বাড়ি থেকেই রহস্যজনক ভাবে উধাও একজন মডেল। সেই রহস্যকে ঘিরেই আজকের এই রহস্যময় গোয়েন্দা গল্প টি। এই রহস্য গল্প সম্পর্কিত মতামত অবশ্যই জানাবেন কিন্তু!
রহস্যময় গোয়েন্দা গল্পঃ-
বাড়িটা অবস্থিত জগদীশ পার্কের চৌমাথার দিকে। বাড়িটার রং গোলাপি হলেও শ্যাওলার ঘন সবুজ রং বাড়িটার সৌন্দর্য নষ্ট করছে। বাড়িটির ভেতরে অবস্থিত সুন্দর ফুলের বাগান। এই সুন্দর ফুলের বাগানের মতই সুন্দর এই বাড়িতে বসবাসকারী মানুষরা। জুই এর সাথে অরুণের দেখা হয় এক নাইট ক্লাবে। জুই একজন মডেল এবং নৃত্য শিল্পী। অরুণ ওষুধ- পত্রের দোকান চালায়।
জুই দেড়ি করে বাড়িতে ফেরে। অরুণের ঘুম যাতে নষ্ট না হয়, তাই সে আলাদা ঘড়ে ঘুমায়। সেদিন সকাল ১০ বাজতে চললেও, জুই ঘুম থেকে উঠছে না দেখে, বাড়ির কাজের মেয়ে কণিকাকে ডেকে অরুণ বলে-
“হ্যাঁ রে তোর বৌদি কাল কটায় বাড়ি ফিরেছিল রে? এখনও ঘুম থেকে উঠছে না!”
কণিকা- “আপনি ঘুমোতে যাবার মিনিট কয়েক পড়েই, বৌদিমণি এসে পড়েছিলেন দাদাবাবু। আমি দেখছি বৌদির ঘড়ে গিয়ে।“
কণিকা জুই এর ঘড়ে যায়। মিনিট পাঁচেক পড় সে দৌড়ে এসে, হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে অরুণকে বলে- “বৌদি মণিকে কোথাও খুঁজে পেলাম না দাদাবাবু।“
অরুণ- “সে কি রে! কোথায় গেল সে! সকালে ওর রুমে ওকে দেখিস নি?”
কণিকা- “না দাদাবাবু। আমি ভেবেছিলাম, বৌদিমণি হয়ত আপনার ঘড়ে ঘুমচ্ছেন, তাই আর খোঁজ নিই নি। কিন্তু এখন আপনার রুমেও গিয়ে দেখি। বৌদিমণি কোথাও নেই। পুরো ঘড় খুঁজে দেখেছি।“
অরুণ- “সকাল সকাল, কোথাও বেড়িয়ে যায় নি তো আবার?”
“না না দাদাবাবু, বৌদিমণির শাড়ি গয়না, সব গোছানো আছে। কাল ডিনার করার সময় যে নৈশবাসটা পড়ে ছিলেন সেটাই শুধু নেই।“
অরুণ অবাক হয়ে যায়। দুইজনে মিলে গোটা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজে। কিন্তু জুইকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে কি, নৈশবাস পড়ে তো জুই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাবে না! তাহলে রাতারাতি সে কর্পূরের মত উবে গেল নাকি!
ততক্ষণে বাড়ির অন্যান্য কাজের লোকেরাও এসে পড়েছে। সমস্ত বাড়ি, বাগান তন্ন তন্ন করে খোঁজা হল, কিন্তু কোথায় জুইয়ের দেখা নেই। অজানা ভয়ে অরুণের মন খুবই চঞ্চল হয়ে উঠেছে।
হতভম্বিত অরুণ পুলিশকে খবর দেয়। এই পুলিশ ফাঁড়িতে নতুন একজন S.I এসেছেন। বেশ স্বাস্থ্যবান। তার নাম অসীম কুমার। কয়েকদিনেই এলাকায় বেশ নাম ডাক ছড়িয়ে পড়েছে তার। যেমন স্বাস্থ্য তেমনই সিংগাম স্বভাব।
আগাগোড়া তিনি সব ঘটনা শুনলেন কণিকা আর অরুণের কাছে। প্রথমে তার সন্দেহ হল, উঠোন দিয়ে কেউ এসেছে। অরুণ জানাল- “উঠোনে দুটি হিংস্র কুকুর সবসময় ছাড়া থাকে। তাদের চোখকে ফাকি দিয়ে কেউ ভিতরে আসতে পাড়বে না।“
“আচ্ছা আপনি কি আমাকে জুই দেবীর রুমে একটু নিয়ে যাবেন? “
“অবশ্যই অবশ্যই।“
গোটা ঘড় সার্চ শুরু করলেন নতুন S.I, বাড়ির সবাইকে বিভিন্ন ভাবে জেরা করলেন তিনি। কিন্তু কারও কাছে থেকেও সামান্য তথ্য টুকুও তিনি নিতে পাড়লেন না, যেটি তার কাজে আসতে পারে।
প্রথমে অসীম কুমারের সন্দেহ হল, জুই এর গাড়ি চালককে। কিন্তু সেইই বা জুই কে গায়েব করবে কেন? গয়না, বা টাকা পয়সার লোভ? হুম হতেও পারে। অসীম কুমার, জুইের মানিব্যাগে দেখলেন, সেখানে কয়েক হাজার টাকা আছে। অর্থাৎ টাকা চুরি যায় নি। অসীম কুমার কণিকাকে জুইয়ের গয়না সব ঠিক আছে কি না তা দেখাতে বললেন।
কণিকা দেখে জানাল, সব কিছুই ঠিক আছে কোনো কিছুই চুরি যায় নি। আশ্চর্য, কোনো গয়না চুরি হয়নি, মানি ব্যাগেও টাকা ঠিক আছে। আর সবার অজান্তেই জলজ্যান্ত একটা মহিলা রাতারাতি গায়েব হয়ে গেল।
“আচ্ছা জুই দেবী গতকাল রাতে যে কাপড় গুলি পরিধান করে ছিলেন সেগুলি একবার দেখতে চাই।“ কণিকা, গুছিয়ে রাখা কাপড় গুলি অসীম কুমারের হাঁতে দেয়।
কাপড় ব্লাউজ থেকে কিরকম যেন একটা সুন্দর গন্ধ আসছে। গন্ধটা যেন কেমন মধুর। “আপনার স্ত্রী কি এই পারফিউম ব্যবহার করেন?”
অরুণ গন্ধটা শুঁকে বলল- “না, আমার স্ত্রী তো এই দুটি পারফিউম ব্যবহার করেন।“ এই বলে অরুণ দুটি সেন্টের বতল ড্রয়ার থেকে বের করে নিয়ে আসে।“
অসীম কুমারের মাথায় যেন কিছুই ঢুকছে না। এই সুন্দর গন্ধটা তাহলে কিসের! একটি রহস্য শেষ হতে না হতেই আরেকটি রহস্যের শুরু!
অসীম কুমারের কথা মত, বাড়িটির গতি বিধির উপর নজর রাখা শুরু করল পুলিশ। এদিকে পুলিশ জুইের ছবি দেখিয়ে গোটা শহরের লোকের কাছে জিজ্ঞাসা করছে, যে এরকম কোনো মহিলাকে নৈশবাস পড়ে তারা রাস্তায় দেখেছেন কি না! কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। মডেল হওয়ার সুবাদে জুইকে অনেকেই চিনতে পেড়েছে বৈকি, তবে নৈশবাস পড়ে রাস্তায় তাকে কেউই দেখে নি।
তাহলে কি জুই অন্যত্র পালিয়ে গেছে! শহরের সব সিসি টিভি ফুটেজ দেখা হল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না।
কেটে গেল, দিন কয়েক। আবার অসীম কুমারের কাছে কল এল জুইয়ের বোন সুলতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনা স্থলে গিয়ে অসীম কুমার জানতে পাড়লেন- দিদির ঘটনা শোনার পর, সুলতা দিদির বাড়িতে আসে। ঘটনার দিন কণিকা সুলতাকে খাবার দিয়ে বাড়ি চলে যায়। অরুণ তার কর্মস্থলে ছিল। কিছুক্ষণ পর কণিকা ফিরে এসে দেখে, সুলতা যেখানে বসে খাবার খাচ্ছিল সেখানে সে নেই। তার হাঁতে একটি বই ছিল, বইটিও খোলা অবস্থায় পড়ে আছে। খাবার অর্ধেক খাওয়া।
আশ্চর্য, অর্ধেক খাবার খেয়ে কোথায় গেল সুলতা। অনেক খুঁজেও যখন কণিকা সুলতার দেখা পেল না, তখন সে অরুণকে খবর দেয়। সবাই মিলে বাড়ির সর্বত্র সুলতাকে খোঁজা হয়, কিন্তু সুলতাকে কোথাও পাওয়া গেল না।
অসীম কুমারের মাথায় যেন কিছুই ঢুকছে না। এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়ির দুইজন জলজ্যান্ত মহিলা সবার অগোচরে উধাও হয়ে গেল! এ কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। অনেক গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে এই ঘটনাতে।
সুলতা যেখানে বসে খাবার খেয়েছিল, অসীম কুমার সেখানে যেতেই তার নাকে আবার সেই মিষ্টি গন্ধটা আসল। সত্যি অসাধারণ মধুর এই গন্ধটি। তবে আগের বাড়ের তুলনায় এবারের গন্ধটা বেশ তীব্র। যেন ঘুম ঘুম পায়। এদিকে অরুণ পাগলের মত হয়ে গেছে। বাড়ির দুইজন মহিলা, এক সপ্তাহে গায়েব হয়ে গেল! এদিকে জুইয়ের বোন সুলতার বিবাহ ঠিক হয়ে আছে, আগামী মাসে তার বিয়ে। কিছু একটা হয়ে গেলে, সে কিভাবে সুলতার হবু স্বামীকে মুখ দেখাবে!
অরুণ অসীম কুমারের হাত ধরে কাঁদো কাঁদো গলায় বলল- “যেভাবেই হোক সুলতাকে খুঁজে দিন, প্লিজ প্লিজ প্লিজ!”
সেই দিনের মত অনুসন্ধান শেষ করে, থানায় ফিরলেন অসীম কুমার। চেয়ার থেকে যে ফিঙ্গার প্রিন্ট গুলি নেওয়া হয়েছে সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হল, সেগুলি কণিকা আর অরুণের। ঘটনা ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে! কিন্তু অসীম কুমারের মাথায় কিছুই ঢুকছে না।
অসীম কুমারের মনে হল, বাড়িটিতে হয়ত কোনো গুপ্ত দরজা বা গুপ্ত গর্ত আছে। যেখানে পা দিলেই মানুষ অগভীর গর্তে চলে যায়!
পরের দিন অসীম কুমার সাধারণ কাপড়েই বাড়ি থেকে চলে গেলেন সোজা সেই বাড়িটিতে। চাকর- বাকররা ইতিমধ্যে অসীম কুমারকে পুলিশের লোক বলে চিনে ফেলেছে। তাই তারাও একটু মাথা উঁচিয়ে দেখে, নিজেদের কাজে মন দিল।
অসীম কুমার সোজা চলে গেলেন জুইয়ের রুমে। ভালো ভাবে পরীক্ষা করতে লাগলেন কোথায় কোনো গুপ্ত দরজা আছে কি না! কিন্তু অসীম কুমার কিছুই পেল না। সে অনুসন্ধান করতে করতে বাড়িটির পাঁচিলের ধারে চলে গেল।
আসে পাশে এত বড় বড় বাড়ি অথচ কেউই জুই আর সুলতাকে দেখল না। S.I সাহেব দেখলেন দেওয়াল খানিকটা ছড়ে গেছে। খুব বেশি না হলেও দিন সাতেক আগেই এই দেওয়ালটি ছড়েছে। দেওয়ালের পাশে কয়েকটি জুতোর ছাপ দেখে কুমার চমকে উঠলেন। আরে এগুলি কোথা থেকে এল!
পড়ুনঃ- মজার গোয়েন্দা গল্প- বিস্কুট রহস্য
নিশ্চয়ই এই দিক দিয়ে দেওয়াল টপকে কেউ বাড়িতে প্রবেশ করেছে। সে দেওয়াল টপকে অপর পাশে গিয়ে ভালো মত নিরীক্ষণ করতে লাগল বাড়িটার চারপাশে। হঠাৎ কার শব্দে যেন তার ঘোর কেটে গেল- “আপনি বুঝি এই বাড়িটি কেনার কথা ভাবছেন,তাই না মহাশয়। অসীম কুমারও জলদি জবাব দিল- “আজ্ঞে হ্যাঁ। বাড়িটাকে কিনব ভাবছি। তা আপনি কি এখানেই থাকেন?”
“হ্যাঁ, এই যে পাশের বাড়িটাই আমার।“
“তা আপনি কি করেন?”
“আমি একজন শিল্পী। ওই যে বিভিন্ন স্কাল্পচার বানায় না, সেই কাজ গুলিই আমি করি।“
“আসলে আমারও ইচ্ছে আছে এই বাড়িটাকে কিনি। চলুন না আমার বাড়িতে চা খেতে খেতে আলাপ হবে।“
অসীম কুমার কিছু না ভেবেই রাজী হয়ে গেল। সেও আসলে মনে মনে এই সুযোগ খুঁজছিল। কথায় কথায় চা খেতে খেতে অসীম কুমার বলল- “আপনি তো বললেন আপনি একজন শিল্পী। আপনার শিল্প কর্ম দেখতে চাই আমি।“
-“অবশ্যই দেখাব আপনাকে। আসুন আমার পিছু পিছু।“
লোকটির স্টুডিওতে ঢুকেই অসীম কুমার চমকে উঠল। আশ্চর্য এই মিষ্টি গন্ধটা এই খানে কিভাবে এল। গন্ধটা এত মধুর যে তার ঘুম পেয়ে যাচ্ছে! স্টুডিওতে নানান মূর্তি রয়েছে। রয়েছে, বিভিন্ন প্রাণী থেকে শুরু করে, গাছ-পালা, এমনকি কয়েকটি নগ্ন নারী মূর্তিও তার নজরে এল। মূর্তি গুলি এত সুন্দর ভাবে বানানো হয়েছে, যেন দেখে মনে হবে প্রাণবন্ত। সত্যি খুবই চমৎকার আর নিখুত ভাবে তৈরি করা হয়েছে মূর্তি গুলি। এমন ভাস্কর্য তিনি আর জীবনে দেখেননি।
একটা মূর্তির সামনে এসে অসীম কুমার দাঁড়িয়ে গেলেন। তাকে দেখে লোকটি বলল- “গতকালই রাত জেগে এই মূর্তিটা তৈরি করেছি। এখনও ভালো মত শুকায়নি। কুমার মূর্তিটির পিছনের একটি সামান্য ছড়ে যাওয়া অংশে ভালমত দেখতে লাগল। সে লোকটিকে বলল- “আচ্ছা, আপনি কি ব্রাশ ব্যাবহার করেন এগুলি রং করার জন্য?”
এরপর লোকটি বলে- “এখুনি নিয়ে আসছি ব্রাশটি ভিতর থেকে।“ আসলে অসীম কুমার লোকটির দৃষ্টি অন্যত্র সরাতে চাইছিল। লোকটি অন্য রুমে চলে যেতেই সে সদ্য নির্মিত মূর্তিটার সামান্য ছড়ে যাওয়া অংশ টুকুতে হাত ঘষতে লাগল। ঘষতে ঘষতে জায়গাটা সে অনেক বড় করে ফেলল।
এরপর লোকটি অন্য রুম থেকে হাঁতে ব্রাশ নিয়ে আসতেই, অসীম কুমার পকেট থেকে পিস্তল বের করে লোকটির মাথায় তাক করল। সে বলল- “পালাবার চেষ্টা করলেই খুলি উড়িয়ে দেব।“ এরপর সে লোকটিকে নীচে নামিয়ে এনে, দাঁড়িয়ে থাকা দারোগার হাঁতে দিয়ে বলল- “দেওয়ালের ধারে জুতোর ছাপ দেখেই প্রথমে সন্দেহ হচ্ছিল। এরপর যখন আপনার জুতো দেখলাম তখনই আমি অবাক হয়ে যাই। কারণ আপনার জুতোর ছাপ আর পাঁচিলের পাশে থাকা জুতোর ছাপ একই।
এরপর সন্দেহ জাগতেই আপনার সাথে বন্ধুত্ব করার ফাঁদ পাতলাম। এরপর যখন আপনি আপনার স্টুডিওতে নিয়ে গেলেন, তখনই স্টুডিওর মিষ্টি গন্ধটা নাকে আসতেই আমার সন্দেহ আরও প্রবল হয়। এরপর যখন সেই নতুন মূর্তিটা আমার চোখে পড়ল, আপনি জানালেন সেটি গত রাতেই আপনি বানিয়েছেন। এরপর মূর্তিটির পিছনের একটু ছড়ে যাওয়া অংশে হাত বুলোতেই আমার হাত বুঝে যায়, যে এটি কোনো মূর্তি নয়, এই মূর্তির ভেতরে রয়েছে আসলে এক মৃত মানুষের দেহ।“
কি আমি ঠিক বললাম তো?
লোকটা পরে তার সব অপরাধ স্বীকার করল। সে জানাল- “কয়েকদিন থেকেই জুইয়ের প্রতি তার নজর যাচ্ছিল। কারণ তার সুন্দর গড়ন যুক্ত দেহ তাকে বরাবরই আকর্ষণ করত। সে কয়েকদিন থেকেই সুযোগ খুঁজছিল। ঘটনার দিন সে তার নিজের রুম থেকে দূরবীন দিয়ে দেখে, জুই জানালা দরজা খোলা রেখেই বিছানার উপর বসে কি যেন করছে। সে দেওয়াল টপকে একটি মই নিয়ে আসে এবং সুন্দর গন্ধ যুক্ত যে জিনিস সেটা আসলে একটা কেমিক্যাল। খুবই মারাত্মক একটা কেমিক্যাল, এই কেমিক্যাল মানুষের রক্তে যাওয়ার সাথে সাথেই সেই মানুষটির মৃত্যু নিশ্চিত।
এরপর সে চুপি সারে এসে জুইয়ের মুখ চেপে ধরে এবং তার ঘাড়ে ইনজেকশন পুশ করে। কয়েক সেকেন্ডেই জুই মারা যায়। এরপর জুইকে কাঁধে ফেলে, নিজের স্টুডিওতে নিয়ে আসে সে। সহজে সফল হওয়ায় তার সাহস আরও বেড়ে যায়।
একই ভাবে জুইয়ের বোনের সুন্দর দেহ তাকে আকর্ষিত করেছিল। কারণ সেও একজন নামকরা মডেল। সুলতা এই বাড়িতে এসেছে দেখে সে সুযোগ খুঁজতে থাকে। একদিন যখন সে দেখে বাড়ি ফাঁকা, একই ভাবে দেওয়াল টপকে এসে সুলতার ঘাড়ে সেই তীব্র বিষের ইনজেকশনের সিরিঞ্জ পুশ করে এবং স্টুডিওয়ে নিয়ে আসে।
এরপর লোকটির কথা মত তার স্টুডিওতে গিয়ে জুই আর তার বোন সুলতাকে উদ্ধার করা হয়। উঁহু জীবিত নয়, মৃত। আর দুই বোনের শরীরকেই সুন্দর মূর্তিতে পরিণত করে ফেলেছে লোকটি।
অসীম কুমার কে পুলিশ ভেবে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয়নি লোকটির। সে ভেবেছিল, বাড়ি দেখছে যখন, বাড়িই কিনবে হয়ত। কিন্তু অসীম কুমার যে সন্দেহের গন্ধ পেয়ে, তার পিছু নিচ্ছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি লোকটি।
© কপিরাইট ছাড়পত্রের অ্যাডমিন দ্বারা সংরক্ষিত।
পড়ুনঃ- ভয়ানক ভুতের গল্প- বদলা অদ্ভুত কিছু অমীমাংসিত রহস্য ঝড়ের রাতের সেই ডাইনীর কবলে!
এক ক্লিকেই সমস্ত আপডেটের জন্য যুক্ত হন-
ফেসবুক Group - গল্প Junction
ফেসবুক- ছাড়পত্র
টেলিগ্রাম- charpatraOfficial
WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।