আজকের দুটি হাসির গল্পের মধ্যে প্রথমটি মেয়েদের নিয়ে হাসির গল্প আর দ্বিতীয়টি ভুলোমনা এক নাগরিকের

হাসির রম্য গল্পঃ-

মেয়েদের নিয়ে হাসির গল্পঃ-

আমাদের গ্রামের বিখ্যাত গ্ল্যামার গার্ল চার্মিং ছুন্দরি একেবারে উয়াও দেখতে একজন মিয়ে মানে মেয়ে। বাবা মা আদর করে নাম রেখেছিল অনিতা। কিন্তু সেই চার্মিং গার্ল এর আবার ওই নাম পছন্দ নয়। জনমানবের কাছে সে নিজেকে অ্যানি বলে পরিচয় দেয়। অবশ্য জনমানবের কাছে অ্যানি নামে পরিচিত হলেও আমাদের গ্রামের ছেলেরা ডিকশনারি খুঁজে নাম দিয়েছে অ্যানাকোন্ডা।

তবে নামটা শুধু শুধু পরেনি। নামের পিছনে যুক্তি আছে অনেক। একটি অ্যানাকোন্ডা সাপ কোন প্রাণী গিলে ফেলার পর রক্ত লাগে সাপের মুখে। ঠিক সেই ভাবে লাল রঙের একটি রক্তিম বর্ণ রাঙ্গানো থাকে আমাদের গ্রামের অ্যানাকোন্ডা। বাদামি রঙের চিরিক বিরিক হাঁটু পর্যন্ত একটা জামা তাতে আবার হালকা হলুদ রঙের ছোপ ছোপ দাগ।

হাতে রয়েছে একটা মানি ব্যাগ, যদিও মানি ব্যাগের ভিতরে মানির বদলে কাগজ বেশি। চাদের কারণে পৃথিবীতে জোয়ার ভাঁটা হলেও অ্যানাকোন্ডার মানি ব্যাগে জোয়ার হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। স্বভাবতই পা তখন আর মাটিতে পরে না তার।

নিয়ে হাসির গল্প

নিজেকে বিশ্ব সুন্দরী ভাবা এই চার্মিং গার্ল মাঝে মাঝে পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে বাকি মেয়ে গুলোকে জ্ঞান দেয় যে, আমি চুলের জন্য এই সেই ব্যবহার করি শরীরের জন্য এই সেই।

প্রতিদিন বাসে চেপে শহরে যায় এই চার্মিং গার্ল সেখানে কখনো এই ছেলের হাত ধরে কখনো ওই ছেলের হাত ধরে ঘুরে বেড়ায় সে। ছেলে গুলোও অস্থির লেভেলের। যাই হোক এই চার্মিং গালের চার্মিং এর একটি ঘটনা বলি।

কোন এক কারণে আমি শহরে গিয়েছিলাম। যে বাসে বাড়ি ফিরি সেই বাসে সেই চার্মিং গার্লকে দেখে একটু দূরে বসলাম। কেননা পাড়ার মানুষ দেখলে এই চার্মিং গার্ল শুরু করে তার মহান কীর্তি কলাপের গল্প।

এই চার্মিং গার্লের গলায় সবসময় সাপের মত ঝুলে থাকে একটা কলার হেডফোন। দুই কানে প্রায় ২০ টি কানের রিং পরা এই চার্মিং গার্ল যখন কানে হেডফোন গুজে দেয় কান হয়ত ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হয়।

আমি দূর থেকেই দেখছিলাম চার্মিং গার্ল হেডফোনে বাজতে থাকা গানের তালে মাথা দোলাচ্ছে।

পড়ুনঃ- হাসির গল্প- গ্যাস জ্ঞান 

একসময় চারিদিকে সবার দিকে কি যেন তাকিয়ে দেখল। তারপর বিশাল বড় বেলুনে পিন কাঠি ফোড়ার মত শব্দ করে গোটা নিস্তব্ধ বাসকে আলোড়িত করল একটি ডঅঅঅঅঅঅঅঅঅতততত শব্দ। ইতি মধ্যে শহরে পেট পুড়ে খাওয়া সিঙ্গারা আর চাটনি সাথে চানাচুরের সংমিশ্রণে তৈরি হওয়া জৈব গ্যাসের গন্ধ গোটা বাসে সুগন্ধিতে ভরিয়ে তুলছে।

বাসের সবাই চার্মিং গার্লের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু চার্মিং গার্ল নিজের মনে গান শুনে যাচ্ছে। এবার সে আবার আরেকটি শব্দ উৎপন্ন করল- পেএএএএএততত। সঙ্গে সঙ্গে গোটা বাসে ছড়িয়ে গেলো এক বিভীষিকাময় জোরালো গন্ধ।

ইতিমধ্যে চার্মিং গার্লের টনক নড়েছে। কেননা তার আশেপাশে থাকা লোক তার থেকে সরে গিয়েছে আর সবাই মুখে রুমাল ঢাকা নিয়েছে।

কান থেকে হেডফোন খুলতেই সেই চার্মিং গার্লের মুখ টম্যাটোর মত লাল হয়ে গেল লজ্জায়। বাস থামিয়ে নেমে পড়ল সে।

হাসির রম্য গল্প
হাসির রম্য গল্প

এবার আসল ব্যাপার বলি। সেই চার্মিং গার্ল আসলে ভুলেই গিয়েছিল যে সে হেডফোনে গান শুনছিল। সে ভেবেছিল বাসের মধ্যে খুব জোড়ে গান বাজছে। আর এত জোড়ে চলতে থাকা গানের মাঝে সে যদি কিছু সুর যোগ করে তাতে মন্দ হয় না। এতে আবার পেটে জমে থাকা গ্যাসও পরিষ্কার হবে।

জোড়ে গান বাজছে, কেউ শুনতে পারবে না, এই ভেবে চার্মিং গার্ল যে চার্ম ছড়িয়েছিল, কান থেকে হেডফোন খোলার পর সে বুঝতে পেরেছিল যে সে যেটিকে বাসে জোড়ে গান চলছে ভেবেছিল সেটি আসলে তার হেডফোনে চলতে থাকা গান। আর তাই লজ্জায় সে আর সেখানে টিকে থাকতে পারেনি।

পড়ুনঃ- অসাধারন শিক্ষণীয় গল্প 

হাসির রম্য গল্পঃ-

  আমার বাবার কথা আমি নাকি সারাদিন নেশায় বুদ হয়ে থাকি। কিন্তু বিশ্বাস করুন জীবনে কোনদিন নেশা করিনি। আমার আসলে এক প্রকার রোগ হয়েছে, ভুলে যাওয়া। আমি ভুলে যাই কোথায় কি রেখেছি।

এই যেমন কালকের ঘটনা শুনুন। আমি খেয়ে বাড়ি ফিরছি, হঠাৎ মনে হল বাবা জানতে পারলেই রক্ষে নেই। তাই দেওয়াল টপকে বাড়ির ভিতরে ঢুকি। নিজের রুমে এসে ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে ফোন খুজছিলাম। ফোন ছাড়া আমার ঘুম আসবে না। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ফোন খোঁজার ফোন মনে হল ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে আবার ফোন খুজলে কি করে ফোন পাব। এরপরে নিজেই হসে লুটে পরি। এই যে এত্ত আনন্দ সবই আসলে নেশার দান।

আবার পরশুর ঘটনা। আমি সকালে বাড়িতে ঝামেলা করেছি। কারন আমার সানগ্লাস খুঁজে  পাচ্ছিলাম না। প্রায় এক ঘণ্টা খোঁজার পরেও যখন পেলাম না তখন বাবাকে দোষ দিতে শুরু করলাম যে, বাবাই আমার সানগ্লাস লুকিয়ে ভেঙে দিয়েছে।

funny story bangla
<

বাবা এসে আমার মাথায় একটা টালা দিয়ে মাথা থেকে সানগ্লাস নামিয়ে দিয়ে হাতে ধরিয়ে দিল। কিন্তু টালা খেয়েও রাগ হল না, নিজেই পাগলের মত হেসে যাচ্ছিলাম। 

একদিন তো আবার অঙ্ক করতে বসে কলম খুজছিলাম। কিন্তু মনেই নেই যে কলম আমার হাতে।

গল্পের ভাবনায়

গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে।

সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও বা অডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।

পড়ুনঃ- 
হাসির গল্প- বউ জব্দ 

ভালোবাসার গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক Group - গল্প Junction 

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র () 

মেয়েদের নিয়ে হাসির গল্প। হাসির রম্য গল্প। 2 new funny story bangla.

Spread the love

Leave a Reply