খুনের রহস্য গল্প টিতে, রহস্য জনক ভাবে মৃত্যু ঘটেছে এক বিখ্যাত প্রফেসরের। কিন্তু খুনি কে! সেই প্রশ্ন চিহ্ন সবার সামনে। শেষ পর্যন্ত কি রহস্য সামাধান হল, সেটি জানতে হলে গল্পটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

খুনের রহস্য গল্পঃ- “খুনি কে!”

সুন্দর একটি সকাল, টেপ রেকর্ডার এ বাজতে থাকা প্রভাতি সঙ্গীত কে সমানে টেক্কা দিয়ে বেজে চলেছে টেলিফোনটা। কিন্তু টেলিফোনটা তোলার জন্য কেউ নেই। নিজের উচ্চস্বরে চিৎকার করতে করতে একসময় থেমে যায় টেলিফোনটি।
গরম চায়ের কাপের সাথে সকালের খবরের কাগজ, আর সূর্য দেবের আশীর্বাদ সমান ভাবে বর্ষিত হয়ে শীতের সকালকে মধুর করে তুলছে।

Mr Ash খবরের কাগজটা পড়ছিলেন, রানি থানা থেকে একটা ফ্যাক্স এসেছে বলে হাতে একটা কাগজ নিয়ে এসে Mr Ash এর হাতে দিল সেটাতে লেখা ছিল, ‘নিজের বাগানেই প্রফেসর সি. সরকারের গলা কাটা দেহ পরে আছে আপনি তাড়াতাড়ি আসুন।‘ এই সেদিন তো প্রফেসরের সাথে কথা হল, কিন্তু আজ তার এরকম অবস্থা কীভাবে! কে করল এই কাজ!

Mr Ash আর দেড়ি না করে তাড়াতাড়ি লেদার এর জ্যাকেটটা গায়ে চাপিয়ে রওনা দিলেন প্রফেসরের বাড়ি।
বাড়িতে যথারীতি ভিড় লেগে গেছে। পুলিশ এখনো আসেনি দেখে উপস্থিত জনতা পুলিশের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। Mr Ash ভিড় ঠেলে প্রফেসরের দেহটার কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন।

গলার ক্ষতটা অনেক গভীর, প্রচুর রক্ত ঝরেছে। আর শ্বাসনালি কেটে না গেলেও ধমনি কেটে গিয়েই প্রফেসরের মৃত্যু হয়েছে। গলার ক্ষত দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে ছুরি দিয়ে গলা কেটে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাই যদি হয় তাহলে অবশ্যই আশেপাশে জুতোর ছাপ থাকার কথা। কিন্তু আজ এত মানুষের জুতোর ছাপের কাছে হত্যাকারীর জুতোর ছাপ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

রোমাঞ্চকর গোয়েন্দা গল্প
রোমাঞ্চকর গোয়েন্দা গল্প

ইতিমধ্যে স্থানীয় থানার দারোগা হাজির হয়েছেন। তিনি Mr Ash কে উদ্দেশ্য করে বললেন- “কি বুঝছেন!”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে Mr Ash এর জবাব বুঝছি অনেক কিছুই কিন্তু বুঝছি না কিছুই।

দারোগা হেসে বললেন- আচ্ছা মজাক করেন আপনি!
Mr Ash- জায়গাটা খালি করুন।

জায়গাটা খালি হওয়ার পর ঘরের লোকগুলোকে ডেকে নিয়ে আসা হয়, এবং যথারীতি তাদের প্রশ্ন উত্তর পর্ব চলতে থাকে।
জানা গেল যে, আগামীকাল সকালে বাগানে জল দিচ্ছিলেন প্রফেসর। কিন্তু অনেকটা বেলা হয়ে গেলেও তিনি ঘরে ফিরছেন না দেখে প্রফেসরের ছোট মেয়ে বাবাকে ডাকতে এসে দেখে প্রফেসর মাটিতে পরে আছেন। এরপর মেয়েটি চিৎকার করে, বাড়ির লোক ছুটে এসে দেখে প্রফেসরের নিথর দেহ পরে আছে।

ইতিমধ্যে জানা গেলো যে কাজের লোকটি বাড়িতে নেই। সে নাকি প্রফেসরের বাড়িতেই থাকত আর ঘটনার পর থেকে কেউ তাকে দেখে নী। সবার সন্দেহ তাই কাজের লোকের উপর।

পড়ুনঃ- অভিশপ্ত বাড়ি- রহস্যময় ভূতের গল্প

প্রফেসরের মৃত্যু এবং সাথে কাজের লোকের উধাও দুই ঘটনার কোন যোগ আছে এমনটাই মনে করতে লাগল সবাই।
যথারীতি প্রফেসরের দেহ কে ময়না তদন্তে পাঠানো হল। আর এদিকে পুলিশ ছুটল সেই কাজের লোককে খুঁজতে।
Mr Ash কিছু ক্লু খোঁজার চেষ্টা করলেন কিন্তু এমন কিছুই তার হাতে আসল না যাতে করে ঘটনার গতিবিধি জানা যেতে পারে।
বিকেলে পুলিশফারি থেকে Mr Ash –এর কাছে কল আসে, কাজের লোকটিকে ধরা হয়েছে। Mr Ash আর দেরি না করে ছুটে গেলেন থানায়।

লোকটি Mr Ash কে দেখেই কাঁদতে লাগলেন। Mr Ash লোকটির সঙ্গে একান্তে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। Mr Ash লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন-
-তোমার নাম কি?
লোকটা কাঁপা গলায় উত্তর দিল- শ্যামল দাস।
-এই ঘটনা সম্পর্কে কী জানো বল।

খুনের রহস্য গল্প
খুনের রহস্য গল্প

লোকটি কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকলেন- বিশ্বাস করুন বাবু আমি কিচ্ছু জানি না, আমি কিচ্ছু জানি না।
-ঘটনার দিন তুমি বাড়িতে ছিলে না কেন?
-আমি পাশের পাড়ায় গিয়েছিলাম বাবু আমার মেয়ের খুব জ্বর ওকে দেখতে গিয়েছিলাম।
ঠিক আছে আপনাকে কয়েকদিন এরা এখানে রাখবে।

-আমি কিছু করিনি বাবু আমি নির্দোষ। আমি প্রতিদিনের কাজ সেরে নিজের ঘরে যাই, যখন সবাই ঘুমিয়ে যায় আমি রাতের অন্ধকারে দেওয়াল টপকে পাশের গ্রামে চলে যাই আমার মেয়েকে দেখতে। ভেবেছিলাম সকালে ফিরে আসব, আমার মেয়ের দিব্যি বলছি বাবু মেয়েটার মুখটা দেখে আর আসতে মন চাইছিল না।

-তুমি মালিক কে বলে যাওনি কেন!

আমাকে যেতে দিত না বাবু ওরা। সেই ছোট দাদা বাবু খুব রাগী। আগের বার যখন আমার স্ত্রীর ডায়রিয়া হয়েছিল অনেক অনুরোধের পরেও ওরা আমাকে যেতে দেয় নি। অবশেষে মারা গেল আমার মিনার মা। আমি আর কাউকে হারাতে চাই না।
এই বলে লোকটি অঝোরে কাঁদতে লাগলেন।

Mr Ash লোকটির পিঠে হাত দিয়ে বললেন- “যদি তুমি নিরপরাধ হও আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আমি পরশুর মধ্যে তোমাকে এখান থেকে এসে নিয়ে যাব। আর তোমার ঘরের ঠিকানা দাও তোমার মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে সে, তুমি নিশ্চিন্তে থাকো।

লোকটার চোখ কৃতজ্ঞতার অশ্রুতে ভরে উঠল।

এরপরের দিন সকালে Mr Ash রানিকে সেই লোকটির দেওয়া ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলেন। রানি মেয়েটিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবে আর এদিকে Mr Ash প্রফেসরের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের কাজে নেমে পরবেন।

পড়ুনঃ- রহস্যময় রাতের গল্প- শুনশান রাস্তায় আমি ও নিলি

বেলা প্রায় ৪ টে, রানি পাশের গ্রাম থেকে ফিরে এসে দেখে Mr Ash ঘরেই। রানি জিজ্ঞেস করল- “তুমি আগেই চলে এসেছ।
-না আমি ঘরেই আছি সারাদিন।

-আমাকে পাশের গ্রামে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে ঘরে বসে আছে, বউয়ের উপর একটুও মায়া দয়া নেই ইনার।
-হা হা হা বটে বটে!

এইভাবে গল্পে গল্পে কেটে গেল দুটো ঘণ্টা, সন্ধ্যা নামতে চলল, Mr Ash কালো জ্যাকেটটা শরীরে চাপিয়ে দিয়ে রানিকে বললেন- এবার আমাকে বেরোতে হবে। তুমি সাবধানে থাকবে। আমার ফিরতে একটু দেরি হবে।

আলো আধারিতে একটা কালো ছায়া প্রফেসরের বাড়ির দেওয়াল টপকে চলে গেল সেই বাগানে যেখানে প্রফেসরের মৃত দেহটা পরে ছিল। পকেট থেকে সবুজ লেজার লাইটটা বেড় করে প্রফেসরের দেহ যেখানে পরে ছিল সেখান থেকে সোজা উত্তর দিকে দাঁড়িয়ে সামনের কলা বাগানের দিকে দেখতে লাগলেন। তারপর কলা গাছের কাছে গিয়ে ভালোভাবে টর্চ জ্বালিয়ে দেখতে লাগলেন।

প্রফেসরের বাড়ির ভিতর থেকে কিছু আওয়াজ ভেসে আসছে। ছায়া মূর্তিটি সেদিকে এগিয়ে গিয়ে কি যেন শুনল, এরপর দেওয়াল টপকে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে লাগল।

ইতিমধ্যে Mr Ash বাড়ি ফিরেছেন। রাত তখন প্রায় ১ টা। রানি তখনও জেগে ছিল। রানি Mr Ash কে কিছু জিজ্ঞাসা করতে যাবে , তার আগেই Mr Ash বললেন ওসব পরে হবে তুমি তখন থেকে আছো এবার খাবার নিয়ে এসো খেয়ে ঘুমিয়ে পরি।

-কিন্তু প্রফেসরের…
-উঁহুঁ কোন কিন্তু নয়।


পরের দিন সকালে Mr Ash একটি ছুরি পকেটে নিয়ে থানার দারোগা কে প্রফেসরের বাড়িতে আসতে বললেন।
রানি- তুমি ছুরি কেন নিচ্ছ। দেখো আমার কিন্তু কিছুই ভালো ঠেকছে না। তুমি ছুরি দিয়ে কি করবে।
Mr Ash- আমি এটা এমনি আমার সঙ্গী হিসেবে নিচ্ছি।
রানি- ইসস আমাকেও তো নিতে পারো।
Mr Ash- যাবে! চলো তবে।

এরপর Mr Ash আর রানি যখন প্রফেসরের বাড়িতে এলেন তখন ইতিমধ্যে দারোগা হাজির।
ওদের দেখে বাড়ির ভিতর থেকে প্রফেসরের ছেলে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে এসে বললেন- আমার বাবার খুনিদের আপনারা খুঁজে বেড় করুন প্লিজ, নাহলে আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে না।

Mr Ash- আমরা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি, সেটা বাড়ির ভিতরে আলোচনা করা ঠিক হবে। আচ্ছা আপনার নামটা যেন কি বলেছিলেন!
-আজ্ঞে, আমার নাম অনুজ সরকার।
Mr Ash- চলুন অনুজ বাবু ঘরের ভিতরে চলুন।

অনুজ বাবু তাদের নিজের রুমে নিয়ে গেলেন।
এরপর Mr Ash কিছু বলতে চাইলেন কিন্তু অনুজবাবু আবার কাঁদতে শুরু করে দিলেন- আমার বাবা কত ভালো মনের মানুষ ছিলেন, সে নেই বিশ্বাস হচ্ছে না। ওই কাজের লোকটাই আমার বাবাকে মেরেছে, ওকে ফাঁসিতে চড়িয়ে দিন তবেই বাবার আত্মা শান্তি পাবে।

Mr Ash- শান্ত হন, অনুজ বাবু। নিজেকে সামলান।

ইতিমধ্যে অনুজ বাবুর বউ কিছু পানীয় নিয়ে এলেন। দারোগা সাহেব পানীয় তুলতে যাচ্ছেন Mr Ash তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন- “আপনি এত খাই খাই করেন কেন বলুন তো! পরে খাবেন আগে কাজের কথা বলি।“ অনুজ বাবুর বউয়ের মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। তবুও তিনি নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন- “খান না খান, আগে খেয়ে নিন।“

পড়ুনঃ- এক ভয়ানক নিশি রাতের গল্প

Mr Ash- ওসব পরে হবে, আগে কাজের কথা বলি।
দারোগা- শুরু করুন তাড়াতাড়ি, আমার খিদে পেয়েছে।

Mr Ash- অনুজবাবু আপনার বাবাকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি, খুব ভালো মনের মানুষ তিনি।
এই বলে Mr Ash অনুজ বাবুর ঘরের টেবিলে রাখা একটা গোল লম্বা জিনিসের প্রতি ইশারা করে বললেন- “এটি কি অনুজ বাবু।“
অনুজ বাবু শান্ত ভাবে বললেন- “এটি আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা একটি কলম রাখার পাত্র”

-বাঃ বেশ চমৎকার তো।
এই বলে Mr Ash সেটি হাতে উঠিয়ে নিয়ে দেখতে লাগলেন।
দারোগা- তাড়াতাড়ি করুন আমার খিদে পেয়েছে, খাবার দেখলে আমার খিদে বেশি বেড়ে যায়।
Mr Ash- অনুজ বাবু, আপনার বাবার খুনি ধরা পরেছে।

অনুজবাবু উত্তেজিত হয়ে বললেন- “সত্যি! চলুন আমি এখুনি গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলব, সে কেন আমার বাবাকে মেরেছে, কি দোষ করেছে আমার বাবা। চলুন আপানারা নিয়ে চলুন ওই খুনির কাছে। বলুন না কে সেই খুনি কাজের লোকটি তাই না!”
Mr Ash- আজ্ঞে না, আপনি।

অনুজবাবু- কি আজে বাজে বকছেন, আপনার মাথা ঠিক আছে! এই দারোগা বাবু এই লোকটা আমাকে কি সব বলছে দেখুন।
Mr Ash- উঁহুঁ উত্তেজিত হবেন না। সব বলছি-
এরপর Mr Ash সেই কলমের পাত্রটা হাতে তুলে নিয়ে বললেন- “এটি কলমের পাত্র নয় অনুজবাবু এটি হল ব্যালিস্টিক নাইফ। বন্দুকের মত ট্রিগার থাকে এই ছুড়িতে। আর সেই ট্রিগার প্রেস করলেই ছুরিটি প্রচণ্ড গতিতে এগিয়ে যায়। এই এই গতি যে কারও জীবন নিয়ে নিতে পারে।”

Mr Ash এর এই কথাটি শোনার সাথে সাথে অনুজবাবু ও তার স্ত্রী সেখান থেকে পালানোর জন্য দ্রুত উঠে পরলেন। Mr Ash তার পকেট থেকে ছুরিটি বেড় করে ওদের দিকে তাক করে বললেন-
“উঁহুঁ পালানোর চেষ্টা করবেন না, আমার কাছেও সেই ছুরিটি আছে। আর এক পা এগিয়ে গেলে ছুড়ির ট্রিগার ছেড়ে দেবো।”

দারোগা এবং রানি এরকম ঘটনা দেখে হতচকিত। তারা বুঝছে না কি ঘটে চলেছে এখানে।

এরপর Mr Ash শান্ত ভাবে বললেন- “অনুজবাবু আপনি এবং আপনার স্ত্রী মিলে প্রফেসরকে মেরেছেন, কাল রাতে আপনি ও আপনার স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। আর সেই ঝগড়ার কিছু লাইন হল- ‘তোমাকে বলেছিলাম বুড়ো কে মারলে ওর সেই লুকিয়ে রাখা হীরের আংটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। এর চেয়ে বুড়োকে ধীরে ধীরে পটিয়ে নিলে অনেক কাজ হত, সারারাত ওর ঘরে খুঁজলে কাল, কই কিছুই তো পেলে না।‘

আপনাদের সমস্ত কথোপকথন এই টেপ রেকর্ডার এ সংরক্ষিত আছে। দারোগা বাবু এটি ধরুন কাজে লাগবে। এবার আমার সাথে বাগানে চলুন।”

mr ash goyenda golpo
<

এরপর সবাই বাগানে আসে, কলা বাগানগুলোর দিকে Mr Ash দেখিয়ে বললেন, “অনুজ বাবু আপনার ছোড়া নাইফটি আপনার বাবার গলার গভীরভাবে কেটে দিয়ে ওই যে ডান দিক থেকে চতুর্থ কলা গাছটা দেখছেন ওখানে ঢুকে গেছে, লেজার লাইটের আলো ওখানে থেকেই রিফ্লেক্ট করেছিল। দারোগা বাবু নাইফটা নিয়ে আসুন গাছের ভিতর থেকে, ভালোভাবে দেখুন একটু দেখা যাচ্ছে নাইফের শেষের অংশটি।“

দারোগা বাবু গাছটি থেকে একটি হাতল ছাড়া ছুরি বেড় করলেন আর বললেন- এটার হাতল কোথায়!

Mr Ash- অনুজবাবুর ঘরের টেবিলে। হা হা হা।

এরপর অনুজবাবু ও তার স্ত্রী হাঁটু গেড়ে বসে পরলেন আর অনুজবাবু বললেন- আমিই বাবাকে হত্যা করেছি সেই ডায়মন্ড এর জন্য। আমি বাবাকে আগে অনেক বার বলেছি সেই ডায়মন্ডটি আমাকে দিতে কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেননি। সেই ডায়মন্ড এর মূল্য ১০ কোটি টাকা। এমনিতেও বাবা কয়েকদিন পর নিজে থেকেই মারা যেত আমি না হয় কয়েকদিন আগেই মারলাম এতে আর এমন কি ক্ষতি করেছি।

পড়ুনঃ- গোয়েন্দা গল্প- তান্ত্রিকের প্যাঁচ

ওই যে আমার ঘরের জানালা সেখান থেকেই বাবার দিকে ছুরিটির ট্রিগার প্রেস করেছিলাম, আর ছুড়ির স্পিড বৃদ্ধির জন্য আরেকটা আলাদা স্প্রিং লাগিয়েছি ট্রিগারে। আর আপনাদের সুবিধার জন্য বলে রাখি আমি আফ্রিকায় গিয়ে শুটিং শিখেছি। “ এই বলে তিনি পাগলের মত হাসতে লাগলেন।

রানি- দেখেছ দেখেছ চোরের মায়ের আবার বড় গলা।

রানির কথা শুনে Mr Ash এবং দারোগা বাবু সমস্বরে হেসে উঠলেন।

ব্ল্যাক শ্যাডো

গোয়েন্দা গল্পের ভাবনায়-

সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও বা অডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।

গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে।

পড়ুনঃ- গোয়েন্দা গল্প- অদ্ভুতুড়ে বিজনেস

সেরা দুটি শিক্ষণীয় গল্প 
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে-
ফেসবুক Group - গল্প Junction

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)

খুনের রহস্য গল্প। রোমাঞ্চকর গোয়েন্দা গল্প। mr ash goyenda golpo bengali detective story.

Spread the love

Leave a Reply