আজ দুটি মজার মজার গল্প থাকছে। আশা রাখছি গল্প দুটি আপনাদের পছন্দ হবে।

মজার মজার গল্প- ভোম্বলের কান্ডকারখানা

প্রত্যেক দিনের মত আজকেও যখন বাড়ির সবাই মধ্যাহ্ন ভোজন শেষ করে বিশ্রাম করছিলো, ঠিক তখনই ভোম্বল তিন-চারখানা পড়ার বই নিয়ে ছাদের উপর উঠে গেলো। মিনিট পাঁচেকের পর ছাদ থেকে নেমে এসে, তাকে কি যেনো একটা খোঁজাখুঁজি শুরু করে দিল। সেই সময় বুড়ি দিদা এসে উপস্থিত হল – কি খুঁজচ্ছিস রে?

বুড়ি দিদার আচমকা প্রশ্নে ভোম্বল একটু চমকে পড়ে, নিজের উপর একটু থুতু ছিটিয়ে নিয়ে বলল, পেন রেখেছিলাম এইখানে খুঁজে পাচ্ছিনা।

বুড়ি দিদার প্রশ্ন- এই ভোর দূপুর বেলায় পেন নিয়ে কি করবি ?

ভোম্বল – পড়বো, টিউশনের অনেক পড়া দিয়েছে, না করতে পারলে মারবে বলেছে মাস্টার।

বুড়ি দিদা– বাব্বা আজকে সূর্য কোন দিকে উঠেছে রে, যাকে কিনা রোজ রোজ পড়ার জন্য সারাক্ষণ পেছন পেছন কুকুরের মতো ঘা ঘা করতে হয় আজকে সে কিনা ভোরদূপুর বেলায় নিজে থেকে পড়তে বসেছে।

ভোম্বল – এত অবাক হওয়ার কিছু নেই, কাল থেকে প্রতিজ্ঞা নিয়েছি এবার থেকে ভালোভাবে পড়াশুনা করবো, কেষ্টা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পায় বলে মা আমাকে অনেক খারিটোঠা শোনায়, এবার মা কে প্রমাণ করে দেবো যে আমিও ভালো পড়াশোনা করতে পারি। এই বলে ভোম্বল চলে গেলে পরে,বুড়িদিদার মনে হতে লাগলো

মজার মজার গল্প
মজার মজার গল্প

বুড়ি দিদা বলে উঠল- ছেলেটার বোধহয় এতদিনে মতি ফিরেছে ।

পাড়ার এক মহিলা হাতে একটা ধপধপে সাদা কাগজের খাম নিয়ে ভোম্বলের বাড়িতে আসে, বুড়ি দিদা তখন বাড়ির বাইরে বসে পাতা দড়ি দিয়ে ছাঁচুন বাঁধছিলো।

-জ্যাঠিমা ভোম্বলের মা ঘরে আছে?

দিদা – না গো ব্যাঙ্কে গেছে চলে আসবে এখুনি।

মহিলা- এলে এই খামটা তোমার বৌমাকে দিয়ে দিও।

মহিলা কাগজের খাম টা হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে যাবে, ছাদের একটি জানালার দিকে নজর গিয়ে পড়তেই, ধেমকে দাঁড়ায়।

মহিলা- ও জ্যাঠিমা তোমাদের ছাদের জানলা দিয়ে গপ গপ করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে কেনো গো ?

দিদা- কই দেখি! সত্যি তো! আগুন টাগুন লেগে গেলো নাকি! ও সত্য রে, ও ভোম্বল রে- ঘরে আগুন লেগে গেছে রে, কে কোথায় আছিস বেরিয়ে আয় রে, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেলো,হায় হায় হায়।

মায়ের এই বিকট চিৎকার এ বেচারা সত্যরাম মানে ভোম্বলের বাবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তড়িঘড়ি করে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে। এমনকি চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির মতিলাল হাতে বালতি নিয়ে দৌঁড়ে আসে

হাসির মজার মজার ঘটনা
হাসির মজার মজার ঘটনা

সত্যরাম- কোথায় আগুন কোথায় ?

দিদা বলে উঠল- ওই দেখ কানাচোখো, ছাদের উপর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে! সত্য, মতিলাল ও বুড়ি দিদা তিনজনে তিন বালতি জল নিয়ে ছাদের উপর উঠতেই দেখলো, ভোম্বল গামছা দিয়ে ধোঁয়া এড়ানোর চেষ্টা করচ্ছে, এদের তিনজনকে দেখে সে থমকে দাঁড়ায়।

সত্য তোর ছেলে তো বিড়ি খাওয়া শিখেছে। সত্য ভোম্বলের কান ধরে মারতে মারতে হিড় হিড় করে ছাদ থেকে নামিয়ে নিয়ে আসে। সেই দিন থেকে গত দু-দিন ধরে বাবার হাতে আচ্ছারকম পেদানি খেয়ে জ্বরে ভুগচ্ছে ভোম্বল।

মানিক বাসুলী

গল্পের প্লটে-
পড়ুনঃ- ছোট ছোট মজার গল্প 

মজার মজার গল্প :- “সিগারাস্ত্র”

শীতের সকালের টিউশন ছিল। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে টিউশনে যাচ্ছি। শীতকালে হাগু করতে যাওয়ার কষ্টের সমান কষ্ট হল এই টিউশন যাওয়ার কষ্ট টা। সুখ শয্যা ছেড়ে টিউশনে যাওয়া জীবন্ত অবস্থায় নরক যাত্রার সমান।

মোদ্দা কোথায় আসি, আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে যাচ্ছি টিউশনে। আমাদের এই সকাল সকাল নরক যাত্রার উপলব্ধি প্রদানকারী টিউশন যাত্রীদের দলে কয়েকজন বন্ধু ছিল, যারা শীতের দিনে সাথে বিড়ি বা সিগারেট নিয়ে আসত। উদ্দেশ্য একটাই যদি প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে যেতে থাকে হাত, যদি থেমে যেতে থাকে ফুসফুসের সেই ডিস্কো ড্যান্স যদি গতি হারায় রক্ত থেমে যেতে থাকে মস্তিস্কের জটিল কর্মলীলা তখন ব্রহ্মাস্ত্র হিসেবে বাঁচাতে আসবে এই এক টাকার বিড়ি অথবা পাঁচ টাকার সিগারেট।

সে যাই হোক এরকমই একদিন সিগারেট মুখর দিনে টিউশন যাত্রা কালে দুইজন ফেলেন্ড এর মনে হল তাদের হাত জমে আসছে, জমে আসছে ফুসফুস। তাই গুপ্ত স্থানে আদরে সুপ্ত অবস্থায় রাখা ব্রহ্মাস্ত্র বেড় করা হল। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়াল সেই ব্রহ্মাস্ত্র কে জাগরিত করার মন্ত্র অর্থাৎ দেশলাই কারুর কাছে নেই।

funny bengali story
funny bengali story
<

এরপর শুরু হল গবেষণা। এমন গবেষণা যেটা NASA এর বিশাল বিশাল বড় বড় স্ক্রিনের সামনে বসে থাকা গবেষকের দলের চিন্তার থেকেও বিশাল। শেষে ঠিক করা হল, হাতের তাপে সিগারেট জ্বালানো হবে। যেমনি ভাবা তেমনি কাজ সবাই মিলে হাতে হাত ঘষে হাতের তাপ দিয়ে সিগারেট জ্বালানোর চেষ্টা চলছে।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না দেখে শেষে একজন বুদ্ধি দিল পাথরে পাথরে ঘষে আগুন জ্বালানো যেতে পারে। অনেক চেষ্টা করেও আগুন জ্বালানো যাচ্ছে না। শেষে রাস্তা দিয়ে একজন যাচ্ছিল বাইক নিয়ে তার বাইক দাড় করিয়ে গরম সিলিন্ডারে সিগারেট লাগিয়ে জ্বালানো হল সিগারেট।

পড়ুন:- হাসির গল্প প্রেম কেলেঙ্কারি 

যেন হৃদ:- য়ে প্রাণ ফিরে এল ওদের প্রথম টান দিতেই। এদিকে একজন মহা আনন্দে টেনে যাচ্ছে, হঠাৎ নজর গেল রাস্তার দিকে। আমরা দেখলাম যে আমাদের টিউশন এর স্যার বাইক নিয়ে আসছেন। আবার এদিকে একজন সবে মাত্র সিগারেট টেনেছে ধোঁয়া এখনও তার শরীরের ভিতরে।

সে না পারছে ধোঁয়া ছাড়তে না পারছে সেটাকে হজম করতে। স্যার কাছে আসতেই ছেলেটার পিছন দিয়ে বেড়িয়ে গেল এক মহা ধামাকা। সবাই বুঝতে পারলাম সে সিগারেটের ধুঁয়া মুখ দিয়ে বেড় করতে পারে নি বলে পিছন দিয়ে গ্যাসের আকারে বেড় করেছে। এত সুন্দর ধুঁয়া প্রসেসিং ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষও যে থাকতে পারে সেদিন প্রথম বুঝেছিলাম।

উড়নচণ্ডী

গল্পের প্লটে-
গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে। 

সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও বা অডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।

পড়ুনঃ- 

১৮+ কমেডি জোকস 

ছোট ছোট হাসির গল্প 
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক Group - গল্প Junction 

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)
Spread the love

Leave a Reply