মাত্র কয়েক লাইনের প্রেমের গল্প পড়েছেন! কি বলছেন পড়েন নি! চলুন তাহলে আজ ছাড়পত্রে কিছু ছোট ছোট প্রেমের গল্প পড়ে নিই ।।
ছোট ছোট প্রেমের গল্পঃ-
১. ছেলেটার লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলার অভ্যাসটা আজ আর নেই। মেয়েটাও আর ছেলেটার প্রতি আগ্রহ দেখায় না। এদিকে মেয়েটার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। স্বামীর বাড়ি যাত্রা কালে মেয়েটা দেখল, একসময় যে ছেলেটা তার জন্য পাগল হয়ে থাকত, কত্ত হাসাত, কত্ত কথা বলত সেই ছেলেটা আজ নিশ্চুপ। পরিবর্তে চার জনের কাঁধে চড়িয়ে তাকে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছে একদল মানুষ!
তাতে মেয়েটার কি! সে তো চেয়েইছিল ছেলেটা যেন তার জীবন থেকে দূরে সরে যায়।।
২. বাস স্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যেতে যেতে নিজের অজান্তেই হাটার গতি কমে যায় মেয়েটার, না চাইতেও সে বারংবার চলমান বাস গুলির দিকে থমকে দাড়িয়ে কিছু একটা খোঁজে। মনে পরে যায়, কেউ একজন কে সে এখানেই শেষ দেখেছিল, তার ফেরার কথা ছিল কিন্তু সে আর ফেরে নাই।
৩. প্রথমে প্রচুর কথা হতো, সময় দেওয়া হতো একে অপরকে। সুন্দর যত্ন পেয়ে চারাগাছ এর মতো আস্তে আস্তে বেড়ে উঠছিল দুজনের সম্পর্কটা।
কিন্তু হঠাৎ, দুজনের মধ্যে একজনের চলে এল ব্যস্ততা নামক কীটনাশক যা আদতে কীটনাশক হলেও শেষ পর্যন্ত চারাগাছ নাশক হয়ে গেছিল।
চারাগাছের একপাক্ষিক যত্ন নিতে নিতে ব্যস্তহীন অপর মানুষ টা কাতর হয়ে বলেছিল, “তোমার ব্যস্ততা শেষ হলে আমার ও আমাদের সেই ছোট্ট চারাগাছ এর মতো বেড়ে ওঠা ভালোবাসার খবর নিও! “
৪. প্রেমিক বলেছিল, লাল রঙে দারুন মানায় তোমাকে। চাকরিটা হলেই প্রথম মাসের বেতন দিয়ে তোমাকে
টুকটুকে লাল একটা শাড়ি কিনে দেব। প্রেমিকটি এখন অন্য নারীর স্বামী। প্রেমিকাটিও অন্য পুরুষের ঘরনী। এক যুগ কেটে গেছে, মেয়েটি কোনদিন লাল রঙের পোশাক কেনেনি। কেউ একজন কিনে দেবে বলে কথা দিয়েছিল যে।।
৫. -চলো না পালিয়ে যাই। আমার পরিবার আমাদের মেনে নিবে না। চলো না, এমন কোন জায়গায় যাই যেখানে আমাদের কেউই চিনবে না।
-কিন্তু সেখানে গিয়ে কি করব! আমার কাছে যে কোন অর্থ নেই। বাঁচব কিভাবে! আমি যে আজও বেকার।
-তাতে কি হয়েছে, আমার কাছে একটা মোটা সোনার চেইন আছে, এটা বিক্রি করে কিছুদিন চালিয়ে নেব, ওদিকে তুমিও একটা কাজ জোগাড় করে নেবে। এরপর এক রাতে তারা পালিয়ে যায়, এমন একটি জায়গায় যেখানে কেউ জানতে চাইবে না, তাদের ধর্ম , বর্ণ।
পড়ুনঃ- সত্যি প্রেমের গল্প
আপনি পড়ছেন-
ছোট ছোট ভালোবাসার গল্পঃ-
১. পছন্দ করত না যাকে, দু চোখে সহ্য করতে পারত না যাকে তার কোলেই আজ চাকরি হারিয়ে ব্যর্থ রবি মাথা রেখে আছে।
মেয়েটা কেমন জানি অদ্ভুত। চাকরি চলে গেছে জেনেও ছেড়ে যাবে বলছে না।
“তুমি কি এই চাকরি হারা ছেলের সাথেই থাকবে?”
“হুম থাকব। কারণ আমি তোমাকে ভালবাসি তোমার টাকাকে নয়। টাকা অবশ্যই জীবনে দরকার। কিন্তু টাকা দিয়ে সব কেনা গেলেও কিন্তু ভালবাসা কেনা যায় না, শান্তি কেনা যায় না!”
২. সেই স্কুল থেকেই ফাস্ট বেঞ্চের সেই ছেলেটার প্রতি একটা অন্যরকম ভাললাগা কাজ করছিল মেয়েটার। কিন্তু সাহস জুটিয়ে কোনদিন ছেলেটাকে তার মনের কথা বলতে পারে নি মেয়েটা। সে নানান ইশারায় ছেলেটাকে বোঝানোর চেষ্টাও করেছিল, ছেলেটা হয়ত বুঝেও না বোঝার ভান করেছে। মেয়েটা ভেবেই নিয়েছিল যে, এই ছেলেটা ছাড়া তার জীবন অচল, এই ছেলেটা ছাড়া তার জীবনের কিছু দাম নেই।
আজ কেটে গেছে ১০ টা বছর। মেয়েটা আজ অন্য জনের স্ত্রী, বেশ সুখে সংসার করছে সে। কিন্তু ছেলেটা আজ রাস্তায় পাগলের মত দিন কাটায়, কোন এক প্রিয় জন তাকে নাকি ছেড়ে চলে গিয়েছে, সে নাকি তাকেই খুঁজছে।
৩. তুমি তো বলেছিলে আমার ছাড়া কারোর হবে না তাহলে হঠাৎ তোমাকে আজ অন্য কারোর হাত ধরে দেখছি কেন? প্রশ্ন করে ছেলেটি।
মেয়েটির উত্তর, তুমি মানুষটা আমার হাত ছেড়ে না দিলে আমার হাত লুফে নেওয়ার মতো কেউ থাকতই না। তোমাদের অনুভূতি হীনতার জন্য মেয়েদের বেইমান হতে হয়। যে রাখতে চায়নি আমি তারই হতে চেয়েছিলাম বারবার, কারোর গল্পে এক বেকার চরিত্রের মতো। তাই আজ আর কাউকে মন দিইনা কারণ মনটা আর আমার কাছে একটাই ছিল যেটা আজ আর নেই, শরীর চাইলে সেটাই দিতে পারব।
৪. প্রেমিক কথা দিয়েছিল মাত্র কয়েক বছর পরেই সে ফিরে আসবে। আর ফিরে আসলেই তারা বিয়েটা সেরে ফেলবে। এরই মাঝে কেটে গেছে বহু বছর। বছর ২৫ এর যুবতী মেয়েটা আজ ৪৫ এ পা দিয়েছে। এখনও সে নিজের কুমারীত্ব বজায় রেখে দিন গুনছে, অনেক ভালো ভালো পাত্রকে সে ফিরিয়ে দিয়েছে, কেউ একজন এসে তাকে বিবাহ করবে বলে গেছে যে!
পড়ুনঃ- লাভ স্টোরি- স্কুল লাইফের ক্রাশ
আপনি পড়ছেন-
কয়েক লাইনের প্রেমের গল্পঃ-
১. তোমাকে ছাড়া বাঁচব না’, বলা মেয়েটাও আজ পরম আনন্দে স্বামী সন্তান- সন্ততি নিয়ে সুখে দিন যাপন করছে, অথচ ‘আমি সর্বদা তোমার পাশে থাকব’ বলা ছেলেটা আজও, একসময় তার পাশে যে মানুষটা ছিল সেই মানুষটাকে খুঁজে বেরায়। আলোআধারিতে চলা পথচারীদের গিয়ে জাপটে ধরে বলে- ‘তুমি এসেছ সুমি!’ কিন্তু সে পাগল হয়ত বোঝে না, তার সুমি আর ফিরবে না।
২. স্বামী বলে গিয়েছিল, আমাদের বিবাহ বার্ষিকী তে আমি ফিরে আসব। কিন্তু আজ ৮ তম বিবাহ বার্ষিকী চলে গেল, স্বামী আর ফিরল না। অবুঝ স্ত্রী আজও তার স্বামীর অপেক্ষা করছে। আর অপেক্ষাই বা করবে না কেন! কেউ একজন ‘ফিরব’ বলে কথা দিয়ে গিয়েছিল যে!
৩. একসাথে চলার কথা দিয়েছিল তারা দুজনেই। কিন্তু আজ দুজনের মধ্যে এক বড় ভুল বোঝাবোঝির পাহাড়।
শুধরে দেয়নি কেউ কাউকে, কেননা দুজনেই দুজনের সামনে ‘ভালো আছে’ হিসেবে দেখিয়েছে আর তাই সেই “ভালো আছি ” এই ভুল ধারণাটার মিথ্যে প্রমাণ কেউই কারোর সামনে করেনি, করতে চায়নি।
তাই তো, “দূর হতে আমি তারে সাধিব, গোপনে বিরহ ডরে বাঁধিব! “
৪. আজ আর মেয়েটার প্রতি তেমন কোন আগ্রহ জাগে না ছেলেটার। কেমন যেন এক ঘেয়েমি লাগে মেয়েটাকে। অথচ বিবাহের আগে এই ছেলেটাই মেয়েটার চারপাশে তার কথা শোনার জন্য ঘুর ঘুর করত। ছেলেটা আজ বিদেশে চলে যাচ্ছে। আর মেয়েটাকে রেখে যাচ্ছে এই বিশাল বড় বাড়িতে। ছেলেটা যদিও বা বলছে, কিছুদিন পর ফিরে আসব। কিন্তু মেয়েটার মন বলছে, সে আর ফিরবার নয়। তবুও হাসি মুখ নিয়ে সে, তাকে বিদায় জানায়। এটাই হয়ত ভালোবাসা।
গল্প গুলির ভাবনায় রয়েছে- ব্ল্যাক শ্যাডো, ছাড়পত্র ও সুস্মিতা
গল্প পাঠাতে পারেন- charpatrablog@gmail.com -এ অথবা সরাসরি WhatsApp -এর মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে।
সমস্ত কপিরাইট ছাড়পত্র দ্বারা সংরক্ষিত। গল্পটির ভিডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্যত্র প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ। ছাড়পত্র এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।
পড়ুনঃ- বিরহের গল্প- good bye ভালবাসার ছোট গল্প- এক পশলা বৃষ্টি
আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে-
ফেসবুক Group - গল্প Junction
ফেসবুক- ছাড়পত্র
টেলিগ্রাম- charpatraOfficial
WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২)
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।