আজ বেশ কিছু নতুন মজার জোকস 2022 থাকছে আপনাদের জন্য। আশা রাখছি এই স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস গুলি আপনাদের পছন্দ হবে।

নতুন মজার জোকস 2022:-

বিয়ের পর অনেক গুলো অসুখ হানা দিয়েছে আমার উপর। তার মধ্যে প্রথমটা হল আমার স্মৃতি শক্তি কমে গেছে। কেননা সুন্দরী মেয়ে দেখলে আমি ভুলেই যাই যে আমি বিবাহিত!

এক সিনেমাতে দেখেছিলাম স্বামী বাড়ি ফিরার পর স্ত্রী তার সেবা করে। কিন্তু আমার জীবনে ঘটে ঠিক উল্টোটা। আমাকে অফিস থেকে ফিরে স্ত্রীর সেবা করতে হয়। এই যেমন চা বানানো, রুটি বানানো ইত্যাদ ইত্যাদি। এই কথাটা সেদিন বউকে বলতেই বেমালুম চটে গিয়ে বলল- “সিনেমা শুরুর আগে, পুনশ্চ দিয়ে যে লিখা থাকে- সব ঘটনাক্রম কাল্পনিক, বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো সম্বন্ধ নেই, সেটা পড়ে দেখেছ কোনোদিন!”

মা বলত কোন কাজে যেতে গেলে ঠাকুর দেবতাকে প্রনাম করে যাবি, তাতে দেখবি সব কাজ ভালো হবে। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে আর কোনো কাজে যাবার আগে ঠাকুর দেবতাকে প্রনাম করে যাই না, কারণ বিয়ে করতে যাবার আগেও আমি ঠাকুর প্রনাম করেই গিয়েছিলাম!

আজকে আড্ডাতে অনেক রাত করে ফেলেছি। আবার আমাকে একা যেতে হবে। শুনেছি ওই তেপান্তরের মাঠের শেষে যে বিশাল শ্যাওড়া গাছটা আছে সেখানে নাকি ভূত বাস করে। যখন সেই জায়গায় পৌঁছাব ঠিক তখনই পিছন থেকে একটা কুকুর ঘেউউউউ করে উঠল। আমার তো পিলে চমকানোর মত অবস্থা! আমার পকেট কিছুটা ভাইব্রেট হল। মোবাইল বের করে দেখি বউয়ের ২৫ টা মিসড কল! মুহূর্তের মধ্যেই সেই ভূতুড়ে জায়গার আতঙ্ক কেটে গিয়ে, মনে এক নতুন আতঙ্কের জন্ম হল। কারণ আমরা পুরুষরা বেশ ভালোভাবেই জানি যে, ভূতের আতঙ্কের থেকেও পত্নী রুপী ভূতনির আতঙ্ক অনেক বেশি ভয়ানক।

মজার জোকস 2022
মজার জোকস 2022

সিনেমাতে চায়ে চিনি কম হলে, বউ আবার চা ভালো ভাবে বানিয়ে দেয়, কিন্তু বাস্তব জীবনে যদি আপনার বউয়ের বানানো চা নিয়ে কোনো অভিযোগ করেছেন, তাহলে পরের দিন থেকে আপনার চা খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়েই চায়ের টেস্ট যেমনই হোক না কেন বলতেই হয়- “উফ অসাধারণ…”

বিয়ের পর আমি একটু পাগল পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পার্থকে দেখে আমি ভাবলাম আমি ঠিক আছি। গত এক সপ্তাহ ধরে, ওর বৌ বাড়ীতে আসছে না। ও থানায় না গিয়ে দেখি বক্স বাজিয়ে লুঙ্গি ড্যান্স করছে!

দুপুর বারোটা থেকে আমার বউকে খুঁজে পাচ্ছি না। আজব কাণ্ড দেখুন! একটা জলজ্যান্ত মানুষ দিনে দুপুরে হাওয়া হয়ে গেল! ফোন করছি বাড়বার শুধু ফোন কেটে দিচ্ছে! এ মা, কি ব্যাপার, আমাদের তো ঝগড়া টগরা কিছুই হয়নি! বউয়ের খোঁজ করতে করতে সন্ধ্যে হয়ে গেল। বাড়ি ফিরে দেখি, বউ সবে মাত্র বাড়ি ফিরেছে। রাগে জিজ্ঞাসা করলাম, এতক্ষণ কোথায় ছিলে? বউ জবাব দিল শপিং মলে! ও মা, এ কি কাণ্ড শপিং মলে ছয় ঘণ্টা কাঁটিয়ে দিলে? কি এমন শপিং করলে দেখি!

স্বামী স্ত্রীর মজার জোকসঃ-

এরপর বউ একটা হেয়ার ক্লিপ দেখিয়ে বলল- “এই যে এটা, সেই কখন থেকে বাছাই করছি, রং পছন্দ হলে ডিজাইন পছন্দ হয় না, ডিজাইন পছন্দ হলে রং পছন্দ হয় না। শেষে এটাই কিনে ফেললাম। তবুও বাড়ি ফিরে এখন মনে হচ্ছে, পিঙ্ক কালারের ক্লিপটাই ভালো ছিল!”

আমি বিয়ের পর যখন বৌকে জিজ্ঞেস করলাম” আমাকে তুমি কিরকম স্বামী হিসেবে পেতে চাও?”
বউ বললো “প্রত্যেক নারীর ইচ্ছে থাকে তার স্বামীর ইনকাম হবে মুকেশ আম্বানির মতো আর ব্যবহার হবে মনমোহনের মতো!”

পড়ুন- পৃথিবী ও সূর্যের অজানা তথ্য, যা খুব কম মানুষই জানেন। 

রবিবার হলেই সংসারের সব কাজ আমাকে করতে হয়। তাই পালাবার ফন্দি ফিকির করছিলাম। শশুর শাশুড়ি কে নালিশ করে, শশুর বাড়িতে আশ্রয় নেবো ভাবলাম।
শশুর বললো “সাবিত্রী তার স্বামী সত্যবানকে যমরাজ-এর কবল থেকে ছিনিয়ে এনেছিলো।” এর অর্থ পরিষ্কার: পুরুষকে তার স্ত্রীর হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না!

ঘটনাটা ভ্যালেন্টাইন ডে এর। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই দেখি, বউ খুব ব্যস্ত। সে স্নান করে টেবিলে খাবার রেডি করছে। আমাকে দেখা মাত্রই আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল- “আচ্ছা আজ আমাকে কেমন লাগছে?” আমি মুখে জবাব দিলাম “দারুন” কিন্তু মনে মনে বললাম- “শিবের গলায় পেঁচিয়ে থাকা নাগিনের মত!”

স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস
স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস

আপনার বউ যদি কখনো আপনাকে AG, OG, Suno G বলে ডাকে, এতে খুশি হওয়ার কিছুই নেই। এক গোপন সূত্র মোতাবেক এগুলি হল বউদের বানানো এক প্রকারের শর্ট ফর্ম। যেমন- AG- আরে গাধা, OG- ওই গাধা, Suno g- শুন গাধা! আপনাকে সরাসরি গালাগালি করতে না পারায়, বউ এরকম করে আপনাকে ডাকবে।

বৌ রোজ বলে সংসারে প্রচুর কাজ, একা সামলাতে পারে না। তাই সেই দিন বললাম “সামর্থ্য থাকতেও একাধিক স্ত্রী না রেখে শুধুমাত্র একজন স্ত্রীর কাঁধে সংসারের সব দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া এটাও একপ্রকার নারী নির্যাতন, তাই ভাবছি আমি আরো একটা বিয়ে করি। কথা শোনার পর আমি স্বামী নির্যাতনের স্বীকার!

আমার বউ অনেক রেগে আছে। বাড়ি ফিরতেই বউ বলতে শুরু করল- “আমি সারাদিন বাড়ির বিভিন্ন কাজ সামলাই, বাচ্চা সামলাই, রান্নাঘর সামলাই আর কত কিছু সামলাই। আর তুমি, তুমি কি কর?” বুঝলাম বউ প্রচুর রেগে আছে, শান্ত করতে হবে। আমিও বলে ফেললাম- “আমি তোমার ওই মায়াবী চোখ দেখে নিজেকে সামলাই!” সেকেন্ডেই বউ ঠাণ্ডা হয়ে বলল- “আজকে তোমার প্রিয় খাবার চিকেন পকোরা বানাব।

তাহলে তোমরা বুঝতেই পারলে, বউকে ঠাণ্ডা মাথায় নক আউট করতে হয়!

লোক জন বলে একজন সফল পুরুষের পিছনে একজন মহিলা থাকেন সেটা আমি মানি! বিয়ের পর আমার মানিব্যাগে সবসময় বৌএর ছবি রেখে দিয়েছি। এতে কাজ হয়েছে। যখন কোন বিপদে পড়ি বৌএর ছবি টা দেখে নিয়ে, মনে মনে বলি একে যখন, সামলাতে পেরেছি তখন যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারবো নিশ্চিত!

এমনিতেই আজ অফিসে বসের সাথে কথা কাটাকাটি হয়ে গেছে। মনটা একদম ভালো নেই। চেঁচামেচি করে গলাটা শুঁকিয়ে একেবারে চেলা কাঠ হয়ে গেছে। বাড়িতে ফিরেই বউকে বললাম এক গ্লাস জল দিতে। আমার বউ আবার ইয়ার্কি করতে খুব ভালোবাসে। জবাব দিল- জল দিয়ে কি করবে? আমার মাথার পারদ আবার চড়ে উঠল। জবাব দিয়ে দিলাম- “জল দিয়ে চেক করব গলায় ফুটো আছে কি না!

ছোট জোকস
ছোট জোকস
<

একবার এক মহান বাবার নাম ডাক শুনে, আমি সাধু বাবাকে বললাম “একটা তাবিজ বা মন্ত্র দাও যা দিয়ে বৌকে খুশি রাখা যায়। তার হাতে পীড়িত না হতে হয়!
বাবা শান্ত হয়ে বললেন- ” বৎস সেটার যদি সন্ধান পেতাম, আমিও গিয়ে এখন সংসার করতাম। সন্ন্যাসী হয়ে ঘর ছাড়া থাকতাম না।

কি চা রে বাবা- একটুও টেস্ট-ফেস্ট কিছুই নেই। রেগে গিয়ে বউকে বললাম- “তোমাকে কতবার বলেছি, চা বানানোর সময় মোবাইল চালাবে না। এটা চা নাকি জল! একটুও টেস্ট নেই!” কথাটা শেষ হতে না হতেই বউ খুন্তি নিয়ে তেড়ে এসে বলল- “তোমাকে কতবার বলেছি খাবার সময় মোবাইল চালাবে না। চায়ের জায়গায় জলের গ্লাসে রুটি ডুবিয়ে খেলে জলের স্বাদ তো পাবেই।” ভাগ্যিস বউ সেদিন আর কোনো বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি!

পড়ুন- মজার গোয়েন্দা গল্প- বিস্কুট চোর রহস্য 

সংকলনে- মানব মণ্ডল এবং ছাড়পত্র

মজার জোকস 2022- সংকলনে রয়েছেন যারা-
আপনার লেখা গল্প আমাদের পাঁঠাতে পারেন- টেলিগ্রাম অথবা WhatsApp এ আমাদের সরাসরি বার্তা পাঠিয়ে। অথবা ই-মেল এর মাধ্যমে- charpatrablog@gmail.com 

#bengalijokes #jokes #mojarjokes

আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক গ্রুপ- গল্প Junction

ফেসবুক- ছাড়পত্র 

টেলিগাম- charpatraOfficial

WhatsApp Group- ছাড়পত্র (২) 

“মজার জোকস 2022. স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস। ছোট জোকস”

Spread the love

Leave a Reply