ব্রণের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়(ঘরোয়া চিকিৎসা):-
**ঘরোয়া চিকিৎসা**
মুখে ব্রণের দাগ নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন অনেকেই। ব্রণ চলে গেলেও ব্রণের দাগ সহজে যেতে চায় না। কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করার চাইতে ঘরোয়া উপায়ে ব্রণের দাগ দূর করাই উত্তম। চলুন জেনে নেয়া যাক ব্রণের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলি ।

কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুড়োর ব্যবহারঃ-
কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে মুখ ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণ দূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।




**ঘরোয়া চিকিৎসা**
আপেল এবং মধুর ব্যবহারঃ-
আপেল এবং মধুর মিশ্রণ হল ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেস্ট তৈরি করে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মেশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং গায়ের রঙ হালকা করে। সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন।




**ঘরোয়া চিকিৎসা**
তুলসী পাতার ব্যবহারঃ-
ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ুর্বেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।




**ঘরোয়া চিকিৎসা**
চন্দন কাঠের গুড়ো ও গোলাপ জলের ব্যবহারঃ-
প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এতে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মেশান। এই মিশ্রণ আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে ৩-৪দিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
গোলাপ জলের ব্যবহারঃ-
গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।




**ঘরোয়া চিকিৎসা**
দ্রুত খুশকি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়ঃ-
কমবেশি সকলেই খুশকির জ্বালায় ভুগে থাকেন। এর মূল কারণ হল রুক্ষ আবহাওয়া এবং পরিবেশের ধুলোবালি যা মাথার ত্বকে খুশকির উপদ্রব বাড়ায়। তবে খুশকির উপদ্রব দ্রুত দূর করার রয়েছে বেশ কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায়। একটু সময় বের করে নিয়ে এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করলে মুক্তি পাবেন যন্ত্রণাদায়ক খুশকির হাত থেকে।




**ঘরোয়া চিকিৎসা**
বেকিং সোডার ব্যবহার:-
মাথা ভালো করে জল দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এরপর বেকিং সোডা আঙুলের ডগায় লাগিয়ে পুরো মাথার ত্বকে ঘষে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর চুল জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু দেবেন না। পরের দিন শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলবেন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।




ঘরোয়া চিকিৎসা**
নারকেল তেল ও লেবুর রসের ব্যবহার:-
৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ২ টেবিল চামচ লেবুর রস একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে নিন। ২০-২৫ মিনিট চুলে রেখে সাধারণভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে দ্রুত খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন।




ঘরোয়া চিকিৎসা**
সাদা ভিনেগারের ব্যবহার:-
সাদা ভিনেগার পুরো চুলে ও মাথার ত্বকে তেলের মতো করে লাগিয়ে নিন। একটু বেশি করে লাগিয়ে নেবেন মাথায়। একটি তোয়ালে দিয়ে পুরো মাথা পেঁচিয়ে সারারাত রাখুন। পরের দিন সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করে। সপ্তাহে ২ বার করুন, খুশকি দ্রুত দূর হবে।




**ঘরোয়া চিকিৎসা**
অ্যাসপিরিন ট্যাবলেটের ব্যবহার:-
৩ টি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে নিন। ১ টেবিল চামচ ভিনেগারে এই ট্যাবলেট গুঁড়ো গুলিয়ে নিয়ে মাথার ত্বকে ঘষে লাগিয়ে নিন। দেড় ঘণ্টা মাথায় রেখে মিশ্রণটি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুশকির সমস্যা দ্রুত গায়েব হয়ে যাবে।




মারাত্মক খুশকির সমস্যার জন্য মেথির ব্যবহার:-
মেথি সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে বেটে নিন ভালো করে। ছেঁকে নেয়া জল ফেলে দেবেন না। এবার বেটে নেয়া মেথি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩-৪ ঘণ্টা রেখে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভিজিয়ে রাখা জল দিয়ে সব শেষে চুল ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে ২ বার করুন। অনেক বেশি খুশকির সমস্যা থাকলেও তা দূর হয়ে যাবে।




সুন্দর গোলাপি ঠোঁট বানানোর ঘরোয়া উপায়(ঘরোয়া চিকিৎসা):-
সুন্দর গোলাপি ঠোঁট সবাই-ই চান। বলাই বাহুল্য যে মিষ্টি গোলাপি ঠোঁটের আকর্ষণ অনেক বেশি সৌন্দর্যের বিচারে। কিন্তু প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁট ধীরে ধীরে কালো হতে থাকে এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মিও আমাদের ঠোঁট কালো করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া নানান রকমের অসুখ, ধূমপান, বাজে প্রসাধনীর ব্যবহার তো আছেই। চলুন, আজ জেনে নেয়া যাক প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার ঠোঁট গোলাপি করে তোলার ৫টি টিপস।




কাঁচা দুধ ব্যবহার করুনঃ-
প্রতিদিন ঠোঁটে কাঁচা দুধ লাগান। ২০ মিনিট রাখুন, তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে নিন। অথবা ঠাণ্ডা গোলাপ জল দিয়েও ঠোঁট ধুতে পারেন। সেটা অনেক বেশী কাজে দেবে।




মধু ব্যবহার করুনঃ-
প্রাকৃতিক ভাবে ঠোঁটের যত্ন নিতে সবচেয়ে ভালো উপাদান হল মধু। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য মধু নিয়ে আপনার ঠোঁটে ম্যাসেজ করুন। প্রতিদিনের ব্যবহারে মধু আপনার ঠোঁটকে নরম রাখবে ও উজ্জ্বল করে তুলবে।




হলুদের গুঁড়ো ও ঠাণ্ডা দুধের ব্যবহারঃ-
হলুদের গুঁড়ো ও ঠাণ্ডা দুধ একসাথে মিলিয়ে আপনার ঠোঁটে ৫ মিনিট ম্যাসেজ করুন। এইভাবে প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে আপনার ঠোঁট প্রাকৃতিক ভাবে গোলাপি হয়ে উঠবে।
আপনি আরও পড়তে পারেন-সুন্দর জীবন
আলমণ্ড অয়েল ও লেবুর রসের ব্যবহারঃ-
এক চামচ আলমণ্ড অয়েলর সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে আপনার ঠোঁটে ম্যাসেজ করুন। তারপর ৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ঠোঁট নরম ও পরিষ্কার হবে।




লেবুর রস ও চিনির ব্যবহারঃ-
লেবুর রসের সাথে খুব সামান্য পরিমানে চিনি মিশিয়ে আপনার ঠোঁটে ধীরে ধীরে ম্যাসেজ করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি ঠোঁটের মৃত কোষ পরিষ্কার করতে সহায়তা করে, ঠোঁট নরম রাখে ও ঠোঁট গোলাপি করে তোলে। কিন্তু যেহেতু আপনি ঠোঁটে লেবুর রসের ব্যবহার করবেন তাই ঠোঁট ধুয়ে ফেলার পর শুকিয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজার যুক্ত লিপবাম লাগিয়ে নিন।








কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।
Pingback: স্বাস্থ্য টিপস স্বাস্থ্যবিধি HEALTH TIPS IN BENGALI TOP NEW 41BEST HEALTH HACKS - Charpatra.com