আজ আমরা হাজির কিছু বাংলা মজার জোকস নিয়ে। এই বাংলা হাসির কৌতুকগুলি আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। বাংলা ফানি জোকস সম্পর্কিত আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না। মজার জোকস
মজার জোকস।বাংলা হাসির কৌতুক।
সুমন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, একটি মেয়েকে দেখে তার ভালো লেগে গেল, সে মেয়েটাকে দেখে চেঁচিয়ে বলল- I love you, এটি শুনে মেয়েটি সুমনের কাছে এসে, জোরে একটা চড় মেরে দিয়ে বলল- “কি বললি?” সুমন গালে হাত ঘষতে ঘষতে মেয়েটাকেও জোরে চড় মেরে দিয়ে বলল, “যদি শুনইনি, তাহলে চড় কেন মাড়লে?”
আমাদের গ্রামের গুড্ডুর প্রশ্নঃ- “Apple, Microsoft, Facebook, Amazon বড় বড় কোম্পানি গুলির মালিক তো সবই ছেলে, তাহলে মেয়েরা পরীক্ষায় এত নাম্বার পেয়ে করেটা কি?” পাশ থেকে টুনুর উত্তরঃ- “কি আর করবে, মেক-আপ কিনে নষ্ট করে হয়ত?”
পতি পত্নীর ঝগড়া হয়ে গেছে, প্রায় অর্ধেকটা দিন কেউই কারো সাথে কোনো কথা বলল না। বিকেলের দিকে পত্নী স্বামীর কাছে এসে বলল, “দেখ এভাবে ঝগড়া করে, মুখ গোমড়া করে বসে থেকে লাভ নেই। আমাদের সমস্যা আমাদেরই মিটিয়ে নিতে হবে। তাই তুমি কিছুটা compromise কর আমি কিছুটা করি।” এটি শুনে স্বামী বলল- “ঠিক আছে, আমাকে কি করতে হবে?”
স্ত্রী বলল- “তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, যে এরকম আর করবেনা। আর আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিই। ব্যস compromise.”
এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে একটি কুকুর মরে পড়ে ছিল, পৌর নিগমের কর্মীরা সেটি সরাচ্ছে না দেখে সেই ব্যক্তি পৌর নিগমের দপ্তরে ফোন করে বললেন- “ আমার বাড়ির সামনে একটি কুকুর সকাল থেকে মরে পড়ে আছে, এটিকে তুলে নিয়ে যান।“ কিন্তু অপরদিক থেকে উত্তর এল-“ওখানেই কবর দিয়ে দিন”
এতে সেই ব্যক্তি রেগে গেলেন, কিন্তু শান্ত সুরে বললেন- “হ্যাঁ আমি ওটাই করছি, কিন্তু হঠাৎ খেয়াল হল এই কুকুরটির বাচ্চাদের খবর দিয়ে দিই, যে তার বাবার অন্তিম দেখা দেখতে আসবে তো আসুক।“
আমাদের পাশের বাড়ির কাকিমা মাংস রান্না করেছে, সেই মাংসের গন্ধ পুরো এলাকা ছড়িয়ে গেছে। গন্ধ পেয়ে আমি এই নিয়ে ছয়বার গেলাম কাকিমার বাড়ি, আরও কয়েকবার যাব, যদি মাংস খেতে দেয় দিবে, নাহলে আমার আবার অত মাংস খাবার লোভ নেই।
টুনু পাড়ার ছেলেদের জ্ঞান দিচ্ছে- দুই প্রকার মেয়ের পেছনে কখনো ঘুর ঘুর করবে না। পাড়ার ছেলেরা বলল- কোন কোন মেয়ে। টুনু বলল- এক, যে মেয়ের পেছনে আমি আছি, কারণ এই মেয়ে তোমাদের দ্বারা পটবে না। আর দুই, যে মেয়ের পিছনে আমি ঘুরি না, কারণ ওই মেয়েটিকে আমিই পটাতে পারিনি, আর তোমাদের দ্বারা ঘচু পটবে?
একটি বাচ্চা তার মাকে- “মা গান্ধীজীর মাথায় চুল কেন ছিল না?” মা-“কারণ তিনি সত্যবাদী ছিলেন, তিনি সবসময় সত্য কথা বলতেন।“ এটি শোনার পড় বাচ্চাটির উত্তর- “ও আচ্ছা, ওই জন্যই তাহলে মেয়েদের মাথায় চুল বড় বড় আর খুব ঘন, কারণ তারা মিথ্যে বেশি বলে।“ সঙ্গে সঙ্গে দুটি থাপ্পড়, আর শাসানি- “আজ তোকে কোনো খাবার দেওয়া হবে না।“
এক ব্যক্তি তার মৃত স্ত্রীকে কবর দিয়ে বাড়ি ফিরছিল, কিন্তু রাস্তার মধ্যেই হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হয়ে গেল, প্রচুর জোরে জোরে হাওয়া বইতে শুরু করে দিল। ঝড়ের পরিস্থিতি সৃষ্টী হল। সেই ব্যক্তিটি আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল- “মনে হয় পৌঁছে গেছে, আর পৌঁছেই তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে, আমার পাগলীটাও পাড়ে বটে!”
এক ব্যক্তি ডাক্তারকে- “ ডাক্তার বাবু, তাড়াতাড়ি আমার বাড়ি চলুন, আমার স্ত্রীর অ্যাপেন্ডিক্সে প্রচুর ব্যাথা হচ্ছে।“ এটি শুনে ডাক্তার বললেন-“ বোকা কোথাকার, তোমার স্ত্রীর অ্যাপেন্ডিক্স আমি একবছর আগেই অপারেশন করে বাদ দিয়ে দিয়েছি। পৃথিবীতে এরকম কোনো মানুষ নেই যার দুটি অ্যাপেন্ডিক্স আছে।“ এটি শুনে লোকটি বলল- “রিলেক্স ডাক্তার বাবু, রিলেক্স। পৃথিবীতে এরকম কোনো মানুষ নেই, যার দুটি অ্যাপেন্ডিক্স থাকতে পাড়ে, কিন্তু এরকম মানুষতো আছে যার দুটি বউ থাকতে পাড়ে,” ডাক্তারের জবাব বন্ধ।
শাশুড়ি দূরদেশে আর্মিতে কর্মরত জামাইকে চিঠি লিখছে-“প্রিয় জামাই, তুমি আমার কন্যা এবং নাতি কে ছেড়ে অতদুরে আরামে আছ নাকি? তাড়াতাড়ি কোনো বাহানা বানিয়ে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে আস।“ এর জবাবে, আর্মিটি লেখে- “শ্রদ্ধেয় শাশুড়ি মা, এই চিঠির সাথে আপনি একটি বাক্স পাবেন, সেখানে গ্রানাইড নামে একটি জিনিস আছে, সেটাতে দেখবেন একটি পিন আছে, গ্রানাইডটি হাঁতে নিয়ে পিনটি টেনে খুললেই আমি একেবারে ১৩ দিনের জন্য ছুটি পেয়ে যাব।“
একজন ধনী ব্যক্তি একজন গরীব ব্যক্তিকে- “ আমার কাছে ৮ টি গাড়ি আছে, ১০টি ফ্ল্যাট আছে, ৫ টি হোটেল আছে, তোর কাছে কি আছে শুনি?” গরীব মানুষটির উত্তর- “ আমার কাছে একটি ছেলে আছে, আর যার গার্লফ্রেন্ড হল তোমার একমাত্র মেয়ে। তোমার মেয়ে আমার ছেলেকে ছাড়া বাচবেনা, হুম এবার বল কি যেন একটা হিসাব শোনাচ্ছিলে!”
টুবলুর বাবা, টুব্লুকে বেজায় পেটাচ্ছে, আর টুবলু বেজায় চিৎকার করছে, এটি শুনে প্রতিবেশী এক যুবক টুবলুর বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন- “আরে কি হল, এত মারছ কেন?” টুবলুর বাবার জবাব-“ কারণ কাল এর রেজাল্ট আসবে। প্রতিবেশী-“ রেজাল্ট কালকে দিবে তাহলে আজ মারছ কেন?” টুবলুর বাবার জবাব- “আমি আজকেই ব্যবসার কাজে বাইরে যাচ্ছি, কাল থাকব না তাই আজকেই কাজ সেরে রাখছি”
সম্ভবত এটাই হল overconfidence.
এক যুবকের নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে, সে সকাল হলেই ঘুম থেকে উঠে তার ঘুমন্ত স্ত্রীর উপড়ে জল ঢেলে দিত, একদিন তার স্ত্রী রেগে গিয়ে বলল-“ এই সব বাজে অভ্যাসের মানে কি” এটি শুনে সেই লোকটি বলল-“ আমার শ্বশুর মশাই বলেছেন, আমার মেয়ে হল ফুলের কলির মত, ওকে একটু যত্ন করো, তাই আমি যত্ন করছি, কারণ জলের অভাবে যদি ফুলের কলি নিস্তেজ হয়ে যায়!
গাধা- আমার মালিক আমাকে খুব মার দেয়।
কুকুর- তাহলে তুমি পালিয়ে যাও না কেন?
গাধা-আসলে, মালিকের সুন্দর মেয়ে যখন বই পড়ে না তখন মালিক তার মাথায় চাঁটা মেরে বলে, “তোমার বিয়ে গাধার সাথে দিব” ব্যাস এই কথাটিকে ভরসা হিসেবে ধরে রেখে, আজও টিকে আছি ভাই।
গুড্ডু জোরে জোরে কাঁদতে কাঁদতে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামছে, এটি দেখে তার মা তাকে জিজ্ঞাসা করল- “কি ব্যাপার কাঁদছ কেন?” গুড্ডু বলল- বাবা উপরের ঘড়ে দেওয়ালে হাতুড়ি দিয়ে কাঠি মারছিল, বাবার আঙ্গুলে হাতুড়ি লেগে যায়…” কথাটা শেষ হতে না হতেই গুড্ডুর মা বলল- “এটা আর এমন কি কারণ হল?, কাঁদতে নেই চুপ কর, এবার একটু হাঁসি দাও তো।” গুড্ডু আবার জোরে কেঁদে বলল- “উপড়ে সেটাইতো করেছিলাম।“
সাইকেল চালিয়ে এক ব্যক্তি বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন, রাস্তায় যেতে যেতে তিনি সাইকেল দিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মেরে দিলেন। দুইজনই উঠে ধুলো ঝারতে লাগলেন। এবার সাইকেল চালক বললেন- আপনি খুবই ভাগ্যবান।
এটি শোনার পড় অপর ব্যক্তি রেগে গিয়ে বললেন- আরে ওই, আমাকে ধাক্কা মেরে আবার আমাকেই বলছ আমি ভাগ্যবান?”
সাইকেল আরোহী বললেন-“ অবশ্যই আপনি ভাগ্যবান কারণ, আমি ডাম্পার চালাই, আর আজ আমি ছুটিতে আছি।“
আরও পড়ুনঃ- বাংলা চরম হাসির মজার গল্প
খান স্যারের মোটিভেশনাল বক্তব্য
টুনু গভীর চিন্তায় আছে, তার বাবা তাকে চিন্তার কারণ জিজ্ঞাসা করলে টুনু বলল-“ আমি কখনো কখনো খুব চিন্তায় থাকি জানো তো বাবা, আমি ভাবি যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এর লোকেরা যখন তাদের আধার কার্ড জেরক্স করে তখন তাদের কি অবস্থা হয়?”
তমাল ডাক্তারের কাছে গেল, কারণ তার পা নীল হয়ে গেছে, এটি দেখে ডাক্তার কোনো টেস্ট না করে সরাসরি বলে দিলেন- তোমার পায়ে বিষ জমা হয়েছে, তোমার পা কেটে বাদ দিতে হবে, নাহলে তুমি মারা যেতে পারো। এরপর তমালের পা কেটে বাদ দিয়ে নকল পা লাগিয়ে দেয় ডাক্তার, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি, এই নকল পা-টিও নীল রঙের হয়ে যায়, এটি দেখে ডাক্তার চিন্তায় পড়ে যান। কয়েকদিন পড় জানা যায় যে, তমালের নতুন জিন্সের রং তার পায়ে একদম বসে গেছে, এই খবর টি চাওর হওয়ার সাথে সাথেই সেই ডাক্তার বেপাত্তা।
আমাদের টেলিগ্রামে আড্ডা দেওয়ার গ্রুপ :- https://t.me/charpatraOfficial
এই বাংলা মজার জোকস (bangla jokes) গুলি আপনাদের কেমন লাগল, তা জানাতে অবশ্যই ভুলবেন না।
চাইলে আপনিও লিখতে পাড়েন আমাদের সঙ্গে। আমাদের লেখা পাঠানোর জন্য এই পেজের একটু নীচে “আপনার লেখা প্রকাশ করুন” নামে একটি বোতাম আছে, সেখানে ক্লিক করে আপনি সহজেই আমাদের লেখা পাঠাতে পাড়েন। চাইলে আমাদের অবাক বিশ্ব -র ফেসবুক পেজ অথবা গল্প আর গল্প– ফেসবুক পেজের messenger এও পাঠাতে পাড়েন।
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।