জানেন কি রিলেশনশিপ মানে কি! এই যে এত প্রেম ভালোবাসা রিলেশন, কখনো জানেন কি রিলেশনশিপ আসলে কি! আজকের ব্লগে আপনার জন্য থাকল রিলেশনশিপ নিয়ে কিছু কথা। তার সঙ্গে কিছু প্রেমের সাইকোলজি।

রিলেশনশিপ মানে কি?

আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি রিলেশনশিপ কি, আপনি হয়ত অতি সহজে বলে দেবেন যে, দুজন ছেলে মেয়ে তাদের একে অপরকে পছন্দ হয়ে গেলে তারা একসাথে সময় কাটানো পছন্দ করে এটাই রিলেশনশিপ। কত সোজা ভাবে বলে দিবেন তাই না! কিন্তু জানেন কি রিলেশনশিপ আমরা যেমন ভাবি তেমনটা আসলে নয়। একেক ব্যক্তি রিলেশনশিপ এর একেক রকম সংজ্ঞা বেড় করেন।

রিলেশনশিপ মানে একজন সুন্দর বয়ফ্রেন্ড বা একজন সুন্দর গার্লফ্রেন্ড থাকা নয়। রিলেশনশিপ এর অর্থ অনেক গভীর।

আবার যদি ভাবছেন একজন পারফেক্ট ব্যক্তি কে খুঁজে পাওয়াই হল রিলেশনশিপ। তাহলে সেই ভাবনাও ভুল, কেননা পৃথিবীতে কেউই পারফেক্ট হয়না।

রিলেশনশিপ মানে কি?
রিলেশনশিপ মানে কি?

দেখতে সুন্দর পকেট ভর্তি টাকা দামী গাড়ি, এইসব কার আছে খুঁজে খুঁজে বেড় করে তথাকথিত রিলেশন এ আসা টা মোটেও রিলেশনশিপ নয়।

প্রচুর অর্থ আছে মানে এই নয় যে তার মনে শুদ্ধ ভালোবাসা আছে। অর্থ কোনদিন ভালোবাসা কিনতে পারে না। যদি কেউ প্রাচুর্য দেখে প্রেমে পরে বুঝে নিতে হবে সেটা অর্থের প্রতি প্রেম মানুষটির প্রতি নয়।

তাহলে রিলেশনশিপ জিনিসটা কি!

রিলেশনশিপ হল,

=> এমন কাউকে খুঁজে নেওয়া যে আপনাকে রেসপেক্ট করবে।

=> যে আপনাকে কেয়ার করার হাজারটা কারণ নিজেই খুঁজে নেবে।

=> যে আপনাকে বুঝতে পারবে।

=> যে আপনার সাথে বন্ধুর মত মিশবে, গাইড করবে, ভালোমন্দ বিচারে আপনার সঙ্গে দাঁড়াবে।

=> যে তার লাইফে আপনার মত কেউ আছে এটা ভেবে, আপনাকে নিয়ে গর্ব করবে।

=> যে আপনাকে আপনি যেমন ঠিক তেমন হিসেবেই মেনে নেবে।

=> যে আপনাকে ঠিক তেমন ভাবেই ভালবাসবে যেমন ভাবে আপনি চান।

পড়ুনঃ- সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে গল্প 

=> আপনি যাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারবেন

=> যে জানে, কীভাবে আপনাকে শান্ত করতে হয়।

=> যে প্রতিটি পরিস্থিতিতে আপনার সাথে থাকবে। আপনার কাঁধে হাত রেখে আপনাকে উতসাহিত করবে।

=> যে আপনার খারাপ দিক গুলিও মেনে নেবে।

=> আর যে আপনার করা ভুল কে সহজে মেনে নিয়ে ক্ষমা করে দিয়ে আঁকড়ে ধরে রাখবে।

=> যে আপনার সঙ্গে তার মনের কথা শেয়ার করে নেবে।

=> যে আপনার জন্য সব পরিস্থিতির মকাবিলা করতে এগিয়ে যাবে।

=> এরকম মানুষ অবশ্য বর্তমান দিনে খুঁজে পাওয়া দুস্কর। ঈশ্বর ছাড়া কেউই আপনাকে এমন মানুষ এনে দিতে পারবে না। আর যদি আপনার কাছে সেই মানুষটি আছে তাহলে তাকে অবহেলা করবেন না। তাকেও ভালবাসুন তাকেও সময় দিন তাকেও বুঝতে শিখুন।

=> সেই মানুষটির প্রতি বিশ্বাসী হতে শিখুন ভরসা রাখুন তার উপরে, সে যেন আপনাকে ভরসা করতে পারে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে সেই দিকে খেয়াল রাখুন।

রিলেশনশিপ নিয়ে কিছু কথা
রিলেশনশিপ নিয়ে কিছু কথা

=> সর্বদা মনে রাখবেন যে, রিলেশনশিপ আসলে সারাজীবনের জন্য একে অপরকে সপে দেওয়া। ছেড়ে তো সবাই যায় আপনি নাহয় আগলে রাখলেন ভালমত বুঝতে শিখলেন আপনার সেই ঈশ্বর প্রদত্ত মানুষটিকে।

প্রতিটি মানুষ আলাদা আলাদা কারণে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কেউ বিবাহ করে নিজের শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্য। কেউ বিবাহ করে বংশ বৃদ্ধির জন্য। কেউ বিবাহ করে বুড়ো বয়সে একজন সঙ্গীর জন্য। কিন্তু কেউ বিয়ে করে সারাজীবন নিজের মানুষটাকে চোখে চোখে রাখার জন্য। কেননা সারাজীবন নিজের মানুষটাকে নিজের করে রেখে চোখে চোখে দেখার মত সুন্দর অনুভূতি হয়ত নেই।   

অনেক সম্পর্কেই অতিরিক্ত পসেসিভনেস সম্পর্ককে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়, কেননা অতিরিক্ত পসেসিভনেস সবাই নিতে পারে না। আপনার পার্টনার অতিরিক্ত পসেসিভ মানে এই নয় যে সে আপনাকে সন্দেহ করছে বা আপনার প্রতি তার বিরক্ত এসেছে, আসলে সে আপনাকে অতিরিক্ত যত্ন করে।

সম্পর্কে ঝগড়া মান- অভিমান হতেই পারে, তাই বলে কিছুই বুঝতে না চাওয়া, না একে অপরকে না মানিয়ে কথা বন্ধ করা এইসব একটি ভালো সম্পর্কের পরিচায়ক নয়।

পড়ুনঃ- জীবন নিয়ে অসাধারণ একটি গল্প

যাই হোক চলুন এবার রিলেশনশিপ বা ভালোবাসার সঙ্গে যুক্ত কিছু সাইকলজি ফ্যাক্ট জেনে নেওয়া যাক-

প্রেমের সাইকোলজিঃ-

=> মনোবিদদের মতে, আপনি আপনার ভালোবাসাকে যতটাই লুকিয়ে রাখতে চাইবেন, অর্থাৎ প্রকাশ করতে চাইবেন না, আপনার ভালোবাসা ততটাই বাইরে বেড়িয়ে আসতে চাইবে।

=> মানুষের জীবনে প্রেম নামক জিনিসটা, গড়ে ১৮ বছর বয়সেই আসে। এই সময় তার মাথায় চলতে থাকে, নিজের আশেপাশের দেখতে সুন্দর কোনো ব্যক্তিকে (ছেলে/মেয়ে) ইমপ্রেস করার চেষ্টা। আবার অনেকসময় এই বয়সে অনেকেই সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের প্রেমেও পড়ে যান, না এই প্রেম হল একতরফা প্রেম। কারণ নায়ক-নায়িকারা থোরেই না আপনাকে চেনে? আবার একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথেই, সেই ব্যক্তিই সুন্দর এবং ভালো আচরণ যুক্ত সাথীর খোঁজ করতে থাকে।

=> Oxytocin নামক এক বিশেষ হরমোন আমাদের শরীরে তখনই উৎপন্ন হয়, যখন আমাদের পছন্দের কোনো প্রিয়জন, অথবা আমাদের প্রেমিক/প্রেমিকা আমাদের কাছা-কাছি আসে। এই হরমোনের আরেক নাম হল- Love hormone, এই হরমোন ক্ষরণের ফলে মানুষ রিল্যাক্স ফিল করে।

=> দুইজন প্রেমিক প্রেমিকা যতই পরস্পরের কাছাকাছি আসতে থাকে, ততই তাদের পছন্দ-অপছন্দ প্রায় একই রকম হয়ে যায়। যখন আমরা আমাদের প্রিয়জনের সাথে দেখা করি, তখন তার প্রত্যেকটি কাজ আমাদের কাছে পারফেক্ট মনে হয়।

প্রেমের সাইকোলজি
প্রেমের সাইকোলজি
<

=> জানেন কি, যে প্রেমিক-প্রেমিকাদের প্রায় প্রতিদিন দেখা হয় তাদের তুলনায় long distance relationship গুলি অথবা তুলনামূলক অনেকদিন পর পর দেখা করা প্রেমিক যুগলের প্রেম বেশি মজবুত।

=> আমাদের জীবনে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল প্রেম। সফল প্রেম অথবা অসফল প্রেম মানুষের জীবনকে নতুন করে গড়তে অথবা নষ্ট করতে পাড়ে।

 => বিয়ের আংটি বাম হাতের তৃতীয় আঙ্গুলে কেন পড়ানো হয়ে থাকে জানেন? কারণ এটি একমাত্র আঙুল যার স্নায়ু সরাসরি আমাদের হৃদয়ের সাথে অর্থাৎ হৃদ্‌যন্ত্রের সাথে যুক্ত থাকে।

গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে।

সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও বা অডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।

পড়ুনঃ- 
ভালোবাসার গল্প 

রহস্য রোমাঞ্চে ভরা কাহিনী 
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক Group - গল্প Junction 

ফেসবুক- ছাড়পত্র

টেলিগ্রাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র () 

রিলেশনশিপ মানে কি? রিলেশনশিপ নিয়ে কিছু কথা। প্রেমের সাইকোলজি। unknown facts of love do you know what is relationship?

Spread the love

Leave a Reply