কয়েকটি দারুন মজার গল্প থাকছে আজ। এই ছোট হাসির গল্প গুলি আপনাদের বেশ হাসাবে, এমনটাই আশা রাখি। এই দারুন মজার গল্প গুলি ভালো লাগলে, বন্ধুদের সাথেও ভাগাভাগি করে নিতে ভুলবেন না যেন!

দারুন মজার গল্প। ছোট হাসির গল্পঃ-

দারুন মজার গল্প- ০১ (চাঁচির হুমকি)ঃ-

রহিম চাচা অন্তত পনেরোশো পোনেরোবার তালাক দিয়েছে চাচিকে। কিন্তু চাচি ওকে ছেড়ে যায় নি। দিন রাত ঝগড়া ঝাটি করতো কথায় কথায় বলত “তালাক দিয়ে পার পাবে ভেবেছো, মরে গেলেও তোমাকে ছাড়বো না। কবর খুঁড়ে বেরিয়ে এসে তোমার ঘাড়ে চাপবো। আমার হাত থেকে তোমার নিস্তার নেই।”

দূর্ভাগ্য এর বিষয়  সত্যি সত্যি একদিন চাচি মারা গেলেন। কিন্তু দুই দিন পরেই দেখি চাচা চাচীর বোনকেই নিকা করে নিয়ে এলো। এবং খুশীতে সবাইকে ঘরে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ালো। আর লুঙ্গি ড্যান্স করে নাচা নাচি করলো।

আমার বেশ ভয় হচ্ছিলো তাই চাচাকে বললাম ” চাচা সাবধানে থেকো! বেশি নাচানাচি করো না। চাচি কিন্তু কবর খুঁড়ে বেরিয়ে এসে রাম প্যাদানি দেবে।”
চাচা হেসে জবাব দিলো ” ভাইপো এ নিয়ে তোমার চিন্তা নেই।  তোমার চাচি আসতে পারেবে না। কারণ কবর খোঁড়ার পর ওকে আমি কবরে উল্টো দিকে শুইয়ে দিয়েছি। মেয়ে মানুষের মাথায় কোনো বুদ্ধি নেই। ও খুঁড়তে খুঁড়তে লন্ডন আমেরিকা চলে যাবে। ওখান থেকে ও ফিরবে কি করে ওর তো পাশপোর্ট ভিসা নেই!

দারুন মজার গল্প bengali funny pic
দারুন মজার গল্প bengali funny pic

দারুন মজার গল্প – ২

আমার মামা বিখ্যাত এক তান্ত্রিক ছিলেন। তার অ-বর্তমানে তার জায়গা আমি নিলাম। ভক্তের অভাব ছিল না। কিন্তু সবার সাথে আমি আবার দেখা সাক্ষাৎ করতাম না। যাইহোক এক বাঙালি ব্যবসায়ী বড়ো বিপদে পড়ে আমার কাছে আসলেন। দেখা করতেই হবে তার সাথে, কারণ তিনি মায়ের মন্দির করার সময় অনেক টাকা  দিয়েছেন, আর আমাদের গেস্ট হাউস ও উনি তৈরি করে দিয়েছেন।

যাইহোক সেই ব্যবসায়ী মানে ব্যানার্জি বাবু আমার ঘরে এসে চারিদিকে অনেক বই দেখে আমাকে খুব বড়ো বই প্রেমিক বলে ভেবে বসলো। আমি উনার ভুল ভাঙাতে বলে ফেললাম ভুতের রাজার কথা। অমনি সে আমাকে চেপে ধরলো। ভুতের রাজার সাথে দেখা করাতে। বাধ্য হয়ে ভুতের রাজার সাথে আমি দেখা করলাম ব্যানার্জী বাবুকে!

ভুতের রাজা ব্যানার্জি বাবুকে বললো ” দেখো বাপু। বুড়ো হয়েছি বেশি কাজ করতে পারি না। একটার বেশি দুটো বর কিন্তু দিতে পারবো না, এই আমি কয়ে দিলুম। তাই যা চাইবে ভেবে-চিন্তে চাইও”
ব্যানাজী বাবু অতো শত চিন্তা না করে হুট করে বললো “আমাকে এক বস্তা হীরা দিলেই হবে।”

ভুঁত এর রাজা মিনিট দশেকের পর একটা বড় বস্তা নিয়ে হাজির।
ব্যানার্জি বাবু বস্তা দেখে লাফাতে লাফাতে গিয়ে বস্তা খুলল। কিন্তু বস্তা খুলতেই তার মুখটা ঠান্ডা মিয়ানো বেগুনীর মত হয়ে গেল।

আমি গিয়ে দেখলাম বস্তা ভর্তি হীরার বদলে জিরা (জিরে) নিয়ে হাজির হয়েছে, ভুতের রাজা!
আমি বললাম “বয়সের একটু বৃদ্ধি হয়েছে তো, তাই কানে একটু কম শোনে। আমিও রাতের জন্য একটা বউ চেয়েছিলাম। ও আমাকে রোজ রাতে বই দিয়ে যায় একটা করে”।

ছোট হাসির গল্প bangla choto hasir golpo
ছোট হাসির গল্প bangla choto hasir golpo
মজার গল্প- বিস্কুট রহস্য 

দারুন মজার গল্প- ৩ঃ-

ভুতের বোকামি নিয়ে একটা গল্প লিখে ছিলাম। আমি নিজেই ভিতু মানুষ ভুঁত নিয়ে ভয়ের গল্প লিখবো কি করে? আসলে গল্পে তো গরু গাছে ওঠে ভুঁত কে বোকা বানানোর মধ্যে আর কি বীরত্বের আছে! কিন্তু ভুঁত যে আমাকেই বোকা বানাবে কি করে জানব! আমি একজন LICI এর এজেন্ট। ৩১মার্চ অনেকটা রাত অবধি থাকতে হয় বলে সাইকেল নিয়ে অফিসে আসি। বেশ রাত অবধি কাজ হলো, স্ট্রীট লাইট গুলো ঝিমোচ্ছে। 

সাইকেল উঠতেই শুনি একটা বাচ্চার হাসির শব্দ। চারিদিকে দেখি কেউ নেই রাস্তায় কুকুর গুলো পর্যন্ত নেই। ভয়ে আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হবার উপক্রম। সাইকেল নিয়ে পালাতে শুরু করলাম। যতোই জোরে চালাই, হাসিটা থামে না। হাসিটা আমার পিছনে পিছনে আসছে। যেনো মনে হচ্ছে ক্যারিয়ারে বসে আছে ভুত টা। এক চোখ বন্ধ আর এক চোখ খোলা রেখে দে-দারসে সাইকেল চালিয়ে শেষমেষ বাড়ির কাছে এসে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। 

দরজা খুলে মা বকাঝকা করে বললো। ” রাত বারোটা বেজে গেছে বলে, তোর বাবা সমানে ফোন করছে ফোনটা তুলে তো একটু কথা বলতে পারতিস। বাবা উপরের ঘরে থাকে, খেয়াল করিনি আমি বাড়ি ঢুকছি। তাই আবার ফোন টা বেজে উঠলো বাচ্চা ছেলে হাসি হেসে। বুঝতে পারলাম আসল রহস্য। আমার কোনো কুলিক আমার ফোন নিয়ে আমার রিং টোন বদলে এপ্রিল ফুল করলো আমাকে।

পড়ুনঃ- ফান্নি মজাদার হাসির জোকস 

দারুন মজার গল্পঃ- ৪

বাজার টা মন্দ যাচ্ছিল। বৃষ্টির রাতে শহরের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া ফাঁকা বাইপাস। এক পাশে দাঁড়ানো একটা গাড়িকে ভীষনভাবে নড়তে দেখে, ‘মনমে লাড্ডু’ ফুটল। পুলিশ ভ্যান থামিয়ে দুই হাবিলদার লাঠি উঁচিয়ে দৌড়ে আসে। গাড়ির ভিতর ফস্টিনস্টি চলছে নিশ্চিত।  আজ প্রচুর টাকা কামাই হবে। গাড়িটার কাছে এসেই, মুখ গুলো হয়ে গেল জলে ভাজা বেগুনীর মতো। তারা দেখে গাড়ির ভিতর কেউ নেই, অথচ গাড়ি নড়ছে। “আব্বে ভূতুড়ে গাড়ি, পালা” বলেই খিঁচে দৌড় দিলো দু’জন।

চেঁচামেচি শুনে গাড়ির তলা দিয়ে বেরিয়ে এসে , গাড়ি সারানো ছেড়ে আমিও দিলাম চোঁ চোঁ দৌড়। কিছুক্ষণ পরে বুঝতে পারলাম ভুতটা আসলে আমিই!

প্রেরকঃ- মানব মণ্ডল facebook

এই দারুন মজার গল্প গুলি যার কলমে লিখা হয়েছে-
মজাদার হাসির গল্প mojadar hasir golpo
মজাদার হাসির গল্প mojadar hasir golpo
<

দারুন মজার গল্পঃ- ৫

পাড়ার ছেলে হাবলু, তার হেব্বি মোবাইলের শখ। যেখানেই যাক, নাওয়া খাওয়া থেকে শুরু করে টয়লেট পর্যন্ত মোবাইল তার সঙ্গী। প্রতিদিনের অভ্যাস মত হাবলু সেদিনও মোবাইল নিয়ে টয়লেটে বসেছে, তবে আজকে তাকে বারবার টয়লেটে যেতে হচ্ছে কারণ আগের দিন একটু ভাজাপোড়া বেশি খেয়ে পেট ঘেঁটে— ঘ হয়ে গেছে৷

একটু অসচেতনতা বসত তার মোবাইল হাত থেকে ফসকে টয়লেটে পড়ে গেল। বেচারি হাবলু এই দৃশ্য দেখে ঈশ্বরকে ডাকতে লাগল। তার সামনে একটি জ্বীন এলো এবং হাবলু তাকে তার সমস্যার কথা জানালো। জ্বীন বলল “চিন্তার কোনো কারণ নেই, এই নাও তোমার মোবাইল”, বলতে বলতেই মোবাইলটি টয়লেট থেকে নিজেই উপরে উঠে এসে, হাওয়াতে দুলতে লাগলো। হাবলু দেখল সোনায় চকচক করা একটা মোবাইল।

এই সময় তার ছোটবেলায় শোনা, ”সোনার কুঠার রুপার কুঠার” গল্পটির কথা মনে পড়ে গেল। সে ভাবল জ্বীন তাকে পরীক্ষা করছে। সে নিজের Loyalty দেখাতে গিয়ে বলল— ”এই সোনার মোবাইলটি আমার নয়, আমার মোবাইলটি সাধারণ।” এটি শুনে জ্বীন হো হো করে হেসে উঠলো এবং বলল ” বৎস এটি তোমারই মোবাইল। তুমি ঠিকমতো চিনতে পারছ না, ভালোমতো দেখো এটি সোনার হলুদ বর্ণ নয়, তোমারই উচ্ছিষ্ট লেগে, এটি হলুদ বর্ণের হয়েছে। বেশি ফাজলামো না মেরে তাড়াতাড়ি এটাকে পরিষ্কার করো!”

বেচারী হাবলু!!

আপনার লেখা গল্প ছাড়পত্রতে প্রকাশ করার জন্য আপনার নাম সহ গল্পটি মেল করুন- chrpatrablog@gmail.com এ।

“দারুন মজার গল্প। ছোট হাসির গল্প। মজাদার হাসির গল্প। bangla funny story”

আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন যেভাবেঃ- 
ফেসবুক গ্রুপ- গল্প Junction

ফেসবুক-ছাড়পত্র

WhatsApp group- ছাড়পত্র (২)

টেলিগ্রাম- CharpatraOfficial
Spread the love

Leave a Reply