বান্দরবান ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। ফ্লুবাট বলেছিলেন –“ভ্রমণ মানুষকে পরিমিত করে তোলে। আপনি দেখতে পান যে আপনি পৃথিবীতে কত ছোট্ট জায়গা দখল করে রয়েছেন।” । বাংলাদেশের লাবণ্যময়ী সবুজে ঘেরা বান্দারবান ভ্রমণের অভিজ্ঞতাটি স্মৃতিচারণ করেছেন- কবি, তরুণ গবেষক ও সমাজকর্মী সাফাত বিন ছানাউল্লাহ্

বান্দরবনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য বগালেক ভ্রমণ স্মৃতি – ভ্রমণ অভিজ্ঞতাঃ-

২০১৫ সালের মার্চ মাস। হরেকরকম পাখির কিচিরমিচির গান আর সবুজে ঘেরা ভোরে আমরা বেড়িয়ে পরেছিলাম ভ্রমণের অদম্য নেশায় পাহাড়সমৃদ্ধ রূপ লাবণ্যের নৈসর্গিক লীলাভূমি বান্দরবনের উদ্দেশ্যে। আমাদের দলটি ছিল “lucky 13” মানে মোট ১৩ জন ভ্রমণপিপাসু সফরসঙ্গী ছিলাম। অদেখা অনেক সৃষ্টির বাস্তব সম্মুখীন হওয়াটা ছিল জীবনের এক পরম পাওয়া। কখনও সুউচ্চ পর্বত, কখনো বা ঢালু পথ পাড়ি দেওয়া ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম সবার সাথে। ভুলবার নয় সেই দিন, গল্পভরা রাত, মধুর সেই ক্ষণ। এমন মুহূর্তগুলো জীবনে আসে একবারই, মনে গেঁথে যায় বারবার। সেই থেকে ভ্রমণ আমায় টানে মমতার বাহুডোরে।

৩ মার্চ কাকডাকা ভোরে গন্তব্য বান্দরবন ভ্রমণে বের হলাম। ১৩ জন অভিযাত্রী – আব্দুল্লাহ ভাই, বাহাদুর ভাই, জসিম ভাই, শাহেদ ভাই, সাইফু ভাই, হাসান ভাই, নাসির ভাই, শাকিল ভাই, এরফান ভাই, ফরহাদ ভাই, খালেদ ভাই, লাভলু ভাই, ও আমি। সকাল ৬টায় আমরা দোহাজারী থেকে চার চাকার গাড়িতে কেরানিহাট থেকে বাসে বান্দরবান যেতে ১ঘন্টা লাগল। জাফর আংকেলের হোটেল জবিতে অবস্থান নিয়ে বিশ্রামের পর বাসে গেলাম রুমা বাজার। বাজারে যাত্রা বিরতি ও লাঞ্চ শেষে ঐতিহ্যবাহী চাঁদের গাড়ীতে বেরিয়ে পড়লাম বগালেকের উদ্দেশ্যে।

যাওয়ার পথে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। চালক এতটাই দুরদর্শিতার সাথে গাড়ী চালাচ্ছিলেন যেন আমাদের আরাকান সড়কের মতো রাস্তাগুলো। মনের মধ্যে এক প্রকার ভয় কাজ করছিল, আবার চালকের সাহসিকতা দেখে সবার মনে এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছিল। প্রায় ২,৫০ ঘন্টা গাড়ী চালিয়ে অবশেষে পৌছলাম বগালেকের কাছাকাছি। এখন শুরু হবে সবার নতুন এক মিশন। সবাই প্রস্তুত। প্রায় ২০৫০ হাজার ফুট পাহাড় অতিক্রম করতে হবে পদব্রজে। সবাই একটু বিশ্রাম নিয়ে শুরু করলাম জীবনে প্রথমবার ভয়ানক অভিযানের সাক্ষী হতে।

হাটতে লাগলাম গন্তব্য স্থানে। জীবনে অনেক দুর হেটে পাড়ি দিয়েছি। কিন্তু, পাহাড়ি উঁচুতে পাড়ি দেওয়ার নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে চলছি। অনেকক্ষণ হাটার পর ক্লান্ত হয়ে বসেছি এক জায়গায়। অভিযাত্রীদের মধ্যে বাহাদুর ভাই, জসিম ভাই, আব্দুল্লাহ ভাই মোটা টাইপের ছিল। ওরা বেশী ক্লান্ত বোধ করলো। বাহাদুর ভাই তো মাঝ পথে শুয়ে পরল মরার অবস্থা হলো। যা হোক, মজা করতে করতে অবশেষে জয় করলাম আমাদের ভাষায় এভারেস্ট বগালেক পাহাড় চূড়া।

বান্দরবান ভ্রমণ ভ্রমণ কাহিনী বগালেক ভ্রমণ
বান্দরবান ভ্রমণ ভ্রমণ কাহিনী বগালেক ভ্রমণ

সকল বাধা, বিপত্তি পিছনে ফেলে আমরা পৌঁছে গেলাম ঐতিহাসিক বগালেকে। উঠে যা অবলোকন করলাম যা সত্যিই অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়, সৃষ্টিকর্তার নিপুণ হাতে গড়া অপার বিস্ময়। প্রায় দুই হাজার ফুট উচুতে কিভাবে সুন্দর একটি লেক থাকতে পারে?পৌঁছে প্রথমে নাম এন্ট্রি করলাম একজন একজন করে। আমাদের সাথে যিনি গাইড গিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম ভাই। বয়স একটু বেশী। কিন্তু, শান্ত স্বভাবের। তিনি আমাদের জন্য কটেজ বা থাকার জায়গা ঠিক করলেন। থাকার জায়গা দেখে আমাদের মনে আরো আনন্দের দোলা লেগে গেল।

লেকের পাড়ে সম্পূর্ণ বাঁশ দিয়ে তৈরি করা ব্যালকনি সমৃদ্ধ ঘর। কটেজে পৌঁছে কাপড় ছেড়ে গোসল করতে নামলাম সেই লেকে। লোকমুখে শুনলাম, লেকের পানি কোনদিন কমে না বরং বৃষ্টি হলে আরো বেড়ে যায়। আরো একটি কাহিনী শুনলাম এই লেকের। আজ থেকে প্রায় অনেক বছর আগে নাকি এখানে ১২০টি পরিবার বসবাস করত, একটি সাপ নাকি সেই পরিবার সমেত মানুষগুলোকে মাটির নিচে ঢুকিয়ে ফেলেছিল। এভাবে আরো অনেক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে বগালেক-কে ঘিরে।আমরা নামলাম ঐতিহাসিক লেকে গোসল করতে। সকলের মনে অন্যরকম রোমাঞ্চ কাজ করছিল। সবাই খুব মজা করছি। আমাদের পাশের কটেজে ঢাকা থেকে একদল ভ্রমণপিয়াসী এসেছে। ওরাও নামল অন্য পাশে।

আমাদের আনন্দের পাশাপাশি আমাদের বিখ্যাত কমেডিয়ান নাছির ভাইয়ের একটার পর একটা কৌতুক চলছে। সবাই সেকি হাসাহাসি। গোসল করতে করতে কখন যে সন্ধ্যার পর হয়ে গেল বুঝতেই পেলাম না। গোসল সেরে জামাকাপড় পাল্টে কটেজে ফিরে গিয়ে নাস্তা করতে বেড়িয়ে পরলাম। কটেজ থেকে বেড়িয়ে দেখি ওখানে একটি বাজার। বম, চাকমা, মার্মা সহ উপজাতিরা বেচাকেনা করছে। ব্যবসাও জমজমাট। বাজারের বেশীরভাগ দোকানী মহিলা। ঘুরতে ঘুরতে একটা দোকানে ঢুকলাম নাস্তা করতে। ওটাও এক বম সম্প্রদায়ের মহিলার। নাম নকিম। পরালেখা করে ময়মনসিংহ খ্রিস্টান মিশন কলেজে। সেখানে কিন্তু তার নাম দিয়েছে মীম। এখানে ছুটিতে বেড়াতে এসেছে। তার আরও তিন ভাই বোন বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মিশন স্কুলে পরালেখা করে।

সাধারনত উপজাতিদের মধ্যে ছেলে-মেয়ে একটু বড় হলেই তাদের মিশন স্কুলে বিনা খরচে পরানো হয় এবং তাদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়। আমরা নকিমের দোকানে বসে নাস্তা করছিলাম আর সেই গল্প শুনছিলাম। তার মা বাবাও এখানে থাকে। নকিম যতদিন থাকবে তার মা, বাবাকে সাহায্য করবে। সে আমাদের সাথে বাঙালীদের মতো শুদ্ধ ভাষায় কথা বলছিল। বোঝার উপায় নেই সে একজন উপজাতি। গল্প আর নাস্তা করে আমরা আবার কটেজে ফিরে গেলাম।

আমরা কটেজে ফিরে গিয়ে বেলকনিতে আড্ডা বসালাম। আমি নাসির ভাই, হাসান ভাই,, শাহেদ ভাই, ফরহাদ ভাই, এরফান ভাই, খালেদ ভাই, বাকীরা কটেজের ভিতর। গান, কবিতা, কৌতুক আরও কত কি! সাথে তো আমাদের সকলের প্রিয় নাসির ভাই তো আনন্দ দেওয়ার জন্য আছেই। সবাই যার যার মত করে আনন্দ করছে। শাহেদ ভাই ভান্ডারী গান ধরলে তালে তালে সবাই হাততালি দিতে লাগল। জসিম ভাইয়ের আঞ্চলিক গানের সুরে সবাই সম্মিলিত গাইলাম। সাইফু ভাইয়ের কবিতা আমাদের আড্ডার কেন্দ্রবিন্দু। আড্ডা দিতে দিতে কখন রাতের খাওয়ার সময় হয়ে গেছে টেরই পাইনি।

গাইড আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন আইটেম কি কি হবে। আমরা বেড়িয়ে পরলাম। আইটেমে ছিল ডিম, আলু ভর্তা, সালাত, লটিয়া শুটকি। প্রতি প্লেট ১০০টাকা, আরও যারা টুরিস্ট এসেছিল ওরা অবশ্য বারবিকিউ করছিল খুব মজা করে।একসাথে বসে খুব মজা করে রাতের খাবার খেলাম। খাবার শেষে কটেজে ফিরে গিয়ে বিশ্রাম নিলাম কিছুক্ষণ।

ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ভ্রমণ কাহিনী
ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ভ্রমণ কাহিনী

বিশ্রাম শেষে এবার শুরু হল আমাদের এক জমকালো পর্ব। পর্বটা দুই ভাগে ভাগ করা হল। প্রথম পর্ব কুইজ প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় পর্ব একেকজনের কিছু চিহ্ন নিয়ে নমুনা কাগজে লেখা থাকবে লটারির মতো একটা বাক্সে। যার সাথে চরিত্রগুলোর মিল পাওয়া যাবে তাঁকে পরিবেশনা করে দেখাতে হবে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন খালেদ ভাই, সহকারী হিসেবে ছিলেন ফরহাদ ভাই, এরফান ভাই। আমরা অংশগ্রহণ করেছিলাম ৯ জন। প্রথম পর্বে প্রশ্ন যাকে করা হবে সে যদি না পারে আরেকজনের কাছে চলে যাবে প্রশ্ন। প্রত্যেকের কাছে তিনটি করে প্রশ্ন থাকবে প্রতি উত্তরের জন্য ১ পয়েন্ট করে দেয়া হবে।

সবাইকে তিনটি করে প্রশ্ন করা হল। যারা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে তাদের সেকি হাততালি। শাহেদ ভাই তো নাচতে নাচতে বাঁশের কটেজ ভেঙ্গে পরার উপক্রম। প্রথম পর্ব শেষে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম আমি আর জসিম ভাই। পরের পর্বটা ছিল আরও মজার। একটা কাগজে একেকজনের বৈশিষ্ট্যগত কিছু কথা থাকবে, যার সাথে মিলবে কাগজে লিখা অনুযায়ী যে কোন পরিবেশনা করে দেখাতে হবে। যিনি সবার শেষে করবেন তিনি চ্যাম্পিয়ন। তাতে আমার পরিবেশনা ছিল সেলফি কিভাবে তুলতে হয়? সেই স্টাইল,গান,নাচ, নাসির ভাইয়ের অভিনয়, আরবি কথা, শাহেদ ভাইয়ের বক্তব্য, হাসান ভাইয়ের গান, সাইফু ভাইয়ের কবিতা, আব্দুল্লাহ ভাইয়ের গান, বক্তব্য, জসিম ভাইয়ের গান, বাহাদুর ভাইয়ের গান, লাভলু ভাইয়ের বক্তব্য।

সবাই যার যার পরিবেশনায় বেশ পারদর্শিতা দেখিয়েছিল। সবার শেষে পরিবেশনা করে চ্যাম্পিয়ন হল বাহাদুর ভাই। ওনার সেকি লাফালাফি না দেখলে বিশ্বাস হবেনা। আমাদের স্পেশাল পর্ব শেষে ঘুমাবার প্রস্তুতি। ঘুম তো আসছেনা। তবুও জোর করে চেষ্টা করলাম আরকি।

রাতে ডিনার করে আসার সময় সকালের নাস্তার জন্য আমরা কলা,বিস্কিট নিয়ে এসেছিলাম। সকাল বেলা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন অবাক করার মতো। উঠে সবাই কটেজ ছেড়ে ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাইরে বের হলাম। মহান সৃষ্টিকর্তার নিজ হাতে গড়া প্রকৃতির নিপুণ সৌন্দর্য মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখতে লাগলাম চারদিকে। কেউ কেউ লেকে গোসল করতে নামলো আর নৌকায় চড়তে লাগলো। আমরা হেঁটে হেঁটে চারদিকের পরিবেশ দেখছিলাম, হাজার হাজার পাখির গান শুনে অভিভূত হচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর সবাই একসাথে গেলাম নকিমের দোকানে চা খেতে। সকালের নাস্তা করে আমরা বেড়িয়ে পরলাম ঘুরতে। গাইড আমাদের চারদিকে নিয়ে যাচ্ছিল বিপদজনক জায়গা ব্যতীত। সবাই অনেক অনেক মজা করছিলাম।

চারদিকের ওই দুর পাহাড়ের গর্জন সত্যিই নজরকাড়া। সকাল ১০ টায় আমরা কটেজে ফিরে এলাম। ফিরে যাওয়ার পালা! মন তো যেতে চায়না তবুও যেতে তো হবে। ব্যাগ গুছিয়ে রওয়ানা হলাম বাংলাদেশেরর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নীলগিরির পথে। আমরা দুপুর ১২টার দিকে বেড়িয়ে পড়লাম রুমা বাজারের উদ্দেশ্যে। আবার সেই চাঁদের গাড়ীতে করে আকাঁ বাঁকা পথ ধরে যাচ্ছিলাম। ভয়ানক রাস্তা কোনটা একেবারে নিচু, কোনটা উচু। ভয়ের মাঝে একপ্রকার মজা পাচ্ছিলাম সবাই। যাওয়ার সময় গাড়ীতে নাসির ভাইয়ের কৌতুক, জসিম ভাইয়ের এন্ড্রু কিশোরের গান, সাইফু ভাইয়ের বেশুরা কবিতা, খালেদ ভাইয়ের বর্তমান সময়ের গান তো ছিলই।

প্রায় ৩ঘন্টা পর আমরা রুমা বাজার এসে পৌঁছলাম। ফ্রেস হয়ে রুমা বাজারের বিখ্যাত হোটেল আল- মারুফে লাঞ্চ করতে গেলাম। লাঞ্চের আইটেম ছিল- মুরগীর মাংস, মাছ, ডাল, সালাত, আলু ভর্তা, টমেটো চাটনি, খাওয়া শেষে আমাদের গাইড নুরুল ইসলাম ভাইকে বিদায় দিয়ে, আর্মি সিইকিউরিটি ক্যাম্পে সাইন করে বিকাল ৩.৫০ টার দিকে চাঁদের গাড়ীতে করে রওনা দিলাম নীলগিরীর দিকে। যাত্রা পথে আমাদের সেকি আনন্দ যা বলে শেষ করা যাবেনা। বিকাল ৪.৫০ মিনিটে আমরা চিম্বুক পাহাড়ের পাদদেশে এসে যাত্রাবিরতি করলাম। চা খেয়ে আমরা আবার যাত্রা। সন্ধ্যা ৫.৫০ দিকে আমরা সমতল থেকে প্রায় ৩০০০ ফুট উচু নীলগিরিতে পৌঁছলাম।

জীবনে প্রথম নীলগিরি ভ্রমণের আনন্দই আলাদা। আকাশের ওই নীল মেঘমালা যেন হাতের কাছে ধরা দিচ্ছিল বারবার। অপরূপ প্রকৃতির নজরকাড়া সৌন্দর্যে আমরা বিমোহিত হয়ে পরছিলাম। আব্দুল্লাহ ভাই, শাহেদ ভাই, লাভলু ভাই খালেদ ভাইরা অবশ্য এর আগেও এসেছিল, কিন্তু আমার প্রথম। সবাই যার যার মত করে ছবি তুলছে। নীলগিরি থেকে নিচে তাকালে মনে হবে যেন ছোট ছোট জনপদ আমাদের দিকে উকি দিয়ে আছে।

bogalake বগালেক ভ্রমণ কাহিনী
bogalake বগালেক ভ্রমণ কাহিনী
<

সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা নীলগিরির সবকিছু বিশ্বের যেকোন মানুষকে আকৃষ্ট করবেই। তাইতো কবি গর্ব করেই বলেছেন “এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে জে আমার জন্মভূমি”। আমাদের এই সুজলা-সুফলা জন্মভূমি সকল দেশের সেরা। সবাই মুগ্ধ করা সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। ওখানে প্রায় ১ঘন্টা অবস্থান করে ব্যস্ততম জীবনের কোন এক সময় আরো মজার অভিজ্ঞতার অপেক্ষায় রাত প্রায় ৮.০০টার দিকে বাড়ীর পথ ধরলাম ।

স্মৃতিচারণায়ঃ- সাফাত বিন ছানাউল্লাহ্ (কবি, তরুণ গবেষক ও সমাজকর্মী)

বান্দরবান ভ্রমণ। ভ্রমণ কাহিনী। বগালেক ভ্রমণ
পড়ুনঃ- পৃথিবীর সুন্দর জলপ্রপাত

ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। বান্দরবান ভ্রমণ। ভ্রমণ কাহিনী। বগালেক ভ্রমণ। the queen of beauty Bandarban Tour


Join with us on Facebook- গল্প আর গল্প 

WhatsApp- ছাড়পত্র
পড়ুনঃ- ছেলেদের সাইকোলজি 

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী বস্তু
Spread the love

Leave a Reply