আজ আমরা কথা বলব, বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার-কে নিয়ে। কোনো একটি সেনাবাহিনীতে স্নাইপার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। স্নাইপার হল নিপুণভাবে লক্ষ্যভেদে সক্ষম ব্যক্তি। গুপ্ত স্থান থেকে শত্রু পক্ষের সেনাকে শুট করাতে এরা সিদ্ধহস্ত। আজকের লিস্টে ছেলেদের সাথে সাথে মেয়ে স্নাইপার অর্থাৎ বিখ্যাত মহিলা স্নাইপার-ও রয়েছে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের সেরা স্নাইপার-দের সম্পর্কে। বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার

বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার।। top 7 deadliest sniper

Simo Hayha(705 kills):-

সিমো মানুষের কাছে শ্বেত মৃত্যু বা “white death” নামেই পরিচিত। তিনি প্রায় ৭০৫ জনকে সরাসরি স্নাইপ করেছেন। এরমধ্যে ৫০৫ জনকে মেরেছেন রাইফেলের মাধ্যমে এবং ২০০ জনকে মেরেছেন, সাব-মেশিন গান দিয়ে।

তার জন্ম হয়েছিল ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি একজন ফিনিশীয় অর্থাৎ ফিনল্যান্ডের স্নাইপার। তার জন্ম হয়েছিল, রাউতজারভি নামক স্থানে। বর্তমানে এই স্থানটি ফিনল্যান্ড এবং রাশিয়ার সীমান্তে অবস্থিত। তার বয়স যখন ২০ বছর অর্থাৎ ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।১৯৩৯-১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়া এবং ফিনল্যান্ডের মধ্যে চলা “ শীত যুদ্ধের” সময় তিনি স্নাইপারের ভুমিকায় অবতীর্ণ হন।

এই দন্দের সময় তিনি -৪০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ১০০ দিনেরও কম সময়ে সরকারী হিসেব মতে ৫০৫ জনকে এবং বেসরকারি হিসেব মতে ৫৪২ জনকে মেরে ফেলেন। যদিও যুদ্ধক্ষেত্রের বেসরকারি তথ্য মতে, ৮০০ জন সেনাকে স্নাইপার দ্বারা হত্যা করা হয়েছিল। এছাড়াও তিনি Suomi KP/31 Sub-machine gun দিয়ে ২০০ জনকে স্নাইপ করেন।

বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার Simo Hayha
বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার Simo Hayha WIKIPEDIA

-৪০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড উষ্ণতায় রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে, তিনি প্রায় ৯০ দিন নিজের রাজত্ব করে রেখেছিলেন । তখন অনেক রাশিয়ান সৈন্য মারা যান, তারা ভেবেছিলেন, এটা যুদ্ধ এতে প্রাণহানী হতেই পারে, কিন্তু যখন একজন রাশিয়ান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান যে, এদের সবাইকে একজন মানুষ মেরেছে, তখন সবাই স্তম্ভিত হয়ে যান। সেই কর্মকর্তা আরও জানান, একজন মানুষ কেবলমাত্র রাইফেল দিয়েই সবাইকে মেরেছে।

সিমো-কে মারার জন্য জন্য তারা (রাশিয়ানরা) একজন কাউন্টার স্নাইপার পাঠায়, । কিন্তু কিছুক্ষণ পড়ে, সেই স্নাইপারের দেহ রাশিয়ানদের কাছে ফিরে আসে। এরপর রাশিয়ান কর্মকর্তারা একদল স্নাইপার পাঠায়, কিন্তু সেই স্নাইপারদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন ফিরে আসেন, তারা জানান যে অপর পক্ষের কোনো ক্ষতিই তারা করতে পারেননি।

সিমো রাশিয়ান সেনাবাহিনীর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, এরপর তারা একটি পুরো ব্যাটেলিয়ন পাঠিয়ে দেয়, সিমোকে মারার জন্য, কিন্তু তারা সিমোকে খুঁজেও পায়নি। তারা আর্টিলারি স্ট্রাইক করার চেষ্টা করলেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বুদ্ধিমান সিমো ইতিমধ্যে জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছিল। তিনি স্কি এর মাধ্যমে বরফে দ্রুত একজায়গা থেকে অন্য জায়গাতে চলে যেতেন।

তিনি আপাদমস্তক সাদা পোশাকে ছন্দবেশ ধরে থাকতেন। এখনকার মত বড় বড় নামীদামী বন্দুক নয়, কেবলমাত্র একটি ছোট্ট রাইফেল (৫’৩”) দিয়েই তিনি এতগুলো কিল করেছিলেন। তিনি তার ব্যারেলের সামনের বরফ যতটা সম্ভব পরিষ্কার করে রেখেছিলেন, যাতে গুলি চালাতে এবং লক্ষ্য ঠিক করতে সুবিধা হয়। তিনি তার জায়গাটিকে ছোট করে নিয়েছিলেন, যাতে অন্যরা সহজে তাকে দেখতে না পায়।

তিনি তার মুখে বরফ রেখে দিতেন। চারপাশে তো আর বরফের কমতি ছিল না। যার ফলে তার শ্বাস সহজে ঘনীভূত হতে পারত না, এবং নিজের কাজে তাকে অবিচল রাখতে সাহায্য করত।

এক ঘটনায় গুলি লেগে তার চোয়াল উড়ে যায় বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার
এক ঘটনায় গুলি লেগে তার চোয়াল উড়ে যায় বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার

যদিও ১৯৪০ সালের ৬ মার্চ তার চোয়ালে গুলি লেগে যায়, এবং তার মাথা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।১৩ মার্চ তার জ্ঞান ফিরে আসে। সে যাই হোক তিনি সেইযাত্রায় কোনোক্রমে বেঁচে যান।

Vasily Zaytsev(242 kills) :-

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের একজন অন্যতম সোভিয়েত স্নাইপার ছিলেন ভেসিলি। এই সময় তিনি ত্রি-শক্তির ৩২ জন সেনাকে গুলি করেন। Stalingrad যুদ্ধে তিনি ২২৫ জন সেনাকে গুলি করেন, এদের মধ্যে আবার ১১ জন স্নাইপারও ছিল।

এসময়টিতেই তিনি বিখ্যাত হয়ে উঠেন, তার জীবন কাহিনী নিয়ে অনেক বই লিখা হয় এবং কিছু সিনেমাও বানানো হয়েছিল।

তার জন্ম হয়েছিল ওরেনবারগ-এ রাশিয়ার একটি কৃষক পরিবারে। তিনি তার দাদু এবং বড় দাদার কাছেই, হরিণ, শিয়াল ইত্যাদি প্রাণী শিকার করা শিখেছিলেন। তার প্রথম ট্রফি এসেছিল যখন তার বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। এই বয়সেই তিনি তার দাদুর দেওয়া একটি বন্দুকের মাধ্যমে মাত্র একটি গুলি দিয়েই একটি ছুটন্ত শেয়ালকে গুলিবিদ্ধ করেন। তার এই দক্ষতাই পরবর্তী জীবনে তার অনেক কাজে লেগে যায়।  

বিখ্যাত স্নাইপার
বিখ্যাত স্নাইপার
<

ভেসিলি রাশিয়ান নেভির ভ্লাদিভস্তকে একজন কেরানী হিসেবে কাজে যোগ দেন। অপারেশন বারোবাসা-র সময় যখন জার্মান নাজি বাহিনী সোভিয়েত আক্রমণ করে তখন ভেসিলি এবং তার কিছু সহকর্মীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পদোন্নতি করা হয়। 

রাইফেলে দক্ষতা তাকে একজন স্নাইপারে পরিণত করে। ভেসিলি তার স্নাইপার জীবনে উঁচু পাহাড় থেকে শুরু করে ছোট্ট জলের পাইপেও তার অপারেশন চালিয়েছিলেন।

১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে Stilingard যুদ্ধের সময় মর্টার আক্রমণে তার চোখ খতিগ্রস্থ হয়ে যায়, কিন্তু ইতিমধ্যে তিনি সেই যুদ্ধে ২২৫ জনকে গুলিবিদ্ধ করে ফেলেন। 

ইতিহাসের সেরা স্নাইপার Vasily Zaytsev
ইতিহাসের সেরা স্নাইপার Vasily Zaytsev IMAGE

এরপর তিনি একজন স্নাইপার ট্রেনার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি যে সমস্ত স্নাইপারদের গাইড করেছিলেন, পরবর্তীকালে তারা প্রায় ৩০০০ জনেরও বেশি শত্রু সৈন্যকে গুলিবিদ্ধ করেছিল।

যদিও বলা হয়ে থাকে ভেসিলি ২৪২ জনকে গুলিবিদ্ধ করেছিলেন, কিন্তু আসল সংখ্যাটা হয়ত ৫০০ এর কাছাকাছি।      

Carlos Norman Hathcock(oficially 93 kills, according to him 300-400kills) :-

কার্লোস পরিচিত ছিলেন সাদা পালক নামে। তিনি সঠিক নিশানা যুক্ত স্নাইপারদের দলে। অনেক দূর থেকে টার্গেটকে উড়িয়ে দেওয়াতে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন।

১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তিনি একজন মিলিটারি হিসেবে কাজে যোগ দেন। এরপর তিনি একজন স্নাইপারের ভূমিকা পালন করেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তিনি ভিয়েত-কং এবং PAVN বাহিনীর ৯৩ জনকে গুলিবিদ্ধ করেন। তার বিশেষত্ব ছিল দূর থেকেই সঠিক নিশানা করা। একবার তিনি একজন স্নাইপারের চোখ উড়িয়ে দিয়েছিলেন, অনেক দূর থেকেই।

worlds top 7 deadliest sniper  Carlos Norman Hathcock
worlds top 7 deadliest sniper Carlos Norman Hathcock বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার

যদিও কার্লোসের এই হিসেবটি একটি বেসরকারি সংস্থার দেওয়া, কিন্তু কার্লোস নিজে জানান যে, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তিনি ৩০০-৪০০ জন শত্রু পক্ষের সৈন্যকে গুলিবিদ্ধ করেছিলেন।

তাকে white feather বলার কারণ হল তিনি তার টুপিতে একটি সাদা পালক গেঁথে রাখতেন। ভিয়েত-কং এর the apache woman নামের একজন মহিলা নেতা তার হাঁতে নিহত হয়েছিলেন।

তার স্নাইপার জীবনের সমাপ্তি ঘটে ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালে। একটি ট্যাঙ্কে তিনি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন, তার মুখ, হাত সবই পুড়ে গিয়েছিল।

এবারে আমরা কথা বলব একজন মহিলা স্নাইপার নিয়ে।

Lyudmila Pavlichenko(309kills):-

আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত এই ভয়ানক মহিলা স্নাইপারকে চিনে থাকবেন। লুডমিলা-কে ইতিহাসের সবথেকে ভয়ানক মহিলা স্নাইপার বলা হয়ে থাকে। এই মহিলা স্নাইপার হিটলারের নাজী বাহিনীর কাছে যথেষ্ট মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত স্নাইপার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন লুডমিলা, যদিও সেই সময়টিতে মহিলাদের আর্মিতে রাখা হত না, কিন্তু তিনি ছিলেন রেড আর্মির একজন সদস্যা। কিন্তু নিজের দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েই তিনি আর্মিতে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন।

মাত্র ২৫ বছর বয়সেই লুডমিলা রাইফেলের সাহায্যে ৩০৯ জনকে মেরে ফেলেন। এদের মধ্যে বেশীরভাগই ছিলেন হিটলারের বাহিনীর সিপাহী। রাইফেল ধারী এই ভয়ানক মহিলার এমন দূরদর্শিতার জন্যই তাকে মৃত্যুর নারী বা “Lady Death” নামে ডাকা হত।

ইউক্রেনে এক ছোট্ট গ্রামে ১২ জুলাই ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে তার জন্ম হয়। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই হাতিয়ার চালাতে সিদ্ধহস্ত লুডমিলা তার কর্ম জীবন শুরু করেছিলেন একটি হাতিয়ার তৈরির কারখানায়। সেখান থেকে বিভিন্ন ঘটনা- ক্রমের মাধ্যমে তিনি পরবর্তীতে স্নাইপার বা শুটার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার Lyudmila Pavlichenko
বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার Lyudmila Pavlichenko

একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান- একদিন তিনি দেখেন যে, তার প্রতিবেশী একটি ছেলে Gun-shooting করছে, এরপর তিনি ভাবেন যদি একটি ছেলে shooting করতে পারে তাহলে একটি মেয়ে কেন পারবে না? এরপর অনেক পরিশ্রমের পর, তিনি হয়ে উঠেন Lady Death.

যদিও ১৯৪২ সালে লুডমিলা খুবই গুরুতর ভাবে আঘাত পেয়েছিলেন, এবং তার জীবন রক্ষার জন্য তাকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর, তিনি জয়ী হয়ে যান। এরপর তিনি রেড আর্মির স্নাইপারদের ট্রেনিং দেওয়ার কাজে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি রেড আর্মির কম্যান্ডারও হন।

১০ অক্টোবর ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে মস্কোতে তিনি মারা যান।

Francis Pagahmagabow(378 kills):-

ফ্রান্সিস ছিলেন একজন ক্যানাডিয়ান স্নাইপার। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তিনি একজন স্নাইপার হিসেবে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি মোট ৩৭৮ জন শত্রুপক্ষের সেনাকে শুট করেছিলেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেনায় যোগ দিয়েছিলেন। তিনি যে জায়গায় থাকতেন, সেখানে তিনি প্রায়ই শিকার করতেন। তার শিকার করার দক্ষতাই পরবর্তীতে তাকে একজন দক্ষ এবং পেশাদার স্নাইপার হবার পথ সুগম করেছিল।

পৃথিবীর বিখ্যাত স্নাইপার francis pegahmagabow
পৃথিবীর বিখ্যাত স্নাইপার francis pegahmagabow বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার

৩০ আগস্ট ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে যখন তার সাথে থাকা অন্যান্য সৈন্যরা জার্মান সেনাদের সাথে কিছুতেই পেরে উঠছিল না, তখন তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এবং কাউন্টার অ্যাটাক-এর ব্যবস্থা করে ফেলেন।

যুদ্ধ শেষ হলে, তার ঝুলিতে ৩৭৮ জন শত্রুপক্ষের সৈন্যকে শুট করা এবং ৩০০ জনেরও অধিক সৈন্যকে জীবন্ত অবস্থায় বন্দী করার সফলতা জমা হয়।

Fyodor Okhlopkov(429 kills):-

ফিয়োডর ছিলেন একজন সোভিয়েত স্নাইপার, তিনি রেড আর্মির একজন কর্মী ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি শত্রুপক্ষের ৪২৯ জন সেনাকে শুট করেছিলেন। তার জন্ম হয়েছিল রাশিয়ায় ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে। যদিও তার পূর্বের জীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। কিন্তু সামান্য তথ্য মোতাবেক, তিনি তার দাদার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার দাদা পরবর্তীতে যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ হন।

তার প্রিয় দাদার মৃত্যুতে গভীর শোকে কাহিল হয়ে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি তার দাদার হত্যাকারীদের ছাড়বেন না। এরপর তিনি স্নাইপার হওয়ার কথা ভাবেন এবং এরজন্য কঠোর প্রস্তুতি শুরু করেন। তিনি পরবর্তীতে একজন মেশিনগান স্নাইপার হয়ে উঠেন।

বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার Fyodor Okhlopkov
বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার Fyodor Okhlopkov

কখনো কখনো তিনি শত্রুপক্ষের সেনাদের খবর নেওয়ার জন্য, এবং তাদের উপর নজরদারী রাখার জন্য, একাই শত্রুপক্ষের শিবিরের কাছাকাছি চলে যেতেন। তিনি একাই কারো সহযোগিতা ছাড়াই শত্রুপক্ষের ৪২৯ জন সেনাকে গুলিবিদ্ধ করেন এবং স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি দ্বারা অগণিত সৈন্যকে শুট করেন।

তিনি তার সৈন্য জীবনে মোট ১২ বার গুরুতর ভাবে জখম হয়েছিলেন। একবার একটি মিশনে তার গুলি লাগে এবং তিনি যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়তে বাধ্য হন। কয়েকমাস পর তিনি পুনরায় সুস্থ হয়ে উঠেন।

অবশেষে ৬৮ বছর বয়সে ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মারা যান।

Do Not Miss:-

বিশ্বের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

পৃথিবীর আজব প্রাণী

মেয়েদের অজানা তথ্য

Chris Kyle(160 kills):- বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার

ইনি হলেন একজন আমেরিকান স্নাইপার। তার স্বপ্ন ছিল একজন বিখ্যাত ঘোড়সওয়ার হবেন। সে যাই হোক পরবর্তীতে তিনি সেনার স্নাইপারে ভর্তি হয়ে যান। তার প্রথম শুট হল- একজন ইরাক এর মহিলাকে। আসলে মহিলাটি আমেরিকান মেরিনের একটি বহরে গ্রানাইড ছুঁড়ে মারতে যাচ্ছিল। ক্রিস এর চোখে এই দৃষ্টি আসতেই তিনি মহিলাটিকে শুট করে দেন। এরপর আরেকটি ঘটনায় তিনি প্রায় ১.৫ কিমি দূর থেকে একজন ইরাক-এর সেনাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলেন।

২০০৫ সালে Battle Of ramady- তে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১২ ঘণ্টায় তিনি ১২ জন ইরাকের সেনাকে গুলিবিদ্ধ করেছিলেন।

ইতিহাসের সেরা স্নাইপার chris kyle
ইতিহাসের সেরা স্নাইপার chris kyle পৃথিবীর বিখ্যাত স্নাইপার

তিনি তার স্নাইপারের জীবনে মোট ১৬০ জনকে শুট করেছিলেন। ইরাকি সার্জেন্ট তার মাথার জন্য ২০,০০০ ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে এটি বাড়িয়ে ৮০,০০০ ডলার করে দেওয়া হয়।

২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে মিলিটারি থেকে অবসর নিয়ে তিনি তার বাড়িতে ফিরে আসেন এবং সেনাকে সহযোগিতা করতে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি এবং তার একজন প্রিয় বন্ধু লিটলফিল্ড-কে হত্যা করে ইডি-রে-রোথ।

ক্রিস-এর জীবনীর উপরেই ভিত্তি করে পরবর্তীকালে “American Sniper” সিনেমাটি বানানো হয়।

বিশ্বের সেরা ৭ স্নাইপার সম্পর্কে আপনার কিছু মতামত থাকলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। প্রতিদিনের আপডেটের জন্য ফেসবুকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পাড়েন।

Spread the love

Leave a Reply