রুটি গরম করার সময় ফুলে যায় কেন?
কি ও কেন***
রুটি বানানোর আগে যখন জল দিয়ে আটাকে মাখা হয় তখন গমে উপস্থিত প্রোটিন জলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি আঠালো ভাব তৈরি করে। আর এই আঠালো ভাবটিকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় গ্লূটেন বলা হয়।
গ্লূটেনের বিশেষত্ব হল এই যে, গ্লূটেন তার ভেতরে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয়। আর এই কারনেই আটা মাখার পরেও ছড়িয়ে পরে না অর্থাৎ ফুলে থাকে। যখন রুটিকে গরম করা হয় তখন আটার মধ্যে উপস্থিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছড়িয়ে পরে এবং রুটির উপরি ভাগকে ফুলিয়ে দেয়।
এভাবেই রুটির দুই পাশেই যখন গরম করা হয় তখন দুই পাশেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং জলীয় বাষ্প আবদ্ধ হয়ে পরে।
আর এই রুটি ফোলার জন্য গমের মধ্যে গ্লূটেনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। যদি গমে গ্লূটেন না থাকে তাহলে রুটি কোনোদিনও ফুলবে না। কিন্তু বাজরা জাতীয় ফসলে গ্লূটেন না থাকায় বাজরা জাতীয় ফসল দিয়ে তৈরি রুটি ফুলে উঠে না।
***কি ও কেন
ঘোড়া দাঁড়িয়ে ঘুমানোর সময় পরে যায় না কেন?
আদিমকালে ঘোড়া বনে-জঙ্গলে বাস করত। আদিমকালে ঘোড়ারা বসেই ঘুমাতো। কিন্তু তখন তাদের বাঘ বা অন্যান্য হিংস্র প্রানীদের কাছ থেকে ছুটে পালাতে বেশি সময় লেগে যেত আর এর ফলে তারা হিংস্র প্রানীদের কবলে পরে যেত। এই সময় নিজের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই সে দাঁড়িয়ে ঘুমানোর অভ্যাস শুরু করে। কালের বিবর্তনের সাথে সাথে এই দাঁড়িয়ে ঘুমানোর বিষয়টিও তাদের সাথে অঙ্গা-অঙ্গি ভাবে জড়িত হয়ে যায়। আর ঘোড়ার বিশেষত্ব হল সে দিনে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমায়।
আপনি আরও পড়তে পারেন- ফেসবুক অ্যাকাউণ্টকে হ্যাঁক হওয়া থেকে বাঁচান
এই রকমভাবে দাঁড়িয়ে ঘুমানোর জন্য ঘোড়ার শরীরের গঠনের পরিবর্তন হতে থাকে। ঘোড়া যখন দাঁড়িয়ে ঘুমায় তখন তার শরীরে এক বিশেষ প্রকার ক্রিয়া চালিত হয়। ঘোড়ার শরীরের হাড়ের জয়েন্ট বা লিগামেন্টগুলি একসাথে লেগে যায় । আর এর ফলেই ঘোড়া দাঁড়িয়ে ঘুমালেও সে পরে যায় না।
কি ও কেন***
বরফ জলে ভাসে কেন?
আমরা জানি যে কোনো তরল পদার্থ জমে কঠিন পদার্থে পরিণত হলে তা আয়তনে কমে যায়। আর সেই পদার্থটি ভারী হয়ে যায়, যার কারণে সেই পদার্থটি জলে ডুবে যায়। কিন্তু জলের ক্ষেত্রে তার ঠিক উল্টো ঘটনাটি ঘটে। জল যখন জমে বরফে পরিণত হয় তখন তার আয়তন কমার পরিবর্তে বেড়ে যায়। আর এর ফলে বরফ জলের তুলনায় হালকা হয়ে যায় এবং অনায়াসেই জলের উপর ভেসে থাকে।
কি ও কেন***
পিঁপড়ে এক লাইনেই কীভাবে যায়?
আসলে পিঁপড়ের শরীরে কিছু গ্রন্থি থাকে এই গ্রন্থি থেকে অনবরত ফেরোমাস নামক রাসায়নিক পদার্থ বের হয়। আর এর ফলেই তারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। পিঁপড়ের দুটি স্পর্শক বা এন্টিনা থাকে যেগুলি তার ঘ্রান গ্রহণের কাজে লাগে। যখন রানী পিঁপড়ে খাদ্যের সন্ধানে বের হয় তখন সে ফেরোমাস নামক রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে দিয়ে যায়।
আর বাকি পিঁপড়েরা তাদের এন্টিনার সাহায্যে ঘ্রান গ্রহণ করে রাণী পিঁপড়ের পিছন-পিছন চলে যায়। যখন রাণী পিঁপড়ে এই বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তখন বাকি পিঁপড়েরা অন্য একজন রাণী পিঁপড়েকে বেঁছে নেয়। এই ফেরোমাস আরও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন- কোনো পিঁপড়ে আহত হলে সে এক বিশেষ প্রকার ফেরোমাস পদার্থ উৎপ্নন করে যার ফলে বাকি পিঁপড়েরা শত্রুর আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হয়। ফেরোমাসের দ্বারা কোন পিঁপড়ে কোন দলের সেই পরিচয়টিও শনাক্ত করা হয়।
কি ও কেন***
রবিবারেই কেন ছুটির দিন মানা হয়?
1890 সালের 10 জুন রবিবারকে ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। ইংরেজদের রাজত্বকালে মিলের কর্মচারীদের সপ্তাহে সাত দিনই কাজ করতে হত। মজুরদের নেতা নারায়ন মেঘাজী লোখান্ড মজুরদের সপ্তাহে একদিনের ছুটির দাবি করলে ইংরেজ আইনসভা এটি মানতে অস্বীকার করে দেয়। সাত বছর আন্দোলন চলার পর অবশেষে ইংরেজ আইনসভা সপ্তাহে একদিনের ছুটির বিষয়টি পাশ করে এবং তার সাথে সাথে প্রতিদিন দুপুরের খাওয়ার জন্য আধাঘণ্টা সময় বরাদ্দ করে। রবিবার সপ্তাহের প্রথম দিন এবং এই দিনটি হল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করার দিন। তাই ইংল্যান্ডের আইন পরিষদ রবিবারকেই ছুটি হিসেবে ঘোষণা করে।
সাগরের তলদেশে রয়েছে হাজারো প্রজাতির মাছ। তবে আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো সাগর জলের হিংস্র ও বিষধর এক প্রজাতির মাছের সাথে।
কি ও কেন***
আপনি আরও পড়তে পারেন- BENGALI FACTS বিস্ময়কর তথ্য TOP 5 BENGALI AMAZING FACTS AJOB FACTS BANGLA
ভাইপার ফিশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য:-
1.এরা ডলফিনের সমগোত্রীয়। ভাইপার ফিস ডলফিন প্রজাতির হলেও লম্বা মুখ আর সূচের ন্যায় তীক্ষ্ণ দাঁতের জন্য এই মাছগুলো অন্যসব প্রাণী থেকে একেবারেই আলাদা।
2.এদের ধারালো দাঁতগুলো তাদের দেহের তুলনায় এতোটাই বড় যে, তারা তাদের মুখ বন্ধ করতে পারে না। ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা এ মাছগুলো বাস করে সাগরের ১৩,০০০ ফুট নিচে।
3.ভাইপার ফিস দ্রুত সাঁতার কাটতে পারায় এদের খাবার নিয়েও কোন চিন্তা করতে হয় না। এছাড়া এদের মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত উপরের অংশটা খণ্ড খণ্ড ভাগে বিভক্ত। ফলে ইচ্ছা হলেই এরা যে কোনো দিকে বাঁক দিতে পারে।
4.এই মাছগুলোর শিকার ধরার পদ্ধতি শুনলে অনেকেই অবাক হবেন। কেননা শিকার করার জন্য এরা প্রথমে ছোট মাছগুলোকে তাড়িয়ে অন্ধকার গুহার মধ্যে ঢুকিয়ে নেয়।
5.অন্ধকারে অন্যান্য মাছ যখন কিছুই দেখে না, তখন ভাইপার ফিস নিজের চোখের রং একের পর এক বদলাতে থাকে। এতে ছোট মাছগুলো বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে এবং সে আলোয় আকৃষ্ট হয়ে কাছে আসা মাত্রই বিষাক্ত ও ধারালো দাঁত দিয়ে খেয়ে ফেলে ছোট মাছগুলোকে। এছাড়া এ মাছগুলো সারাক্ষণই ব্যস্ত থাকে শিকারের ধান্দায়।
6.নারী ভাইপার ফিস বছরে একবার জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ডিম ছাড়ে। এই মাছগুলোর আয়ু ১৫-২০ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। এ মাছেরা সমুদ্রের গভীরে বসবাস করে বলে শিকারের হাত থেকে এরা প্রায় মুক্ত থাকে।
কি ও কেন***
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।