সেরা হাসির গল্প। বাস্তব হাসির গল্প। বাংলা হাসির গল্পঃ-

একেবারে সাতটি ছোট হাসির গল্প নিয়ে আজ আবারও এক নতুন আগমন। এই সেরা হাসির গল্প গুলি তোমাদের ভালো লাগবে এই আশাই রাখি।

new হাসির গল্প-মশা ও কুকুরের টুরু লাবঃ-

তোমরা তো জানোই বর্তমান দিনের ভালোবাসা। এক পক্ষ বুঝলে অপর পক্ষ বুঝে না, আবার দুই পক্ষই বুঝলে বাড়ির লোক বোঝে না। ভালোবাসার জন্য অনেকেই জীবন দিয়ে দেয়। আবার এদিকে এটা এমন একটা জিনিস, যেটা নাকি ধর্ম, জাতি মানে না। এরকমই একটা ভালোবাসার গল্পের শেষ পরিণতির কথা আজ তোমাদের কাছে তুলে ধরছি।

প্রথম দেখাতেই একটি মশার সাথে একটি কুকুরের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। এরপর যেটা হওয়ার আরকি, ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। না এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই, কারণ প্রেম ধর্ম বা জাতি মানে না। দেখতে দেখতে কেটে যায় ৬ মাস, এদিকে আবার ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ চলে এসেছে। মশা ও কুকুর প্রেমিক জুটিও এই সপ্তাহ টা মহা ধূম-ধামে পালন করছে। রোজ ডে, প্রপোজ ডে পেড়িয়ে চলে এল কিস ডে।

কিস ডে পালন করার নামে মশা কুকুরকে এক ঘণ্টা পর পরই কিস দিতে লাগল, এদিকে কুকুর বলল- “এবার আমি কিস করি” কুকুর এমন হাঁ করে কিস করল যে, মশা বেচারি কুকুরের মুখের মধ্য দিয়ে কুকুরের পেটে গিয়ে মারা গেল। এদিকে প্রেমিকাকে হারিয়ে কুকুর বেচারা পুড়ো ভেঙ্গে পড়েছে। ১৫ দিন পরই বেচারা তার গার্লফ্রেন্ড মশার দেওয়া কিসের ফলে ডেঙ্গু হয়ে মারা গেল। আর এভাবেই এই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া প্রেমের গল্পটির সমাপ্তি হয়।

সেরা হাসির গল্প new হাসির গল্প-মশা ও কুকুরের টুরু লাব
new হাসির গল্প-মশা ও কুকুরের টুরু লাব

বাংলা হাসির গল্প- আমার বাচ্চা চাইই চাইঃ-

মানুষের বাচ্চাদের রাস্তায় মাঠে ঘাঁটে খেলতে দেখে, আমাদের পাড়ার কেল্টু কাকার দাদা চেল্টু জ্যেঠুর ইচ্ছে তারও যদি বাচ্চা থাকত, সেও সবার সাথে খেলত, আর তা দেখে জ্যেঠুর মন খুশিতে ভড়ে উঠত। তিনি ঠিক করলেন, ঈশ্বরের কাছে তিনি প্রার্থনা করবেন।

এদিকে তিনি মাসের পর মাস তীর্থে কাটিয়েই যাচ্ছেন, কামনা একটাই তাকে বাচ্চা লাগবেই লাগবে। অনেক তীর্থ ঘুরেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না, দেখে তিনি মন খারাপ হয়ে আবার বাড়ির দিকে রওনা দিলেন।

রাস্তায় গ্রামে ঢোকার মোড়ে তার সাথে দেখা হল, গ্রামের প্রধান সাহেবের সঙ্গে, তিনি বললেন- “চেল্টু দা, তোমার বয়স তো কম হল না গো, তা এবার একটা বিয়ে-সাধি কর।“ এই কথাটা শুনে জ্যেঠুর মনে হল তিনি তো বিয়েই করেন নি, তাহলে বাচ্চা আসবে কিভাবে!

এই ভুলো মনার জন্যই তিনি বছর কয়েক আগে, কয়েকজন লোকের কাছে মার খেয়েছিলেন, কারণ তিনি রাস্তায় একজন বিবাহিতা মহিলাকে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, তার হাত ধরে বলেছিলেন, চলো এবার বাড়ি। কিন্তু তার মনেই ছিল না যে, সেটা তার বউ নয় কারণ, তিনি তো বিয়েই করেন নি।

বাস্তব হাসির গল্প-পার্কের সেই কিউট মেয়েটাঃ-

এই তো সেদিন আমার সাথে ঘটে গেল এক মহা ধূম-ধাম কাণ্ড। আমি একটু পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলাম। উঁহু আসল উদ্দেশ্য কিন্তু বেড়ানো নয়, উদ্দেশ্য একটু অন্যরকম। মানে বুঝতেই পাড়ছ, আমার বন্ধুদের সবার গার্লফ্রেন্ড আছে, আর আমার কপালে কিছুই নেই, এমনকি একটা মেয়ে বন্ধুও নেই। তাই মেয়ে বন্ধু খোঁজাটাই আমার উদ্দেশ্য।

আমার বন্ধুদের আমি দেখিয়ে দিতে চাই, যে আমারও গার্লফ্রেন্ড আছে। এই আশা নিয়েই পার্কে আসা। পার্কের বেঞ্চে একটা মেয়েকে দেখেই ফিদা হয়ে গেলাম। তবে ফিদা আমি আমার সামনে যেই মেয়েকে দেখি, তাকে দেখেই হয়ে যাই। উঁহু আমাকে খারাপ ভাববে না, আমি কিন্তু একদম ধোঁয়া তুলসীর পাতার চেয়েও ভালো মানুষ।

বাস্তব হাসির গল্প-পার্কের সেই কিউট মেয়েটা
বাস্তব হাসির গল্প-পার্কের সেই কিউট মেয়েটা

মেয়েটাকে দেখেই, তার সাথে একটু কথা বলার ইচ্ছে হল। উম্ম কি করা যায়, ভাবলাম বেশী সময় খরচ করে লাভ নেই, সরাসরি প্রপোজ করব। কারণ যদি ‘না’ বলে দেয়, তাহলে তো আমাকে আবার অন্য কাউকে খুঁজতে হবে।

সে যাই হোক, মেয়েটার কাছে গিয়ে সরাসরি বলে ফেললাম- “Hi! Actually I am in love with you totally. একি হল রে বাবা, মেয়েটা আমার দিকে তেড়ে এসে বলল- “তোর বোন তোতলি, তোর দিদি তোতলি, তোর পুড়ো গুষ্টি তোতলি।“

আমি কি বলব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পড়ে বুঝলাম, মেয়েটার কানে সমস্যা আছে- আমার “totally” কথাটাকে সে শুনেছে আমি তাকে “তোতলি” বলেছি।

সেদিন সাইকেল ঘাড়ে উঠিয়ে নিয়ে দৌড় দিয়ে পালিয়ে প্রানে বেঁচেছিলাম। নাহলে তো মেয়েটা যে হারে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছিল, যেন মনে হচ্ছিল আমি ওর ইজ্জত নিয়ে কথা বলেছি। থাক ভাই আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড লাগবে না, বন্ধুদের সুখেই আমি সুখী।

পড়ুনঃ- 18 Top NEW Bangla Jokes

চরম হাসির মজার গল্প

সেরা হাসির গল্প-আমার টুরু লাবঃ-

প্রেম যে আমার জীবনে আসেনি, তা কিন্তু নয়, প্রেম এসেছিল ঠিকই-

আমার ক্লাসের একজন অতি সুন্দরী মেয়ে চামেলি। ক্লাসের সব ছেলের ক্রাশ। আমার বন্ধুদের মুখে শুনেছি, মোবাইল রিচারজ করে দেওয়ার কথা বললে মেয়েরা নাকি হুট করেই পটে যায়। তাই আমিও একটু চামেলির উপড়ে ট্রাই মারতে গিয়েছিলাম।

আমিঃ- ও হো, জানে মেরি জানে মন, ১০০ মোবাইল রিচারজ করে দিব নাকি?

চামেলিঃ- না দরকার নেই, আমি নিজেই রিচারজ করতে পাড়ব।

আমি মনে মনে ভাবি, বা মেয়েটার কিন্তু লোভ নেই, একে আমার গার্লফ্রেন্ড বানাতেই হবে।

কিন্তু হায়রে হায়, স্কুল ছুটি হওয়ার সময়, চামেলি আমার কাছে এসে বলল-

“আচ্ছা শোনো তুমি যখন বললে, তখন দিয়ে দিও রিচারজ করে, তবে ১০০ না ৭৮০ টাকার যে প্ল্যানটা আছে সেটা রিচারজ করে দিও, তাহলে Hotstar ফ্রি পাওয়া যাবে।“

ভাগ্যিস আমি রিচারজ করে দিই নি। পড়ে আমি জানতে পাড়ি, সে প্রতি মাসে এভাবেই নাকি ছেলেদের কাছে থেকে রিচারজ করিয়ে নেয়।

পড়ুনঃ- বাংলা ছোট হাসির গল্প। 

new হাসির গল্প-গার্লফ্রেন্ডের ন্যাকামিঃ-

কয়েকদিন আগের কথা, আমার বন্ধু বল্টুর বেজায় পেট ব্যাথা, আসলে আগের দিন একটু বেশী তেলেভাজা খাওয়া হয়ে গিয়েছিল, তাই। তার পেট এখন কথা বলছে। টয়লেটে ঢুকলেই নিমেষে এক-ঘণ্টা কেটে যায়।

এদিকে সকাল হতে না হতেই বল্টুর গার্ল ফ্রেন্ডের কবিতার মত ম্যাসেজ-

শুভ সকাল,

যদি ঘুমিয়ে আছো তাহলে, স্বপ্ন পাঠিও।

যদি জেগে আছো, তাহলে ইচ্ছে পাঠিও।

যদি আরামে আছো তাহলে খুশি পাঠিও।।

এটি দেখে বল্টু বেজায় ক্ষেপে গেল, কারণ এদিকে তার পেটে প্রচণ্ড ব্যাথা, তার উপর আবার গার্ল ফ্রেন্ডের এমন ন্যাকামি। সে রাগে রিপ্লাই করল- “আমি টয়লেটে আছি, তাহলে কি পাঠাবো?”

new-হাসির-গল্প-গার্লফ্রেন্ডের-ন্যাকামি
new-হাসির-গল্প-গার্লফ্রেন্ডের-ন্যাকামি image
<

বাস্তব হাসির গল্প-ফেসবুক WhatsApp থেকে টাঁকা ইনকামের উপায়ঃ-

আমাদের পাড়ার দক্ষিণ মোড়ের বাম পাশের বাড়িটা হল চিচু ভাইয়ের। পাড়ায় ফালতু জ্ঞান দেওয়ার জন্য সে বিখ্যাত। সেদিন দেখলাম পাড়ার বিশাল বট গাছটার ছায়ায়, গোটা কয়েক লোককে একত্রিত করে কিভাবে Facebook আর WhatsApp থেকে সহজেই টাঁকা ইনকাম করা যায় সেই ব্যাপারে জ্ঞান দিচ্ছে।

আমি গিয়ে শুনলাম সে বলছে- “Facebook ও  WhatsApp থেকে টাঁকা ইনকাম করা এখন খুবই সহজ।“ বাকিরা জিজ্ঞাসা করল- “কিভাবে?”

চিচুঃ- “একদম simple ব্যাপার। তোমাদের মোবাইল থেকে Facebook আর WhatsApp ডিলিট করে দাও, আর সারাদিন হাজিরা কাজ করো। দেখবে দিন শেষে ৩০০-৫০০ টাঁকা তোমাদের পকেটে জমা হয়েছে।“

বাংলা হাসির গল্প-মন্দিরের পূজারী মেয়ে কেন হয়না! ঃ-

আমার মনে একটাই প্রশ্ন- মন্দিরের পূজারী সবসময় ছেলেই হয় কেন? মেয়েও তো পূজারী হতে পাড়ে। মেয়েদের বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন?

এই প্রশ্নটা নিয়েই একদিন আমার এক উকিল বন্ধুর কাছে গেলাম । সে বলল- “দেখ অসীম, আমরা রাস্তায়, শপিং-মলে মেয়েদের দিকে তাকাই। আর এটাই আমাদের স্বভাব। আর যদি কোনো মন্দিরে মেয়ে পূজারী থাকে, সবাই ভগবান কে না দেখে সেই মেয়ে পূজারীকেই দেখবে। কিন্তু মন্দিরে ভগবান ই হলেন প্রধান মেয়ে পূজারী নয়।

সাধারণত মন্দিরে বয়স্ক লোকেদের ভিড় বেশী দেখা যায়, কিন্তু যদি মেয়ে পূজারী হয়, তাহলে ছেলে-পুলের ভিড় বেড়ে যাবে। সবাই পূজারীকেই দেখতে যাবে। ভগবানকে নয়। তাই মন্দিরের পূজারী মেয়ে নয়, ছেলেই হয়।

বন্ধুর বাড়ি থেকে বাইরে বেড় হতে হতে ভাবলাম- ভাইরে সাধেই কি আর তুই উকিল হয়েছিস!

“সেরা হাসির গল্প। new hasir golpo. বাস্তব হাসির গল্প। বাংলা হাসির গল্প। bengali new funny story, sera hasir golpo”

Spread the love

Leave a Reply