অবাক মানুষ TOP 10 UNUSUAL PEOPLES
আজকের ব্লগটিতে আমরা এমন কিছু অবাক মানুষ এর সঙ্গে পরিচিত হতে চলেছি, যারা আর কয়েকজন সাধারণ মানুষের মত একদমই নয়। এদের বিশেষ শারীরিক গঠনের জন্যই এরা বিশ্বের কাছে ‘অবাক মানুষ’ নামেপরিচিত হয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ জনেরই জিনগত ত্রুটির কারণেই এমন শারীরিক গঠন হয়েছে বলেই মনে করা হয়। এধরনের মানুষ পৃথিবীতে খুবই বিরল।
![অবাক মানুষ ১০ জন অবাক মানুষ top 10 unusual peoples অবাক তথ্য](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
১. এই বাচ্চাটির চোখের দিকে লক্ষ্য করুন। আর কয়েকটা সাধারণ মানুষের মত এই ছেলেটির চোখ কিন্তু একেবারেই নয়। আসলে এই বাচ্চাটি- Waardenburg Syndrome নামক এক রোগে আক্রান্ত। এটি একটি দুষ্প্রাপ্য রোগ এবং প্রতি ৪০,০০০ জন মানুষের মধ্যে মাত্র ১ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে বিখ্যাত ডাচ চক্ষু বিশেষজ্ঞ D.J. Waardenburg সর্বপ্রথম এই ব্যাধিটি চিহ্নিত করেছিলেন।
এই রোগের একটি সাধারণ উপসর্গ হল আইরিশের রং বদলে যাওয়া এছাড়াও চামড়ার রঙের পরিবর্তন, চুলের রঙের পরিবর্তনও দেখা যেতে পারে। এবং এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির চুল খুবই কম সময়ের মধ্যেই অর্থাৎ অকালেই ঝড়ে যায়।
![অবাক মানুষ ১০ জন অবাক মানুষ top 10 unusual peoples অবাক তথ্য](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
২. এবার এই মেয়েটির দুটি চোখের দিকে ভাল ভাবে লক্ষ্য করুন। দুটি চোখের রং আলাদা আলাদা তাই না? আসলে এই মেয়েটি – Heterochromia নামের এক রোগের শিকার। এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির দুটি চোখের রং ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। যদিও বর্তমানে এটি ফ্যাশানে দাঁড়িয়েছে। এখনকার দিনে অনেকেই চোখের আইরিশের রং পরিবর্তন এবং বেশি আকৃষ্ট দেখানোর জন্য, চোখে লেন্স ব্যবহার করে থাকেন।
সে যাই হোক গোটা পৃথিবীতে প্রায় ৭০-১৪০ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। তবে বলে রাখা ভাল যে, এই রোগটি ইউরোপ এবং আমেরিকার মানুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
![অবাক মানুষ ১০ জন অবাক মানুষ top 10 unusual peoples অবাক তথ্য](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
৩. এই লোকটির চোখের পাতা, আইভ্রু এমনকি চোখের মণির মধ্যেও অনেকটা সাদা রঙের আইরিশ স্পষ্টই দৃশ্যমান। আসলে জন্মগত ত্রুটির কারণে এই উপসর্গটি দেখা যায়। চামড়া চুল এবং চোখে রঞ্জক পদার্থের অনুপস্থিতির কারণে এই উপসর্গ দেখা যায়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৮০০০-২০০০০ মানুষের শরীরে এই উপসর্গ দেখা যায়। আবার কখনো কখনো এই উপসর্গে আক্রান্ত ব্যাক্তির চোখের মধ্যে রক্ত প্রবাহের ধমনী গুলি স্পষ্টভাবে দেখা যায়। যার ফলে এদের চোখ অনেক সময় লাল বা গোলাপি রঙও দেখা যায়।
৪. উপরের ছবিতে দেখছেন, এই উপসর্গে আক্রান্ত ব্যাক্তির চোখের আইরিশে দুই প্রকারের রং দেখা যায়, এবং এই উপসর্গটিকে বলা হয়- Heterochromia. এই উপসর্গে আক্রান্ত ব্যাক্তির চোখের আইরিশের ভিন্ন ভিন্ন রং দেখা যায়। এটি খুবই দুর্লভ উপসর্গ। তবে বলে রাখা ভাল যে, এই উপসর্গে আক্রান্ত ব্যাক্তি আর-কয়েকজন ব্যাক্তির মতই স্বাভাবিক জীবন-যাপন করে থাকেন।
![অবাক মানুষ ১০ জন অবাক মানুষ top 10 unusual peoples অবাক তথ্য](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
৫. এই ব্যাক্তিটির spider finger রয়েছে। এই উপসর্গে আক্রান্ত ব্যাক্তির আঙ্গুল অস্বাভাবিক রকমের বড় হয়ে যায়। কি ভাবছেন, মানুষটির লম্বা অনেক বেশি তাই তার আঙ্গুলের আকারও অনেক বেশি? কিন্তু আসলে টা নয়। আরকয়েকজন সাধারণ মানুষের মতনই এই ব্যাক্তিটির উচ্চাতাও ১৫১ সেমির কাছাকাছি। তার পায়ের আঙ্গুলগুলির লম্বা প্রায় ৫ সেমির মত। এই উপসর্গে আক্রান্ত ব্যাক্তির আঙ্গুল ছাড়াও হাত বা পা অস্বাভাবিক রকমের লম্বা হয়ে যায়। আর বলে রাখা ভাল যে, এই উপসর্গে আক্রান্ত ব্যাক্তি প্রায় সর্বদা হৃদ যন্ত্রের সমস্যায় ভুগে থাকেন।
YOU CAN ALSO READ-
সফলতার গল্প।মোটিভেশনাল উক্তি।বিখ্যাতদের সফলতার গল্প।
![অবাক মানুষ ১০ জন অবাক মানুষ top 10 unusual peoples অবাক তথ্য](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
৬. উভালা আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি আমাদের নাসারন্ধ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই অঙ্গটি কথা বলার জন্যও অতি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সবারই একটি উভালা রয়েছে, কিন্তু এই ব্যাক্তিটির উভালার সংখ্যা দুটি। অস্বাভাবিক তাই না? আর এরফলে এই ব্যাক্তিটির কথা বলতে সমস্যা হয়, এবং অনেকেই তার কথা ঠিক মত বুঝতে পারেন না। কারণ তিনি যখন কথা বলেন তখন মনে হয়, মুখ দিয়ে নয়, বরং তিনি যেন নাক দিয়ে কথা বলছেন।
![অবাক মানুষ ১০ জন অবাক মানুষ top 10 unusual peoples অবাক তথ্য](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
৭. আমরা অনেকেরই হাতে ছয়টি আঙ্গুল দেখে থাকি, কিন্তু আপনি কি কখনো চারটি আঙ্গুল বিশিষ্ট ব্যাক্তি দেখেছেন? আসলে এই ব্যাক্তির পঞ্চম আঙ্গুলটি অনেক ছোট তাই, চোখে পরছে না। একটি একটি বিরল উপসর্গ, যেখানে মানুষের আঙ্গুল ঠিক মত তৈরি হয় না। একটি মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী- সন্তান যখন মায়ের পেটে থাকে, তখন রক্ত প্রবাহ ঠিক মত না হওয়ায়, এই ধরনের শিশু জন্ম লাভ করে। আবার অনেক সময় জিনগত ত্রুটির কারনেও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
![অবাক মানুষ ১০ জন অবাক মানুষ top 10 unusual peoples অবাক তথ্য](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
৮. এই ব্যাক্তিটির আঙ্গুল অস্বাভাবিক রকমের সাদা তাই না। আপনারা হয়ত অনেক সময় লক্ষ্য করেছেন যে, ঠাণ্ডায় কাজ করার সময়, বা বরফ হাতে নেওয়া হলে, হাত ধীরে ধীরে অবশ হয়ে আসে। এই ব্যাক্তিটির ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। ঠাণ্ডায় বাইরে কাজ করার সময়, তার হাতের আঙ্গুলটিতে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়, এবং যার ফলে তার আঙ্গুলটি এমন অস্বাভাবিক হয়ে যায়। এই উপসর্গটি Raynaud’s Disease নামে পরিচিত।
![অবাক মানুষ ১০ জন অবাক মানুষ top 10 unusual peoples অবাক তথ্য](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
৯. আমাদের সবার কানে একটি করেই ছিদ্র রয়েছে, কিন্তু বিরল এই উপসর্গে আক্রান্তের কানে দুটি ছিদ্র থাকে। এখনও পর্যন্ত এর পেছনে কোনো বিজ্ঞান সম্মত কারণ জানা যায় নি। তবে মনে করা হয় যে, জিনগত ত্রুটির কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। যদিও এটির ফলে তাদের কোনো অসুবিধা হয় না, কিন্তু এটি খুবই অস্বাভাবিক তাই না?
![অবাক মানুষ ১০ জন অবাক মানুষ top 10 unusual peoples অবাক তথ্য](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
১০. কেমন হয়, যদি আপনি মাথায় কালো চুলের মাঝে এক গুচ্ছ সাদা চুল নিয়ে জন্ম নিতেন, নিতান্তই অস্বাভাবিক তাই না? এই শিশুটি মাথায় একগুচ্ছ সাদা চুল নিয়ে জন্ম নিয়েছিল। আসলে তারা মা –ও ঠিক একই রকম অবস্থায় জন্ম নিয়েছিল। মনে করা হয়, জিনগত ত্রুটির কারণেই এমনটি হয়েছে। এই উপসর্গটিকে বলা হয়- Piebaldism, যেখানে আক্রান্তের কিছু চুল সাদা হয়ে যায়। এই কথাটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দ- ‘pilios’ থেকে, যার অর্থ হল ‘ধূসর’।
![অবাক মানুষ ১০ জন অবাক মানুষ top 10 unusual peoples অবাক তথ্য](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
এই উপসর্গটির নাম হল- Giant furred moles. এই উপসর্গে আক্রান্তের শরীরের কোনো বিশেষ অংশ কালো হয়ে যায়, এবং সেই সমস্ত অংশে বড় বড় চুল জন্মাতে থাকে। এই রোগটি আসলে জন্মগত। ছোট বেলায় এই রোগটি বিশেষভাবে প্রকাশ না পেলেও, বয়স বাড়ার সাথে সাথেই এই রোগে আক্রান্তের বিভিন্ন উপসর্গ গুলি চোখে পড়ে। আর এই বিশেষ অংশের চুলগুলি কালো থেকে শুরু করে, বাদামি, বা হালকা কালো রঙেরও হতে পারে।
![charpatra.com ছাড়পত্র](http://charpatra.com/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
কি কেন কীভাবের উপর গড়ে ওঠা মানুষের জিজ্ঞাসু মন সর্বদাই নতুন দিগন্তের সন্ধানে পা বাড়ায় ৷ প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের ঝুলিতে জমা হয় ৷ সেই অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে এক অফুরন্ত আনন্দ লুকিয়ে থাকে ৷ আর সেই কাজেই হাত বাড়িয়েছে ছাড়পত্রের টিম।
ধন্যবাদ।।