শুনলাম আপনি নাকি আজকাল মুখ গোমড়া করে বসে থাকছেন। তাই আপনার জন্য বেশ কয়েকটি প্রচন্ড হাসির গল্প নিয়ে আসা হয়েছে আজ। দেখুন তো আপনার মন ভাল হয় কিনা। আমি নিশ্চিত আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।

প্রচন্ড হাসির গল্প। Hasir golpo:-

স্বামী স্ত্রীর মজার কথোপকথনঃ-

আজকে আমার ভাগ্য ভালো। এক মন্ত্রী মারা গেছেন, ছুটি পেয়ে গেলাম তাই তাড়াতাড়ি। মৃত্যু সংবাদে মানুষ দুঃখ পায়। কিন্তু এ দেশে নেতা মারা গেলে মানুষ খুশি হয়‌। কারণ নতুন করে হেভিওয়েট নেতা তৈরি হতে একটুতো সময় লাগবে। সেই কয়েকটি দিন স্বস্তি। তবে আমার আনন্দের কারণ আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী।

কিন্তু বাড়িতে ঢুকে বউ কে দেখে বেশি খুশি মনে হলো না বোধহয়। কারণ টিভি দেখার সময় একটু আধটু ফোরন কাটিতো তাই। এক গুচ্ছ টিউলিপ এনেছি দেখে বললো- “বরং দোপাটি আনলে কাজে দিতো কাল পূজায় দিতে পারতাম …”
একটু কাচুমাচু মুখ করে বললাম “আজকের দিনটার কথা কি তুমি ভুলে গেছো”.
ও বললো ” বুড়ো বয়সে ভীমরতি! “
তবুও আমি আমার উৎসাহ কম না করে বললাম- “আজ বাড়িতে কেউ নেই,  শুধু তুমি আর আমি…”
ও বললো ” ঠিক বলেছো, আজ তাহলে ভাত আর আলু সিদ্ধ খাবো।”

কি আর বলবো রাগটা সামলে বললাম “বলছিলাম, আজ বাইরে খাবো”
ও বললো ” কোন অসুবিধা নেই, নতুন মাদুর কেনা আছে, ছাদও ধোয়া আছে। ছাদে চাঁদের আলোতে খেলে ভালো হয় ইলেকট্রিক বিলও বেঁচে যাবে।”
ভেতরে ভেতরে খুবই রাগ হচ্ছিল! জানি ও এসব ইচ্ছে করে করছে এই দিনটার কথা ভুলে যায় নি ও মোটেও, ভুলে যাওয়ার অভিনয় করছে।

তাই আরো একটু রোমান্টিক হয়ে বললাম ” আজ সারারাত ধরে আমরা গল্প করবো।”
ও বললো ” কি জন্যে”
আমি একটু রেগে গিয়ে, ওর সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিয়ে বললাম- “ডাক্তার বাবু বলছিলেন আমি যখন তখন মারা যেতে পারি। ধরো যদি কালই মরে যাই তাহলে কি হবে?”
ও একটু চুপ চাপ হয়ে গিয়ে বললো ” তাহলে তো আরোই গল্প করাই যাবে না। কারণ তোমার মৃত্যুর খবর শুনে লোকজন হাজির হবে, বাড়িতে অনেক কাজ বেড়ে যাবে, একা অতো কাজ করতে অসুবিধা হবে। তাই এখন ভালো করে ঘুমিয়ে নিতে হবে।”

আমি বললাম ” তুমি এতো নিষ্ঠুর কেন? আজকের দিনের কথা তুমি ভুলে গেলে।”
ও বললো , ” আজ সকালে তো তোমার কোন কিছু মনে ছিলো না। হঠাৎ ছুটি পাওয়ায় সব কিছু মনে পরলো।”

আমি চুপ চাপ সরে যেতে চেষ্টা করলাম কারণ এর পর ঝগড়া শুরু করে দেবে। তাই হল, আমার বউ কান্না কান্না গলায় বলল “আমি পুরো ঘর সামলাই, রান্নাঘর সামলাই, বাচ্চাদের সামলাই… আর তুমি কী করো? আমাকে এতো বছর একদিন একটু সুখ শান্তিও দিলে না”

প্রচন্ড হাসির গল্প
প্রচন্ড হাসির গল্প

আমি একমত হয়ে বললাম “আমি নিজেকেই সামলাতে পারি না। “
আমার বউ বললো “কেন? “
আমি বললাম- “তোমার ওই মায়াবি চোখ দু’টো দেখে আমি হারিয়ে যাই। “
অভিমান ভুলে সে বলল- “উফঃ তুমিও না!”
আমি একটু আলিঙ্গন করে বললাম ” আজকের দিনে কিছু একটা উপহার চাও যেটা আমি দিতে পারবো”

ও বললো ” ঠিক আছে আমার কলির কৃষ্ণ, পাশের বাড়ির রিনা, আর উপরের তালার সোমা বৌদির হাত থেকে ভাই ফোঁটা নিয়ে নিও আর কিছু চাই না!”
আমি মনে মনে ভাবলাম বৌরা নিজের ছেলেকে জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণ সাজায়। অথচ বরের মধ্যে কৃষ্ণের গুন দেখলেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে কেন জানি না বাপু।

পড়ুনঃ- বিস্কুট রহস্য। ফানি থ্রিলার গল্প

ফুচকা কাহিনীঃ-

মনসু পাড়ার মানব বাবু। তিনি কথায় কথায় ফুচকার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এই যেমন ওইদিন বটতলার মোড়ে একটা একজন মহান লেখিকার কবিতা নিয়ে চর্চা হচ্ছিল, মানব বাবুকে দেখলাম সেখানে তিনি কথাটা কিভাবে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে আবার সেই ফুচকার প্রসঙ্গ নিয়ে এলেন।

আমি একদিন তাকে বাগে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম- “আচ্ছা মানব দা, আপনি কথায় কথায় এত ফুচকাকে টেনে আনেন কেন বলুন তো? এই ফুচকার সঙ্গে আপনার ঠিক কি সম্পর্ক!

দাদা বললেন- “আমি বারবার ফুচকা বলি কেন জানো। এটা নিয়েও আমার জীবনে একটা ইয়া বড় দুঃখের গল্প আছে।

কিছু বছর আগের কথা, তখন কারিশমা কাপুরকে আমি বিয়ে করবো বলে ঠিক করেছি। সিনামাতে দেখেছি, ঐ একটাই নায়িকা যে, বড়লোক হয়েও চাকর বাকর, কুলিকে বিয়ে করছে। পরিকল্পনা মাফিক, একটা ফুচকার দোকান খুললাম ওর বাড়ির সামনে। দুই একদিন ফ্রিতেই খাওয়ালাম, প্রোপজ করতে হবে না!

prochondo hasir golpo
prochondo hasir golpo

কিছুদিন পড় মজা পেয়ে গেছে তাই আর ফ্রিতে খাওয়াই না। কিন্তু এখানেই বিপদ ও একদিন করিনাকে নিয়ে এলো। Zero ফিগার মেনটেন করে ও ফুচকাতো খেলোই না, উল্টে কারিশমার ফুচকা খাওয়াই বন্ধ করে দিলো!

ও দিন ওকে অভিশাপ দিয়েছিলাম, তাই তো ওর দুই ছেলের বাপ, একটা বুড়ো ভাম বর জুটলো আধপোড়া কপালে!

পড়ুন- ফানি গল্প- এটা ২০৮৭ সাল বস 

হাসির গল্পঃ-

বেশ কয়েকশ বছর বিয়ে হয়েছে এক পিশাচ আর এক পিশাচিনীর।  আজ সকাল থেকেই ঘুমাতে দিচ্ছেনা পিশাচ পিশাচিনীকে । বক বক করেই চলেছে পিশাচ। পিশাচ বলছে “এবার ভুত চতুর্দশী তে তোকে সাত নলী হাড় বানিয়ে দেবো। Halloween day তে
তোকে সুইজারল্যান্ড নিয়ে যাবো। Marriage dayতে মার্সিডিজ গাড়ি কিনে দেবো”

ঘড়িতে দুপুর বারোটা বাজে দেখে। পিশাচিনী বলে উঠলো , ” তোকে বলেছি না, যাই করিস কর, কোনো নেতা মন্ত্রীর রক্ত খাবি না। ওই সব ছাই পাশ গিলে এসে এই মাঝ রাতে, আমার ঘুমের বারোটা বাজাবি না।”

bangla hasir golpo funny
bangla hasir golpo funny
<

ফানি গল্পঃ-

শেষ যাত্রায় আর রক্ষা করতে পারলাম রতন জেঠু কে। শেষ দিন পর্যন্ত ভীষণ ঝগড়া করছিলো জেঠার সাথে রাঙা জেঠীমা। মনের দুঃখেই গলায় দড়ি দিয়ে জেঠা জেঠীমার থেকে মুক্তি পেতে চাইল।

পড়ের দিন সকালে উঠে দেখি জেঠীমা নেই। একখানি পত্র লিখে গেছেন আমাদের জন্য- ” বাবারা তোদের কাছে দুঃখের কথা কি বলব আর! তোদের জেঠা মশাই এর স্বভাব চরিত্রের কথা। তোরা জানিস কয়েক দিন ধরে চাঁপাদের পুকুর পাড়ে ঘোরাঘুরি করছিল। আমি নিশ্চিত চাঁপা পেত্নীটা ওর ঘাড়ে চেপেছে। বুড়ো বয়সে ভীমরতি।মরে গিয়ে পাড় পাবে ভেবেছে। আমিও চললাম, ওর ফোস্টি নোস্টি করা ঘুচাবো।”

জেঠীমার নিথর দেহ, নামাতে নামাতে ভাবলাম। ভুত হয়েও এ যাত্রায় রক্ষা নেই জেঠা মশাই এর। কে আবার বললো “ঐ জন্যই বোধহয় আজ ভোরের বেলায়, চাঁপাদের পুকুর পাড়ে গাছগুলো খুব দুলছিলো, যেনো ঝড় বইছে ওখানে।”

প্রেরক- মানব মণ্ডল facebook

প্রচন্ড হাসির গল্প গুলি যার কলমে লিখিত হয়েছে-
আপনার লেখা অসাধারণ গল্প গুলি আমাদের পাঠান সরাসরি WhatsApp এর মাধ্যমে। click here. 
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবেঃ-
ফেসবুক গ্রুপ- গল্প junction

ফেসবুক- ছাড়পত্র 

টেলিগ্রাম- Charpatraofficial

WhatsApp group- ছাড়পত্র(২) 

প্রচন্ড হাসির গল্প। prochondo hasir golpo. hasir golpo. bangla hasir golpo”

Spread the love

Leave a Reply