Spread the love

আজকের ব্লগে আমরা পৃথিবীর অদ্ভুত জিনিস সম্পর্কে আলোচনা করব। পৃথিবীর নানা প্রান্তে লুকিয়ে রয়েছে নানান অজানা রহস্য। এই অজানা রহস্য গুলি সমাধান করা সম্ভব হয়নি আজও। তাহলে জেনে নিই পৃথিবীতে প্রাপ্ত কিছু অদ্ভুত জিনিস সম্পর্কে।

পৃথিবীর অদ্ভুত জিনিস।।অজানা তথ্য

রহস্যময় কঙ্কালঃ-

একদল রিসার্চার সুইডেনের একটি জায়গায় অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন, এমন সময় তারা একটি প্রত্নতাত্ত্বিক বাড়ির মেঝেতে একটি কঙ্কাল খুঁজে পান। গবেষকরা এটা ভেবেই বিস্মিত হচ্ছিলেন যে, এই একটা মানুষকেই কেন কবর দেওয়া হয়নি? কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় কিছুক্ষণ পড়ে তারা আরেকটি এমন কঙ্কাল খুঁজে পেলেন, এরপর আরও একটি।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়, প্রাপ্ত কঙ্কালগুলির প্রত্যেকটিরই তরোয়াল এবং কুঠার দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপর তাদের বাড়ির দেওয়াল গুলি তাদের উপর ধ্বসিয়ে দেওয়া হয়, এমনটাই মনে করেন গবেষক দলের একাংশ। তাদের মতে এটি একটি হত্যাকাণ্ড ছাড়া আর কিছুই নয়।

এরকম প্রায় ২৬ টি মানুষের কঙ্কাল তারা খুঁজে পেয়েছিলেন। এদের মধ্যে আবার একটি অর্ধ খাওয়া মাছের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এখান থেকে মনে করা হয় যে, এই আক্রমণটি যারা করেছিলেন, তারা হঠাৎ করেই করেছিলেন। তবে কে বা কারা, কি জন্য এই আক্রমণটি করেছিলেন তার কোনো প্রমান খুঁজে পাননি গবেষকরা।

পৃথিবীর অদ্ভুত জিনিস
পৃথিবীর অদ্ভুত জিনিস

রহস্যে ভড়া মূর্তিঃ-

১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে চিনে কিছু শ্রমিক একটি কুয়োর জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন। তারা কিছুদূর মাটি খোঁড়ার পর, একটি পরিপূর্ণ আকারের সৈন্যের মূর্তি খুঁজে পান। তারা ভেবেছিলেন এটা বিশেষ কোনো বস্তু হবে, কিন্তু তারা জানতেন না যে, তারা যে জায়গায় কাজ করছেন, সেই জায়গার মাটির নিচে লুকিয়ে রয়েছে অনেক অজানা রহস্য।

এই মূর্তি খুঁজে পাওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই, সেখানে প্রত্নতাত্ত্বিকের দল চলে এলেন। তাদের হিসেব মত, সেখানে প্রায় ৮০০০ টি কাদামাটির তৈরি এরূপ মূর্তি আছে। এই মূর্তি গুলির বেশীরভাগই যোদ্ধার মূর্তি। প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে অস্ত্র। আবার সেখানে টেরাকোটার কিছু ঘোড়ার মূর্তি এবং যুদ্ধের রথও পাওয়া গিয়েছে।

এই মূর্তিগুলি সম্ভবত খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ২৪৬ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল। আবার এদের আশেপাশে কিছু নৃত্যরত মানুষের মূর্তিও পাওয়া গেছে। কে বা কারা, কিজন্য এতগুলি মূর্তি তৈরি করেছিল, তার কারণ নিয়ে আজও ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।

চিনের রহস্যময় টেরাকোটার মূর্তি
চিনের রহস্যময় টেরাকোটার মূর্তি অজানা রহস্য

ছয় ইঞ্চি মানব কঙ্কালঃ-

২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে চিলির আটাকামা মরুভূমিতে মাত্র ছয় ইঞ্চি লম্বা মানব কঙ্কালের মত বস্তু আবিষ্কৃত হয়। এটি খুঁজে পাওয়ার পর থেকেই এটি এলিয়েন না মানুষের কঙ্কাল তা নিয়েই বিতর্ক চলতে থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে বৈজ্ঞানিকেরা জানান যে, এটি কোনো এলিয়েন নয়, বরং এটি একটি কন্যা ভ্রুনের মানব শিশু। সে হাড়ের সমস্যায় ভুগছিল।

প্রায় সমতল এবং ঢোকানো চোখ বিশিষ্ট এই মানব ভ্রুনের কঙ্কালটি ইন্টারনেট জগতে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই সবাই অন্য গ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন বলতে থাকেন। কিন্তু এই বিতর্কের মাঝেই স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই কঙ্কালটির ডি-এন-এ টেস্ট করেন, এবং এই টেস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে আসা হয় যে, এই কঙ্কালের ডি-এন-এ এবং মানুষের শরীরে প্রাপ্ত ডি-এন-এ এর মধ্যে মিল রয়েছে।

আর হ্যাঁ এই কঙ্কালটি প্রায় ৪০ বছরের পুরানো। অর্থাৎ আটাকামা মরুভূমিতে প্রায় ৪০ বছর ধরে এই কঙ্কালটি পড়ে ছিল।

ছয় ইঞ্চি মানব কঙ্কাল 6 inch skleton
ছয় ইঞ্চি মানব কঙ্কাল 6 inch skeleton বিশ্বের অদ্ভুত জিনিস
<

রহস্যময় রেডিও সিগন্যালঃ-

আজ থেকে প্রায় ১৪ বছর আগের কথা, গবেষকেরা মহাকাশ থেকে কিছু রেডিও সিগন্যাল পায়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই রেডিও সিগন্যালগুলি পেয়েই যাচ্ছেন তারা। আশ্চর্যের বিষয় হল এই তীক্ষ্ণ রেডিও সিগন্যালগুলি মাত্র কয়েক মিলি সেকেন্ড স্থায়ী হচ্ছে। তাই এর প্রকৃত উৎস সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা আজও জন্মেনি। মনে করা হচ্ছে যে, এগুলি কয়েক বিলিয়ন আলোকবর্ষ ধরে আসছে। তবে এগুলিকে এলিয়েনের পাঠানো ভাবলে ভুল হবে। এগুলির সঙ্গে এলিয়েনের কোনো সম্পর্ক নেই।

অজানা রহস্য ভয়ণীচ পাণ্ডুলিপিঃ-

পৃথিবীর একটি অন্যতম, অমীমাংসিত পাণ্ডুলিপি হল ভয়ণীচ পাণ্ডুলিপি। বিংশ শতাব্দীতে একজন বই বিক্রেতা এই পাণ্ডুলিপিটি  কিনেছিলেন। এই বইটির অনেক পৃষ্ঠা হারিয়ে গেছে। বর্তমানে এতে ২৪০ টি পৃষ্ঠা রয়েছে। এই পাণ্ডুলিপিটির পাতা গুলি বাছুরের চামড়ার সহযোগে নির্মিত। বর্তমানে এই পাণ্ডুলিপিটি ঈয়ালী ইউনিভার্সিটিতে সংরক্ষিত আছে।

এই পাণ্ডুলিপির অনেক পৃষ্ঠাতেই রয়েছে বিভিন্ন চিত্রালঙ্কার। কে বা কারা কি ভাষাতে এটী লিখেছে  সেটি পাঠোদ্ধার করা আজও সম্ভব হয়নি। লিখাগুলি অজানা ভাষায় লেখা এবং লেখার ধরণটিও অজানা। অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এটী পাঠোদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

তবে সবথেকে বেশি নজরকাড়ে বইটির চিত্রগুলি। চিত্রগুলি দেখে মনে হবে এটী পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহের বই। এটির ছবিগুলিতে গ্রহ এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের আভাষ পাওয়া যায়। আবার এই বইটির একটি ছবিতে দেখা যায়, সবুজ রঙের কিছু মহিলা একটি বড় পাত্রে কিছু একটা করছে।

২০০৯ সালে অ্যারিজোনা ইউনিভারসিটির গবেষকেরা কার্বন ডেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে নির্ণয় করেন যে, এটী সম্ভবত ১৪০৪- ১৪৩৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে লেখা হয়েছিল।

বইটির প্রতিটা পৃষ্ঠাতেই রয়েছে একটি বা দুটি উদ্ভিদের ছবি, আর কিছু লেখা। আবার কিছু ছবি দেখে মনে হয়, এগুলি জ্যোতির্বিজ্ঞানের কিছু চিহ্ন।

<
অজানা রহস্য ভয়ণীচ পাণ্ডুলিপি voynich manuscript
অজানা রহস্য ভয়ণীচ পাণ্ডুলিপি voynich manuscript অজানা রহস্য image form

আবার সবুজ রঙের কিছু মহিলা একটি পুকুরে স্নান করছে এবং এদের শরীরে কোনো জামাকাপড় নেই। আবার কোথাও মহিলারা ক্রাঊন পড়ে আছেন। এমন ছবিও রয়েছে সেখানে।

পৃষ্ঠা গুলিতে তারার মত বা ফুলের মত কিছু বস্তু আঁকা রয়েছে। আবার কোথাও রয়েছে, গোল বৃত্ত।

যেহেতু এই পাণ্ডুলিপিটি পাঠোদ্ধার করা আজও সম্ভব হয়নি, সেহেতু এটী নিয়ে সব দেশের গবেষকদের কাছে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।

অনেকের কাছে এই বইটিতে সম্ভবত চিকিৎসার কথা বলা রয়েছে, কারণ এখানে মানব দেহের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ছবি এবং গাছপালার ছবি রয়েছে।

যে কোনো পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকতে পাড়ে জলজ ভালুকঃ-

টারডিগ্রেড নামক এই প্রাণীটি এত ক্ষুদ্র যে একে খালি চোখে দেখা যায় না, একে দেখার জন্য মাইক্রোস্কোপের দরকার হয়ে থাকে। আবার অনেকেই একে জলজ ভালুক নামে জানেন। এই জীবটি পৃথিবীর অতিপ্রাচীন জীব গুলির মধ্যে অন্যতম। অষ্টপদ বিশিষ্ট এই প্রাণীটি জলে ভেসে চলাফেরা করে। আকারে ছোট্ট হলে কি হবে, চরম থেকে চরমতর পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা রয়েছে এর মধ্যে। এটি ৩০ বছর খাদ্য গ্রহণ না করেই বেঁচে থাকতে পাড়ে।

এমনকি এই জীবটির মহাকাশেও বেঁচে থাকার ক্ষমতা রয়েছে। সমুদ্র ছাড়াও, আদ্রতা যুক্ত স্থানগুলিতেও এদের পাওয়া যেতে পাড়ে। স্মিথসোনেইন ম্যাগাজিনের মতে এই জীবটি হিমাংকেরও অনেক নীচে প্রায় -৩২৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রাতেও বেঁচে থাকতে পাড়ে। এমনকি অত্যধিক উত্তপ্ত পরিবেশেও এটী বেঁচে থাকতে পাড়ে। তাদের মতে এই জীবটি ৩০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রাতেও বেঁচে থাকতে পাড়ে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, এই জলজ ভালুকটি তেজস্ক্রিয় বিকিরণ, বিভিন্ন চাপ এবং উষ্ণ তরলের মধ্যেও বেঁচে থাকে।

odvut jinis water bear
odvut jinis water bear বিশ্বের অদ্ভুত জিনিস

READ MORE-

47 Rare Known PSYCHOLOGY FACTS

ছেলেদের অজানা তথ্য

দুনিয়ার অমীমাংসিত রহস্য

এবারের বিষয়টি একটু আলাদা। এবার আমরা আলোচনা করব,

মেয়েরা শ্রাবণ মাসে সবুজ চুড়ি পড়ে কেন?

দেখা যায় যে, মেয়ে এবং মহিলাদের মধ্যে শ্রাবণ মাস পড়লেই সবুজ চুড়ি কেনার হিড়িক পড়ে যায়। আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই, রাস্তায় সবুজ চুড়ি পড়া মেয়ে দেখলেই মজা করি। নানান meme বানিয়ে তাদের মজা উড়াই। আবার অনেকেই হাঁতে সুন্দর ডিজাইনের মেহেন্দি পড়ে থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এর পেছনে আসল কারণটি কি? হয়ত জানেন না, চলুন আপনাকে জানিয়ে দিই, মেয়েরা শ্রাবণ মাসে সবুজ চুড়ি পড়ে কেন?

আমাদের প্রকৃতির রং হল সবুজ। শ্রাবণ মাস হল বর্ষার মাস, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাব-দাহে গাছপালা পশুপাখির করুন অবস্থার পর, শ্রাবণ মাসের হাত ধরেই আগমন হয় বর্ষার, কিছুটা স্বস্তি মেলে আমাদের জীবনে। অর্থাৎ শ্রাবণ মাসের হাত ধরেই গাছপালা সহ পশুপাখি অর্থাৎ প্রকৃতির মধ্যে শান্তি বিরাজের পথ প্রসস্থ হয়।

হিন্দু ধর্মের দেবতা শিবের প্রিয় রং হল সবুজ। আবার আমরা জানি যে, সবুজ হল- প্রেম, পসন্ন চিত্ত এবং খুশির প্রতীক। সুতরাং মেয়েরা সবুজ চুড়ির মাধ্যমে ভগবান শিবের প্রতি এবং প্রকৃতির  প্রতি  নিজের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে থাকে। সবুজ রঙকে সৌভাগ্যের প্রতীক মানা হয়ে থাকে।

আপনি হয়ত একটি কথা অবশ্যই শুনেছেন- “ সবাই শিবের মত বর চায়” আবার ভগবান শিবের প্রিয় মাস হল এই শ্রাবণ মাস এবং প্রিয় রং হল সবুজ। তাই এই শ্রাবণ মাসেই মেয়েরা ভগবান শিবকে খুশি করতেই সবুজ রঙের চুড়ি এবং বস্ত্র পরিধান করে থাকে। নিজের প্রিয়জনের মঙ্গল কামনায় ভগবানের কাছে একটি বার্তা হল এই সবুজ চুড়ি।

আপনি হয়ত জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহের কথা নিশ্চয় শুনেছেন। এখানে বুধ গ্রহকে মানুষের জীবনে সাফল্য এবং ক্যারিয়ার-এ উন্নতির প্রতীক মানা হয়ে থাকে। আবার শাস্ত্র মতে বুধ গ্রহের রং হল সবুজ। তাই বুধ গ্রহকে খুশি করার মাধ্যমে নিজের চলার পথকে সুগম করতেই এই আয়োজন।  

মেয়েরা শ্রাবণ মাসে সবুজ চুড়ি পড়ে কেন
মেয়েরা শ্রাবণ মাসে সবুজ চুড়ি পড়ে কেন

আমরা জানি যে, ফেব্রুয়ারি মাস হল প্রেমের মাস। কিন্তু সে তো আর আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি নয়! আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী প্রেমের মাস হল শ্রাবণ মাস। সুন্দর পোশাকে সজ্জিত হয়ে নিজের প্রিয়জনের দিকে হাত বাড়ানোর মাস এই শ্রাবণ মাস। তাই মেয়েরা সবুজ চুড়ি পড়ে, নিজের প্রিয়জনের মন আকর্ষণ করার চেষ্টা করে।

এটী জানার পর সেই মেয়েদের ধন্যবাদ, যারা এই মাসে সবুজ চুড়ি পড়েছে। কারণ তারা দেশীয় সংস্কৃতি মনে রেখেছে। আমরা বাঙালী হওয়া সত্যেও বিদেশী সংস্কৃতির দিকে বেশি আকর্ষণ দেখাই। কিন্তু সেই মেয়েরা এই প্রেমের মাসকে পালণ করে, দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান জ্ঞাপণ করছে। হূম অনেকের কাছেই হয়ত, প্রেম জিনিসটা আবর্জনা ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু যারা এটা ভাবছেন তারা ভুল, কারণ মানুষের শরীরের একটি অলংকার হল প্রেম। প্রেম বিহীন মানুষ হৃদয়হীন মানুষের ন্যায়।

আশা করছি বোঝাতে পারলাম, কতটা emotion জড়িয়ে আছে এই সবুজ রঙে। তাই কাউকে সবুজ চুড়ি পড়তে দেখে তার মজা করা বন্ধ করুন। নিজের ভাবনাকে পরিষ্কার রাখুন, ভাল থাকবেন।

এই বিশ্বের অদ্ভুত জিনিস গুলি জানার পর আপনার কোনো মতামত থাকলে তা আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আর নতুন আপডেটের জন্য আমাদের ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হতে পারেন। অজানা রহস্য।


Spread the love

Leave a Reply

অনুগ্রহ করে অ্যাড ব্লকার টি ডিসেবল করে আসুন।