ঘটনাচক্রে ব্যাপারটা ছিল অন্য রকম। নীরা কে খুব একটা সহ্য করতে পারত না অলি কিন্তু বাইরে থেকে খুব ভালো ব্যবহার দেখাত সকলের সামনে। আর নীরার চলে যাওয়ার পিছনে অলির সামান্য তর ভূমিকা আছে।
এভাবে দিনের পর দিন কাটে। নীরার আত্মহত্যা নিয়ে পাড়া প্রতিবেশী অনেকেই নানান কুৎসা রটায়, বক্রোক্তি করে, গল্পের আসরে নীরার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো আলোচনা নেই এমন পর্যায়ে চলে যায় ব্যাপার টা।
অলির বাবা মা অবশ্য নিজের মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত। একদিন অলির বাবা চুপ করে বসে আছে এমন সময় অলি আসে বাবার সামনে আর বলে, বাবা, আত্মহত্যা বলে আদৌ কি কিছু হয়?
আকস্মিক নিশ্চুপ হয়ে যাওয়া মেয়ের মুখে হঠাৎ করে এমন অদ্ভুত প্রশ্ন শুনে কিছুটা হতচকিত হয়ে বাবা বলে ওঠে, বুঝলাম না তোর কথা।
“আত্মহত্যা বলে আদৌ কি কিছু হয়?”
“এ আবার কি আবোলতাবোল বলছিস তুই, তা নীরার মৃত্যু টা কি দেখলি, ওটাই তো আত্মহত্যা। কি যে হয়েছে তোর, আজেবাজে প্রশ্ন সব!”
“আত্মহত্যা বলে সত্যিই কি কিছু হয়?”
বাবা বাবার মতো উত্তর দেয় আর মেয়েও প্রতিবার একই প্রশ্ন করতে থাকে। শেষে মেয়ের অস্বাভাবিক পাগলামি দেখে বাবা রেগে যায় আর বলে, “শোনো অলি, তোমাকে আমি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। তোমার মস্তিষ্কের সমস্যা শুরু হয়েছে।”
“বাবা, আমার মস্তিষ্কে কোনো সমস্যা হয়নি। আমি শুধু জানতে চেয়েছি যে আত্মহত্যা বলে আদৌ কি কিছু হয় নাকি…?”
“…নাকি, কি, থেমে গেলে কেন?”
“নাকি এটা দলগত ভাবে হত্যা করা?”
“মানে?”
“মানে আত্মহত্যার নেপথ্যে কোনো হত্যা কি থাকতে পারে না?”
“তুমি কি বলতে চাইছ আমি কিছু বুঝতে পারছি না।”
“বাবা, মানুষ সবথেকে কাকে বেশি ভালোবাসে?”
“নিজেকে।”
“তাহলে সেই ভালোবাসার নিজেকেই নিজে কেন হত্যা করে?”
পড়ুনঃ- মোটিভেশনাল ছোট গল্প
“অনেক হতাশা, কাপুরুষ চিন্তাভাবনা, বিষন্নতা, কষ্ট, যন্ত্রণা ইত্যাদি আরো নেতিবাচক অনুভুতি থেকে মুক্তি পেতেই সে আত্মহত্যা করে। কিন্তু তাতে কি হয়েছে?”
“একদম ঠিক বলেছ বাবা। শরীর খারাপ যেমন শরীরে ভুলবশত বাইরের খারাপ কিছু প্রবেশ করার প্রভাবেই হয় তেমন মন খারাপও বাইরের কিছু মানুষের খারাপ ব্যবহার ভুলবশত মনে প্রবেশ করার ফলেই হয়।”
এ”কটা মানুষ তখনই নিজেকে বাইরে অর্থাৎ দেহের দিক থেকে শেষ করার কথা ভাবে যখন সে ভেতর অর্থাৎ অন্তর থেকে শেষ হয়ে যায়। যাকে Death Inside but Alive Outside. মনের মৃত্যু তে তো মানুষ কাঁদে না কিন্তু শরীরের মৃত্যু তে যত শোক পালন করে। কিন্তু বাস্তবিক ভাবে মনের মৃত্যু না হলে শরীরের মৃত্যু হয় না।”
অলির বাবা চুপ করে শোনে মেয়ের কথা। মেয়ের মাথা যে খারাপ হয়ে যায় নি তা মেয়ের বর্তমান অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু এমন অদ্ভুত ভাবে একটা অদ্ভুত প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করার হেতু কি?
“আচ্ছা বাবা, নীরার আত্মহত্যা হয়েছে নাকি হত্যা হয়েছে বলতে পারবে? তুমি কেন তোমরা সবাই বলবে আত্মহত্যা। কিন্তু আমি বলব হত্যা, শুধু হত্যা নয়, দলগতভাবে হত্যা!”
“কি বলছিস তুই! তার মানে নীরা খুন হয়েছে? কিন্তু ও তো…”
“হ্যাঁ বাবা ও খুন হয়েছে। ওর মনটা কে খুন করা হয়েছে বলেই আজ নীরা নিজের দেশটাকে খুন করতে পেরেছে। সত্যি বলতে কি জানো, আত্মহত্যা বলে আসলে কিছু নেই। আত্মহত্যা মহাপাপ এই কথাটা এই কারণেই সত্যি কারণ কেউ মিছি মিছি নিজেকে হত্যা করে না। আত্মহত্যা করার পেছনে থাকে নানান অজস্র কারণ আর সেই কারণের প্রতীক হিসেবে থাকে নানান ঘটনা ও সেই সূত্রে নানান মানুষ। প্রথমেই বলেছি যে শরীরের ভিতর বাইরের খারাপ কিছু ভুলবশত প্রবেশের ফলেই যেমন শরীর অসুস্থ হয়, মনের ক্ষেত্রেও ঠিক একই শর্ত প্রযোজ্য। ঐ নানান মানুষ মিলে মানসিক ভাবে প্রথমে দলগতভাবে হত্যা করে আর তারপর সেই অন্তর থেকে মৃত মানুষটা বাধ্য হয়ে আত্মহত্যা করে।”
পড়ুনঃ- পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান কিছু মানুষ
“নীরা পড়াশোনা করত কিন্তু তার উপর বিয়ের ও চাকরির চাপ একসাথে ছিল। ওর বাবা, মা ওকে অনেক রক্ষণশীল নিয়মকানুনে বেঁধে রেখেছিল, একদন্ড স্বাধীনতা দেয়নি। কেন, কারণ মেয়েরা স্বাধীনতা পেলেই নাকি গোল্লায় যায়! যাই হোক, এই একটা চাপ ছিল ওর মাথার উপর। এছাড়া চাপ ছিল আরো অনেক কিছুর।
ও যেখানে টিউশন পড়তে যেত সেখানে কিছু ছেলের অসভ্যতার শিকার হয়। হ্যাঁ প্রতিবাদ করেছিল নীরা কিন্তু জেতেনি। প্রতিনিয়ত এই আরেক ধরণের মানসিক অত্যাচার।
পড়াশোনার চাপ এর সাথে সাথে নীরা চিন্তা করত তার ভবিষ্যত নিয়ে। স্বপ্ন দেখত বড় হওয়ার কিন্তু ভবিষ্যত যেন টলমল করছে তার। আর এর মধ্যে সে ভুলবশত জড়িয়ে পড়ে এক খারাপ জালে।
রাতে টিউশন থেকে ফেরার সময় তার কলেজের বন্ধুরা মিলে একটা ক্যাফে তে নিয়ে যায়। যেতে চাইছিল না নীরা কিন্তু জোর করে এটা সম্ভব হয় সেদিন।
নীরা কে সেদিন একটা ড্রিঙ্ক দেওয়া হয় প্রায় জোর করে খাইয়ে দেয় আর তারপর থেকে পরিবর্তন শুরু হয় নীরার।
ভালো, ভদ্র, সভ্য, নম্র মেয়েটা হঠাৎ করেই রক্ষণশীল নিয়ম-কানুনে মুখে আঘাত হানে। উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করে। পড়াশোনা থেকে অনেক দূরে চলে যায়। খারাপ সঙ্গে চলে যায়। বলতে গেলে ভালো থেকে এক নিমিষেই খারাপ হয়ে যায়।
মা, বাবা অত্যন্ত রেগে গিয়ে অনেক বকাঝকা করে। কিন্তু যখন কাজ হয়না তখন মনে আঘাত করে বলতে শুরু করে অনেক কিছু। নীরা একসময়ে বুঝেছিল যে সে অনেক ভুল করেছে। কিন্তু বোঝাটা অনেক দেরি হয়ে যায়। কারণ অনেক গুলো ভালো কাজ মানুষের খুব একটা মনে থাকে না বরং একটা খারাপ কাজ ঢাক পিটিয়ে রটে যায় চারিদিকে। নীরা যখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিল তখন সে তার পূর্বে নেশাগ্ৰস্ত হয়ে করা খারাপ কাজগুলোর পুরষ্কার হিসেবে অনেক অপমানজনক ব্যবহার ও কথাবার্তাই শোনে।
আর তাই তো তার মৃত্যুর পরেও লোকজন বক্রোক্তি উদ্গিরণ করতে ছাড়েনি তার সম্পর্কে সত্য জানুক বা না জানুক। চারিদিক যেন তাকে সবসময় আঙুল তুলে বলত, রাত করে বাড়ি ফেরা ও এর মতো মেয়ে যে ভালো সময় কাটাবে না তার কোনো ঠিক নেই। অনেক খারাপ কথা তার সম্পর্কে অহেতুক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে পরিবার জানতে পারলে শুরু হয় অশান্তি। পড়াশোনার চাপ বাড়ে কারণ পড়ায় আর আগের মতো মনোযোগ পেত না বলে। চাকরি আর বিয়ে যেখানে দুটো একসাথে ছিল সেখানে শুধু বিয়ে টাই থেকে যায় কারণ মা, বাবা ভরসা করা ছেড়ে দিয়েছিল নিজেদের মেয়ের উপর। আর এতকিছু সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত …”
পড়ুনঃ- পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ভয়ানক ট্রেন দুর্ঘটনা
বাবা হতবাক হয়ে শোনে অলির কথা। তারপর বলে, “তুই এত কিছু জানলি কিভাবে?”
“বাবা, ঐদিন নীরার ড্রিঙ্ক এ ঐ ওষুধ আমিই মিশিয়েছিলাম ওকে খারাপ করতে। আমার থেকে ও অনেক ভালো মেয়ে ছিল তাই আমার থেকেই ওকে অনেক খারাপ করার জন্য… কিন্তু ভাবিনি যে ও এভাবে চলে যাবে।
ওর তো কোনো দোষ ছিল না বলো বাবা, ও যদি ঐ ড্রিঙ্ক না খেত জোরপূর্বক ভাবে তাহলে ওর জীবনে তো এমন হতো না। ওকে আমরা সবাই মিলে মানসিক ভাবে মেরে ফেলেছিলাম তাই ও আত্মহত্যা করেছে। অন্যের জন্য বেঁচে থাকার নাম যদি পরজীবী হয় তাহলে অন্যের কারণে মৃত্যুর নাম কেন নিজ হত্যা বা আত্মহত্যা হয়?
অন্য কেউ বুকে ছুরি বসালে খুন আর নিজে নিজের বুকে ছুরি বসালে আত্মহত্যা?
আত্মহত্যা আসলে কেউ করে না বাবা, অন্যের কারণে সে মৃত্যুবরণ করে। নিজেকে মেরে ফেলার সময় যে নিজের কতটা কষ্ট হয় সেটা শুধু মাত্র সেই বুঝবে যে আত্মহত্যা করছে। শেষবারের মতো মনে হয় এবারটা থাক, আরো কিছুদিন দেখি তারপর না হয়…। মনে শেষবারের মতো আবার আশার জাল বোনার পর যখন সেটা আবার ছিঁড়ে যায় একটু ভালবাসা আর বিশ্বাসের অভাবে তখনই সে…”
অলির চোখে জল। অলির বাবাও স্তব্ধ। তার মেয়ে কিনা শেষপর্যন্ত এই করল?
অলি বলে, “বাবা, আমি অনুতপ্ত, আমি একজন খুনী মেয়ে। আমি থানায় সবকিছু জানিয়ে আত্মসমর্পণ করেছি। আর বাকিদেরকেও খোঁজার জন্য বলেছি। দেখতে গেলে আরো অনেকেই নীরার মৃত্যুর জন্য দায়ী। কিন্তু সবাইকে তো আর শাস্তি দেওয়া আইনের আওতায় নেই, তাদের ক্ষেত্রে ঈশ্বর। চলি বাবা, তবে এটা জেনে রেখো আত্মহত্যা নীরা কেন, কোনো মানুষ ই করে না, করেনি আর করবেও না । নীরা চলে গিয়ে আমাকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে গেছে।।”
গল্পের ভাবনায়-
সুস্মিতার কয়েকটি জনপ্রিয় লেখা- জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প দারিদ্রতার গল্প- সমাজ-বিরোধী বাস্তবতা নিয়ে একটি গল্প- নির্দয়
এক ক্লিকেই আমাদের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য- ফেসবুক Group - গল্প Junction ফেসবুক- ছাড়পত্র টেলিগ্রাম- charpatraOfficial (লিংক কাজ না করলে টেলিগ্রামে সার্চ করুন- charpatraofficial) WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২) (গ্রুপটি শুধুমাত্র পাঠক ও লেখকদের জন্য)
বাস্তবিক গল্প। আত্মহত্যা নিয়ে গল্প। বাস্তব গল্প। বাংলা গল্প।
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।