দুটি bengali funny story নিয়ে আজ আবার নতুন আরেকটি লেখা। তবে আজ একটি বাংলা হাসির কবিতাও থাকছে। সেই কবিতাটিতে স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস ছন্দের আকারে রয়েছে। bengali husband wife jokes.

bengali funny story. বাংলা হাসির কৌতুক ২০২২ঃ-

বাজারে ঘুরছে phd. (bangla hasir golpo):-

বল্টু প্রতিদিনের মত, সেদিনও বাজারে গেছে। জিনিসপত্র কেনার পড়, সে একটি চায়ের দোকানে গিয়ে চা খেতে থাকে। সে দেখল যে, একজন বয়স্ক মহিলা এবং একটি ছোট্ট ছেলে, হেঁটে হেঁটে চায়ের দোকানেই আসছে। বয়স্ক মানুষ ছেলেটার সঙ্গে আর হাঁটার পাল্লায় পেড়ে উঠবে কেন? ছেলেটা হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা এগিয়ে গেছে। তাই পিছন থেকে সেই বয়স্ক মহিলাটি ডাক দিল- “আরে Phd দাড়া দাড়া, আস্তে আস্তে হাঁট না বাবা।

বল্টু কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায়, এ আবার কেমন নাম রে বাবা- Phd. বল্টু ভাবল, সে ভুল শুনেছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পড় আবার সেই বয়স্ক মহিলাটি ডাকলেন- “এই Phd এই চায়ের দোকানে আয়”

মহিলাটি চায়ের দোকানে চলে এল। এবার বল্টু সেই মহিলাটিকে বলল- “আর কোনো নাম পেলেন না, ওর ঠাম্মা? এটা কেমন নাম রেখেছেন- Phd.!”

শোনো বাবা সাধেই কি আর এমন নাম রেখেছি, আমার স্বপ্ন ছিল আমার একমাত্র মেয়ে অনেক অনেক পড়াশোনা করবে। আর তার পেছনে আমি অনেক টাঁকা খরচ করেছিও। ছয় বছর আগে সে NET পরীক্ষায় পাশ, করে আমি খুবই আনন্দিত হই। এরপর সে Phd কমপ্লিট করার জন্য দিল্লী যায়, আর আমাকে বলে যায় যে সে Phd নিয়েই বাড়ি ফিরবে। কিন্তু পাঁচ বছর পড় সে এই বাচ্চাটাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। আর সে তো আমাকে বলেছিল যে সে Phd নিয়েই বাড়ি ফিরবে। মনকে শান্তনা দেওয়ার জন্য এই বাচ্চাটাকেই আমি Phd বলে ডাকি, কারণ এটাকে নিয়েই সে দিল্লী থেকে এসেছে।

এখন আমরা টেলিগ্রামেও। টেলিগ্রাম গ্রুপ লিংক CharpatraOFFICIAL

বাংলা হাসির কবিতা (স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস)ঃ-

স্বামী :- শুনছো নাকি গেলে কোথায় ?

অফিস থেকে এলাম ,

দশটা মিনিট হয়ে গেল

না চা , না জল পেলাম ,,

কর যে কি সারাটা দিন

স্টার জলসাই দেখো ,

বরটা এসে বসে আছে

একটু খেয়াল রাখো ।

স্ত্রী :- ঘুমোচ্ছিলাম বুঝলে সোনা

তেল টা দিয়ে নাকে ,

ঘুম ভেঙে এই উঠে এলাম

মিষ্টি তোমার ডাকে ,,

বলতে পারো সারা টা দিন

এমনি বসে থাকি ??

রাজ্যের সব ফেলে রেখে

স্টার জলসা দেখি ?

সকাল বেলা বেরিয়ে যাও ,

রাতে ফেরো ঘরে ,,

খোঁজ কি রাখো সারাদিনের

কাজ এতো কে করে ?

ভোর থেকে সেই উঠে কখন

শুরু যে হয় পালা ,

ঘরে দুটো হনুমান

তাদের হাজার জ্বালা ,,

রান্না-বান্না, দোকান বাজার,

সবার আসা যাওয়া ,

পড়াশুনা হাজার ঝক্কি

মাথায় ওঠে খাওয়া ,,

এটা চাই, ওটা কোথায় ?

সকলের ফরমাশ ,

মানুষ বলে ভাবো আমায় ??

খাটাও বারোমাস ,,

স্বামী :– কাজ তো তুমি একাই কর

আমি ঘুরে আসি,

সকাল বেলা বেরিয়ে পড়ি

পার্কে গিয়ে বসি ,,

আড্ডা মারি , Movie দেখি ,

Lunch এ বিরিয়ানী ,

মাসের শেষে গাছ নাড়িয়ে

টাকা ঘরে আনি ,,

ট্রেনে ,বাসে বাদুর ঝোলা

তাতেই নাজেহাল ,

ঘেমে নেয়ে ঘরে ফিরে

খাও বৌ এর গাল …

স্ত্রী :- বৌ কিছু বলতে গেলে ই

হবেই তো মানহানি ,

এই যদি মা বলতো

হয়ে যেত বানী ,,,

স্বামী :- এই তো এবার পথে এসো ,

আসল কথা বল ,

ভাবছো আমি বুঝিনা কি,

কার ভাবনায় চল ?

স্ত্রী :- ভাবনা করার সময় কোথায় ?

করি ঝি এর কাজ ,

পান থেকে চুন খসে তো

পড়বে মাথায় বাজ ,,

মায়ের কথায় একটুতেই

জ্বালা ধরে যাবে ,

বৌ, ওতো পরের মেয়ে

তার কথা কে ভাবে ;

স্বামী :- ভাবিনা তো, বেশ ভাবিনা ,

কার জন্য খাটি ?

বাদ দাওগে ভালো লাগে না

রোজ ঝগড়া ঝাটি ,,

স্ত্রী :- ঝগড়া তো রোজ আমি ই করি ,

তুমি সাধু লোক ,

বাজারে তো সুনাম আছে

আর কিছু না হোক ।

অফিস আছে , আড্ডা আছে ,

আরো আছে তাস ,

হাজার একটা মেয়েবন্ধু ,,

আমার সর্বনাশ ,,,

পড়ুনঃ- চরম হাসির মজার গল্প

স্বামী :- হাজার একটা ? হায় মালিক

একটাও নেই মোটে ,

তোমার মতো এক পিস্ তো

আমার কপালে জোটে ,,

তার সাথে শাশুড়ী আর

হিড়িম্বা ঐ শালী ,

হাড়ে আমার হলুদ দিল

জীবন হল কালি ,,

ওকি হল কাঁদছো নাকি ?

করছিলাম joke ,

আচ্ছা ছাড়ো ওসব কথা ,

মোছো এবার চোখ ।

মাইগ্ৰেন টা খুব বেড়েছে

জ্বালাচ্ছে খুব আজ ,

সারাটা দিন তার মধ্যে

বড্ড ছিল কাজ ,,

স্ত্রী :- এমা আমি বুঝিনি গো ,

দাঁড়াও ওষুধ আনি ,

আজ যে তোমার ধরবে মাথা

কালকে রাতে ই জানি ,,

কালকে যখন স্নান করলে

তখন কতো রাত ,

অবেলায় ঢেলো না জল

সাইনাসের ধাত ,,

চা দেব না কফি নেবে ?

আদা দেব চায়ে ?

এই দেখোনা পায়েল টা সেই

পড়েছি আজ পায়ে ,

স্বামী :- আর সেজোনা বুঝলে ম্যাডাম

একই আছো আজও ,

আজও দেখে ক্যাবলা যে হই

যখন তুমি সাজো ,,

স্ত্রী :- ভাগো যতো বাজে কথা

কলেজ দিনের মতো ,

হচ্ছে কি সব আদিখ্যেতা

বাড়ছে বয়স যতো ,,

হ্যাঁ গো তোমার মনে পড়ে

সেই কবেকার কথা ?

কতো কতো লিখতে চিঠি

গোছা গোছা পাতা ….

লুকিয়ে লুকিয়ে স্কুলের পথে

সাইকেলে যাওয়া ,

একসাথে পাশাপাশি

প্রথম ফুচকা খাওয়া …

চাকরি পেয়ে প্রথম মাসে

যেদিন দিলে শাড়ি ,

কিংবা যখন প্রথম বার

গেলাম তোমার বাড়ি ?

মোবাইল নেই , ফেসবুক নেই

তবুও হতো দেখা ,

চিঠিগুলো তবে এখন

বড্ড লাগে ন্যাকা ,,

স্বামী :- প্রথম প্রথম লিখতে হয়

ওসব অনেক কিছু ,

অকারণ চক্বর মারা

হাঁটা পিছু পিছু ,,

বোসেদের মলয় টা তো

তক্বে তক্বে ছিল ,

ভয় হতো এই বুঝি

তোমায় তুলে নিলো ,,

তুমি ও ছিলে তেমনি ন্যাকা

করতে দাদা দাদা ,

দেখতে তো ঐ ক্যাবলা গনেশ

নাম্বার ওয়ান হাঁদা ,,

স্ত্রী :- তুমি ই বা কোন্ উত্তম কুমার ?

তোমার কেসও জানি ,

শ্রাবন্তী কে লাগতো ভালো

হালে পাওনি পানি ….

স্বামী :- ওই তো তুমি করতে শুধু

আর কি ছিল কাজ ?

তোমার দাদার রটানো সব

বলে দিলাম আজ , ,

ঈর্ষা ছিল আমার ওপর

ভরতো তোমার কান ,

সবই জানি বোনের ওপর

আছে কতই টান ,,

স্ত্রী :- সব কথাতেই তুমি দেখি

বাপের বাড়ি টানো ,

ঘুরে ফিরে শুধু ই আমার

বোন দাদা কে আনো ,,

তোমার তো ঐ একটাই বোন ,

একলা একেশ্বরী ,

একটু তে তার নাকি কান্না

আসবে বাপের বাড়ি ,

জ্বালিয়ে খেলো গুষ্টিশুদ্ধ

যে যেখানে আছে ,

হাড় জুড়োবে যেদিন আমি

যাবো যমের কাছে ,,

স্বামী :- অতটা সুখ নেই গো আমার

পুরো ই কপাল পোড়া ,

এর চাইতে জুটতো বউ

বোবা , কালা , খোঁড়া ,,

রূপ না হয় কমই হতো

বুদ্ধিতেও বোকা ,

আমার শালা কপাল দেখো

সব কিছুতেই ধোঁকা।

স্ত্রী :– বলবেই তো , আমি বলেই

তোমার এ ঘর করি ,

সকাল বিকেল কথা শুনেও

তোমার পায়েই পড়ি ,,

এসব ছেড়ে একদিন ঠিক

যাবো কোথাও চলে ,

সামলিও সব একাই তখন

আগেই দিলাম বলে ,,

স্বামী :- ওকি , ওকি আবার শুরু

করলে যে ফোঁস , ফোঁস ….

আচ্ছা বাবা মেনে নিলাম

ছিল আমার দোষ ,,

এবার একটু শান্ত হয়ে

বোসো দেখি পাশে ,

এতো জল কোত্থেকে যে

তোমার চোখে আসে ,

রাগ করেছো তাই না খুব ?

বলছো না যে কথা ,

হচ্ছে বয়স, একটুতে তাই

গরম যে হয় মাথা ,,

স্ত্রী :- মাথার আর দোষ কি বল ?

আমারই ভুল Sorry ,

তুচ্ছ কথায় রেগে গিয়ে

কেন এমন করি ,,

স্বামী:- তোমার আর দোষ কি আছে

করছো খাটা খাটি ,

আমি ই এসে এমন করি

দিন টাই হয় মাটি ,,

স্ত্রী :- তুমি হলে বড্ড গোঁয়ার ,

বলছি আমার ভুল ,

ছোট্ট একটা ব্যাপার নিয়ে

ছিঁড়ছো মাথার চুল ,,

তোমারই বা কম কি জেদ ?

যা বলবে সেটাই ?

সারাজীবন উল্টো বল

বলবো আমি যেটাই ,,

স্বামী :- উল্টো বলি? বেশ বলি ,

করলে কেন বিয়ে?

ডিভোর্স দিয়ে দাঁড়াও আবার

ছাদনাতলায় গিয়ে ….

স্ত্রী :- পাগল নাকি ? ন্যাড়া ক বার

বেলতলাতে যায় ??

দিল্লি কা ঐ লাড্ডু আবার

সাধ করে কেউ খায় ??

স্বামী :- আচ্ছা ম্যাডাম ভুল হয়েছে ,

এবার করো ক্ষমা ,

যতো তোমার মধুর বচন

এখন রাখো জমা ,,

স্ত্রী :- এই তো শুরু , এখনও তো

অনেক আছে বাকি ,

এক দিনে সব ঝগড়া করে

এমনি দেবে ফাঁকি ??

স্বামি:- যাই বলগো রাগলে তোমায়

আজও Sweet লাগে ,

আজও তেমন লাল হয়ে যাও

যেমনি যেতে আগে ,,,,

রাতের মেনু কি Darling ?

হলো অনেক রাত ,

চলো এবার Dinner করি

খতম করো বাত ……..।

এখন আমরা টেলিগ্রামেও। টেলিগ্রাম গ্রুপ লিংক CharpatraOFFICIAL

bengali funny story bengali funny jokes poem বাংলা হাসির কবিতা স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস
Spread the love

Leave a Reply