দুটি ছোট বাংলা গল্প থাকছে আজ। প্রথম বাংলা গল্পটিতে খুঁজে পাবেন গল্পের মাধ্যমে একটি শিক্ষণীয় বার্তা, যে মেয়েদের মাসিক কোনো সমস্যা নয়, এটি প্রকৃতিরই একটি অংশ। মেয়েদের মাসিক নিয়ে আর কোনো লুকোচুরি নয়। দ্বিতীয় গল্পটিতে খুঁজে পাবেন দীর্ঘ সময় পর ভালবাসার মানুষটির দেখা হলে যেরকম অনুভূতি হয়, সেই অনুভূতির গহিন বিবরণ। যদিও ইতিমধ্যে দুইজনেই আলাদা সংসার পেতেছে। চলুন পড়ে নিই অসাধারণ এই বাংলা ছোট গল্প দুটি। গল্প দুটির প্রেরক মানব মণ্ডল। ধন্যবাদ লেখককে এই সুন্দর গল্প দুটি পাঠানোর জন্য।

ছোট বাংলা গল্প- লাল কাঁকড়াঃ-

ফুলের মতো নরম বিকালে রৌদ্র। সমুদ্রের অনর্গল কথা বলা। কৃষ্ণচূড়া রঙের লাল কাঁকড়ার লুকিয়ে যাওয়া। জোয়ারে জলে পা ভেজানো। নির্জন সমুদ্র সৈকত।ভোরে চন্দ্রেশ্বর মন্দিরে পূজা দেওয়া । সব কিছু মাটি করে দিলো উনার হঠাৎ করে অসুস্থতা। নতুন বিয়ে তাই মুখ ফুটে কিছু বলতে চাই নি উনি কিন্তু বললো “মন্দির যেতে নেই আমার।”

এ সব বিষয়ে বেশি কিছু ধারণা নেই আমার। একটু মনে আছে আমার প্রাক্তন প্রেমিকা মাসের পাঁচ ছয়টা দিন অফিস ছুটি করে ঘরে বসে কাঁদতো খুব। পিঠ কোমর ব্যাথা আর পেট ব্যাথা নিয়ে ছটপট করতো। ওর মুখেই শুনে ছিলাম , এই দিন গুলো নাকি মেয়েদের খুব কষ্ট হয়। ইন্দোনেশিয়া না তাইবান কোথায় যেন একটা ছুটিও দিয়ে দেয় মহিলাদের এই দিন গুলোতে। আমাদের দেশের কথা আলাদা। এই বিষয়ে কম্পানি যে পন্যের বিজ্ঞাপন দেয় তাতেও গোপনীয়তা।

এ বিষয়ে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। শুধুমাত্র কয়েকটি বার সাদা কাগজে চিরকুট একটা নাম নিয়ে গেছি মেডিক্যাল স্টোরে। আর অনেক গোপনে একটা কালো প্যাকেটে করে কিছু একটা নিয়ে এসে দিতাম ওকে। এ বিষয়ে আমি কোন কিছু কোন কোথাও আলোচনা করতে দেখিনি।

ব্রেকআপের পর উনার সাথে এক প্রকার জোর করেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। উনি আরো পড়াশোনা করতে চান। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে মেয়ে বলেই হয়তো ওর বাবা মা পড়াতে চায় নি। উনি গ্রামের মেয়ে। ওনার পিসির বিয়ে হয়নি নাকি উচ্চ শিক্ষিত বলেই। উনি বেশি কথা বলে না এখনো আমার সাথে। মন্দিরে যেতে পারবে না ঠিক আছে। উনি বিকালে বেড়াতে চাইলেন না। আর বলে দিলেন। ” আপনি এ কয়েকটি দিন আমার থেকে দূরে দূরে থাকবেন, না হলে আপনার ক্ষতি হতে পারে।”

দূরে থাকতে আপত্তি ছিলো না। কিন্তু আস্তে আস্তে আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। সুখ দুঃখ, আনন্দ, অনুভব, সব কিছু ভাগ করতে ইচ্ছে হয় উনার সাথে। তাছাড়া এখানে ঘুরতে আসা উনার জন্য।  একটা অচেনা বাড়িতে এসে অচেনা মানুষ গুলোকে আপনা করে। সব কাজ করছেন। মনে কথা খুলে বলতে পারেন না উনি।

choto bangla golpo
choto bangla golpo

আমাদের সম্পর্কটা একটু ভালো করার জন্য বৃন্দাবন থেকে মাসি এসে আমাদের দিঘা তালসারি ঘুরতে পাঠিয়ে দিলো।  বললো ” দিনে আট ঘণ্টা কাজ করে ও শনিবার হাফ ছুটি , রবিবার ফুল ছুটি চাই তোর। মেয়েটা দিনে ১৪- ১৫ ঘন্টা কাজ করে ওর কি ছুটি পাওয়ার অধিকার নেই? “আমার কোন স্পষ্ট ধারণা নেই মেয়েদের এই দিন গুলোর ব্যাপারে তাই বাড়ি ফিরে এলাম।বাড়ি ফিরে আসতেই সবাই অবাক। মেজাজটা খিটকে ছিলো। মা – মাসিমা একটু আবাক জিজ্ঞেস শুরু করলো ফেরার কারণ কি? আবার ঐ সময় মা ওকে পুরীর প্রসাদ দিতে যাচ্ছিলেন। তাই সুযোগ বুঝে উওরটা  দিয়ে দিলাম “আরে উনার প্রসাদ দিও না । উনি অপবিত্র থাকবেন আরো দুই তিন হয়তো তাইতো ফিরে আসা।”

হঠাৎ মাসিমা বেশ বিরক্ত হয়ে বলে উঠলেন ” একটা শিক্ষিত ছেলে হয়ে এ রকম কথা কিভাবে বলছো তুমি?”
আমি একটু অপ্রস্তুতে পরে গেলাম। মা অবশ্য সামলে বললো ” না না ওদের কি দোষ। আমরা মেয়েরাই তো পূরুষদের সাথে এ বিষয়ে কোনো দিন কোনো আলোচনা করি নি। তাই ওরা জানবে কি করে এ বিষয়ে।”

মাসি বললেন “তুমি হিন্দু, অম্বুবাচী পালন করো। সেটা আসলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুময়ী হয় বলে ধরে নিয়ে পালন করা হয়। অর্থাৎ এটা গোপন করা মতো কোনো অপবিত্র বিষয় নয়। যৌনতা ছাড়া পৃথিবী চলবে না। অথচ যৌনতা নিয়ে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহন বা আলোচনা করতে সবাই লজ্জা পায়। এটা আসলে কুসংস্কার। আসলে পবিত্র অপবিত্র কিছু না। মেয়েদের শরীর অজস্র ডিম্বানু তৈরি করে সব সময়। যখন সেই গুলো অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

তাই তোমার জন্ম হতো না এই তরল পদার্থ যদি মেয়েদের শরীরের না তৈরি হতো। তাই একে অপবিত্র বলা বন্ধ করো। এই সময় মেয়েদের দেহে এক সাথে চার চারটি হরমোন সক্রিয় থাকে। তাই শারীরিক ভাবে দুর্বল এবং বিভিন্ন অসুবিধা মধ্যে পরতে হয় মেয়েদের। মেয়েরা কোন দিন মুখ ফুটে তাদের কষ্টের কথা বলে না। পুরুষদের শরীরকে যদি এই মাসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হতো। হয়তো এই চার পাঁচ দিন তারা ছুটি ঘোষণা করে দিতো। “

পড়ুনঃ- বিরহের গল্প- অনলাইন লাভার 
choto bangla golpo 

যাইহোক সত্যি এ বিষয়ে আমাদের সচেতনতা দরকার। তাই সারাদিন এ বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলাম। রাতে দেখালাম উনি বেশ স্নান করে এলেন। বেশ মিষ্টি লাগছে উনাকে। স্যাম্পু করেছে চুলে সুন্দর গন্ধ। আমি বললাম “আপনাকে বেশ মিষ্টি লাগছে।”
উনি বললেন ” ও তাই। “
আমি বললাম ” সত্যি খুব ভালো লাগছে। সকালের শিশির ভেজা ফুলের মতো”
উনার ঠোঁটে একটা হাসির ঝিলিক খেলে গেলো। উনি বললেন ” ধন্যবাদ”
আমি আমতা আমতা করে বললাম ” স্যাম্পুটার গন্ধটাও বেশ সুন্দর।”

উনি বললেন ” এটা আপনিই পছন্দ করে এনে দিয়েছিলেন।”
দেখালাম কেস খেয়ে গেছি। এর মধ্যে এ রকম অনেক বার হয়েছে। আমি উনাকে এই মাস দুয়েক অনেক উপহার দিয়েছি। সেই দিন যেমন উনার জন্মদিনে উনি আমার দেওয়া শাড়িটি পড়েছিলেন। আমি বলে ফেললাম “বাহ কে দিয়েছে মা নিশ্চিত। তোমার মায়ের পছন্দ দারুন! মানিয়েছে বেশ উনাকে। “সোনার গহনা থেকে সেন্টে সবকিছুতে প্রমানিত হয়েছে আমি উপহার দিয়েছি ঠিকই। কিন্তু সম্পর্কটা নিয়ে আমি একটু উদাসীন এখনো। উনি মাঝে মাঝে আগে কাঁদতো এজন্য কিন্তু এখন চুপচাপ থাকে। তাই হয়তো বাড়ির লোকজন আমাদের উইকএন্ডের টুরে যেতে বলছে বারবার।

আমি বললাম “ও তাই। ভুলে গিয়ে ছিলাম”
উনি রোজকার মতন  পাল বালিশটা মাঝখানে দিয়ে শুয়ে পরলেন। “
আমি বললাম ” এ দিকে একটু মুখ ঘুরিয়ে শোবেন কিছু কথা বলতে চাই। “
উনি মুখ ঘুরিয়ে বললেন “বলুন”

একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করলাম ” আমি সবকিছুতেই একটু উদাসীন। ভুলে যাই সবকিছু তা-বলে এই নয় আপনাকে ভালোবাসি না। আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমিতো একাই ঘুরতে পারতাম। আপনাকে নিয়ে ঘুরতে পারছিনা বলে চলে এসেছি। আর এখন আপনাকে সত্যি ভালো লাগছে। আদর করতে ইচ্ছে করছে আপনকে। আপনি কাল ধর্ষণের অভিযোগে করুন আপত্তি নেই । আমি আপনাকে এখন আদর করবো। শরীর খারাপ অজুহাত চলবেন না। Google পরে নিয়েছি। এসব দিনেও আদর করা যায় মেয়েদের। তাই আজ জোর করে আদর করতে চাই। আপানার অনুমতি নিয়ে..”

ছোট বাংলা গল্প লাভ
ছোট বাংলা গল্প লাভ ক্ষুদ্র গল্প

উনি আমার ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দিয়ে। জরিয়ে ধরে বললো ‌” আদর করতে দেবো একটা শর্তে । কানে কানে একবার বলো। আমি তোমাকে ভালবাসি,,,”

পড়ুনঃ- কলেজ জীবনের প্রেম কাহিনী। সিনিয়র দাদার সাথে প্রেম। 

ছোট বাংলা গল্প- হঠাৎ দেখাঃ-

রোদটা চকচক করছে সকাল থেকে আজ যেন বেশি বেশি৷ জানালার পর্দা সরিয়েও আবার টেনে দেয় দিয়া। আজ সোমবার তিন্নির স্কুল আছে। বাবা মেয়ে ঘুমাচ্ছে অসাড়ে৷ মেয়ের মাথার চুল গুলো আলতো করে সরিয়ে মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকে দিয়া। আজো সেই মুখের সাথে মিল খুঁজে পেলো। একটা বাতাস বুকটা হালকা করে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস। সেই দিন ছিলো ওর প্রথমদিন কলেজের পুরানো আম গাছটার তলায় দেখে ছিলো প্রদীপকে৷ নবীনবরণ উৎসব, মাথার চুল গুলো কিছুটা ঘামে ভেজা, বাবলু কে কি যেন বোঝাচ্ছিলো সাধারণ কবি কবি চেহারা কিন্তু অসাধারণ চোখের মালিকের দিকে।

টিপটিপ বৃষ্টিটা শুরু হতেই কোথায় চলে গেলো৷ প্রথম দেখা, প্রথম প্রেম। মানব পাশ ফিরতেই দিয়া অতীত থেকে সোজা বর্তমানে এসে পরলো। তিন্নি দুজন কে তুলে রেডি করিয়ে তিন্নিকে স্কুলে পাঠিয়ে দিলো মানবের সাথে। ওর এ বাড়িতে বেশি কাজ নেই। টিভি দেখে  নিজে সময় কাটিয়ে যখন তিন্নিকে আনতে গেলো। তখন কিছু টুকরো টুকরো মেঘ জমা হচ্ছিলো আকাশে৷ টুকরো টুকরো স্মৃতির মতন। মন খারাপ করিয়ে দিলো দিয়ার।

মানব দিয়াকে নিয়ে এখানে নতুন এসেছে। আগে ওরা যাদবপুরে থাকতো না। শশুর বাড়িতে টালিগঞ্জ এর দিকে থাকতো। মেয়ে গাড়িতে আসতো স্কুলে। পড়াশোনা সুবিধার জন্য এখন এখানে চলে এসেছে ফ্ল্যাট নিয়ে৷ আসলে শশুর শাশুড়ি আর একটা বাচ্চা চাইছে ওদের কাছে থেকে। মানব রাজি নয় তিন্নির কথা ভেবে।বেশ ভালো জায়গাটা, তিন্নির একহাতে নিয়ে চলতে থাকে দিয়া। ইউনিভার্সিটির ভিতরের রাস্তাটা ওর খুব প্রিয়। দুধারে বেশ গাছ লাগানো রাস্তাটা। বেড়িয়ে  দুধারে তবুও বেশ গাছপালা আছে।

মানব ওকে স্কুটি কিনে দিয়েছে মেয়েকে আনার জন্য তবু ও এই রাস্তা টুক হেঁটে যেতেই ভালোবাসে। রেল গেটের কাছে আসতে না আসতে টিপটিপ বষ্টি শুরু। তিন্নিকে চট করে ছাতার ভিতরে নিয়ে পিছন ফিরতেই হট করে চোখ পড়ে যায় রাস্তায়। প্রদীপ তো! সত্যিই প্রদীপ তো? একটা দোকানের ভিতরে ঢুকে দাঁড়ায় ও,  ভিড়ের সময়,  যাদুবপুর স্টেশন চত্বরে। কতো মানুষকে চেনা চেনা লাগে। বৃষ্টি পড়ছিলো। তাইও রাস্তা ধারে দাঁড়িয়ে থাকে প্রদীপ। ও দেখলো প্রদীপকে। প্রদীপ হয়তো ওকে দেখেনি। বা হয়তো দেখতে চায়নি। দিয়া ভাবলো কিছু তো বলতে পারতো ও নিজেই প্রদীপকে? ধুর অত ভিড়ে আর আওয়াজে দিয়া কিছু বললে প্রদীপ কি কিছু শুনতে পেত?

মোটা হয়ে গেছে মনে হলো? সিগারেট খাচ্ছিলো? না ফর্সা লাগলো? দেখেছে কিন্তু মনে সেই পুরানো ছবিটা বসে আছে তার সাথে  দিয়া মেলাতে পারছেনা ওকে।  প্রিয়া বছর দুয়েক আগে বলেছিলো প্রদীপ খুব ভালো আছে। অশিক্ষিত হলেও চাকরী করা বৌ, খুব মিষ্টি ছেলে আছে। বৌ নাকি দারুন সুন্দরী। খুব ফর্সা। আবার শশুরের অনেক পয়সা। ও সেই পয়সায় প্রোমোটার হয়েছে নাকি এখন। তবে নিজেও ও সফল ইঞ্জিনিয়ার।

দিয়ার মনে মনে কত প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল, আচ্ছা  তুমি তো ফর্সা মেয়ে পছন্দ করতে না, গুন দেখে মেয়েকে বিয়ে করবে শশুরের পয়সা দেখে নয়। আজ কি পাল্টে গেছো? না তখন বলেছিলে ভুল। না নিজেকে নিজেই বুঝিয়েছে৷ সায়ন্তনের কথা ভুল নয়। ভুল ছিলো পরিস্থিতি। তবে দিয়াকে  ধোঁকা দেয়নি প্রদীপ। তারা দুজনে ভালোবাসা কে ধোকা দিয়ে বাস্তবের মাটিতে নেমে এসেছিলো। আর আজ মন চাইছে যদি সত্যিই ফিরে পেতাম? মানুষের মন সবসময় দুটো ধারায় চলে, মনের একটা জানালায় প্রদীপকেকে দেখার আনন্দ, সেখান থেকে লোভের হাওয়া আসছে। ঠাকুর প্রদীপ যেন একবার একবার তাকে দ্যাখে, হয়তো একবার  ডেকে উঠবে৷

তারপর ধক করে ওঠে বুকটা। নিজের অজান্তে রিক্সা ডেকে উঠে পরে সে। তারাতারি সে ঐ জায়গাটা ছেড়ে দিতে চায়। আবার মনের বাস্তবের বন্ধ জানালায় বসে বিচার বুদ্ধি জানালার ছিদ্র গুলো এঁটে বসে সে বলে, ঠাকুর যেন না আসে না দেখে ফ্যালে তাকে৷ আজ এতগুলো বছর কেটে গেছে৷  মানব খুব ভালো। বাবার হঠাৎ মৃত্যুতে মা ভেঙে পড়েছিলো। বাবার মৃত্যুর জন্য ওই দায়ী ছিলো। হয়ত মা জানতো মা ও বেশীদিন বাঁচবেন না। বাস্তবের কাছে নত, ভালোবাসার কাছে হার মেনে, সেদিন বিয়ে করেছিলো। তবে ভালোবাসার একটা নতুন রূপ সে দেখেছে। হ্যাঁ ভালোবাসার নতুন রূপ। যে একসাথে সংসার করলেও একটা অভ্যাসে ভালোবাসা বেঁচে থাকে৷ নিজেদের ভালোলাগার মানুষ টাকে না পেলেও কখনো কখনো ভালো থাকা যায়‌।

ক্ষুদ্র গল্প ছোট বাংলা গল্প প্রেম
ক্ষুদ্র গল্প ছোট বাংলা গল্প প্রেম
<

আজ দুজনে সংসারী কিন্তু নিজেদের ভালোবাসাটা আজও কত স্মৃতিমধুর এবং পবিত্ৰ৷ সেসময়ে প্রদীপকে বিয়ে করা মানে ওর পুরো কেরিয়ার নষ্ট করা। সংসারের চাপে পড়ে ও কোনদিন সেই জায়গায় পৌছাতে পারতো না আজ যেখানে আছে। দুদিন পর বোঝা মনে হতো দিয়াকে। সুন্দর প্রেমটা হয়ে যেতো চরম ভুলের মতন। আর যদি প্রদীপ জানতো দিয়ার কোলে আছে তার সন্তান? প্রদীপ কোনদিন দিয়াকে অন্য কারোর সাথে বিয়ে করতে দিতো না। প্রদীপ প্রতারক নয়৷ দিয়া তখন সরে এসেছিলো আর নিজের তাগিদে আঁকড়ে ধরেছিলো মানবকে৷

মানব সব দিয়েছে তাকে সংসার সম্মান এমনি দিয়াকে নষ্ট করতে দেয় নি তার ভালোবাসার চিহ্ন কে। দিয়া পেয়েছে অবলম্বন আর মানব বাবা হিসেবে খুব ভালোবাসে তিন্নিকে। দিয়াকে  সম্মান করে ৷ দিয়া সন্মান করে ওকে। দুজনের সুখের সংসার প্রদীপকে  সে জীবনে পায়নি কিন্তু স্মৃতিতে বড় উজ্জল হয়ে আছে ওর মনের গোপন কোনে। ওরা প্রেমের সময় ঠিক করেছিলো মেয়ে হলে নাম দেবো তিন্নি। মানব সেই নাম রাখতে দিয়েছে ওকে। ভালোবাসার সন্তান বুক জুড়ে আছে দিয়া। তাদের সেই প্রথম ভালোবাসাটা আজ সুন্দর, অমলিন আছে৷ শেষ হয়েও হয়না শেষ৷  কলিং বেল বাজছে। হঠাৎ দরজায় ঠকঠক।  দিয়া দরজা খুলে দেখলো মানব।মানব বলো “দেখো তো কে এসেছেন?”

হঠাৎ দেখা হতেই দিয়ার হৃদপিন্ড যেনো থেমকে দাঁড়ালো। একি প্রদীপ এসেছে কেন মানবের সাথে?

প্রেরকঃ- মানব মণ্ডলfacebook

choto bangla golpo. ক্ষুদ্র গল্প
প্রতিদিনের আপডেটের জন্যঃ- 

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- CharpatraOfficial

WhatsApp- ছাড়পত্র 

“choto bangla golpo ক্ষুদ্র গল্প। ছোট বাংলা গল্প”

আপনার পছন্দ হতে পাড়ে এমন কিছু লেখাঃ- 
অসমাপ্ত কষ্টের প্রেমের গল্প 

শিক্ষণীয় গল্প- পৃথিবীর সবথেকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম
Spread the love

Leave a Reply