UNKNOWN FACTS ABOUT ARIJIT SINGH
UNKNOWN FACTS ABOUT ARIJIT SINGH যখনই “তুম হি হো” এই গানটি বেজে উঠে ঠিক তখনই এই গানের যাদু হৃদয়কে শান্ত করে তোলে। এই গানটি শোনার সাথে সাথেই মনের মধ্যে কেমন যেন একটা আলাদা ফিলিং চলে আসে। আর এই গানের পেছনে যে জাদুর কাঠির আওয়াজটি রয়েছে সেটি অরিজিত সিং এর। তার প্রতিটা গানই এতই সুমধুর যে মানুষ না চাইতেও তার গানের প্রেমে পড়ে যায়। পর্দার পেছনে থেকেও যে জনগণের মনে আসন লাভ করা যায় তার জ্বলন্ত উদাহরণ অরিজিত সিং। আজকের এই ব্লগটিতে বিখ্যাত সুরকার অরিজিত সিং এর কিছু অজানা তথ্য জানতে চলেছি।
- পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ছেলে অরিজিত সিং। বাবা ছিলেন পাঞ্জাবী এবং মা ছিলেন বাঙালি। সংগীত জগতে পদার্পণ ঘটে বাড়িতে ঠাকুমার হাত ধরে। কাকিমা ছিলেন ক্লাসিক্যাল মিউজিকে পারদর্শী। অরিজিত তার মায়ের কাছ থেকে গান শিখতে শুরু করে এবং সাথে সাথে তবলা বাজানোও শুরু করে।

- UNKNOWN FACTS ABOUT ARIJIT SINGH অরিজিত সিংএর অজানা কথা অবাক পৃথিবী অজানা তথ্য TOP 13 HIDDEN FACTS
- ছোট্ট বেলা থেকেই অরিজিত ছিলেন খুবই লাজুক প্রকৃতির। কিন্তু পরবর্তীতে তার গুরুর কাছে বকা খেয়ে সে ২০০৫ সালে “ফেম গুরুকুল” নামক একটি রিয়্যালিটি শো তে অংশগ্রহণ করে।
- বর্তমানে সংগীত জগত যে আওয়াজটি শুনে মুগ্ধ হচ্ছে, সেই আওয়াজটিই কিন্তু ফাইনাল রাউন্ডে হেরে গিয়েছিল। যদিও বিচারকেরা তার আওয়াজের উচ্চ প্রশংসা করেছিলেন। “ফেম গুরুকুলের” বিচারক স্বয়ং জাবেদ আখতার অরিজিতের ফ্যান ছিলেন।
YOU MAY LIKE-
মেয়েদের অজানা তথ্য UNKNOWN FACTS ABOUT GIRLS IN BENGALI
অজানা তথ্য TOP 65 NEW AMAZING FACTS OJANA SOB GHOTONA AMAZING FACTS IN BENGALI মজার তথ্য
এই শো- টিতে পরাজিত হওয়ার পর অরিজিত আরেকটি রিয়্যালিটি শো তে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। এই শো-টিতে “ফেম গুরুকুল” এবং “ইন্ডিয়ান আইডল” এর বিজেতাদের মধ্যে এক কঠোর প্রতিযোগিতা হয়। অরিজিত সিং এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। এরপর অরিজিত নিজের রেকর্ডিং সেটআপ তৈরি করে এবং মিউজিক প্রোগ্রামিং শিখতে থাকে।
- ২০১০ সালে অরিজিত প্রীতম চক্রবর্তীর সাথে কাজ শুরু করে। প্রীতমের সাথে অরিজিত “গোলমাল-৩” “ক্রুক” “একশন রিপ্লে” –র মত ছবিতে সহকারী গায়ক হিসেবে কাজ করেন। বলিউডের সংগীত জগতে অরিজিতের পদার্পণ ঘটে “ফির মহাবত” গানের মাধ্যমে ২০০৯ সালে। যদিও গানটি রিলিজ হয় ২০১১ সালে।
- মহেশ ভট্ট পরিচালিত ছবি “ আসিকি-২” এর গান “তুম হি হো” অরিজিতকে রাতারাতি বিখ্যাত গায়ক করে তোলে। এতদিন যে আওয়াজটি সবার কাছে অচেনা ছিল রাতারাতি সেই আওয়াজটি সেলেব্রিটি হয়ে যায়। এরপর এই গানটিই অরিজিতকে “বেস্ট প্লে ব্যাক মেল সিঙ্গার” এর পুরস্কার এনে দেয়।

UNKNOWN FACTS ABOUT ARIJIT SINGH অরিজিত সিংএর অজানা কথা অবাক পৃথিবী অজানা তথ্য TOP 13 HIDDEN FACTS
- ২০১৩ সালে সাংবাদিক অপূর্ব চৌধুরীর সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে অরিজিতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আসলে সেই সাংবাদিকটি অরিজিতকে তার প্রথম বিবাহ সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যার কারণে অরিজিত মেজাজ হারান।
- সলমান খানের ছবি “সুলতানের” গান “ জগ ঘুমেয়া” গানটি আগে অরিজিতই সূর দিয়েছিলেন। কিন্তু সলমান খান তার ছবি থেকে অরিজিতের গলায় গাওয়া গানটি সরিয়ে দেন। অরিজিত ও সলমান খানের সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততার বীজ ঠিক কি কারণে গজিয়ে উঠেছিল তা আজ পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। সলমান খানকে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অরিজিতকে পুরস্কার দেওয়ার সময় অরিজিতের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যদিও অরিজিতকে শান্ত থাকতেই দেখা গেছে। এর থেকেই বোঝা যায় যে অরিজিত সিং কতটা শান্ত স্বভাবের।
- প্রায় প্রতিটি হিট ফিল্মেই অরিজিতের গলার সূর রয়েছে। তার গলার আওয়াজ বেশিরভাগ স্রোতার কাছে সুমধুর। অরিজিত একটি গানের জন্য প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা চার্জ করেন। আর একটি লাইভ শো এর জন্য তিনি প্রায় ১.৫ কোটি টাকা চার্জ করেন।
- একটা সময় অরিজিতের বড় বড় চুল দেখে “ দ্য কপিল শর্মা শো” –তে অরিজিতকে এর পেছনে কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান “ মুম্বাইতে আমি চুলদাড়ি কাটার সময় পাচ্ছি না”।
- অরিজিতের একটি NGO রয়েছে। তিনি এখানে গরীব মানুষদের জন্য কাপড় বিতরণ, ব্লাড ব্যাঙ্ক, বই বিতরণ ইত্যাদি নানান কাজ করে থাকেন।
- ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলতে অরিজিতকে খুবই কম দেখা গেছে। তার কোনো এক প্রতিযোগিতার সহ-প্রতিযোগিনী রূপরেখা বাণাড়জীর সাথে ২০১৩ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তার এই বিবাহ বেশিদিন টেকে নি। ২০১৩ সালেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। প্রথম স্ত্রীর সাথে অরিজিতের কোনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোথাও নেই।
এরপর ২০১৪ সালে অরিজিত তার ছোট্ট বেলার বান্ধবী কোয়েল রায়- কে বিবাহ করেন। কোয়েলেরও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। কোয়েলের ইতিমধ্যেই একটি মেয়ে ছিল। অরিজিতের দুটি ছেলে।

UNKNOWN FACTS ABOUT ARIJIT SINGH অরিজিত সিংএর অজানা কথা অবাক পৃথিবী অজানা তথ্য TOP 13 HIDDEN FACTS
- অরিজিতের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৭ মিলিয়ন ডলার।
- একটি ইন্টারভিউে অরিজিত জানায়- সে বিখ্যাত হওয়ার জন্য সংগীতের জগতে পদার্পণ করেনি। সে মিউজিককে ভালোবেসেই মিউজিকের দুনিয়ায় এসেছিল। অরিজিত খুবই শান্ত এবং ভদ্র স্বভাবের। একটি ইন্টারভিউে অরিজিতকে জিজ্ঞাসা করা হয়- আপনি কি আপনার প্রথম মাইনে দিয়ে গাড়ী কিনেছিলেন? এর উত্তরে অরিজিত জানায়- “গাড়ি? কিসের গাড়ি? আমার এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি নেই। আমি পাবলিক গাড়িতেই যাতায়াত করি। এমনকি আমার যেদিন রেকর্ডিং থাকে সেদিনও আমি অটোতে করে স্টুডিওতে পৌঁছাই। আর আমি যখন কলকাতায় যায় তখন আমি মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত ট্রেনে যাই, আর এরপর রিক্সা চেপে আমার বাড়িতে পৌঁছাই।


কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।