আজ দুটি ছোট ছোট মজার গল্প থাকছে ছাড়পত্রের পাতায়। হাসির গল্প দুটি সম্পর্কিত মতামত জানাতে ভুলবেন না যেন!

ছোট মজার গল্প- ‘অধ্যাবসায়ের ফল’

সেই দিনটি ছিল অংক পরীক্ষার দিন। গোটা ক্লাস নাইনে যেন কোলাজের এক্সিবিশন বসেছে। কোলাজ বলছি কারণ যেগুলো হচ্ছে অংকের চোথা।

আমি তো আবার যুধিষ্ঠিরের মতো ধার্মিক। টুকলি করতে পারি না। কোন কিছু অন্যায়বশত দেখে দেখে দেখলেই মাইকেল জ্যাকসনের মতো ডান্স শুরু করে দিই, তাই আমি আদর্শ পড়ুয়ার মতো অংক গুলো মুখস্ত করছি। 

ঘন্টা পড়ার পর আমার শিরদাঁড়া ভয়ে মাথায় উঠে এলো কি করব! কি করব!

দূর হতচ্ছাড়া! আমাকে মাঝখানে বসিয়ে আমার দু’পাশে জ্বলজ্বল করে বসে রয়েছে ফাইভ আর সিক্সের বাচ্চা, এরা আমাকে কি সাহায্য করবে!

বড্ড রাগ হচ্ছে যে এমনভাবে সিট নম্বর দিয়েছে তার ওপর। অংক প্রশ্নের খাতা হাতে পেয়ে আমার যেন ইয়ে পেয়ে গেছে মনে হলো।

ছোট মজার গল্প
ছোট মজার গল্প

একি দেখছি আমি প্রথমেই দু নম্বরের SAQ টাইপ প্রশ্ন! বড্ড কান্না পাচ্ছিল হঠাৎ মনে পড়ল ছেলেবেলায় শোনা রবার্ট ব্রুসের গল্পের কথা। তিনি কখনো একবার হেরেই হাল ছেড়ে দেননি, উনি যদি একটা মাকড়সার আর্ট দেখে যদি অনুপ্রাণিত হন অধ্যবসায় এর ব্যাপারে,  তাহলে আমি কেন ওনাকে দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারবো না? কথা আছে, “একবার না পারিলে দেখ শতবার।” আমিও তাই চেষ্টা করে দেখি না! হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠল রামানুজন আমাকে খাইয়ে দিচ্ছেন। ইউক্লিড ধুনুচি নাচছেন আর পিথাগোরাস আনন্দে হাত পা ছুঁড়ছেন।

 আমি লেগে পড়লাম সেই প্রথম প্রশ্নটার পিছনে। অংকটা ঠিক আমাকে মেলাতেই হবে। আব্রাম লিংকন ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি পদে পদে ব্যর্থ হয়েও শেষ জীবনে জয়ের সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের সাথে নিজেকে মিলিয়ে ফেললে অন্যায় কিছু হবে না। অংকে প্রচুর কাটাকুটি হয়েছে। হোক “একবার না পারিলে দেখো শতবার।” 

চেষ্টা তে ত্রুটি আমি রাখব না। মনে পড়ে গেল ব্রুসের অধ্যবসায়ের কথা , সেই মাকড়সার অধ্যবসায়ের কথা এবং আব্রাহাম লিংকনের কথা।

সব শেষে যখন আমার অংকটা মিললো, আনন্দে চারিদিকে তাকিয়ে দেখলাম গোটা ক্লাস ফাঁকা! গার্ডের হাতে ধরা সবকটা পেপার। সবশেষে তিনি থমথমে মুখে আমার বোর্ড থেকে পেপার টা টেনে বার করে নিয়ে চলে গেলেন।

পড়ুনঃ- ৫ টি চরম হাঁসির গপ্পো 

 মানে এটাই দাঁড়ায় যে, অধ্যবসায়ের জোরে আমি সেই দুই নম্বরের প্রথম অংকটাই পরীক্ষার দু ঘন্টা ধরে চেষ্টা করে মিলিয়েছি। অর্থাৎ আমি ৯০ এ ২ ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছি না।

 হায় হায়! একি হলো! বাড়িতে নম্বরের খাতা নিয়ে গেলে তো দুটোর বদলে দুইশো টা থাপ্পড় পড়বে। কি হবে এবার !

বাড়িতে গিয়ে ব্যাগটা খুলে আগে অংক সহায়িকা টা খুলেছি। দেখলাম যে অংকটা এতক্ষণ ধরে করছিলাম সেই অংকটাও ভুল!

এটা কেই বোধহয় বলে “অধ্যবসায়!”

“একবার না পিঠে পড়লে মারো শতবার!”

পাগলাগারদের পাগল

গল্পের কলমে-
পড়ুনঃ- মজার মজার হাসির গল্প 

বাংলা ছোট হাসির গল্প সমগ্র 

মজার কথোপকথনঃ- ‘ঘাড় ত্যাড়া’

বাস স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে দুই মহাপুরুষের কথোপকথন-

-আচ্ছা দাদা কটা বাজে?

-কি বাজে?

-আপনার ঘড়ি দেখে বলুন, কত বাজে?

-অপরের জিনিস দেখে জ্বলছেন কেন? আপনার ক্ষমতা আছে এরকম ঘড়ি কেনার?

-না, নেই। তাই তো আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি।

-উম্ম আবার মুখে মুখে তক্ক করছে!

-আচ্ছা ডেপু মানুষ তো আপনি! তিলকে তাল বানিয়ে দিলেন। সাধারণ কত বাজে সেটাই তো জিজ্ঞাসা করেছি।

মজার কথোপকথন
মজার কথোপকথন

-আবার বাজে বলছেন! আপনি যদি আমার চেনা শোনা হতেন না, দেখিয়ে দিতুম। আমারে তো চেনেন না তাই মুখে মুখে তক্ক করছেন।

-উফফ আমার ঘাট হয়েছে মশাই। আপনার সঙ্গে কথা বলাটাই আমার অন্যায় হয়েছে।

-অন্যায়! অন্যায় তো হয়েছেই। নিজে ঘড়ি কিনতে পারেন না, আবার আমার ঘড়ি দেখিয়ে আমাকেই জিজ্ঞেস করছেন, কত বাজে?

-আপনার মাথা ঠিক নেই। একটু বাড়িতে গিয়ে রেস্ট করুন।

-এই এই, আমারে পরামর্শ দেওয়ার আপনি কে হে! আপনি কি আমার ডাক্তার!

-না না আমি ডাক্তার হতে যাব কেন!

-তাহলে আমি রেস্ট নিব নাকি, এখানে দাড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করব, সেই সিদ্ধান্ত আপনি নিবেন কেন।

-আমাকে ক্ষমা করেন দাদা, আমার ভুল হয়েছে।

-দাদা! আমাকে আপনি দাদা বললেন! জানেন আমার বয়স কত।

-না মশাই জানি না,

-আশ্চর্য, এখন আবার মশাই বলছেন!

-উফফ, একটু থামবেন প্লিজ। তক্ক করা আপনার নেশা বুঝি! আমার ভাগ্যটাই খারাপ সকাল সকাল আপনার সঙ্গে দেখা হল।

-ওঃ যুক্তিতে যখন পারা যাবে না, তখন ভাগ্যের দোষ, কপালের দোষ, আরও নানান রকমের দোষ হয় আরকি!

-আচ্ছা, আপনি কি তক্ক করতে ভালবাসেন নাকি!

পড়ুনঃ- দমফাটা হাঁসির গল্প 

-তা জেনে আপনার কাজ কি?

-তাই তো দেখছি। সামান্য সময় জিজ্ঞেস করেছি, আর তাতেই আপনি চটে গেলেন!

-এই এই মুখ সামলে কতা কইবেন। চটে যাব! আপনি কি আমাকে ষাঁড় ভাবছেন।

-আমি আবার আপনাকে কখন ষাঁড় বললাম!

-এই তো একটু আগেই চটে যাওয়ার কথা বলে, ডাইরেক্টলি নয় ইনডাইরেক্টলি আমাকে ষাঁড় বলে সম্বোধন করেলন।

-আমার খুব অন্যায় হয়েছে, মশাই। আপনি একজন অতি সরল, ভদ্র নম্র মানুষ।

-এখন আবার টিটকিরি কাটছেন!

-বড়ই আজব মানুষ আপনি দাদা!

-একটু আগেই প্রশংসা করছিলেন, আর এখন আজব মানুষ বলছেন! ভাবছেন কিছু বুঝি না।

-হ্যাঁ দাদা, আপনি সব জানেন, সব বোঝেন। এক কথায় আপনি একজন সবজান্তা।

-এই যে এই যে, আবার টিটকিরি কাটছেন।

-উফফ আপনিই এখানে একাই থাকুন আমি চললাম।

bengali funny story
bengali funny story
<

-হু, পাবলিক প্লেস বলে বেঁচে গেলেন। দম থাকলে আমাদের পাড়ায় আইসবেন দেকিয়ে দিমু, আমি কেডা!

-হ্যাঁ হ্যাঁ আপনার মত কত দিনু পণ্ডিত কে দেখা হল।

-ভাগ স্লা।

-ওয় গালি দিচ্ছিস কেন!

-বল যে মার দিচ্ছিনা কেন!

-আচ্ছা আমি চললাম। আপনি একাই এখানে থাকুন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব, এরকম আতকুরে চোঙ্গা মুখো মানুষের সঙ্গে যেন কারও দেখা না হয়।

এরপর সেই লোকটি সেখান থেকে চলে যেতেই- যাক বাবা আমার বাসের সীটটা নিশ্চিত হল! হি হি হি।  

ঘরোয়া জামাই

হাসির কলমে-
গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে। 
সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।

আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক Group - গল্প Junction 

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)

ছোট মজার গল্প। মজার কথোপকথন। 2 new bengali funny story. funny conversation bangla.

Spread the love

Leave a Reply