আজ আবারও নতুন মজার গল্প নিয়ে হাজির আমরা। দমফাটা এই হাসির গল্প গুলি অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে এমনটাই আশা রাখি।

নতুন মজার গল্প। বাংলা ফানি গল্পঃ-

পাড়ার ছেলে হাবলু, অনেকদিন থেকেই চাকরির পরীক্ষা দিয়ে আসছে। কিন্তু এবার করোনা মহামারীর ছুটিতে সে বাড়িতে একদম জমিয়ে বই পড়েছে। সে রেলের চাকরির ইন্টার্ভিউ দিতে গেল। ভিতরে গিয়ে বসতেই পরীক্ষক একে একে প্রশ্ন করা শুরু করে দিলেন-

পরীক্ষকঃ– ধরো তোমার এই রেল গার্ডের চাকরিটা হয়ে গেল, এবার তোমাকে কাজে নিযুক্ত করা হল। একদিন তুমি দেখলে যে, অসাবধানতা বশত দুটি ট্রেন অত্যন্ত দ্রুত গতিতে একই লাইন দিয়ে পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসছে। কিন্তু তারা ঠিক মত জানে না, যে তারা একই লাইনে আছে। দুটি ট্রেনই প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ট্রেন দুটির মধ্যে জোর ধাক্কা লাগতে পাড়ে, আর অনেক প্রাণহানী হতে পাড়ে। এমতাবস্থায় তুমি কি করবে?

হাবলুঃ– আমি, লাল কাপড় দেখাব।

নতুন মজার গল্প. মজার ইন্টার্ভিউ
নতুন মজার গল্প. মজার ইন্টার্ভিউ bengali funny story

পরীক্ষকঃ– ধরো লাল কাপড় তোমার কাছে নেই, তুমি সেটা কোথাও ফেলে রেখেছ, খুঁজে পাচ্ছ না। এবার তুমি কি করবে?

হাবলুঃ– নো টেনশন স্যার, আমি সবসময় লাল গেঞ্জি পড়ে ঘুরি। গেঞ্জি খুলে সেটা দেখাব।

পরীক্ষকঃ– ধরো দুর্ঘটনাটা রাতের বেলায় ঘটতে চলেছে। তখন তুমি কি করবে?

হাবলুঃ- উঁহু, কোনো চিন্তা নেই স্যার আমার কাছে, সবসময় লাল লাইটের আলো থাকে।

পরীক্ষকঃ– ধরো, সময়টা বর্ষা কাল, আর জোরকদমে বৃষ্টি চলছে, তোমার লাইট ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে, এবার কি করবে?

হাবলুঃ- এবার আমি দৌড়ে গিয়ে, আমার ভাই ডাবলুকে নিয়ে আসব।

পরীক্ষকঃ-কেন , কেন? সে কিরবে?

হাবলুঃ– স্যার সে ভিডিও করবে, ওর অনেক দিনের ইচ্ছা, টিকটকে বিখ্যাত হওয়ার, তাই সে লাইভ এক্সিডেন্ট একটা রিল বানাবে, উইথ ফেস ভিউ।

পরীক্ষকঃ– ঠিক আছে, বনগাঁ এক্সপ্রেস ধরে সোজা, তোমার বাড়ির মুখে রওনা দাও, আর এই নাও দুই টাঁকা যাবার সময় চকোলেটের মত চুষে চুষে খাবে।

পাড়ার ছেলে কেল্টু ঃ-

আমাদের পাড়ার ছেলে কেল্টু, হেব্বি চালাক। পাড়ার মোড়ের মিষ্টির দোকানে গিয়ে বলল- দাদা দুটা গরম গরম মিষ্টি দাও তো, মিষ্টি খাবার পড়, আরও দুটি সিঙ্গারা সে সাপটে দিল। অবশেষে এক কাপ চা।

দোকানী টাঁকা চাইতেই সে বলল- আরে দাদা, আমি তোমার দোকানে খেয়ে তো তোমারই লাভ হল। এই যে আমি তোমার দোকানে খেলাম। ওই যে ওই দোকানে গিয়ে এখন আমি খবরের কাগজ পড়ব, আর তোমার মিষ্টি-সিঙ্গারা –চা এর গুণগান করব। এতে সেই দোকানের কাস্টমার তোমার দোকানে চলে আসবে। একবার ভেবে দেখ, তোমার কত প্রফিট হতে চলেছে।

হাসির মজার গল্প min
চরম হাসির মজার গল্প নতুন মজার গল্প

দোকানী ভাবল, ঠিকই তো। এবার কেল্টু অন্য মিষ্টির দোকানে গিয়ে ঠিক একই রকম ফন্দি এঁটে পেট পূজা করে। কয়েকটা দিন এভাবেই চলল। কিন্তু কোনো দোকানিরই নতুন কাস্টমার আসে না। এরপর সেই দোকানীরা কেল্টুর চালাকি ধরে ফেলে। কেল্টু কে দেখে তারা একসাথে আসে, আর বলে- আচ্ছা কেল্টু ভাই তুই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিষয়টা শুনেছিস। আমরা সেই দলে নাম লিখিয়েছি। ব্যাটা বিনে পয়সার আত্মীয়, তোরে মিষ্টি খাওয়াচ্ছি দ্বারা।

এই বলে সবাই মিলে কেল্টুকে মিষ্টি খাওয়াতে লাগল। উঁহু এই মিষ্টি সেই মিষ্টি নয়। এই মিষ্টি খেলে পেটে নয় পীঠে লাগে। আর লাল লাল ছোপ বসে যায়।

পড়ুনঃ- হাসির ছোট গল্প।

মহিলা ও বাস কন্ডাক্টার হাসির গল্পঃ-

এক মহিলা ১০-১২ জন বাচ্চা নিয়ে একটি বাসে উঠল। কিন্তু বাসে উপচে পড়া ভিড়। কোথাও জায়গা নেই। এই দেখে বাসের সিটে বসে থাকা এক মহিলা অন্য আরেক মহিলাকে-

-আঃ মরণ, এমনিতেই এত গরম তার উপর এত গুলো রেজগী নিয়ে রাস্তায় কে আসে ভাই?

– হ্যাঁ রে ঠিকই বলেছিস। মানুষ আজকাল এত রেজগী কোথা থেকে যে জোগাড় করে, তা কিছুই বুঝতে পাড়ি নে।

এটি শুনে সেই বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাটি রেগে গেলেন-

-এই যে দিদি, ভদ্রতা শেখেন নি, আমার বাচ্চাদের দেখে কি আপনাদের রেজগী মনে হয়?

– তাই তো মনে, হচ্ছে। আপনাদের জন্যই দেশের জনসংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে।

ঝগড়ার সৃষ্টি হচ্ছে দেখে, কন্ডাক্টার এগিয়ে এসে বললেন, দিদি দেখি আপনাদের ভাঁড়াটা। সেই দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাটি মাত্র পাঁচটাঁকা দিলেন।

কন্ডাক্টার-আরে দিদি ভাঁড়া তো, ৩০ টাঁকা, আপনি মোটে পাঁচ টাঁকা দিলেন, তাও আবার এতগুলো বাচ্চা নিয়ে আপনার কি কোনো হিসেব- টিসেব নেই নাকি?

এটি শুনে মহিলাটি বলল- এই যে দাদা, আমাকে হিসেব দেখাতে আসবেন নে, পাঁচটাকা দিয়ে একটা পোষ্ট কার্ড যদি গোটা ভারত ঘুরতে পাড়ে, তাহলে আমি পাঁচটাকা দিয়ে সামান্য ঘটিকলিবান্দুরি মোড় যেতে পাড়ব না? হিসেব টিসেব তো আপনার দেখছি নে।

বাংলা ফানি গল্প
বাংলা ফানি গল্প চরম হাসির মজার গল্প
<

কন্ডাক্টার বুঝলেন, এই মহিলার সাথে কথা বলা বৃথা। কিছুক্ষণ পড় তিনি বললেন- এই যে দিদি আপনার ঘটিকলিবান্দুরি মোড় চলে এসেছে, আপনার সব রেজগী নিয়ে নেমে পড়ুন দেখি।

মহিলাটি বাস থেকে নামতেই, কন্ডাক্টার মহিলাটির দুই গালে ইয়া সাপাত সাপাত করে দুইটা চড় বসিয়ে দিলেন। এতে মহিলাটি রেগে গিয়ে বললেন- “এটা কি ধরনের অসভ্যতামি দাদা?”

কন্ডাক্টার- না, দিদি, আপনি তো পাঁচটাকা দিয়ে টিকিট কাটলেন, কিন্তু স্ট্যাম্প তো দেওয়া হয়নি তাই দুটা স্ট্যাম্পও দিয়ে দিলাম, যাতে আপনার ঘুরতে সুবিধা হয়।

এই চলো চলো, বাস ছাড়ো।

পড়ুনঃ- বাংলা চরম হাসির মজার গল্প

ছাত্র শিক্ষকের মজার কৌতুকঃ-

নটু হাই স্কুলের একজন শিক্ষক। অত্যন্ত ভোলা-ভালা স্বভাবের। একদিন ক্লাস শেষের বেল পড়ার পড় সে অষ্টম শ্রেণীর ক্লাসে যায়। কিন্তু ক্লাসে যেতে গিয়ে সে দেখল, ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ আছে। সব ছাত্র-ছাত্রিরা একদম চুপচাপ বোর্ডের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু সে কোনো শিক্ষক কে দেখতে পেল না।

সে ভাবল শিক্ষক হয়ত দরজার দিকে আছে। কিন্তু কোনো আওয়াজও শুনতে পেল না সে। তাই সে ঠিক করল দরজা খুলে দেখবে কোন শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। কিন্তু সে জানালা দিয়ে দেখল, একজন ছেলে দাঁড়িয়ে স্যারকে পড়া দিচ্ছে।

নটু ভাবল, সে বুঝি রুটিন ভুল দেখেছে। সে আবার স্টাফ রুমে গিয়ে চেক করল। না তারই তো ক্লাস রয়েছে। সে আবার সেই ক্লাসের বারান্দায় গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। সে ভাবতে লাগল, ভিতরে থাকা শিক্ষক হয়ত বেলের আওয়াজ শুনতে পাননি। তাই নটু দরজা খুলে ভিতরে ঢুকল। ভিতরে ঢুকতেই সব ছাত্র-ছাত্রিরা April fool বলে চেঁচিয়ে উঠল।

নটুর একদম মনে ছিল না, যে সেই দিন এপ্রিল ফুল ছিল।

ডাক্তার রোগীর মজার কৌতুকঃ-

ডাক্তার– কি চিচু ভাই এখন শরীর কেমন আছে?

চিচুঃ– যদি শরীর ঠিক থাকত তাহলে কি আর আপনার কাছে আসতাম?

ডাক্তারঃ- আপনাকে যেই ওষুধ টা দিয়েছিলাম সেটা শেষ।

চিচুঃ– আরে আপনার মাথা ঠিক আছে তো, কেমন কথা বলেন? কে বলল ওষুধ শেষ? ওষুধ তো বোতলেই আছে।

ডাক্তারঃ- আরে আমি সেটা বলিনি, আমি বলতে চাইছি, আপনি কি ওষুধ খেয়ে নিয়েছেন?

চিচুঃ– আবার উল্টো-পাল্টা কথা, ওষুধ খেয়ে কিভাবে নেওয়া যায়, আজব তো?

ডাক্তারঃ– আরে আমার বাপ, তুই আমাকে পাগল করে দিবি।

চিচুঃ– মুখ সামলে কথা বলুন, আমি আপনার বাপ হতে যাব কেন?

ডাক্তারঃ– তুমি এখান থেকে যাওয়ার জন্য কত টাঁকা নিবে?

চিচুঃ– বা, এই প্রথম ডাক্তারকে টাঁকা দেওয়ার বদলে রোগীকে ডাক্তার টাঁকা দিচ্ছে। ৩০০ দিন।

ডাক্তারঃ– এই নাও ৫০০ টাঁকা, আর এখান থেকে বিদায় হও।

চিচুঃ- আচ্ছা আমার শরীর কেমন আছে? সেটা তো বললেন না?

ডাক্তারঃ- একদম ভালো আছে, তোমাকে আর এখানে আসার দরকার নেই।

চিচুঃ– তাহলে আপনি বেড এ আমাকে শুয়ে দিয়ে আমার জামা খুলতে বললেন কেন?

ডাক্তারঃ– চেক-আপ করার জন্য?

চিচুঃ– (চেঁচিয়ে) আমার শরীর ঠিক আছে তবুও আপনি আমাকে বেডে নিয়ে গিয়ে জামা খুলতে বললেন, আপনি কি আমার ইজ্জত নিয়ে খেলা করার পরিকল্পনা করেছিলেন?

bengali funny story ডাক্তার রোগী মজার জোকস
bengali funny story ডাক্তার রোগী মজার জোকস image

ডাক্তারঃ– (রেগে গিয়ে) কি মুশকিল। এই এই তুই মুখ বন্ধ করতে কত নিবি বলতো?

চিচুঃ– দাও না দাও ১০০০ এর মত।

ডাক্তারঃ- এই নে আর এখান থেকে পালা।

আমাদের টেলিগ্রামে আড্ডা দেওয়ার গ্রুপ :- https://t.me/charpatraOfficial

আমাদের লেখা পাঠান আর হয়ে উঠুন আমাদের একটি অন্যতম অংশ। কিভাবে লেখা পাঠাবেন সেই সম্পর্কিত একটি ভিডিওর লিঙ্ক এই পেজের একটু নীচে পেয়ে যাবেন।

**** চরম হাসির মজার গল্প নতুন হাসির গল্প bengali funny strory বাংলা ফানি গল্প

Spread the love

Leave a Reply