আজকে আমরা হাজির হয়েছি, কিছু চরম হাসির মজার জোকস নিয়ে। আমাদের গুমোট ধরা দিন গুলিতে আজকে একটু না হয় কিছু ফানি জোকস পড়ি। এই ফানি জোকস গুলি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।
বেশ কিছু ধরনের চরম হাসির মজার জোকস শেয়ার করা যাকঃ-
চরম হাসির মজার জোকস।। বাংলা হাসির জোকস ২০২২
স্বামী-স্ত্রীর চরম হাসির মজার জোকস –
স্ত্রীঃ- (ঘুম থেকে উঠেই) জানো আজ আমি একটি দারুন স্বপ্ন দেখেছি।
স্বামীঃ- কি স্বপ্ন?
স্ত্রীঃ- আমি দেখলাম যে তুমি আমাকে একটি হিরের রিং গিফট করেছো।
স্বামীঃ- ও এই সাধারণ ব্যাপার। তাহলে একটি কাজ করো, আবার ঘুমিয়ে যাও, এবং সেই রিং টাকে পড়ে নিও।
—-
স্ত্রীঃ-(রেগে গিয়ে) অনেক হয়েছে তোমার ন্যাকামো, আমি তোমাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চললাম।
স্বামীঃ- ঠিক আছে জান, যাও।
স্ত্রীঃ- কিন্তু তোমার এই জান কথাটার জন্যই তো যেতে পারি না।
—-
দুর্গা পুজার সময়-
স্ত্রীঃ- এই যে শোনো, তোমার আরতি মনে আছে তো?
স্বামীঃ- ও হ্যাঁ, ওই যে পাতলা, চোখে কাজল, লম্বা চুল, সেই মেয়েটা না। ও তো দাস বাবুর মেয়ে মনে হয়।
স্ত্রী-(ঠাস)
—-
স্বামীঃ- আজ সবজিতে লবণ কম হয়েছে মনে হচ্ছে।
স্ত্রীঃ- লবণ ঠিকই আছে, সবজি কম হয়ে গেছে। আমি তোমাকে তো বলেই-ছিলাম একটু বেশি সবজি নিয়ে আসতে।
স্বামীঃ- আরে আলু পরোঠা বানিয়েছ তো আলুই তো নজরে আসছে না।
স্ত্রীঃ- বেশি ভাট না বকে চুপ-চাপ খেয়ে নেও, কাশ্মীরি গোলাপে কাশ্মীর থোরেই না দেখা যায়!
—-
স্বামীঃ- (মুখে নেওয়া দুধ ফেলে দিয়ে) ছিঃ এ কেমন দুধ?
স্ত্রীঃ- আরে কেশর শেষ হয়ে গেছে, তাই তোমার পকেট থেকে বিমল পানমশলা নিয়ে দুধে গুলিয়ে দিয়েছি। কারণ এতে আছে হাজার কেশরের দম।
—-
স্ত্রীঃ- প্লিজ, আমার দিকে মুখ করে ঘুমাও, আমার খুব ভয় করছে।
স্বামীঃ- ও আচ্ছা! তোমার তো খালি নিজের চিন্তা, আর আমি সকাল সকাল ভয়ে মরে যাই তাই না।
—-
স্ত্রীঃ- এই যে শুনছ? তুমি তো খালি অফিস নিয়েই ব্যস্ত থাকো, বাড়ির কিছু খোঁজ খবর রাখো?
স্বামীঃ- কেনো কি হল আবার?
স্ত্রীঃ- আমাদের মেয়ে তিন মাস ধরে মোবাইল রিচাজ এর টাকা চাইছে না, সেদিকে খেয়াল আছে তোমার?
স্বামীঃ- তো কি হয়েছে?
স্ত্রীঃ- আমাদের মেয়ে নির্ঘাত প্রেমে পড়েছে, তা নাহলে হঠাৎ করে, রিচারজের টাকা চাওয়া বন্ধ করল কেনো।
—-
স্ত্রীঃ- আচ্ছা আমি কি তোমার স্বপ্নে আসি?
স্বামীঃ- না।
স্ত্রীঃ- কেনো?
স্বামীঃ- কারণ আমি হনুমান চাল্লিশা পড়ে ঘুমাই, আর এটি পড়লে কোনো অপদেবতার আক্রমণ হয় না।
(স্বামী ICU –তে ভর্তি)
—-
স্ত্রীঃ- এই যে শুনছ- পাশের বাড়ির পিঙ্কি অংকে ৯৯ পেয়েছে।
স্বামীঃ- আর ১ নাম্বার কেনো কাটল?
স্ত্রীঃ- সেটা আমাদের গুণধর ছেলে নিয়ে এসেছে।
—-
শিক্ষক-ছাত্র চরম হাসির মজার জোকস –
শিক্ষকঃ- তুমি তো কিছুই পার না, আমি তোমার বয়সে কঠিন কঠিন অংক গুলিও সেকেন্ডে সমাধান করে দিতাম।
ছাত্রঃ- স্যার আপনি হয়ত ভালো শিক্ষকের ছাত্র ছিলেন। কি আর করা যায় বলুন, সবার ভাগ্য তো আর সমান হয় না।
—-
শিক্ষকঃ- তোমাদের মধ্যে কেউ বলতে পারবে, এই পৃথিবীর সবথেকে প্রাচীন প্রানীর নাম কি?
ছাত্রঃ- স্যার জেব্রা।
শিক্ষকঃ- কেনো কেনো জেব্রা কেনো?
ছাত্রঃ- স্যার আমরা জানি যে, পুরানো মানেই black & white, আর দেখাই তো যাচ্ছে, জেব্রা black and white.
—-
(শিক্ষক সাইন্স ল্যাব এ ছাত্রদের বোঝাচ্ছেন)
শিক্ষকঃ- (পকেট থেকে ১০ টাকার কয়েন বেড় করে)- এই কয়েনটাকে আমি যদি অ্যাসিডে ডুবাই, তাহলে কি কয়েনটা অ্যাসিডে গলে যাবে? এসো practically করে দেখি (শিক্ষক কয়েনটি অ্যাসিডে ডুবিয়ে দিলেন)
তোমাদের কি মনে হয় কয়েনটা কি গলে যাবে?
ছাত্রঃ- না স্যার গলবে না।
শিক্ষকঃ- শাবাস, কিন্তু তুমি কিভাবে জানলে?
ছাত্রঃ- স্যার এটি তো সাধারণ ব্যাপার, আপনি জানেন কয়েনটা গলবে না, তাই আপনার কয়েন অ্যাসিডে দিয়েছেন, আর যদি গলে যেত তাহলে তো আমাদের কাছে থেকে কয়েন চেয়ে নিতেন।
—-
শিক্ষকঃ- ধরো তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড এবং গার্লফ্রেন্ড একসঙ্গে জলে ডুবে যাচ্ছে, তোমার কাছে একটি লাইফ জ্যাকেট আছে তুমি কাকে বাঁচাবে?
ছাত্রঃ- কাউকেই বাঁচাবো না।
শিক্ষকঃ- কেনো, তারা তো তোমার আপনজন।
ছাত্রঃ- স্যার এই দো-মুখোদের মরতে দিন। দুইজনে একসঙ্গে আসলে করছিলটা কি?
—-
শিক্ষকঃ- আচ্ছা ছাত্ররা বলতো ভাস্কো-দা-গামা কখন ভারতে আসেন?
ছাত্রঃ- স্যার ঠাণ্ডার সময়।
শিক্ষকঃ- পাগল নাকি তুমি? তোমাকে কে বলেছে?
ছাত্রঃ- স্যার আমি বইয়ে তার ছবি দেখেছি- সে বড় বড় জ্যাকেট পড়ে ছিল।
—-
শিক্ষকঃ- আচ্ছা ছাত্ররা- কোন দ্রব্য জমে না?
ছাত্রঃ- স্যার গরম দ্রব্য।
শিক্ষকঃ- কোন মাসে ২৮ টি দিন থাকে।
ছাত্রঃ- স্যার ২৮ দিন তো সব মাসেই থাকে।
শিক্ষকঃ- (রেগে গিয়ে) যা বাইরে যা, বাইরে গিয়ে সবার প্রথমে কান ধরে দাড়া।
(ছাত্র শেষে গিয়ে দাঁড়ায়)
শিক্ষকঃ-(রেগে গিয়ে) আমি বললাম না, তোকে সবার সামনে দাঁড়াতে।
ছাত্রঃ- স্যার প্রথমে ইতিমধ্যে কেউ দাঁড়িয়ে আছে।
(পরের দিন guardian call)
READ MORE:-
ছাত্রঃ- স্যার আপনাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করব?
শিক্ষকঃ- হ্যাঁ বল।
ছাত্রঃ- একটি হাতিকে ফ্রিজে কিভাবে রাখবেন?
শিক্ষকঃ- আরে বুদ্ধু হাতি অনেক বড়, ফ্রিজে হাতির জায়গা হবে না।
ছাত্রঃ- স্যার ফ্রিজ অনেক বড়। প্রথমে ফ্রিজের দরজা খুলবেন তারপর হাতিকে রেখে দিবেন।
ছাত্রঃ- স্যার আরেকটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করব?
শিক্ষকঃ- হ্যাঁ অবশ্যই।
ছাত্রঃ- গাধা-কে সেই ফ্রিজে কিভাবে রাখবেন?
শিক্ষকঃ- প্রথমে ফ্রিজ খুলব, তারপর গাধাকে রেখে দিব।
ছাত্রঃ- না ভুল উত্তর, প্রথমে দরজা খুলে ভেতরে থাকা হাতিকে বেড় করবেন, তারপর গাধাকে রাখবেন।
ছাত্রঃ- স্যার আরেকটা প্রশ্ন করি?
শিক্ষকঃ- হ্যাঁ হ্যাঁ কর।
ছাত্রঃ- বাঁদরের জন্মদিন। পার্টিতে সব জন্তুরাই এসেছে, কিন্তু একটি জন্তু আসেনি, সেটি কে?
শিক্ষকঃ- উমম, সিংহ হতে পারে, কারণ সিংহ আসলে সবাইকে খেয়ে নিবে।
ছাত্রঃ- আবার ভুল উত্তর, গাধা আসেনি, কারণ গাধাকে আপনি আগেই ফ্রিজে রেখে দিয়েছেন।
ছাত্রঃ- স্যার আরেকটা প্রশ্ন করব?
শিক্ষকঃ- (রেগে গিয়ে) হ্যাঁ
ছাত্রঃ- রাস্তায় একটি নদী আছে, নদীটিতে পারাপারের জন্য কোনো ব্রিজ বা সাঁকো নেই, আপনি কিভাবে নদীটি পার হবেন?
শিক্ষকঃ- আমি নৌকা করে পার হব।
ছাত্রঃ- আবার ভুল উত্তর,এত তাড়াতাড়ি আপনি নৌকা কোথায় পেলেন?
শিক্ষকঃ- তাহলে তুইই বল কিভাবে পার হব?
ছাত্রঃ- আপনি দিব্যিসে সাঁতরে পার হবেন।
শিক্ষকঃ- কেন, কুমির যদি খেয়ে নেয়।
ছাত্রঃ- স্যার সব জন্তুরাই তো বাঁদরের জন্মদিনের পার্টিতে।
একথা শোনার পর শিক্ষক বেহুঁশ।
ছাত্রঃ- স্যার, স্যার আরেকটা প্রশ্ন করব?
—-
শিক্ষকঃ- আচ্ছা পাপ্পু, তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও?
পাপ্পুঃ- স্যার আমি বড় হয়ে গুগল-এর CEO হতে চাই, আমার দামী দামী পোশাক থাকবে, দামী ব্র্যান্ডের গাড়ি থাকবে, ভালো ভালো খাবার খাবো, উড়োজাহাজে দেশবিদেশ ঘুরে বেড়াব, 5star হোটেলে থাকব…..
শিক্ষকঃ- ব্যাস ব্যাস হয়েছে, এত বড় উত্তর দেওয়ার কোনো দরকার নেই, সবাই ছোট্ট ছোট্ট উত্তর দেবে।
আচ্ছা শিখা তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও?
শিখাঃ- পাপ্পুর বউ।
—-
শিক্ষকঃ- আচ্ছা, বাচ্চারা তোমরা কি কেউ বলতে পারবে, গাছের পাকা ফল আকাশের দিকে না গিয়ে মাটিতে পড়ে কেন?
ছাত্রঃ- স্যার উপরে সেই ফল খাওয়ার মত কেউই নেই তাই।
—-
(ইঞ্জিনিয়ারের ছাত্র)
ছাত্রঃ- স্যার আমি এমন একটি জিনিস বানিয়েছি, যেটির মাধ্যমে আপনি দেওয়ালের অপর পাশে অনায়াসেই দেখতে পাড়বেন।
শিক্ষকঃ- বা খুব ভালো, আমি জানতাম তুমি একদিন ভালো কিছু করে আমার নাম উজ্জ্বল করবে, তা তোমার সেই জিনিসটি কি আমাকে দেখাবে?
ছাত্রঃ- হ্যাঁ স্যার অবশ্যই, আসুন- এই যে স্যার দেওয়ালের গায়ে ফুটোটা দেখছেন, এর মাধ্যমে আপনি আরামেই দেওয়ালের অপর পাশে দেখতে পাড়বেন।
(শিক্ষকের মারের পর ছাত্র দুই দিন ধরে এখন হসপিটালে)
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।