/শারীরিক ভালোবাসার গল্প/ দেহ লোভী প্রেমিকbaNGla love stories

শারীরিক ভালোবাসার গল্প:- “নষ্ট ভালবাসা”

“না না কিচ্ছু চাইনি আমি, আজীবন ভালবাসা ছাড়া। আমিও তাদেরই দলে বারবার মরে যায় যারা ” আলাপ হয়েছিল এই গানটার মাধ্যমে আর তারা ও বনির গড়ে উঠেছিল লঙ ডিসটেন্স রিলেশনশিপ। 

আর আজ একহাতে চোখের জল মুছতে মুছতে অন্য হাতে টাইপ করছে, “হুম তুমি যা চাও তাই হবে, তোমার ভালো থাকা আমার কাছে সবার আগে, আমি তোমার সাথে শারীরিক ভাবে মিলিত হবো ” সেই মেয়েটাই বলছে এই কথাটা যে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই চায়নি। 

দুইবছর এর মানসিক মিলন যা পারেনি, তা হয়ত দুইদিন এর শারীরিক মিলন সম্ভব করবে। 

“তুমি তার মানে এতদিনে বুঝতে পেরেছ আসল সত্যি টা কি!” জানতে চায় বনি।

“হ্যাঁ গো, ঠিক বলেছ। সত্যিই তাই।” টাইপে উত্তর দেয় তারা। 

শারীরিক ভালোবাসার গল্প
শারীরিক ভালোবাসার গল্প

-“আচ্ছা তুমি মন থেকে বলছ তো তারা?” 

-“হুম।” 

-“বিশ্বাস করো, আমি বাকি ছেলেদের মতো না, আমি তোমাকে ভালবাসি বলেই তোমার সাথে শারীরিক ভাবে মিলিত হতে চাইছি। তুমি আমাকে ভুল বুঝো না। আমি তোমাকে যোগ্য সম্মান দেবো আমার জীবনে।” 

-“তারা একটা হাসির ইমোজি দিয়ে লেখে, ভুল তোমাকে আমি কোনোদিন বুঝিনি আর বুঝবোও না। আর সম্মানের কথা বলছ, ও তো তুমি বরাবর দিয়ে এসেছ। আর তুমি তো ভুল কিছু বলোনি তাই না, ভালোবাসি ভালোবাসি করে শুধু মরলে হয় নাকি, প্রেমটাও তো করতে হয় তাই না!”  

চোখের জল ফেলে, তীব্র কষ্টে লেখা কথাগুলো বনি ভাবে হয়ত সত্যিই তারা বুঝতে পেরেছে যে শারীরিক সম্পর্ক কতটা জরুরী সম্পর্কে থাকতে গেলে। এই সেই তারা যে তাকে একসময় কত বাধা দিত, খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য কত কি করত। সবসময় চোখে চোখে রাখত, কারণ বনি খারাপ হয়ে যাক তা তারা কোনোদিন হতে দেয়নি ,কোনোদিন চায়নি। 

আর শারীরিক সম্পর্কের কথাটা বললেই হলো, কত কি বলত, ভালোবেসে, ধৈর্য্য ধরে বোঝাতো প্রথমে। তারপর না শুনলে মেয়ের রাগ দেখে কে। 

কিন্তু তবুও ছেড়ে চলে যায়নি তারা তাকে কারণ ভালোবাসা যে বড়ো অন্ধ। আর দ্বিতীয় কথাটা হলো, ভালো যাকে বাসে তার ভালো ও খারাপ সবটাকেই ভালোবাসতে চেয়েছিল তারা, করেছেও তাই। 

সবসময় তারার একটাই কথা ছিল, মন থেকেও তো ভালোবাসা যায় বলো। মনটাই যে সব। শরীর তো আছে, কিন্তু মন তো তারও ওপরে। প্লিজ তুমি তোমার আমার ভালবাসার মাঝে আত্মার মিলনকেই আনো, শারীরিক মিলনের কথা বিয়ের পরে ভাবা যাবে ,এখন নয়। 

মাথাটা খুব গরম হয়ে যেত এই কথাটা শুনলেই। আরে ভালোবাসি যাকে তাকে কি একান্তে কাছে পেতে নেই নাকি! তারা এমন কেন করে সবসময়! 

যাই হোক, বনি একটাবারের জন্যও অনুভব করতে পারে না যে ফোনের ওপারে থাকা তারার হৃদয় আজ কতটা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। 

পড়ুনঃ- ভালবাসার ছোট গল্প- এক পশলা বৃষ্টি 

তারা অন্য মেয়েদের থেকে অনেক আলাদা ছিল। স্বভাবে, আচার আচরণ, ব্যবহার, মানসিকতা সব দিক থেকে। মেয়েটা সত্যি সত্যি যে বনি কে অন্তর থেকে অকাতরে ভালোবাসত তা হয়তো কখনোই টের পেল না বনি। তারা বনি কে খারাপ পথে কখনো যেতে দেয়নি কারোর প্ররোচনায়। সবসময় শাসন করত সে, রাগ দেখাত বনির উপর কিন্তু বনি অত্যন্ত বিরক্ত হলেও কিছু বলত না তারাকে, শুধু এড়িয়ে যেত ওকে মাঝে মাঝে , তারা রাগ করলে বনি রাগ না ভাঙিয়ে উল্টে আরো রেগে যা না তাই বলত তারাকে , বন্ধ করে দিত কথা বলাও ।

তারা পরপর অনেক বার ফোন করলেও ফোন ধরত না বনি। সবসময় সব ক্ষেত্রেই বনি যে ভাবেই হোক প্রমাণ করত যে সে ঠিক আর সব দোষ তারার । এতকিছুর পরেও তারা ওই ছেলেটাকেই ভালোবেসে এসেছিল আর খালি বলত, যখন আমি থাকবো না তখন বুঝতে পারবে যে কেউ একজন তোমাকে কতটা ভালোবাসত! 

বনি তারা কে পরের দিকে খুব একটা ভালো করে বা সম্মান করে কথা বলত না, প্রায়সময় তার দাবি ছিল, তুমি এত ভালো মেয়ের মতো হলে আমি তো তোমাকে কখনোই কাছে পাবো না। আমার বন্ধুরা কত আনন্দ করে ওদের প্রেমিকাদের নিয়ে আর তুমি! না করতে দেবে বন্ধুদের সাথে নেশা, না করতে দেবে পার্টি। সবসময় বন্ধুদের থেকে দূরে থাকতে বলবে, খারাপ ছেলেদের মতো আমি যেন না হয়ে যাই সেই ভয় তোমার সবসময়। আচ্ছা সব কথা তোমার শুনলাম কিন্তু আমার একটা কথা হলো যে সবসময় তোমার দূরে দূরে থাকলে কি করে হবে, একদিন তো আমার কাছে আসতে পারো, একটু জড়িয়ে ধরব তোমাকে। 

উত্তরে তারার সেই এক টিপিক্যাল প্যানপ্যানানি, এক প্যানিক! সে সতী সাবিত্রীর মতো বলত, “স্পর্শ করলেই বুঝি ভালোবাসা হয়, অনুভবে হয় না। আচ্ছা বন্ধুদের কথা বলছিলে, শোনো তুমি ভালো ছেলে, ওসব বাজে ছেলেদের সাথে একদম মিশবে না ব্যস্।” 

দেহ লোভী প্রেমিক
দেহ লোভী প্রেমিক

-“সব বুঝলাম কিন্তু তুমি কবে আসবে বলো?” বলে বনি।  

-“সারা জীবনের জন্য এই শব্দটা তো কখনো বলো না তুমি।” তারা উত্তর দেয়। 

বনি বলে, “ওটা আবার আলাদা করে বলতে হয় নাকি, ওই হলো তোমাকে আমি সারাজীবন জুড়ে চাই তা বলো কবে আসবে আবার দেখা করতে?”  

-“আমার পরীক্ষা টা শেষ হয়ে যাক তারপর একদিন যাবো কেমন।” সুভাষ্যে উত্তর দিয়েছিল তারা। 

বনির পরে আর তারা কে খুব একটা ভালো লাগত না কারণ মেয়েটা যেন সবসময় কাতর অনুরোধ করত যেন বনি তাকে কখনো ছেড়ে চলে না যায়। মেয়েটার তার প্রতি এত খেয়াল, এত ভালোবাসা রীতিমত রাগ ও পরে বিরক্তির পর্যায়ে চলে গেছিল। দেরি করে মেসেজ সিন করত আর বলত ব্যস্ত ছিলাম। অনেক বার ফোন করলে ফোন ধরত না বলত ফোনের কাছে ছিলাম না এককথায় তারা নামক প্যারাসাইট টা কে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য যত অজুহাত হতে পারে সমস্তটাই রেডি থাকত বনির কাছে।

তারা সব বুঝেও না বোঝার ভান করত কারণ সে জানে তার রাগ কখনো বনি ভাঙাবে না উল্টে নিজেই রেগে যাবে আর কষ্টও হয়ত পায়। কষ্ট পাওয়ার ব্যাপার টা তারা ভাবে কিন্তু আসলে বনি কোনো কষ্টই পায় না তারার  জন্য। এরপর এত এড়িয়ে যাওয়ার পর সারাদিন অপেক্ষারতা মেয়েটার অনেক মেসেজে যখন একান্তই রিপ্লাই দরকার তখন একটু কথা বলেই রেখে দিত বনি। 

ওদের সম্পর্কের কথা তারার বাড়ি অনেক ঝামেলার পরে জানলেও বনির বাড়ি জানত না কখনোই। প্রথমে ছিল না সম্পর্ক টা এতটা তিক্ত। খুব ভালোই ছেলে বনি। পড়াশোনা, আচার আচরণ সবদিক থেকেই সত্যি সত্যি অনেক ভালো ছিল কিন্তু জীবনে প্রথম নারীর আগমন ঘটায় চিরপ্রথাগত ও প্রচলিতভাবে নিজের মনকে সে হয়ত এইটাই শিখিয়ে এসেছে যে নারী মানেই নারীর যৌবনের ছোঁয়া পাওয়ার লালসা। আর এই ইন্ধন তাকে তার বন্ধুরা জোগাতে অনেক সাহায্য করেছিল। তারার প্রতি লালসার স্বাদের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছিল অভিরূপের বিবেক, তার শিক্ষা, তার মানবিকতা। 

কিন্তু আদতে ভালোবাসা মানে কি তাই? সম্পর্কে জড়ানো মানে কি তাই? নারী মানেই কি  পুরুষের মনে যৌন উত্তেজনা তৈরি করা প্রাণী , নগ্ন কোনো মডেল? তারা কি আদৌ এইরকম মেয়ে ছিল? ছিল না সে এরকম। আজকের যুগের মেয়েদের মতো সে ছিল না, তার মনটা ছিল নীল আকাশের মতো। কখনো তার দ্বারা প্রমাণিত হয়নি যে সে যৌনাকাঙ্খী নারী বা যৌন উত্তেজককারী নারী।

পড়ুনঃ- ইমোশনাল লাভ স্টোরি- শেষ কথা 

বরং বারবার একথাটাই প্রমাণিত হয়েছে যে তার মতো প্রেমিকা পাওয়া বনির সৌভাগ্যের লক্ষণ, যেই মেয়ে আজকের এই oyo র শহরেও মন্দিরের উপাসনার মতো ভালোবাসা কে সম্মান করে, ভক্তি করে। কিন্তু নিয়তি বোধ হয় বনির এহেন সৌভাগ্য লেখেনি তাই তারপর থেকেই তাদের মধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তারা বহুবার কাতর ভাবে অনুরোধ করে, অনেক বোঝায়। বনি সব শোনে ঠিকই কিন্তু তার চারপাশের কন্ঠপ্রসূত কথার মাঝে হারিয়ে যায় তারার কাতর ধ্বনি! 

কিন্তু বনির হৃদয় কি কখনোই সাড়া ফেলে বলত না যে, দেখ, দেখ বনি, মেয়েটা তোর এত অসম্মান , এত অবহেলা সহ্য করেও তোকে এত ভালোবাসে, দোষ না করেও দোষী সাব্যস্ত হয় তোরই কারণে তবুও ভালোবাসে সেই তোকেই। মেয়েটা সবসময় ভাবে, চিন্তা করে তোকে নিয়ে , ওর সাথে এত খারাপ ব্যবহার করছিস, ছিঃ তোর ধিক্কার হওয়া উচিত বনি!

তারা যেন কি অদ্ভুত রকমের একটা মেয়ে, ও বনির গলায় “আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি” এই কথাটি শুনলেই সব কিছু ভুলে যায়। 

-“তুমি তার মানে পুরোপুরি রাজি আছো তাই তো তারা?” হঠাৎ বনির মেসেজ। 

-“হ্যাঁ। রাজি আছি।” 

নষ্ট ভালবাসা
নষ্ট ভালবাসা
<

সে ভেবেছিল তার বুক ভরা কষ্ট, কান্না সবকিছু সে বনির বুকের উপর ঢেলে দিয়ে অঝোর ধারায় কাঁদবে ওকে জড়িয়ে। কিন্তু সেটা ঈশ্বর ওর কপালে যে লেখেননি।

কিছুটা সময় পার হবার পর বনি বলে, “শোনো তারা, তোমার অনুমতিতেই তোমাকে আমি এতদিন পর কাছে পাবো ,তোমাকে আমি অন্তত একবার একান্তভাবে পেতে চাই। প্লিজ তুমি না কোরো না। আমি জানি মেয়েদের প্রথম মিলনে অনেক যন্ত্রণা হয় কিন্তু আমি তেমন কিছু করব না যাতে তুমি যন্ত্রণা পাও।”

-“অনুমতি! ওটা তো জোরপূর্বক! বনি কি আদৌ কোনোদিন তাকে ভালোবেসেছিল? এই দৃশ্য জীবনে দেখার চেয়ে ও তো মরে যেতে পারত, ঈশ্বর কি চাননি তারা মরে যাক একবারে। হয়ত তাই, তাই তাকে তিলে তিলে মারছে ঈশ্বর।”  

তারার আজ মনে পড়ছে রবি ঠাকুরের সেই কথাটা, “মেয়েরা নাকি সত্য কথা পছন্দ করলেও, আসলে মিথ্যেবাদী কে বিশ্বাস করে!”

নারীর ভুল মানুষের সাথে প্রেম হলেও, তারা ভালোবেসে ফেলে সত্যিকারের। আর তাই কষ্টও পায় তেমন।

নাহ, আর ভেবে বা আর বুঝে কাজ নেই। বোঝার বা ভাবার কাজ সমাপ্ত। যেখানে তার মন বনির মন কে ছুঁতে পেরেছে কিনা প্রমাণ করতে গিয়ে শরীরের স্পর্শ দরকার সেখানে এতকিছু ভাবা বিলাসিতা। তারা এতদিন বোকার মতো এই ছেলেটা কে ভালোবেসে এসেছিল। আর ছেলেটা তার নিষ্পাপ ভালোবাসা কে নষ্ট করে দিল, নষ্ট ভালোবাসা করে দিল! 

বনি নিজেই আসে তারার কাছে। তারা অপেক্ষা করছিল তাদের ঠিক করা জায়গায়। তারপর বনি এলে বলে, “তুমি ঠিক আছো তো?” 

-“হুম।” 

-“ওকে ফাইন। চলো তোমার আমার জন্য হোটেল বুক করা আছে।” 

-“বেশ ভালো। চলো তাহলে।” 

পড়ুনঃ- প্রেমের যন্ত্রণার গল্প 

সেই রাত ছিল বনির জীবনের এতদিনের কাঙ্খিত রাত। তারার সাথে সম্পর্ক শুরুর কিছুদিন পর থেকেই সে এই দিনটার কথা ভাবত, অপেক্ষা করত আর তার বন্ধুরা তাকে এই বিষয়ে অনেক উৎসাহ দিত। তারা কে হোয়াটস অ্যাপ এ, ফোনে বা মেসেজে একথা বলতে গেলেই কেমন যেন ঝুরি ঝুরি জ্ঞান আর শাসন, বারণ শুরু করে দিত। রাগারাগিও করত আর বলত বনির নাকি এতে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হবে। আজব মেয়ে! আরে শরীর মিলন চাইছে আর তার মাধ্যমের নাম ই তো ভালোবাসা তাই না! আর তারার সবসময় সাধু ঋষিদের মতো এক প্যানিক,  মন নিয়ে পড়ে আছে, শরীরের ঊর্ধ্বে মন, উফ ! 

ভয়ঙ্কর মিলনের রাত। এতদিনের চাপা ইচ্ছে আজ পূরণ করছে বনি। 

কিন্তু তারা! তার পোষাক বনি খুলে দিতেই মনে হলো যেন গোটা শরীরের চামড়াটাও খুলে গেল, যেই চামড়া তে সে এতদিন ধরে দূরে থাকা বনি কে অনুভূতির স্পর্শে স্পর্শ করত । এতদিনের এক পবিত্র অপেক্ষা, পবিত্র ভালবাসা বনির জন্য সে যে তিলতিল করে গড়ে তুলেছিল তা এক নিমেষে চুরমার হয়ে গেল বনির এই লোলুপ শারীরিক মিলনের স্পর্শে। রাতের পর রাত জেগে চোখের জল, অকাতরে দুশ্চিন্তা করা, হারিয়ে ফেলার ভয় সবকিছুই কি তাহলে মিথ্যে?

শরীরটাই তো এই সবকিছু কে এক তুড়ি তে হারিয়ে দিল। বনির এতদিন ধরে অবহেলা, উপেক্ষা ছিল কারণ তার কাছে তারার  যৌবন টা ছিল না কিন্তু আজ বনি তারার প্রতি প্রসন্ন কারণ আজ সে কাঙ্খিত নারীর যৌবন উপভোগ করতে ব্যস্ত। গোটা রাত বনি তারার যৌবনের সাথে লড়াই করে আর তারা নিজের মনের সাথে সাথে এতদিনের একটা সুন্দর ভালোবাসা কে বিশ্বাসঘাতক মনে করে হত্যা করে। হত্যা করে পবিত্র অপেক্ষা কে, হত্যা করে বিরহকে, হত্যা করে তার সমস্ত সত্ত্বা।

সে বনির প্রিয়জন নয়, প্রয়োজন ছিল। সে বনির কোনো কাছের মানুষ ছিল না , সে শুধু মাত্র বনির যৌনক্ষুধা নিবারণকারী নারী যাকে আজকের শিক্ষিত সমাজ নাম দিয়েছে “প্রেমিকা”। সে এতবার করে বুঝিয়ে এসেছিল, বলে এসেছিল বনিকে কিন্তু বনির কাছে তার থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আছে বনির বন্ধুরা। এমনকি বনির পরিবারও জানে না যে আজ তাদের ছেলে যার সাথে রতিমিলনে ব্যস্ত সেই মেয়েটির কথা, জানে না তারা সেই মেয়েটি এক পবিত্র ভালোবাসার বন্ধনে তাদের ছেলেকে ধরে রাখতে চেয়েছিল কিন্তু আজকের দিনে এসব তো হাস্যকর, আজকের দিনে তো কে কতবার ঘনিষ্ঠ হয়েছে তার উপরেই ভালোবাসা নির্ভরশীল। 

এখন মন কিচ্ছু নয়, শুধু শরীর, শরীর আর শরীর!! 

পড়ুনঃ- অসমাপ্ত প্রেমের কাহিনী 

তবুও এতকিছুর পরে, শেষবারের মতো হলেও ভালোবাসে বনিকেই, কারণ তার ভালবাসা টা নীল আকাশের মতো ছিল, তার মনটা সাদা মেঘের মতো ছিল আর তার ভালবাসাটা ফুলের মতো পবিত্র ছিল কিন্তু যাকে ভালোবাসল তার কাছে এইসব কিছুর কোনটারই মূল্য নেই। চোখের জল শেষ হয়ে গেছে তার। শরীর টা খুব অসুস্থ লাগছে, দমবন্ধ অনুভূতি হচ্ছে। সে ঘুমন্ত বনির দিকে চায়, তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় আর বলে, “তুমি আমাকে ভালো নাই বাসতে পারো, আমি তোমার কাছের কেউ নাই হতে পারি কিন্তু আমি তোমাকে সত্যিই ভালোবাসি তাই তোমার জন্য আমার এই শরীরটা সবার অজান্তে দিতেও দ্বিধা বোধ করলাম না।”

সে বনির বুকটা জড়িয়ে ধরতেই বনির ঘুম ভেঙে যায়। আর বলে, “তুমি ঘুমোওনি কেন এখনো?” 

হুম ঘুমাবো আমি, “নিশ্চিন্তে ঘুমাবো এবার। তোমার ভালবাসা সত্যি না হলেও, আমার ভালোবাসা টা যে সত্যি ছিল বনি!”

-“মানে?” 

-“তুমি আজ সারারাত আমাকে তোমার বুকের মাঝে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখো না, বড় কষ্ট হচ্ছে আমার!” কাতর অনুরোধ করে তারা ।

বনি বলে, “আচ্ছা ঠিক আছে তুমি আজ সারারাত আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবে কেমন, এসো আমার কাছে,” বলে বুকে টেনে নেয় তাকে শক্ত করে।

broken heart love story bengali
broken heart love story bengali

এটাই তো সেই বনি যাকে তারা ভালোবেসেছিল প্রথম। যে কখনো তারা কে অবহেলা তো দুরের কথা সামান্য খারাপ কথাও বলত না। তাহলে হঠাৎ করে কার প্ররোচনায় হারিয়ে গেল প্রকৃত প্রেমিক হিসেবে বনির সত্ত্বা টা এইকিছুক্ষণ আগেও যেই বনি ঘুমোচ্ছিলো, সেও তো সেই কামুক বনিই ছিল। আবেগে ভেসে যায় তারা তার পুরোনো বনি কে ফিরে পেয়ে। কিন্তু সে আর কোনোদিন ওঠে না বনির বুক ছেড়ে…!

তারার মৃত্যু তে নষ্ট ভালোবাসায় জর্জরিত তারার শরীর টা হয়ত চিতায় পুড়ে শেষ হয়ে যায়। 

কিন্তু আত্মা অমর, তাই তারার সত্যিকারের ভালোবাসা টার কোনোদিন মৃত্যু হয়নি। বনির জীবনে যার প্রভাবের নাম অনুশোচনা, যা তিল তিল করে শেষের পথে পাঠাতে যথেষ্ট!…কারণ শরীরের ঊর্ধ্বে যে মন…

সুস্মিতা গোস্বামী

গল্পের ভাবনায়-
পড়ুনঃ- 
একজন অবহেলিত মেয়ের ভালবাসার গল্প 

ভালবাসার বড় গল্প- অভিযোগ 
সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও  বা অডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।
গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে। 
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক Group - গল্প Junction 

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)

শারীরিক ভালোবাসার গল্প। দেহ লোভী প্রেমিক। নষ্ট ভালবাসা।broken heart love story bengali

Spread the love

Leave a Reply